বাজেট প্রস্তাবনার পর্যালোচনা

ড. প্রিয় ব্রত পাল
প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২২, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মাননীয় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার বাজেট বক্তৃতায় প্রধান ছয়টি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই; সুস্পষ্ট শাস্তির বিধানও উল্লেখ নেই। করোনাভাইরাস মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের লক্ষ্যে টানা তৃতীয়বারের মতো করপোরেট কর-এ ছাড় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের উদ্ভূত রাজনৈতিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবারের বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি খাত, স্বাস্থ্য, মানবসম্পদ ও কর্মসংস্থান এবং শিক্ষা খাতকে। কিন্তু এসব খাতে কীভাবে উন্নয়ন করা যাবে, তার সুস্পষ্ট নির্দেশনা নেই; যেমন-কৃষি খাতে কৃষকরা তাদের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না সরকারের সুস্পষ্ট নীতির অভাবে। স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি-অনিয়ম কীভাবে দূর করা যায়, সে ব্যাপারে কোনো সঠিক দিকনির্দেশনা নেই। এছাড়া কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, তার উল্লেখ নেই।
আমাদের শিক্ষিত-অশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা কত ধরনের এবং কীভাবে তা দূর করা যাবে, সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট বক্তব্য নেই। একদিকে আমাদের দেশে রয়েছে শিক্ষিত বেকার; অথচ অনেক বিদেশি আমাদের দেশে কাজ করে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে যাচ্ছে। এক কথায়, বাজারের চাহিদা অনুযায়ী আমরা যথাযথভাবে কর্মশক্তির জোগান নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছি।
ব্যাংকে ৫ কোটি টাকার বেশি থাকলে বাড়তি করের প্রস্তাব কাঙ্ক্ষিত নয়। কারণ, এতে ব্যাংকের সঞ্চয়ের পরিমাণ কমে যাবে; সর্বোপরি পাচারসহ নানাবিধ অনৈতিক কাজে ব্যবহার হবে, যা কাঙ্ক্ষিত নয়। অর্থমন্ত্রী মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেঁধে রাখার লক্ষে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান চাহিদা প্রবৃদ্ধি কমিয়ে সরবরাহ বাড়ানোর মূল কৌশল হিসাবে নিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে জাতির পিতার ভাষায়-আয় বৈষম্য কমিয়ে গরিব দুঃখী, কৃষক-শ্রমিকের স্বার্থে রাজনৈতিক, আর্থিক নীতি পরিচালিত হওয়া উচিত। কেননা, দেশের অর্থনীতির কল্যাণে তাদের অবদান অনেক বেশি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তাদের ন্যায্যমূল্য পায় না। ক্ষুদ্র শিল্পের উদ্যোক্তারা করোনাকালেও যথাযথ সহযোগিতা পায়নি। শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য বেতন থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণে বস্তির পরিধি বাড়ছে এবং তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাজেটের প্রস্তাবিত বরাদ্দ প্রকৃত চাহিদার তুলনায় খুবই সীমিত। তাই আমাদের রেমিট্যান্স প্রতিবেশী দেশের তুলনায় কম। গাড়ির শুল্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সরকারের প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিকে আরও আধুনিকায়ন ও বহুমুখীকরণ করে বাজারের চাহিদা অনুযায়ী, বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গাড়ি সরবরাহ করা অতীব প্রয়োজন। নতুন অর্থবছরের বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে; কিন্তু বরাবরের মতোই প্রকল্প বাস্তবায়নে জবাবদিহিতার রূপরেখা নেই।
