
প্রিন্ট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০১ পিএম
সমাজে অযথাই বিভেদের দেওয়াল তৈরি করা কেন

একেএম শামসুদ্দিন
প্রকাশ: ৩০ মে ২০২২, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ভারতে পিকে হালদার গ্রেফতার। ফাইল ছবি
আরও পড়ুন
সমুদ্রের ঢেউ যেমন একের পর এক সৈকতে এসে আছড়ে পড়ে, ঠিক তেমনই একের পর এক রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক নানা ইস্যু যেন আমাদের দেশে আছড়ে পড়ছে। কিছুদিন আগেও যখন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে রেডিও, টেলিভিশনে, দৈনিক সংবাদপত্র, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, মানুষের মুখে মুখে সমালোচনার স্ফুলিঙ্গ ঝরে পড়ছিল, ঠিক তখনই ভারতে পিকে হালদারের গ্রেফতারের ঘটনা যেন সেই স্ফুলিঙ্গে পানি ঢেলে দিল। পিকে হালদারকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় চলল কিছুদিন। কলকাতাসহ বাংলাদেশের সব মিডিয়ায় পিকে হালদার প্রধান শিরোনাম দখল করে নিল। পিকে হালদার সম্পর্কে মানুষের আগ্রহ কম নয়! কলকাতা ও স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে একদিন খবর বেরোল, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদকালে পিকে হালদার নাকি টাকা পাচারে জড়িত ভারত ও বাংলাদেশের রাঘববোয়ালদের নাম বলে দিয়েছে। স্বাভাবিক কারণেই এ দেশের রাঘববোয়ালদের নাম জানার জন্য বাংলাদেশের মানুষের মনে আগ্রহ জেগে ওঠে। দুষ্টু লোকেরা বলে, পিকে হালদারের এ দেশীয় দোসররা নাকি যে করেই হোক তাদের নাম যাতে প্রকাশ না পায় সে জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে।
ইতোমধ্যে সে প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে। দেশের এত বড় আর্থিক কেলেঙ্কারির নায়ক পিকে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নাকি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও পুলিশ সদর দপ্তর আলাদা দুটি দল কলকাতায় পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সদস্যও থাকবেন। এটি একটি ভালো উদ্যোগ সন্দেহ নেই। দুদেশের অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সম্মিলিত জিজ্ঞাসাবাদে পিকে হালদার যদি তার সহচরদের নাম প্রকাশ করে দেয়, মন্দ কী! তবে মন্দ লোকেরা বলে অন্য কথা, তাদের জিজ্ঞাসা, প্রকৃত রাঘববোয়ালদের নাম এ দেশের মানুষ আদৌ জানতে পারবে কি? এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর মরহুম খন্দকার ইব্রাহীম খালেদ বেসরকারি এক টেলিভিশনের ‘রাজকাহন’ নামক এক টকশোতে বলেছিলেন, ‘টাকা পাচারকারীরা এতই ক্ষমতাবান যে তাদের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করা সম্ভব নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমার এ মুহূর্তে একজনের নাম মনে পড়েছে যিনি ব্যাংকিং সেক্টরকে একেবারে তছনছ করে দিয়েছেন। অথচ আমি তার নামটি বলতে পারব না। তাহলে আমাকে গুম করে ফেলা হবে। এ কারণেই মানুষ তাদের চিনলেও মুখ ফুটে কিছু বলতে পারে না।’ খন্দকার ইব্রাহীম খালেদ যার নাম উচ্চারণ করতে ভয় পেয়েছেন সে ব্যক্তিকে হয়তো সমাজের অনেকেই চিনেন, কিন্তু আত্মসম্মান এবং জীবনহানির ভয়ে ইব্রাহীম খালেদের মতোই তারা নাম উচ্চারণ করতে পারেন না। বিগত একযুগ ধরে আমাদের দেশে যে বিচারহীনতা ও ভয়ের সংস্কৃতির চালু রয়েছে, ইব্রাহীম খালেদের এ বক্তব্যই তা প্রমাণ করে।
পিকে হালদারকে নিয়ে যখন চারদিকে তোলপাড় চলছে; ঠিক সে সময়ে নতুন এক ইস্যু এসে হাজির। বড় স্পর্শকাতর সেই ইস্যু। ইস্যুটি হলো তথাকথিত ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন’ কর্তৃক দেশের ১১৬ জন আলেমকে ধর্মব্যবসায়ী হিসাবে চিহ্নিত করে দুই হাজারেরও বেশি পৃষ্ঠার একটি শ্বেতপত্র ও নামীয় তালিকা দুদক ও মানবাধিকার কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে দেশের সব মিডিয়াতেই ব্যাপক তোলপাড় হয়েছে। এ তালিকা প্রকাশের পর পরই বিদ্যুৎগতিতে তা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এর আঁচ বেশ গভীরভাবে এ দেশের আলেম সমাজের ওপরও পড়ে। ফলে খুব দ্রুতই তারা তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েন। এ বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষের ভেতরও বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। সবার মনে প্রশ্ন, এ সময় গণকমিশন এমন এ স্পর্শকাতর বিষয় কেন উত্থাপন করল? তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। বলা নেই, কওয়া নেই হুট করে এই শ্বেতপত্র ও তালিকা প্রকাশের পেছনে কী কারণ থাকতে পারে? নয় মাস ধরে তদন্ত করে এক হাজার মাদ্রাসা ও ১১৬ জন বিভিন্ন ঘরানার আলেম, যেমন দেওবন্দ, আলিয়া, বেরলবী, আহলে হাদিস কাউকেই বাদ না দিয়ে সবার বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র তৈরি করেছেন তারা। শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, আলেমরা ধর্মব্যবসা করেন। