ভাষাসৈনিক তালিকা প্রণয়ন পর্যালোচনা ও কয়েকটি প্রস্তাবনা

ডা. এম ফারুক ইউ চৌধুরী
প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ফাইল ছবি
ভাষা আন্দোলনের তাৎপর্য ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী। এ সফল আন্দোলনের ফলে মাতৃভাষা বাংলার মাধ্যমে আমাদের ভাব ও বাক প্রকাশের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৬ সালে।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সংবিধানের তৃতীয় ভাগের ৩৯ অনুচ্ছেদে মৌলিক অধিকার হিসাবে স্বীকৃত আমাদের চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক ও ভাব প্রকাশের স্বাধীনতা।
দেশের সীমানা পেরিয়ে ভাষা আন্দোলন শুধু বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীদের নয়, আজ বিশ্বের সব ভাষাভাষীর অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে উঠেছে। আমরা দিবসটি পালন করি, ফুলে ফুলে ভরিয়ে তুলি মিনারের বেদিমূল, নেতা-নেত্রী এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন দেশের প্রধানরা বাণী দেন।
রক্তাক্ত একুশের ৭০ বছর পর আন্দোলনের বীর সৈনিকদের অধিকাংশই আজ নেই। যারা আছেন তারাও আজ বিস্মৃত, মুষ্টিমেয় ছাড়া অধিকাংশই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তো দূরের কথা, এমনকি নিজের অঞ্চলেও অপরিচিত, অনুল্লেখ্য।
তাদের নীরব বিদায়ে একে একে হারিয়ে যাচ্ছে ভাষা আন্দোলনের কত মূল্যবান স্মৃতি! ভাষাসৈনিক আর মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের ইতিহাসের সূর্যসন্তান, তাদের স্মরণ করা এবং সম্মানিত করা আমাদের জাতীয় তথা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য।
মুক্তিযোদ্ধা তালিকা আমরা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যাচ্ছি-ভাষাসৈনিক তালিকাও আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যেতে হবে।
এ দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধের তাগিদে ১২ বছর আগে ২০১০ সালে পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ’ (এইচআরপিবি) কর্তৃক হাইকোর্টে দায়েরকৃত এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ২৫ আগস্ট ভাষাসৈনিকদের তালিকা তৈরি, কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পাশে একটি গ্রন্থাগার ও ভাষা জাদুঘর নির্মাণসহ আট দফা নির্দেশনা দেন।
হাইকোর্টের নির্দেশনায় ঢাকায় জাতীয়ভাবে এবং জেলায় জেলায় কমিটি গঠন করে ভাষাসৈনিকদের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছিল। এর আলোকে ২০১১ সালের ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় একুশের চেতনা পরিষদের সভাপতি আহমদ রফিককে প্রধান এবং নজরুল গবেষক অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানকে সদস্য করে কমিটি গঠন করা হয়।
ওই কমিটি এক বছর পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানকে ভাষাসৈনিক হিসাবে তালিকার শীর্ষে রেখে ১৪ নারীসহ ৬৮ জনের নাম চূড়ান্ত করে। ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ তালিকাটিকে প্রাথমিক হিসাবে উল্লেখ করে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির কাজ চলছে জানিয়ে হাইকোর্টে দাখিল করা হয়, যা চারদিন পর ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।
শুরুতেই তালিকার কিছু নাম নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। তালিকার গেজেট প্রকাশের পর বদরুদ্দীন উমর তার এক নিবন্ধে বলেন (২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১২), ‘‘এ ক্ষেত্রে তাদের মতলববাজি যে ভালোভাবেই কাজ করে এটা তাদের দ্বারা প্রকাশিত উপরিউক্ত তালিকা থেকেই বোঝা যায়। এটা লক্ষ করা যায়, বিশেষভাবে যখন দেখি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম এই তালিকায় নেই।