শেয়ারবাজারে হতাশা দূরীকরণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ খুবই জরুরি। দীর্ঘদিন থেকে এ খাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। সর্বজনীন পেনশন চালুর ঘোষণা নতুন অর্থবছরে প্রশংসনীয়; কিন্তু বাস্তবায়নের প্রক্রিয়াটি অস্পষ্ট। দেশ থেকে বিভিন্ন উপায়ে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ বাজেটে কর দিয়ে বৈধ করার প্রস্তাব অনৈতিক এবং অযৌক্তিক। প্রথমত, এতে নিয়মিত ব্যবসায়ীরা নিরুৎসাহিত হবে। দ্বিতীয়ত, যারা অনৈতিকভাবে পাচার করেছেন, তারা টাকা ফিরিয়ে আনবেন না। তার চেয়ে বরং যারা বিদেশে বিনিয়োগকৃত অর্থ দেশে আনতে চায়, একমাত্র তাদের সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। যারা অনৈতিকভাবে টাকা পাচার করেছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা একান্ত জরুরি। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নতুন অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেটে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনায় নিয়ে বিদেশি ল্যাপটপ ও কম্পিউটার প্রিন্টার মেশিনসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।
বর্তমান বাজেটে রাজস্ব আয় ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এনবিআরকে ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা আহরণের টার্গেট দেওয়া হয়েছে; কিন্তু কর ফাঁকি রোধে কোনো দিকনির্দেশনা নেই। বিনোদন-সংস্কৃতি-ধর্ম সবই এক খাতে দেখানো সঠিক হয়নি। উপরন্তু এ খাতে বরাদ্দ শূন্য দশমিক ৮, যা খুবই কম। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ৪ দশমিক ৯ শতাংশ বরাদ্দও যথেষ্ট নয়।
শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা খাতে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ বরাদ্দে এটাই প্রতীয়মান হয়, দুর্নীতি দমন ও গোয়েন্দা বিভাগের খুব বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে না। তাছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে দুর্নীতি দেখা যায়, তা প্রায় প্রতিটি গণমাধ্যমে আলোচিত হলেও তা রোধে তেমন কোনো দিকনির্দেশনার উল্লেখ নেই। সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির মাধ্যমে বিনিয়োগ হিসাবে ঘোষণা করা হলো; কিন্তু দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১২ লাখ ৫৪ হাজার, যা যথেষ্ট নয়। এ সংখ্যা আরও অনেক বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। ব্যাংকে ৫ কোটি টাকা থাকলে ৫০ হাজার টাকা কাটা হবে, যা গত বছর ছিল ৪০ হাজার টাকা। এ কারণে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখতে উৎসাহিত হবেন না। এতে দেশের শিল্প খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ঘাটতি দেখা দেবে। অন্যদিকে পলিথিন ও সিগারেটের ওপর কর বাড়ানো যথার্থ হয়েছে; তবে জীবনরক্ষাকারী ওষুধের ওপর কর কমানো গেলে জনগণের উপকার হতো। বাংলাদেশি কাঁচামালের আন্তর্জাতিক মূল্য বেড়েছে, তাই ওষুধের মূল্য আগের মতো রাখা প্রয়োজন।
কর্মরত নারীদের জন্য বাণিজ্যিক ইউনিটগুলোতে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার এবং ডে-কেয়ার সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। পর্যটনশিল্পকে সহায়তা করার জন্য সরকারের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে রপ্তানির নতুন নতুন বাজার তৈরির উদ্যোগ প্রসংশনীয়। বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজের সেবা প্রদানের বিপরীতে মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২০৩০ সাল পর্যন্ত আয় করমুক্ত রাখার প্রস্তাবনা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। দেশে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রকল্পগুলোয় দুর্নীতি জনগণের তথা সরকারের চরম দুর্ভোগের কারণ হতে পারে, যা মুনাফাখোরদের বিবেচনায় থাকে না। তাদের দীর্ঘমেয়াদে অজামিনযোগ্য জেল হওয়া উচিত। প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ যোগাযোগ খাতের অনিয়মের বিষয়গুলো বেশকিছু পত্রিকায় এসেছে। জবাবদিহিতা ভিন্ন একটি দেশের উন্নয়ন প্রায় অসম্ভব। এতে লুটেরা শ্রেণির সৃষ্টি হবে; কৃষক-শ্রমিকের উন্নয়ন হবে না।
সরকার কৃষিক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রণোদনা দিচ্ছেন। কৃষকরাও কায়িক পরিশ্রম করে আশানুরূপ ফলন পাচ্ছে। কিন্তু সরকারের অপর্যাপ্ত গুদামজাতকরণ ব্যবস্থা, তদুপরি কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকতার কারণে বা যথাযথ মন্ত্রণালয় কর্তৃক তদারকির অভাবে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এবং কম দামে ফড়িয়া, মধ্যস্বত্বভোগীদের কাছে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে কৃষক অতিরিক্ত ফসল উৎপাদনের আনন্দ উপভোগ করতে পারছে না। এ কারণে অনেক কৃষক নিঃস্ব হয়ে গ্রাম ছেড়ে শহরে এসে রিকশা, ভ্যান চালিয়ে কিংবা অন্য কোনো কাজ করে কঠিন সময় অতিক্রম করছে। এ কঠিন বাস্তবতা সরকারকে অনুধাবন করতে হবে। দুঃখের বিষয় হলো, সবকিছু বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তদারকি বা হস্তক্ষেপ করতে হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় না এনে কোনো সমস্যার সাময়িক সমাধান দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না।