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এ ধরনের উদ্যোগ দেশে শুধু অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে না; বরং সমাজে বিভেদ তৈরি করবে। তথাকথিত কমিশন যে ১১৬ জন আলেমের নামের তালিকা তৈরি করেছে সে তালিকায় মৃত ও ভারতীয় নাগরিকের নামও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ কারণে তদন্তের স্বচ্ছতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। ১১৬ জনের মধ্যে এমন একজন আলেম হচ্ছেন চট্টগ্রাম ওমরগণি এমইএস কলেজের সাবেক অধ্যাপক ড. আফম খালিদ হোসেন, তিনি দাবি করেছেন তালিকাভুক্ত আলেমদের মধ্যে একজন অন্ধ হুজুরের নাম আছে যিনি অনেক আগেই মারা গেছেন। এ ছাড়াও তালিকার ৩০ নম্বর আলেমের নাম, মাওলানা মতিউর রহমান মাদানি, যিনি ভারতের নাগরিক, পশ্চিমবঙ্গের মালদার বাসিন্দা, বর্তমানে সৌদি আরবে বসবাস করছেন।
এ ধরনের গণকমিশন গঠনের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ দাবি করেছেন, এ তালিকা প্রকাশের পেছনে বিদেশি কোনো এজেন্টের হাত আছে কিনা খতিয়ে দেখতে হবে। নয় মাস ধরে তদন্ত করতে যে বিপুল অর্থের খরচ হয়েছে, সে অর্থপ্রাপ্তির সূত্র নিয়েও কথা উঠেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, দেশে এত মৌলিক সমস্যা থাকতে কাদের স্বার্থে এক হাজার মাদ্রাসা ও ১১৬ জন আলেমকে বিশেষ তালিকাভুক্ত করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছে। আমাদের দেশে ধর্মকে ব্যবহার করে অনেক অপরাজনীতি হয়। স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক তৎপরতা যখন শূন্যের কোঠায়, অন্যান্য ধর্মনির্ভর রাজনৈতিক দলগুলোও যখন নিষ্ক্রিয়, তখন কিছুসংখ্যক মাদ্রাসা ও আলেম-ওলামাকে চিহ্নিত করে বিতর্ক ও উন্মাদনা সৃষ্টি করার পেছনে কী উদ্দেশ্য থাকতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন জাগা স্বাভাবিক। অতীতে আমাদের দেশে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার ঘটনা আমরা লক্ষ করেছি। অনেকেই মনে করেন, রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার উদ্দেশ্য যদি নাই-ই থাকে, তাহলে এত অপকর্ম করার পরও জামায়াতে ইসলামী দলটিকে এতদিনেও কেন নিষিদ্ধ করা হলো না? স্বাধীনতার পর পর বঙ্গবন্ধু জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করতে পারলে, আজ তারই গড়ে তোলা দল একযুগেরও বেশি একটানা ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও নিষিদ্ধ করতে পারছে না কেন? আজ, জামায়াতে ইসলামী দলটি যখন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে, তখন আলেমদের বিরুদ্ধে ধর্মব্যবসার জিকির তুলে কায়েমি স্বার্থবাদীরা কী ফায়দা নিতে চাচ্ছেন তা অদূর ভবিষ্যতেই হয়তো দেখতে পারব। সাধারণ মানুষের মধ্যে অনেকেই এ তৎপরতাকে সমাজে বিভেদ সৃষ্টির অপপ্রয়াস বলে মনে করেন। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য তথাকথিত এ ‘গণকমিশন’-এর যে কোনো আইনি ভিত্তি নেই তা প্রকাশ করেছেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। মন্ত্রী বলেন, ‘গণকমিশনের আইনি কোনো ভিত্তি নেই। তারা ২ হাজার পৃষ্ঠার একটি বই প্রকাশ করেছে। বইয়ের ভেতরে কী লিখেছে, তা আমি জানি না। এগুলো আমাদের দেখতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটি কথা জোর দিয়ে বলতে চাই, যে অভিযোগের কোনো প্রমাণ নেই, সে অভিযোগ আমরা আমলে নিই না।’
