দীর্ঘস্থায়ী সংকট মোকাবিলার প্রস্তুতি জরুরি

এম এ খালেক
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২২, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

রাজধানীতে গত ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ : পথের শেষ কোথায়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ অসম যুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন। তারা বলেছেন, দুটি দেশ প্রথাগত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে আর এর ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করছে পুরো বিশ্ব। এ যুদ্ধ সহসাই থামবে বলে মনে হয় না। বক্তারা নিজস্ব উদ্যোগে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার জন্য সবাইকে প্রস্তুত হওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। আলোচনা সভায় বক্তারা যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং পরামর্শ দিয়েছেন, তা নানা কারণেই অত্যন্ত যৌক্তিক।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বকে কতটা ভোগাবে, তা নিয়ে আলোচনার অবকাশ রয়েছে। রাশিয়া যখন ইউক্রেন আক্রমণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, তখন তাদের জেনারেলরা এক ধরনের বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলেন। তারা মনে করেছিলেন, এ যুদ্ধ হবে ক্ষণস্থায়ী। কারণ রুশ বাহিনীর সামনে ইউক্রেন বাহিনী দাঁড়াতেই পারবে না। আর ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ মনে করেছিল, যুদ্ধে তাদের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো বাহিনী সরাসরি অংশগ্রহণ করবে।
ফলে তাদের পক্ষে যুদ্ধে জয়লাভ করা বা ভালো অবস্থানে থাকা কোনো বিষয় নয়। কিন্তু বাস্তবে উভয়পক্ষের ভাবনাই ভুল প্রতীয়মান হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ যুদ্ধের মাধ্যমে ইউক্রেনের কাছে অস্ত্র বিক্রির একটি চমৎকার সুযোগ সৃষ্টি করে নিয়েছে। এ যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে বিশ্বের সামরিক বিশ্লেষকদের অনেক ধারণাই ভুল প্রমাণিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ শুরু হওয়ার পরপরই রাশিয়ার ওপর ব্যাপক অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে। তারা রাশিয়াকে বাইরের দুনিয়া থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এত কম সময়ের মধ্যে আর কোনো দেশের বিরুদ্ধে এত বেশিসংখ্যক অবরোধ আরোপের নজির ইতিহাসে নেই বললেই চলে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা সুইফট থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এতে রাশিয়া কিছুটা হলেও বিপাকে পড়ে। অবরোধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। যেসব দেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা বিনিময়ের মাধ্যম হিসাবে মার্কিন ডলার ব্যবহার করে, তারা সবাই বিপাকে পড়ে যায়। প্রতিটি দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে স্থানীয় মুদ্রার মান ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকে। এতে পণ্যমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা এখনো অব্যাহত রয়েছে।
পালটা ব্যবস্থা হিসাবে রাশিয়া আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের সরবরাহ কমিয়ে দেয় অথবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। এতে বিশ্বব্যাপী পরিবহণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। বিশেষ করে জার্মানিসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো চরম বিপাকে পড়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের গ্যাস ও জ্বালানি তেলের জন্য রাশিয়ার ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল।
