ঢাকাকে বাসযোগ্য করার বিশদ পরিকল্পনা
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
মো. আশরাফুল ইসলাম
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২২, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
![ঢাকাকে বাসযোগ্য করার বিশদ পরিকল্পনা](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2022/10/06/image-602701-1665013043.jpg)
ঢাকা মহানগর অঞ্চলের জন্য প্রস্তুতকৃত প্রথম বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (Detailed Area Plan-DAP) ২০১০ সালের ২২ জুন গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
পরিকল্পনাটির মেয়াদ ছিল ২০১৫ সাল পর্যন্ত। এরপর ২০১৫ সালের মার্চে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা ২০২২-২০৩৫ প্রণয়নের কাজ শুরু হয়।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার প্রায় ১৫২৮ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে একটি আধুনিক, কার্যকর ও বাসযোগ্য মহানগরী গড়ে তুলতে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা প্রণীত হয়েছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ২০১১ সালের তথ্য অনুযায়ী ঢাকা মহানগর অঞ্চলের জনসংখ্যা ১ কোটি ৫৫ লাখ এবং ২০৩৫ সাল পর্যন্ত প্রক্ষেপিত জনসংখ্যা ধরা হয়েছে ২ কোটি ৬০ লাখ। প্রকল্প এলাকাকে ছয়টি স্বতন্ত্র প্রধান অঞ্চলে (Region) এবং ৭৫টি উপ-অঞ্চলে (Sub-Region) বিভক্ত করে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
পরিকল্পনাটির অন্তর্নিহিত দর্শন হলো একটি মানবিক শহর তৈরি করা। দুটি মূল ভিত্তির ওপর অধিষ্ঠিত আছে আলোচ্য পরিকল্পনাটি। এর একটি হলো ন্যায়সঙ্গত বা অন্তর্ভুক্তিমূলক (Inclusive) পরিকল্পনা অর্থাৎ সব আর্থ-সামাজিক শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রয়োজন ও জীবনযাত্রাকে পরিকল্পনায় আমলে নেওয়া। পরিকল্পনার আরেকটি ভিত হলো প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক পুনঃস্থাপন, অর্থাৎ যে প্রাকৃতিক পারিপার্শ্বিকতায় মানুষের বসবাস, তার পুনরুদ্ধার ও পুনরুজ্জীবন।
নির্ধারিত মূলনীতিগুলো বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা তৈরির কিছু লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। লক্ষ্যগুলো তৈরির সময় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উচ্চপর্যায়ের পরিকল্পনা, নীতিমালা ও কৌশলপত্র যেমন-সপ্তম ও অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা-২০২১, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনাটি প্রণীত হয়েছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে রাজউকের আওতাধীন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর, পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা, পেশাজীবী সংগঠন, সাংবাদিক ফোরাম, ব্যবসায়ী সমিতি, পোশাক কর্মী, হকার, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তি, রিকশাচালকসহ বিভিন্ন ধরনের সংগঠনের সঙ্গে মতবিনিময় করে প্রাপ্ত মতামত সমন্বয় করা হয়েছে। এছাড়া নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, প্রকৌশলী, পরিবেশবাদী, রিহ্যাব, বিএলডিএ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার মেয়রসহ সব পক্ষের সঙ্গে মতবিনিময় সভার মাধ্যমে গৃহীত যৌক্তিক সুপারিশগুলো সমন্বয় করেই পরিকল্পনাটি প্রণয়ন করা হয়েছে। বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা ২০১৬-২০৩৫-এর গুরুত্বপূর্ণ যেসব প্রস্তাবনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, সেগুলোর মধ্য উল্লেখযোগ্য হলো-
ভূমি ব্যবহার জোনিং : ভূমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকাসহ কৃষি, প্রাতিষ্ঠানিক, জলাশয়, বনাঞ্চল, উন্মুক্ত স্থান, যোগাযোগ, বন্যা প্রবাহ ইত্যাদি এলাকা পরিকল্পনায় চিহ্নিত করা হয়েছে। পরিকল্পনায় ‘নিয়ন্ত্রিত মিশ্র ভূমি ব্যবহারে’র প্রস্তাব করা হয়েছে, অর্থাৎ মিশ্র ভূমি ব্যবহারের জন্য কিছু নিয়ম-কানুন, বিধিবিধানের সুপারিশ করা হয়েছে যেন পারিপার্শ্বিক পরিবেশের ক্ষতি না হয়।