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঊষালগ্ন থেকেই একটি স্বার্থান্বেষী মহল পরিকল্পিতভাবে আমাদের সমাজ ও রাজনীতির ভেতর বিভেদ সৃষ্টি করতে তৎপর। আমাদের দুর্ভাগ্য ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ভাষণে জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে শত্রুর মোকাবিলার নির্দেশ দিয়ে গেলেও স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হতে না হতেই তার সে নির্দেশকে অগ্রাহ্য করা হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে আমরা কী দেখেছি? বাংলাদেশের প্রবাসী সরকারের নিয়ন্ত্রণে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হলেও মুক্তিবাহিনীর প্যারালাল মুজিব বাহিনী গঠন করে বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিব বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মুখোমুখি হওয়ার একাধিক ঘটনাও ঘটেছিল। স্বাধীনতার ঠিক পর পরই বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধের ধ্বংসস্তূপ থেকে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন, ঠিক সে সময় আমরা দেখলাম, মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত মুজিব বাহিনীর নেতৃত্বের একাংশকে নিয়ে বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র কায়েমের ধুয়া তুলে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল বা জাসদ নামক একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম গঠন করা হলো। অনুরূপভাবে, মুজিব বাহিনী সদস্যদের নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি রক্ষী বাহিনী গঠন করাও তখন ভুল ছিল। বিভিন্ন ইস্যুতে সেনাসদস্যদের সঙ্গে রক্ষী বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে এমন অনেক অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটেছে যা কখনো জনসম্মুখে প্রকাশ পায়নি। ফলে সেনাবাহিনীর ভেতর ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
জনপ্রশাসন ও সেনাবাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের দুবছর জ্যেষ্ঠতা দিয়ে আরও একটি বিভেদ তৈরি করা হয়েছিল সে সময়। পাঠক ভুল বুঝবেন না আমাকে। তাই বলে মনে করবেন না যে, আমি মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের জ্যেষ্ঠতা দেওয়ার বিরোধী। তবে ওই সিদ্ধান্ত যে বিভেদের সৃষ্টি করেছিল সে বাস্তবতাটা এখানে তুলে ধরেছি মাত্র। এ বিভেদ সেনাবাহিনীকে পরিষ্কার দুটো ভাগে ভাগ করে দিয়েছিল, মুক্তিযোদ্ধা ও পাকিস্তান ফেরত সেনাসদস্যদের মধ্যে তখন স্পষ্ট একটি সীমারেখা অঙ্কিত হয়েছিল। পরে এ বিভেদের প্রভাব গিয়ে পড়ে জাতীয় পর্যায়ের ঘটনা প্রবাহে। এরই ধারাবাহিকতায় গত শতকের নব্বই দশক পর্যন্ত এ জাতি কীভাবে তার খেসারত দিয়েছে তা ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ ঊর্ধ্ব এ দেশের সব নাগরিকই জানেন বলে আমার বিশ্বাস। নব্বই দশকে জনগণের ভোটে গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এলে স্বার্থান্বেষী মহলটি আবার সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং এ দেশের জনগণের ভেতর নতুন করে বিভেদের প্রচেষ্টা চালায়। এরপর থেকেই ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা’ এবং ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ও বিপক্ষে’ ইস্যু দুটো আমাদের যে বিভেদ করে রেখেছে তা বলাই বাহুল্য। বর্তমানে তথাকথিত ‘বাংলাদেশে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে গণকমিশন’ শ্বেতপত্র প্রকাশ ও আলেমের তালিকা তৈরি করে সমাজকে আবারও বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। সরকারকেই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। আমাদের বিশ্বাস সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি এবং রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের যে প্রভাব বিশ্বব্যাপী পড়েছে তার ধাক্কা বাংলাদেশে এসেও লেগেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ এমনিতেই অস্বস্তিতে আছে; তার ওপর এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা দেশকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলবে। কাজেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আগেই সরকার যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা। আমরা আশা করি, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য যেন সাধারণ মানুষের ক্রয়সীমার মধ্যে চলে আসে। পিকে হালদারের সহচরদের চিহ্নিত করে দেশের মানুষের সম্মুখে তাদের মুখোশ যেন উন্মোচিত হয়। পিকে হালদারের সহচরদের মধ্যে ক্ষমতা বলয়ের কোনো সদস্যও যদি থেকে থাকে, তাদেরও যেন সরকারি তরফ থেকে ছাড় না দেওয়া হয়। তথাকথিত গণকমিশনের কর্মকাণ্ড নিয়ে দেশের জনগণের ভেতর যে সন্দেহ দেখা দিয়েছে সে বিষয়েও যেন যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা