আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মাঝেই প্রকৃত সুখ
ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী
প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২২, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
মহান স্রষ্টা নির্দেশিত আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংযমের অভিনব অপরিহার্য ইবাদত পবিত্র রমজান শেষে সর্বজনীন ঈদ উৎসব নিরন্তর আনন্দের চিত্তাকর্ষক উপহার।
এ ঈদকে ঘিরে সামগ্রিক অর্থে সব পণ্যসামগ্রী, পোশাক-পরিচ্ছদ, আধুনিক ও ঐতিহ্যিক সাজসজ্জা, বিনোদন, নবতর মনোহারি আঙ্গিকে সাজানোর অন্তঃকরণ প্রতিযোগিতার প্রস্তুতি চলে বছরব্যাপী।
সজীব প্রতীক্ষায় প্রহর গুনে সব ব্যবসায়ী, ধনী-গরিব ক্রেতা-বিক্রেতা, বেতার-টিভি-চলচ্চিত্রসহ বিভিন্ন জমকালো অনুষ্ঠান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ও সম্প্রচার কেন্দ্র। নামাজ, ইফতার, সেহরি, পবিত্র কুরআন পাঠ, জাকাত প্রদান, নতুন কাপড় কেনা ও পরিধান করা, উপহার বিতরণ ও বিনিময় প্রভৃতি সম্পন্ন করে মহান স্রষ্টার সন্তুষ্টিতে নিজেকে বিলীন করার মাধ্যমে প্রায় সপ্তাহব্যাপী উদযাপনে ঈদুলফিতরের মহৎ উদ্দেশ্য জাগরিত থাকে।
সম্প্রীতি-সৌহার্দ-বন্ধুত্বের চিত্ত-বৈজয়িক উপযোজনে সার্থক হয়ে উঠে ঈদের এ আনন্দ উৎসব। বৈষম্যহীন মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রধান অনুষঙ্গ নানা মাত্রিকতায় সমাজ বিবর্তনের সাম্প্রতিককালে এ উৎসব শুধু ধার্মিকতায় নয়, ধর্ম-দলমতনির্বিশেষে এক অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতির বাহন হিসাবে বিকশিত। মূলত মাহে রমজানের শাশ্বত শিক্ষা ও অনুশীলন ন্যায়পরায়ণতা, নৈতিকতা, ত্যাগ-সংযম প্রভৃতি বিশ্বজনীনতা ও মানবিকতার নান্দনিক বৈভাষিক রূপকল্প।
পবিত্র কুরআনে রমজানকে আরবিতে সাওম বা সিয়াম বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। রোজা ইসলাম ধর্মের তৃতীয় রোকন। শান্তির বারতা নিয়ে যে ইসলামের আবির্ভাব, এর মুখ্য উদ্দেশ্যের মধ্যে অন্যতম মহান স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জনে আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে পরিপূর্ণ মানবিকতার বহিঃপ্রকাশ। সার্বিক দিক থেকে যে বিবেচনায় রোজার মহাত্ম্য অতি গৌরবান্বিত তাহলো নিজেকে পরিশুদ্ধ করার উত্তম পন্থাগুলোর অনুশীলন। পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! পূর্ববর্তী উম্মতের মতো তোমাদের ওপরও রোজা ফরজ করা হয়েছে, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার’ (বাকারা-১৮৩)। মূলত সুবেহ সাদিক থেকে সূর্য ডোবা পর্যন্ত রোজার নিয়ত করে সব ধরনের খাদ্য-পানীয় গ্রহণ ও যৌনকাজ প্রভৃতি থেকে বিরত থাকাকে শরিয়তের পরিভাষায় রোজা বলে। হজরত (সা.) এর অমিয়বাণী অনুসারে হজরত আবু হোরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রমজান মাস উপস্থিত হলে বেহেশতের দরজাগুলো খোলা এবং দোজখের দরজাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং শয়তান শিকল পরিহিত অবস্থায় থাকে।’ বস্তুতপক্ষে মিথ্যা বলা, প্রতারণা করা, অন্যকে কষ্ট দেওয়া বা যে কোনো ধর্মের মানবকল্যাণবিরোধী কর্মকাণ্ড থেকে নিজেকে বিরত রাখা এবং অন্যকেও সুপরামর্শ দিয়ে মঙ্গলের পথে নিয়ে আসার মধ্যেই রোজার সার্থকতা।
অপর এক হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘হুজুর (সা.) বলেন, রোজাদারদের মুখের গন্ধ আল্লাহর কাছে মেশক অপেক্ষা অধিক প্রিয়। তিনি আরও বলেন, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য যে একটি রোজা রাখবে, তিনি তাকে দোজখের অগ্নি থেকে সত্তর বছরের রাস্তা দূরে রাখবেন’ (বুখারি শরিফ)। এ রোজার মাসেই পবিত্র শবেকদর এবং মহাগ্রন্থ পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে। সর্বোপরি কঠিন পরিচর্যার মাধ্যমে ৩০ রোজা পালনের পর আল্লাহর পক্ষ থেকে দেওয়া যে মহোৎসব, তা হচ্ছে ঈদুলফিতর। পরিপূর্ণভাবে নিজেকে পবিত্র রেখে ঈদ উৎসবকে ধারণ করে ধর্মবর্ণ-দলমতনির্বিশেষে একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে সুদৃঢ় করে সৌহার্দ সম্প্রীতি এবং সব মানবের জন্য মঙ্গল কামনায় নিবেদিত এ ঈদ শুধু মুসলমানদের জন্য নয়, সব ধর্ম-জাতিগোষ্ঠীর জন্য এক মহামিলন ও আনন্দ আদান-প্রদানের সুমহান ক্ষেত্র। এটি অসাধারণ এক বিশ্বজনীন মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক কল্যাণবোধ, যা মানুষের সভ্য ও সংহতির সমাজ প্রতিষ্ঠায় অনবদ্য ভূমিকা পালন করে। এজন্যই এটি একটি সর্বজনীন গ্রহণযোগ্য সংস্কৃতির উল্লেখযোগ্য উপাদান হিসাবে সর্বত্রই বিবেচিত।
আমাদের অনেকেরই জানা, শাস্ত্রীয় দৃষ্টিকোণ থেকে মোটামুটি খ্রিষ্টপূর্ব ৬০০০-৫০০০০ বছরের সময়সীমাকে আদি পিতা আদম (আ.), ২০০০-১০৫৬ নূহ (আ.), ২০০০-১৭০০ হজরত ইব্রাহীম, ১৩০০ মুসা (আ.), ১০০০ দাউদ (আ.), ৯০০ সোলায়মান (আ.), ১-৩০ খ্রিষ্টাব্দ ঈসা (আ.) এবং ৫৭০-৬৩২ মুহাম্মদ (সা.)-এর কালকে মানবজাতির ক্রমান্বয়কে বিবেচনা করা হয়। ‘ধর্ম’ শব্দটি মূলত ‘ধৃ’ ধাতু থেকে নেওয়া হলেও এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে ধারণ করা। নিজের ও অপরের জীবন সমৃদ্ধিতে নিবেদিত সব কর্মেরই যোগফল হচ্ছে ধর্ম। আধুনিক দার্শনিকদের মতে, ধর্মের সংজ্ঞা অনেকটা জটিল ও ব্যাখ্যা সংবলিত। (বাঙালির ধর্মচিন্তা : ২০১৪) দার্শনিক কান্টের মতে, ‘Religion is morality.’ ম্যাক্স মূলারের ভাষায়-‘Religion is subjective faculty for the apprehension of mankind.’ জন স্টুয়ার্ট মিল বলেন, ‘The essence of religion is strong and earnest direction of the emotions and desires towards ideal object recognized as of the highest excellence.’ বস্তুবাদী দর্শনের অন্যতম প্রবক্তা কার্ল মার্কসের মতে, ‘Religion is the sigh of the oppressed creature, the feelings of heartless world, just as it is the spirit of the unspiritual conditions. Ir is the opium of the people.’ উল্লিখিত উদ্বৃতিগুলো থেকে ধর্মের নানাবিধ পথ ও মতের বিভাজনকে অনুধাবন করা যায়।