রাশিয়া আরও শর্তারোপ করে, যেসব দেশ তাদের কাছ থেকে জ্বালানি তেল, গ্যাস এবং অন্যান্য পণ্য ক্রয় করবে, তাদের রুশ মুদ্রা রুবলে মূল্য পরিশোধ করতে হবে। এতে মার্কিন বলয়ভুক্ত দেশগুলো সমস্যায় পড়ে। অনেকেই অবশ্য গোপনে রুবলের বিনিময়ে রাশিয়া থেকে গ্যাস ও জ্বালানি তেল আমদানি করছে। এদিকে অয়েল অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টার্স কান্ট্রিজ (ওপেক) ও রাশিয়া মিলে গঠিত ওপেক+ দেশগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের সরবরাহ ২০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে। এ নিয়ে যদিও আমেরিকার সঙ্গে সৌদি আরবের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে, কিন্তু তারপরও ওপেক+ দেশগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের জোগান কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য আবারও ঊর্ধ্বমুখী হতে চলেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাধ্য হয়ে তাদের বিশেষ রিজার্ভ থেকে জ্বালানি তেল বাজারে ছেড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, রাশিয়া এককভাবে বিশ্বের জ্বালানি তেলের চাহিদার এক-দশমাংশ পূরণ করে থাকে। যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছে, রাশিয়ার পরামর্শে সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রকে বিপাকে ফেলার জন্যই জ্বালানি তেলের উত্তোলন ও জোগান ২০ শতাংশ কমিয়েছে। সৌদি আরব অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, তারা অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেই জ্বালানি তেলের উত্তোলন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে কোনো রাজনীতি নেই।
জ্বালানি তেলের মূল্য বিশ্ববাজারে বৃদ্ধি এবং রাশিয়া কর্তৃক গ্যাসের জোগান কমিয়ে দেওয়ার অনিবার্য পরিণতি হিসাবে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যসহ সব ধরনের সামগ্রীর মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। কারণ অন্য কোনো পণ্যের সংকট হলে ব্যবহার কমিয়ে তা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা যায়; কিন্তু খাদ্যপণ্যের ব্যবহার কমানো যায় না। গত মৌসুমে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের উৎপাদন অনেকটাই স্বাভাবিক ছিল। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের জোগানদানকারী শীর্ষস্থানীয় দেশ রাশিয়া ও ইউক্রেনের শস্য উৎপাদন স্বাভাবিক ছিল। এ দুটি দেশ বিশ্বের দানাদার খাদ্যপণ্যের ৩০ শতাংশের জোগান দিয়ে থাকে।
রাশিয়ার খাদ্যপণ্য উৎপাদান ও বিপণন স্বাভাবিক থাকলেও ইউক্রেন তাদের উৎপাদিত খাদ্যপণ্য তুলতে এবং বিশ্ববাজারে প্রেরণ করতে পারেনি। ইউক্রেনে গত মৌসুমে ৮ কোটি ৬০ লাখ দানাদার খাদ্যপণ্য উৎপাদিত হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধের কারণে চাষিরা ৩০ শতাংশ খাদ্যপণ্য তুলতে পারেনি। এ ছাড়া উত্তোলিত খাদ্যপণ্য তারা অনেক দিন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করতে পারেনি। বন্দরে খাদ্যভর্তি জাহাজ অনেক দিন পর্যন্ত আটকে ছিল।
বর্তমানে আমরা বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের যে মূল্য সংকট প্রত্যক্ষ করছি, তার জন্য দায়ী উৎপাদন স্বল্পতা নয়, দায়ী হচ্ছে পরিবহণ সংকট। পরিবহণ সংকট সৃষ্টি হয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির কারণে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে বিশ্বব্যাপী খাদ্যপণ্যের সংকট আরও তীব্র হবে বলে অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন। কারণ যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী পরিবহণ ব্যয় বেড়ে গেছে। এর প্রভাব নিশ্চিতভাবেই খাদ্যপণ্যের মূল্যের ওপর পড়বে। আর কৃষি উপকরণের মূল্যও যুদ্ধের কারণে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে আগামী মৌসুমে খাদ্য উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমে যেতে পারে। অর্থাৎ এ বছর আমরা সরবরাহজনিত সংকটের কারণে খাদ্যপণ্যের অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি প্রত্যক্ষ করছি। আগামী মৌসুমে এর সঙ্গে উৎপাদন হ্রাসজনিত সংকট যুক্ত হবে।
বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারের যেমন মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, তেমনি রুশ মুদ্রা রুবলের দামও বেড়েছে রেকর্ড পরিমাণ। স্বাভাবিক অবস্থায় মার্কিন ডলার এবং রুবলের মূল্য একইসঙ্গে বৃদ্ধির কোনো নজির নেই। অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের মাধ্যমে রাশিয়াকে ঘায়েল করা যাবে বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করলেও তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণ হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সব দেশেই মূল্যস্ফীতি অসহনীয় পর্যায়ে চলে গেছে। সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১ শতাংশ, যা গত ৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। যুক্তরাজ্যে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে তাদের মূল্যস্ফীতি ১৩ শতাংশ অতিক্রম করে যাবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা।