প্রতিবন্ধী বা তৃতীয় লিঙ্গের ২৫ জনের বেশি নিয়োগে কর ছাড় প্রশংসনীয়। তবে তৃতীয় লিঙ্গের পোশাক কারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার মতো প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণসহ আকর্ষণীয় প্যাকেজের ব্যবস্থা করতে হবে। তাদের সুসংগঠিত করতে প্রয়োজনীয় আবাসন ব্যবস্থাসহ অন্যান্য সেবা প্রদানে মন্ত্রণালয়ের বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরকে তদারকি করতে হবে। এ শ্রেণির গোষ্ঠী এখনো অবহেলিত রয়েছে। বিদেশে কর্মী পাঠানোর সময়ে তাদের দক্ষ করে পাঠানো উচিত। নিরাপদ টেকসই অবকাঠামো গড়ার পরিকল্পনাতে দেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রাধিকার পদ্মা সেতু চালু হয়েছে। এছাড়া মেট্রোরেলসহ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেস চালু হবে এবং আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প চলমান আছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্য আমদানি-রপ্তানির সম্ভাবনা ও প্রতিবন্ধকতা বিবেচনায় রাখতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশু উন্নয়ন খাতে বরাদ্দকৃত ১০০ কোটি টাকা যেন যথাযথভাবে ব্যবহার হয়, অপচয় না ঘটে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বর্তমান সরকার কর্তৃক জেন্ডার সমতার ভিত্তিতে সমাজ প্রতিষ্ঠা ও নারীর ক্ষমতায়নে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে জেন্ডার বৈষম্য কমে আসছে। অর্থমন্ত্রীর, বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি কমানোর পদ্ধতিগুলো সাধারণ জনগণের বিবেচ্য নয় এবং প্রকৃতপক্ষে গ্রামীণ ও অল্পশিক্ষিত জনগণ বুঝতে পারে না এবং বুঝতেও চায় না। তাদের মূল কথা-বাজেট বুঝি না, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমান; অর্থাৎ সাধারণ জনগণ ন্যায্যমূল্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পেতে চায়। এটাই তাদের একমাত্র দাবি। সরকারকে এ বিষয়টি বিবেচনায় কীভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেন তাদের একটি দিকনির্দেশনা দেন। নতুবা বরাবরের মতোই কিছু সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা হবে। দুর্নীতি দমনসহ জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে ২৮০ জন জনবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জনবল নিয়োগ যেন জবাবদিহিমূলক হয়, সেদিকে বেশি জোর দিতে হবে।
অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, আগামী অর্থবছরে দেশে মাথাপিছু আয় হবে ৩ হাজার ৭ ডলার। বস্তুত এর মাধ্যমে দেশের আংশিক চিত্র প্রকাশ পায়; আয়বৈষম্যের চিত্র প্রকাশ পায় না। আয়বৈষম্য কোনোদিন পছন্দ করেননি বঙ্গবন্ধু। দেশে অনেক দুর্নীতিমুক্ত স্বচ্ছ ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং আছেন। সবার নাম উচ্চারণ করা যেমন কঠিন, তেমনি বাকিদের কষ্ট দেওয়া আমার উদ্দেশ্য নয়। জাতির পিতার সময়ে রাজনৈতিক ব্যক্তিরা ছিলেন নির্লোভ। নিজের সব আয়-সম্পদ দেশের কল্যাণে ব্যয় করেছেন। এমনকি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন; যেমন-জাতীয় চার নেতা। স্বস্তির বিষয় হলো, বঙ্গবন্ধুকন্যা পিতার আদর্শে অটুট থেকে দেশকে সফলভাবে পরিচালনার চেষ্টা করছেন। বঙ্গবন্ধুর সময় মীরজাফরের মতো খুনি মোশতাক ছিলেন এবং পরবর্তীকালে তার গংদের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। আগামীর পথচলায় এ বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনায় রাখা একান্ত প্রয়োজন।
ড. প্রিয় ব্রত পাল : উপাচার্য, ঈশা খাঁ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, কিশোরগঞ্জ