নীতি দুর্নীতি অর্থনীতি
অসম নয়, দরকার সুষম উন্নয়ন

ড. আর এম দেবনাথ
প্রকাশ: ০২ এপ্রিল ২০২২, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

নতুন অর্থবছর ২০২২-২৩-এর আর বেশি দিন বাকি নেই। বর্তমান অর্থবছরের (২০২১-২২) নবম মাস চলছে। যথারীতি বাজেটের ওপর আলোচনা শুরু হয়েছে। ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের সংগঠন বিভিন্ন ‘চেম্বার’ তাদের সুপারিশ তৈরি করে কাগজে তা প্রকাশ করেছে।
অর্থনীতিবিদদের কেউ কেউ নতুন বাজেট সম্পর্কে কথা বলছেন। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতিও তাদের সুপারিশমালা তৈরি করছে। মাননীয় অর্থমন্ত্রী অন্যান্য অর্থমন্ত্রীর মতোই নানা ধরনের পেশাজীবী ও অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবেন অচিরেই। নীতিনির্ধারকরাও বসে থাকবেন না। বসে থাকবে না রাজনৈতিক দলগুলোও। মোট কথা, ‘বাজেট মৌসুম’ শুরু হয়ে গেছে অন্যান্য উৎসব ও অনুষ্ঠানের মতো। আমি যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে অর্থনীতির ওপর লিখি, তাই ভাবলাম কিছু একটা বলা দরকার।
প্রশ্ন, কী বলব? সবাই তো দেখছি বলছে বিভিন্ন করের (ট্যাক্সের) কথা। কর কমাতে হবে। কী কী, কোন কোন খাতে কর কমানো দরকার তার ওপর সুপারিশ আসছে। কর ক্ষেত্রে কোথায় কোথায় বৈষম্য আছে, তাও আলোচনায় আসছে। ব্যক্তিগত আয়করের সীমা বাড়াতে হবে। এ সবের পাশাপাশি আলোচনায় আসছে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার, মাথাপিছু আয়, মূল্যস্ফীতি, আমদানি-রপ্তানির অবস্থা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও ডলারের দাম, প্রবাসী আয় ইত্যাদি বিষয়। বস্তুত এ সবই সাধারণ আলোচনায় আসে। আমি এর চেয়ে বেশি আশা করি না। কারণ দীর্ঘদিন ধরে দেখছি বাজেট আলোচনায়, বাজেটের ওপর সুপারিশের ক্ষেত্রে প্রাক-বাজেট আলোচনা এসব বিষয়ই প্রাধান্য পায়।
আমার প্রশ্ন, বাজেট কি শুধুই করের বিষয়, রাজস্ব আদায়ের বিষয়? বাজেট কি শুধু জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারের বিষয়? এ সবের বাইরে কি বাজেটের অন্য কোনো প্রসঙ্গ নেই। লক্ষ্যমাত্রা, আয়-ব্যয়, খাতওয়ারি রাজস্ব ব্যয়, উন্নয়ন বাজেট ইত্যাদির বাইরে কি বলার কিছু নেই প্রাক-বাজেট আলোচনায়? বাজেট ঘোষিত হওয়ার পর দেখা যায় একই ধরনের আলোচনা-সমালোচনা। উচ্চাভিলাসী বাজেট, অবাস্তব বাজেট, গণবিরোধী বাজেট, গরিব মারার বাজেট, বৈষম্য তৈরির বাজেট, ‘ব্যবসায়ীদের জন্য, ব্যবসায়ীদের দ্বারা এবং ব্যবসায়ীদের’ বাজেট। এসব আলোচনার সঙ্গে আমরা মোটামুটি পরিচিত। বলতে দ্বিধা নেই, এসব আলোচনা আমাকে আর আকর্ষণ করে না।
করে না কারণ দেখতে পাচ্ছি রাজনৈতিক লক্ষ্য ভিন্ন একটা কিছু। বাজেটের রাজনৈতিক ও সামাজিক দিকটিই আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা কোত্থেকে আসবে? স্বাভাবিকভাবেই তা আসবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে। কারণ তিনিই সরকারপ্রধান। তিনি কী চান, দেশকে কোথায় তিনি নিতে চান, কী ধরনের সমাজ তিনি গঠন করতে চান-এ নির্দেশনা তিনিই দেবেন। বস্তুত তার এ দিকনির্দেশনা মান্য করেই বাজেট তৈরি হবে।