বিশ্বব্যাপী অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্যস্ফীতির এ প্রবণতা সহসাই কমে আসবে বলে কেউই মনে করছেন না। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য চিরাচরিত ব্যবস্থা হিসাবে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই তাদের নীতি সুদহার বাড়িয়ে চলেছে। যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত অন্তত চারবার তার নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। কিন্তু তাতেও মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা টেনে ধরা যায়নি। অবশ্য নীতি সুদহার বাড়ানোর ফলে মার্কিন অর্থনীতির একটি ক্ষেত্রে লাভ হয়েছে। বিশ্বব্যাপী মার্কিন নাগরিকদের যে স্বল্পকালীন বিনিয়োগ ছিল, তা প্রত্যাহৃত হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসতে শুরু করেছে। বিশ্বের অন্তত ৭৭টি দেশ তাদের নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে, যুদ্ধ থেমে গেলেও তা নিরসনে অনেক দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।
প্রশ্ন হলো, বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কিভাবে এ অবস্থা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করতে পারে? বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যেই অন্তত দুবার নীতি সুদহার বাড়িয়ে ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশে উন্নীত করেছে। আগে নীতি সুদহার ছিল ৫ শতাংশ। কিন্তু ব্যাংক ঋণের আপার ক্যাপ তুলে দেওয়া হয়নি। অর্থনীতিবিদরা অনেক দিন ধরেই ব্যাংক ঋণের আপার ক্যাপ (নয় শতাংশ) তুলে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়ে আসছেন। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক তাদের সেই পরামর্শ আমলে নিচ্ছে না। ব্যাংক ঋণের আপার ক্যাপ তুলে না দিয়ে নীতি সুদহার বাড়ানো হলে ব্যাংকগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ব্যাংক ঋণের আপার ক্যাপ তুলে না দিয়ে নীতি সুদহার বাড়ানোর ফলে ব্যক্তি খাতে ব্যাংক ঋণ প্রবাহ প্রচণ্ডভাবে বেড়ে গেছে। ব্যক্তি খাতে ব্যাংক ঋণ বৃদ্ধির অর্থই হচ্ছে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাওয়া, যার পরিণতিতে দেশে উৎপাদন ও কর্মসংস্থানের সৃযোগ সৃষ্টি হওয়া। কিন্তু বাস্তবে সেটা আমরা প্রত্যক্ষ করছি না।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ব্যক্তি খাতে ব্যাংক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। মুদ্রানীতিতে ব্যক্তি খাতে ব্যাংক ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত রয়েছে ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। অর্থাৎ নির্ধারিত লক্ষ্যের চেয়ে ব্যক্তি খাতে ব্যাংক ঋণ প্রবৃদ্ধি বেশি হয়েছে। কিন্তু একই সময়ে শিল্পে ব্যবহার্য কাঁচামাল ও ক্যাপিটাল মেশিনারি আমদানি কমেছে ৫৫ শতাংশ। এর অর্থ হচ্ছে, ব্যক্তি খাতে ব্যাংক ঋণের যে প্রবৃদ্ধি ঘটেছে, তা শিল্পে ব্যবহৃত না হয়ে অন্য কোনো খাতে চলে গেছে। এমনকি বিদেশে পাচার হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
আমাদের দেশে একটি সাধারণ প্রবণতা হচ্ছে, জাতীয় নির্বাচনের আগের বছর মুদ্রা পাচার বেড়ে যায়। আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচন অত্যন্ত জটিল ও স্পর্শকাতর হবে বলে অনেকেই মনে করছেন। যারা রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে অর্থবিত্তের পাহাড় গড়ে তুলেছেন, তারা তাদের সেই অর্থ বিদেশে পাচার করবেন, এটাই স্বাভাবিক। দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্যস্ফীতির যে প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে, তা আগামীতে কমার কোনো অবকাশ নেই, বরং আরও বৃদ্ধি পাবে। খাদ্য উৎপাদন কমে যেতে পারে। এ অবস্থায় দেশে ভয়াবহ খাদ্য সংকট দেখা দেওয়াটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। তাই এখনই জরুরি ভিত্তিতে বিদেশ থেকে খাদ্যপণ্য আমদানির মাধ্যমে নিরাপদ মজুত গড়ে তোলার উদ্যোগ নিতে হবে।
এম এ খালেক : সাবেক ব্যাংকার