মূলত ধর্ম কোনো আপেক্ষিক বিষয় নয়। স্বাভাবিক, সাবলীল ও সহজসরল সবার কাছে গ্রহণযোগ্য ইহ এবং পরকালীন শান্তি নিশ্চিতকল্পে মানবিক ও সংযত কর্মভিত্তিক একটি সুসংহত বলয় তৈরিই ধর্মের মুখ্য উদ্দেশ্য। সমাজসভ্যতার ক্রমবিকাশের ধারায় ধর্মের রূপান্তর এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব ধরনের আচার-অনুষ্ঠান, রীতিনীতি, বিধিনিষেধ, নিয়মকানুন প্রভৃতি সম্পর্কে আমরা সবাই কমবেশি জানি। আদিম, দাস, সামন্তবাদী, পুঁজিবাদী এবং সমাজতান্ত্রিক উৎপাদনব্যবস্থার ভিত্তিতে ধর্মের যে প্রকৃতি ও পরিধির বিস্তার, পরিবর্তন ও পরিমার্জন ও বিভিন্নধারা-উপধারায় প্রসার লাভ করেছে, এটিই সামাজিক বাস্তবতা। ইউনেস্কো জরিপ এবং অন্যান্য সূত্রমতে, বর্তমান পৃথিবীতে বিদ্যমান প্রধান ধর্মের সংখ্যা ১৯টি। এদের শাখা-প্রশাখা ও বিভক্ত সম্প্রদায়ের সংখ্যা প্রায় ২৭০টি। আমরা জানি, ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী সবাই পবিত্র ইসলামকে একটি বিশ্বজনীন ধর্ম হিসাবে ধারণ করে এবং প্রিয়নবী মুহম্মদ (সা.) আল্লাহতায়ালা প্রেরিত শেষ নবী এবং তিনি ‘ওহি’প্রাপ্ত। ‘মুহাম্মদ’ শব্দের অর্থ প্রশংসিত আর ‘ইসলাম’ শব্দটির উৎপত্তি ‘আসলামা’ থেকে, যার অর্থ শান্তি এবং ‘মুসলমান’ শব্দের অর্থ আত্মসমর্পণকারী অর্থাৎ পরিপূর্ণভাবে আল্লাহতায়ালার কাছে সবকিছুতে আত্মসমর্পণকারীই হচ্ছেন সত্যিকারের মুসলমান।
পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কুরআন শব্দের ‘কোর’ অর্থ পড়া আর ‘আন’ অর্থ সর্বক্ষণ; অতএব এর আভিধানিক অর্থ দাঁড়ায় ‘সর্বক্ষণ পাঠ কর’। আল্লাহর ওপর অগাধ বিশ্বাস অর্থাৎ ঈমাম, নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত এ পাঁচটি পবিত্র ইসলামের মূল ভিত্তি। এর মধ্যে নামাজ, রোজা, জাকাতকে ঘিরে যে মাসটি সবচেয়ে সমাদৃত, সে মাসকে পরিপূর্ণভাবে মর্যদাসীন করার লক্ষ্যেই এর শেষে পবিত্র ঈদ বা সর্বোচ্চ উৎসবের দিন ধার্য করা হয়। পবিত্র কুরআনে শুধু যে মাসটির কথা উল্লেখ আছে, সেটি হচ্ছে রমজান মাস। এ রমজান মাসের তাৎপর্য ইসলামের ইতিহাসে বিশাল। এ মাসেই প্রিয়নবীর নেতৃত্বে সংঘটিত হয় মহান বদর যুদ্ধ। মাত্র ৩১৩ জন সাহাবি নিয়ে প্রায় এক হাজার শত্রু মোকাবিলা করে মহান আল্লাহর অপার কৃপায় ইমানি শক্তিবলে জয়লাভ করে মুসলমানরা। এ যুদ্ধে জয়ী হতে না পারলে আদৌ পবিত্র ইসলাম ধর্ম সুদৃঢ় হয়ে আজকের পর্যায়ে আসতে পারত কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এ পবিত্র রমজানেই পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা হিসাবে স্বীকৃত মহাগ্রন্থ পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে। এ রকম বহু ঘটনা আছে, যা এ মাসকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে অধিষ্ঠিত করেছে।