বড় জোর আরও একটু সম্প্রসারিত করলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলে দিতে পারেন কী ধরনের সমাজ তিনি আশা করেন সরকারের কাছ থেকে। বস্তুত তিনি তার বাৎসরিক ভাষণে তা বলেনও। এখন আমরা যদি তাদের দিকনির্দেশনা, ইচ্ছার সঙ্গে বাজেট আলোচনাকে মিলাই, মিলাই প্রাক-বাজেট আলোচনা, তাহলে কী দাঁড়ায়? তারা তাদের দিকনির্দেশনায় শুধু কি জিডিপি প্রবৃদ্ধির কথা বলেন? তাদের অভীষ্ট কি শুধু মাথাপিছু আয়ের মধ্যেই সীমিত?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২৫ ও ২৬ মার্চ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্যের কথা বলেছেন। ২৫ মার্চ দেশের সর্বোচ্চ সরকারি সম্মান ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ দেওয়ার সময় বলেছেন, ‘আমাদের সবার প্রচেষ্টায় স্বাধীন এ দেশকে আমরা এমনভাবে সমৃদ্ধিশালী করে গড়ে তুলব, যাতে বাঙালি জাতিকে আর বিশ্বের কারও কাছে মাথানত করে চলতে না হয়। আমরা উন্নত-সমৃদ্ধিশালী দেশ হিসাবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করেই এগিয়ে যাব।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আলোর পথের এ যাত্রা অব্যাহত থাক, বাংলাদেশের মানুষ সুখী-সমৃদ্ধ ও উন্নত জীবন লাভ করুক।’
এদিকে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের এক বাণীতে ২৬ মার্চ তিনি অনেক বিষয়ের অবতারণা শেষে সরকারের অর্জনগুলো বিশদভাবে তুলে ধরেছেন। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর প্রচেষ্টা থেকে এ পর্যন্ত সময়ে বর্তমান সরকার কী কী কাজ করেছে তার বর্ণনা দিয়েছেন। বর্ণনা শেষে তিনি বলেন, ‘আমরা দেশে উন্নয়নের যে গতিধারা সৃষ্টি করেছি, তা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ অচিরেই একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে।’
এ দুটো বক্তব্য থেকে সরকারের রাজনৈতিক লক্ষ্য পরিষ্কার বোঝা যায়। তিনি উন্নয়নের কথা বলছেন, কী কী ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে, অর্জনের ক্ষেত্রগুলো কী এসব বলে তিনি ‘সুখী-সমৃদ্ধ’ বাংলাদেশ যে আমাদের লক্ষ্য, তা পরিষ্কার করে উল্লেখ করছেন। অর্থাৎ উন্নয়নের সেই গতিধারার শেষ প্রতিফলন হবে ‘সুখী ও সমৃদ্ধ’ বাংলাদেশ। আমার মতে, এটাই সরকারের রাজনৈতিক আদর্শ। এবং এই রাজনৈতিক আদর্শই হওয়া উচিত বাজেটের মূল লক্ষ্য। শত হোক বাজেট কোনো অঙ্ক নয়, নয় শুধু কতগুলো লক্ষ্যমাত্রা-টার্গেট। এসব থাকবে।
সরকারের অর্জনের কথা উল্লেখ থাকবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার, মাথাপিছু আয় ইত্যাদি সব বিষয়ই থাকবে বাজেট বক্তৃতা ও বাজেট ডকুমেন্টে। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে-বাজেটের রাজনৈতিক আদর্শ কী? প্রাক-বাজেট আলোচনা, বাজেট-উত্তর আলোচনায় এ রাজনৈতিক আদর্শের বিষয়টিই চাপা পড়ে যায়। না ব্যবসায়ী-শিল্পপতি, না অর্থনীতিবিদরা, না নীতিনির্ধারকরা রাজনৈতিক আদর্শের আলোচনাকে গুরুত্ব দিয়ে সামনে আনেন।