জনঘনত্ব পরিকল্পনা : বাসযোগ্য নগর গড়তে জনঘনত্ব পরিকল্পনার বিষয়টি উন্নয়ন পরিকল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য নগর এলাকার পরিকল্পনায় এ মৌলিক বিষয়টি অনুপস্থিত থাকার কারণে শহরের বাসযোগ্যতা মারাত্মকভাবে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের বাসযোগ্যতা নিশ্চিত করতে নাগরিক সুবিধাদি ও পরিষেবার বিপরীতে জনসংখ্যা নির্ধারণ করেই শহরের সার্বিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। কোনো এলাকায় উন্নয়নের ততটুকুই অনুমোদন দেওয়া হবে, যতটুকু সেই এলাকায় সুবিধাদি আছে। ঢাকাকে কার্যকর ও বাসযোগ্য হিসাবে গড়ে তুলতে বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (২০২২-২০৩৫) এলাকাভিত্তিক জনঘনত্ব নির্ধারণের মাধ্যমে জনঘনত্ব পরিকল্পনা (Density Zoning) প্রণয়ন করা হয়েছে। ওই জনঘনত্ব পরিকল্পনা প্রতি তিন বছর পরপর হালনাগাদ করা হবে।
নৌপথের অগ্রাধিকার : পরিকল্পনায় নদী, খালসহ প্রাকৃতিক জলাশয়ের সমন্বয়ে নৌ-চলাচলের পথ (ব্লু নেটওয়ার্ক) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব করা হয়েছে। সড়কপথের পাশাপাশি উপেক্ষিত জলপথকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫৭৪ কিলোমিটার নৌ-চলাচলের উপযোগী নৌপথ উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব করা হয়েছে। ১ম পাঁচ বছরের মধ্যে ২৩টি খাল উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়েছে।
নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তের আবাসন : বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তের আবাসনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ, ঢাকার মোট জনসংখ্যার বিরাট অংশ এই শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তের জন্য সুলভ আবাসনের (Affordable Housing) সংস্থানে এর সংজ্ঞায়ন ও বিধিবিধানে কিছু পরিমার্জনের মাধ্যমে সাধারণভাবে প্রযোজ্য বিধানের তুলনায় ব্যতিক্রম বিধানের সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়াও নিম্নবিত্তের আবাসনের ব্যবস্থার বিপরীতে ০.৭৫ প্রণোদনা FAR (Floor Area Ratio) দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে করে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের মাধ্যমেও নিম্নআয়ের মানুষের জন্য আবাসনের জোগানের পথ প্রশস্ত হবে এবং তা তাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে, যা সরকারের অন্যতম অঙ্গীকার ‘সবার জন্য আবাসন’সহ বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা এবং সর্বোপরি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনেও সহায়ক হবে। নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তের সাশ্রয়ী আবাসন ব্যবস্থার লক্ষ্যে পরিকল্পনায় ৫৮টি লোকেশন চিহ্নিত করা হয়েছে।
ব্লকভিত্তিক আবাসন পদ্ধতি : আবাসন চাহিদা পূরণে প্লটভিত্তিক উন্নয়নের পরিবর্তে ব্লকভিত্তিক উন্নয়ন পদ্ধতির সুপারিশ করা হয়েছে। যেহেতু নগর এলাকায় জায়গার স্বল্পতা আছে, তাই অপেক্ষাকৃত কম জায়গার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে এ পদ্ধতির প্রয়োগ অতীব জরুরি। ব্লকভিত্তিক আবাসন পদ্ধতির অন্যতম উদ্দেশ্য হলো-পর্যাপ্ত উন্মুক্ত স্থান রেখে এবং অপেক্ষাকৃত ছোট ছোট প্লট একত্রীকরণে একদিকে যেমন বেশি উচ্চতাবিশিষ্ট ইমারত নির্মাণ করতে পারবে, তেমনি অন্যদিকে অধিগ্রহণ বাবদ খরচও কমে যাবে। ড্যাপে প্লট একত্রীকরণে উৎসাহিত করার জন্য ০.২৫ প্রণোদনা ঋঅজ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। ব্লকের আয়তনের ওপর ভিত্তি করে এরিয়া ফার এবং প্লটভিত্তিক ফারের ওপর প্রণোদনা ফার প্রদানের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।
গণপরিবহণে অগ্রাধিকার : প্রণীত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় সড়কপথ, নৌপথ ও রেলপথকে গুরুত্ব দিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। ঢাকার সঙ্গে আশপাশের শহরকে যুক্ত করতে এবং যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ছয়টি মেট্রো, দুটি বিআরটি, ছয়টি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের সমান্তরালে দুটি প্রধান সড়ক, দুটি রিংরোড, রিংরোডের সঙ্গে সংযুক্ত রেডিয়াল রোড এবং বৃত্তাকার নৌপথের প্রস্তাব করা হয়েছে। ঢাকার চারদিকে মোট ১৩টি আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল এবং দুটি ট্র্যাক টার্মিনালের প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া মেট্রো স্টেশন, রেলওয়ে স্টেশন, বাস টার্মিনাল বা নদীবন্দরকে কেন্দ্র করে এর সংলগ্ন এলাকা মূলত ট্রানজিটভিত্তিক উন্নয়ন (Transit Oriented Development/TOD) এলাকা হিসাবে প্রস্তাব করা হয়েছে।
পথচারী ও অযান্ত্রিক যান চলাচলে অগ্রাধিকারমূলক নির্দেশনা : বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় (২০১৬-৩৫) পথচারী ও অযান্ত্রিক যান চলাচলের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অগ্রাধিকারমূলকভাবে ২০২ কিলোমিটার সাইকেল লেন নির্মাণের সুপারিশ করা হয়েছে।