পবিত্র রমজানের শেষে যে ঈদুলফিতর বা ঈদ উৎসব, তার পটভূমি উপলব্ধি করতে হলে পবিত্র রমজানের দর্শন তথা সংযম, ত্যাগ, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ, আচার-আচরণ, নামাজ-দোয়া, অন্যের কষ্টে ব্যথিত হওয়া, গরিব-দুঃখীদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া প্রভৃতির আলোকে তা করতে হবে। ইফতার-সেহরি, তারাবির নামাজ, জাকাত প্রদান, ধনী-দরিদ্রের ব্যবধান ঘুঁচিয়ে এক আল্লাহর সৃষ্ট মানব হিসাবে অন্যের প্রতি বিদ্বেষ, অন্যের ধর্মের প্রতি অবজ্ঞা প্রভৃতি পরিহার করে পরিপূর্ণ মানবিক ও অসাম্প্রদায়িকতায় দীক্ষিত হয়ে একটি মননশীল ও সুন্দর মানসিকতায় ঋদ্ধ হওয়া পবিত্র রমজানের শিক্ষা এবং এর পরই সবাই মিলেমিশে শ্রেণি-বর্ণ-ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে ঈদ উৎসব আনন্দ ভাগাভাগি করার মধ্যেই প্রকৃত সুখ ও শান্তি নিহিত রয়েছে। উল্লেখ্য, এ মাসে জাকাত ও ঈদের দিন ফিতরা দেওয়ার রেওয়াজ একটি বৈষম্যহীনতার অসাধারণ উদাহরণ। জাকাত শব্দের আভিধানিক অর্থ হচ্ছে বৃদ্ধি বা পবিত্র করা। ব্যক্তিগত গচ্ছিত সম্পদের ওপর গরিবের যে পাওনা রয়েছে, তা আদায় করার নামই জাকাত।
পবিত্র কুরআনে উল্লেখ আছে, ‘তোমরা মানুষকে আল্লাহর হুকুম মতে সম্পদের যে অংশ অন্যদের বণ্টন করে দাও, তা তোমাদের সম্পদের বৃদ্ধি ঘটায়।’ অর্থাৎ জাকাত-ফিতরা আদায় করে আর্থিকভাবে অসচ্ছল আত্মীয়স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী বা সমাজের গরিব-দুঃখী মানুষকে খাদ্যদ্রব্য, নতুন কাপড়চোপড় বা নগদ অর্থ প্রদান করে তার অভাব ঘোচাতে বা স্বাবলম্বী হওয়ার পথে উৎসাহিত করাই জাকাতের মূল লক্ষ্য। জাকাতদাতা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য বৈধ উপার্জনের পথে নিয়োজিত থাকবেন এবং এ বৈধ উপার্জন থেকেই অন্যকে সাহায্য-সহযোগিতা করবেন, এটিই কাম্য। অপরদিকে জাকাতগ্রহীতা দাতার প্রতি তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ এবং আল্লাহর প্রতি পূর্ণ আনুগত্য রেখেই প্রাপ্ত জাকাত যথাযথভাবে ব্যবহার করে নিজে স্বাবলম্বী হয়ে অন্যকে এ রকম জাকাত প্রদান করে উৎসাহিত করার মনমানসিকতায় উদ্বুদ্ধ হবেন, এটিই প্রত্যাশিত।
ঈদ উৎসবে ধর্ম-বর্ণ, জাত-পাত, ধনী-গরিব-নির্বিশেষে মানুষকে মানুষের মর্যাদায় আসীন করার মধ্যেই প্রকৃত ধর্মের বাণী উচ্চারিত। বাঙালির ঈদ উৎসব বা সবাইকে নিয়ে আনন্দের ভাগাভাগিতে মেতে ওঠা, নাচগান, নাটক, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, আনন্দভ্রমণ প্রভৃতির সমন্বয়ে এটিকে একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় কাঠামোতে না রেখে ধর্মনিরপেক্ষ বা অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উপস্থাপিত হলেই এর মর্যাদা ও তাৎপর্য অনেক বেশি মহিমান্বিত হবে। এভাবে মানবসমাজের বিবর্তন ও পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে ক্রমাগত প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মের অনুশাসন ও অনুশীলন সামাজিক সম্পর্কের গঠন ও অভিজ্ঞতাকে সমাজের বিভিন্ন স্তরে আরোপিত হবে এবং তা সম্প্রীতির বৈশ্বিক রূপায়ণে অনুভবনীয় মহিমায় পরিপূর্ণ হবে-এ প্রত্যাশায় নিবন্ধের ইতি টানছি এবং বিশ্বের সব মানবসন্তানের প্রতি ঈদ শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করছি।
ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী : সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়