উন্নয়ন, উন্নতি যা ঘটছে তা দৃশ্যমান। পরিসংখ্যানে শুধু নয়, উন্নতির সব লক্ষণ সাদা চোখেই দৃশ্যমান। এসব নিয়ে কোনো বিতর্ক নেই। এসবের ওপর আলোচনা চলতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক আদর্শ যেখানে ‘সুখী ও সমৃদ্ধ’ বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, সেখানে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকতে হবে ‘সমৃদ্ধ’ বাংলাদেশ, ‘সুখী’ বাংলাদেশ এবং ‘সোনার বাংলা’। এই আলোচনা কি আমরা করি? এ আলোচনা কি প্রাক-বাজেট মৌসুমে এখন হচ্ছে? স্পষ্টতই না। আমরা ব্যস্ত ‘ট্যাক্স’ নিয়ে, ‘ট্যাক্সের’ হার নিয়ে।
এ আলোচনা করতে হবে। তবে মূল রাজনৈতিক আদর্শের প্রেক্ষাপটে। বিচ্ছিন্নভাবে করলে চলবে না। ‘সমৃদ্ধ’ বাংলাদেশ মানে সমগ্র বাংলাদেশ। এ বাংলাদেশ মানে শুধু ঢাকা শহর, চট্টগ্রাম শহর নয়। এই বাংলাদেশ মানে শুধু ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের বাংলাদেশ নয়। সরকারপ্রধান বলছেন সমগ্র বাংলাদেশের কথা, বাংলাদেশের সব মানুষের কথা। প্রশ্ন, আমরা কি সমগ্র বাংলাদেশের চিত্রটি নিয়ে, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নিয়ে আদৌ ভাবি?
অঞ্চলের কথা দিয়েই শুরু করি। সেদিন কাগজে সিলেট বিভাগের কথা পড়লাম। অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত বলেছেন, বাংলাদেশের ৪৮টি বাজেটের মধ্যে সিলেটের কৃতী সন্তান তিনজন অর্থমন্ত্রী দিয়েছেন ৩০টি বাজেট। অথচ সিলেটের গ্রামীণ জনগণের বার্ষিক আয় দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। মাত্র ৬৩,৪২১ টাকা। সিলেটে অনাবাদি জমি ৫৫ শতাংশ। নিরক্ষর লোকের সংখ্যা ৪৯ শতাংশ। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু প্রসবের হার মাত্র ৩৮ শতাংশ। ১৬৭টি চা বাগানের মধ্যে ১৩৬টি সিলেটে। ৩৭৩টি হাওড়ের মধ্যে ২১৭টি সিলেটে।
এরপরও কথা আছে। সিলেটের মাটির নিচে তেল/গ্যাস। বিদেশে ডজন ডজন সিলেটবাসী মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের মালিক। আবার সিলেটের শিশুরা অপুষ্টিতে ভোগে বেশি। প্রশ্ন, ‘সমৃদ্ধ’ বাংলাদেশের বাইরে নয় কি সিলেট? কেন এমনটি হবে? তাও আবার তিন তিনজন ছিলেন অর্থমন্ত্রী। প্রভাবশালী বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সিলেটের। এহেন সিলেটের যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, নেত্রকোনা ইত্যাদি অঞ্চলের অবস্থা কী হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
কুড়িগ্রামের কথা না বললেই নয়। এটি দরিদ্রতম জেলা। এক বছর থেকে নয়, বছরের পর বছর তার অবস্থা একই। কোনোই উন্নতি নেই। এখনো ৭০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে, অথচ দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের অর্জন অসামান্য। গড় হিসাবে মাত্র ২০-২৫ শতাংশ মানুষ এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে। অবশ্য শতকরা হিসাব বাদ দিয়ে মাথা গুনতি হিসাব করলে দেখা যায় ৪-৫ কোটি লোক এখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে। তাও স্বাধীনতার ৫০-৫১ বছর পর। এসব থেকে কী বোঝা যায়? বোঝা যায়, গড় হিসাবে আমাদের অর্জন অসামান্য।