বিদ্যালয়ভিত্তিক (School District) অঞ্চলের ধারণা ও স্বাস্থ্যসেবার প্রস্তাবনা : এ পরিকল্পনার প্রস্তাবনা অনুযায়ী, যারা যে এলাকায় বসবাস করবে, তাদের ছেলেমেয়েরা সেই এলাকায় অবস্থিত স্কুলে ভর্তি হবে। এ ধারণাকে নগর পরিকল্পনার ভাষায় বলা হয় ‘বিদ্যালয়ভিত্তিক অঞ্চল ধারণা’ বা ‘School District Concept’। বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনায় প্রতিটি এলাকার সুষম উন্নয়নে এবং যানজট নিরসনে অঞ্চলভিত্তিক মানসম্মত ৬২৭টি বিদ্যালয়, ২৮৫টি কলেজ এবং ২৮৭টি হাসপাতালের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রতিটি অঞ্চলে বৃহৎ আঞ্চলিক (Regional) পার্ক নির্মাণ : একটি পরিবেশবান্ধব শহরের জন্য যে পরিমাণ পার্ক, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান থাকা দরকার, ঢাকা মহানগর অঞ্চলে (Dhaka Metropolitan Region) তার তুলনায় খুবই স্বল্প পরিমাণের পার্ক, খেলার মাঠ, উন্মুক্ত স্থান বিদ্যমান আছে। ভৌত জরিপ থেকে দেখা যায়, ঢাকায় মোট উন্মুক্ত স্থানের পরিমাণ মোট এলাকার মাত্র ০.৯ শতাংশ, যা খুবই নগণ্য। উন্মুক্ত স্থান, পার্ক, বন ইত্যাদি সবুজায়নের উদ্যোগ পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য, বাস্তুতন্ত্রের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রাখে। পরিবেশবান্ধব শহর তৈরির লক্ষ্যে পরিকল্পনায় পাঁচটি বৃহৎ আঞ্চলিক পার্ক, ৫৫টি জলকেন্দ্রিক পার্ক, ১৪টি বৃহৎ ইকোপার্ক (ভাওয়াল বনসহ) এবং ১৪টি অন্যান্য পার্ক ও খেলার মাঠ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ড্যাপে পুরান ঢাকার বিভিন্ন সাইট চিহ্নিত করে ‘আরবান রিডেভেলপমেন্ট প্রকল্প’ নেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। Culture Based Urban Regeneration প্রক্রিয়ায় ভূমির পুনঃউন্নয়ন কৌশল অবলম্বন করে এ এলাকায় মৌলিক সুবিধাদির ব্যবস্থা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। জনমানুষের নিরাপত্তা বিঘ্নকারী বিদ্যমান রাসায়নিক গুদামগুলো পর্যায়ক্রমে স্থানান্তরের সুপারিশ করা হয়েছে। ঢাকার হৃদয় বুড়িগঙ্গা নদীকে ঘিরে পুরো ঢাকার জন্য সাংস্কৃতিক বলয় তৈরি করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
উন্নয়ন স্বত্ব বিনিময় : বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা এলাকার জন্য মূলত ঐতিহাসিক স্থাপনা, বন্যা প্রবাহ এলাকা, কৃষিজমিসহ সংরক্ষণযোগ্য এলাকা ও স্থাপনাগুলোর জন্য উন্নয়ন স্বত্ব বিনিময় (Transfer of Development Rights) পদ্ধতি প্রবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
পরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা : প্রণীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য রাজউকের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো অর্থাৎ প্রণীত পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া এবং উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণের প্রক্রিয়া ও ধাপগুলো আলোচনা করা হয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণের বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়নে সরকারের পক্ষ থেকে আগামী পাঁচ বছর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন বর্ষ হিসাবে ঘোষণা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রণীত পরিকল্পনাটি কার্যকর ও যুগোপযোগী করার জন্য সময়ে সময়ে পরিমার্জন বা পরিবর্ধন করা জরুরি। সময়ের প্রয়োজনে ড্যাপের প্রস্তাবনাগুলো আরও পরিশীলিত করতে পরিমার্জন করা প্রয়োজন। এরই আলোকে প্রতি ৩ থেকে ৫ বছর পরপর প্রণীত বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা হালনাগাদকরণের সুপারিশ করা হয়েছে।
সর্বোপরি মানুষের সার্বিক জীবনযাত্রার মানোন্নয়নের কথা বিবেচনা করে সরকার ঘোষিত রূপকল্প-২০৪১ অনুযায়ী বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরের নিমিত্তে এর রাজধানী শহরের জন্য সময়োপযোগী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও কৌশলের সমন্বয়েই এবারের বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনাটি প্রণয়ন করা হয়েছে। বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (২০২২-২০৩৫) বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কাম্য।
মো. আশরাফুল ইসলাম : নগর পরিকল্পনাবিদ; প্রকল্প পরিচালক (ড্যাপ), রাজউক