কিন্তু সমগ্র বাংলাদেশের সমৃদ্ধির কথা বললে আমরা অনেক পিছিয়ে। অথচ সরকারপ্রধানের রাজনৈতিক আদর্শ সমগ্র বাংলাদেশের সমৃদ্ধি। কথা আরও বাড়ানো যায়। যেমন ঢাকা শহর। ঢাকা শহর এখন অতিবৃদ্ধির কবলে। সব ‘সুখ-সুবিধা’ ঢাকায় কেন্দ্রীভূত। ভালো বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, হাসপাতাল ঢাকা শহরে। ব্যাংকের মোট আমানতের ৫০ শতাংশেরও বেশি ঢাকা শহরে। ব্যাংক ঋণের সিংহভাগ ঢাকা শহরে বণ্টিত। ‘আরাম-আয়েশ’ সব ঢাকা শহরে। সবারই এক কথা-ঢাকা শহর অতিবৃদ্ধির সমস্যায় ভুগছে।
এখানে নগর দারিদ্র্যের সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। শহরে চলছে অচলাবস্থা। ট্র্যাফিক জ্যাম নিত্যদিনের সমস্যা। এর অর্থ কী? ‘সমগ্র’ বাংলাদেশের ‘সমৃদ্ধি’ আটকে যাচ্ছে ঢাকা শহরে। কোথাও অতিবৃদ্ধি, কোথাও বৃদ্ধির অভাব, কোথাও প্রাচুর্য, কোথাও অভাব-অনটন। ব্যবসার দিকে নজর দিলে দেখা যায় ধুঁকছে ছোট-ছোট ব্যবসা; কিন্তু বিপরীতে বড় বড় ব্যবসায়ীদের অতিবৃদ্ধি লক্ষণীয়। আকারে-প্রকারে তারা এখন ‘জায়েন্ট’।
এ ‘জায়েন্টরা’ যে এখন ব্যাংকিং খাতের অন্যতম বড় সমস্যা এ কথা বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর মহোদয় কয়েকদিন আগে প্রকাশ্যেই বলেছেন। সমগ্র বাংলাদেশের সমৃদ্ধি যে বিঘ্নিত, রাজনৈতিক আদর্শ যে অবহেলিত, এসব তার প্রমাণ নয় কি? কী মনে হয়-এসব কি আলোচনার বিষয় হতে পারে না? কই ব্যবসায়ী-অর্থনীতিবিদরা তো প্রাক-বাজেট আলোচনায় রাজনৈতিক আদর্শ সম্পর্কে কিছুই বলছেন না। প্রশ্ন, কেন? তারা কি সরকারপ্রধানকে সুপারিশ-পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে পারেন না?
আসা যাক ‘সুখী’ বাংলাদেশের প্রশ্নে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক আদর্শ শুধু ‘সমৃদ্ধ’ বাংলাদেশ নয়, তার কাম্য ‘সুখী’ বাংলাদেশ। ‘সুখী’ বাংলাদেশের সংজ্ঞা নিয়ে তর্কাতর্কি হতে পারে। কে ‘সুখী’, কে ‘অসুখী’। অবস্থান ভেদে ‘সুখী-অসুখী’র সংজ্ঞা ভিন্ন হতে পারে। এর মধ্যেই অবশ্য জাতিসংঘের একটি সংস্থা ‘সুখী দেশের’ সূচক তৈরি করে। এই ‘সুখ’ বা ‘সুখী’ দেশের কথা আমরা প্রথম শুনি ছোট দেশ ভুটানের রাজার কাছ থেকে। তারপর জাতিসংঘ তা গ্রহণ করে। শুধু গ্রহণ করে না, তারা প্রতিটি দেশের নির্বাচিত কিছু লোককে নানা বিষয়ে প্রশ্ন করে এর উত্তরের ভিত্তিতে ‘সুখ সূচক’ নির্ধারণ করে।
ভারসাম্যপূর্ণ উন্নয়ন, দারিদ্র্য অবস্থা, টেকসই উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে তারা সূচকটি তৈরি করে। সম্প্রতি জাতিসংঘ ‘সুখ সূচক’ প্রকাশ করেছে। তারা তাদের জরিপে নিয়েছে সর্বমোট ১৪৬টি দেশকে। এর মধ্যে বাংলাদেশও আছে। এ সূচকের ভিত্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৪ নম্বর। অর্থাৎ ১৪৬টি দেশের মধ্যে আমাদের অবস্থান ৯৪ নম্বর। বলা বাহুল্য, আমরা ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছি।
তবু কথা থাকে। ১৪৬টি দেশের মধ্যে ৯৪ নম্বর অবস্থান মোটেই সন্তোষজনক নয়। কারণ এত প্রবৃদ্ধির পরও, উন্নয়নের পরও আমাদের সূচক মোটামুটি নিচের দিকে। ব্যবসায়ী-শিল্পপতি ও অর্থনীতিবিদরা কি ‘সুখ সূচকের’ ওপর কোনো আলোচনা করবেন না?
ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়