এক সূত্রে শোনা গেল, এই তালিকায় মৃত ব্যক্তিদের নয়, শুধু জীবিত ব্যক্তিদের নামই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উদ্ভট কাজ হলো জীবিত ব্যক্তিদের নাম তালিকাভুক্ত করা। মৃত্যু স্বাভাবিক ব্যাপার।
ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশই ৬০ বছর পর আর বেঁচে নেই। মারা গিয়ে তারা কী অপরাধ করলেন যাতে তাদের নাম তালিকাভুক্ত না করে শুধু জীবিত ব্যক্তিদের নামই তালিকাভুক্ত করা হলো! মৃত ব্যক্তিদের তালিকার বাইরে রেখে শুধু জীবিত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশও এক মতলববাজির ব্যাপার।
ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ‘ভাষাসৈনিক’ হিসাবে আখ্যায়িত করে জীবিত ‘ভাষাসৈনিকদের’ যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাদের মধ্যে একটা বড় অংশ এখন ভাষা আন্দোলনকে নিয়ে বাণিজ্য করছেন। এত কথা বলতে হলো সরকার কর্তৃক ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের অর্থাৎ তাদের ভাষায় ‘ভাষাসৈনিকদের’ তালিকা প্রকাশের কথা বলতে গিয়ে।
তালিকা প্রকাশের প্রশ্ন কেন হঠাৎ করে এত দিন পরে দেখা দিল এবং প্রায় গোপনে এ কাজ সম্পন্ন হলো এবং কেনইবা মৃতদের বাদ দিয়ে শুধু প্রধানত জীবিত ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হলো, এসব বিষয় যুক্তি দিয়ে বুঝে ওঠা মুশকিল। এর কারণ সুবিধাবাদ।”
কাদের ভাষাসৈনিক বলা হবে, তা নিয়ে শুরু থেকেই একটা বিশৃঙ্খলা ছিল। কারণ হিসাবে তৎকালীন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর মতে, আদালত ভাষাসৈনিকের কোনো সংজ্ঞা কিংবা রূপরেখা ঠিক করে দেয়নি। এখানে একটা কথা বলে রাখা দরকার, কমিটিতে যারা ছিলেন তারা ভাষা আন্দোলন ও দেশের জাতীয় সমাজ-সংস্কৃতি বিষয়ে অত্যন্ত অভিজ্ঞ, বিশেষত যে কমিটির নেতৃত্বে আহমদ রফিকের মতো বর্ষীয়ান সম্মুখ সারির ভাষাসৈনিক রয়েছেন।
আদালত ভাষাসৈনিকের কোনো সংজ্ঞা কিংবা রূপরেখা না দিলেও, কমিটির সদস্যরা নিজেদের অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞা দিয়ে তা নির্ধারণের অন্তত কাছাকাছিও পৌঁছবেন না, তা ভাবতে কষ্ট হয়।
তারা একবার বলছেন, ভাষাসৈনিক তারা, যারা ভাষা আন্দোলন সংগঠিত রাখার কাজে ভূমিকা রেখেছেন এবং ভাষা আন্দোলনের কারণে কারাবরণ করেছেন। আরেকবার বলছেন, ‘যারা একটু প্রমিনেন্ট, শহিদ হয়েছেন বা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদেরকেই লিস্টে রাখার সুপারিশ করেছিলাম।’ আর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী মহোদয়ের বক্তব্য ছিল, ‘আবেগ ও ভালোবাসা থেকে ভাষা আন্দোলন করা ব্যক্তিদের ভাষাসৈনিক হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
প্রস্তাবনা
১. নির্ভুল, নির্মোহ ও পূর্ণাঙ্গ ভাষাশহিদ ও ভাষাসৈনিক তালিকা প্রণয়ন : খোদ প্রণয়ন কমিটি কর্তৃক বাতিলের সুপারিশকৃত বিতর্কিত ও আংশিক তালিকাটির পরিবর্তে যথাসম্ভব নির্ভুল, নির্মোহ ও পূর্ণাঙ্গ ভাষাশহিদ ও ভাষাসৈনিক তালিকা প্রণয়নকল্পে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলায় জেলায় কমিটি গঠন এবং কেন্দ্রীয়ভাবে তা সমন্বয়ের জন্য একটি জাতীয় কমিটি গঠন। আদালত অবমাননার শঙ্কা, মন্ত্রণালয়ের তাগাদা এবং নিজেদের বিবেচনাবোধ-এ তিনে স্বভাবতই তারা অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়েছিলেন, যা কমিটির অন্যতম সদস্য অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের ‘ভাষাসৈনিকদের তালিকা করতে গিয়ে কমিটি নানা প্রতিকূলতা ও বাস্তব পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে আলাপ-আলোচনা সাপেক্ষে ও সমঝোতার ভিত্তিতে উদ্যোগ থেকে সরে আসে’ বক্তব্যে পরিষ্কার। কমিটির প্রধান আহমদ রফিক ‘সরকারি উদ্যোগে ভাষা আন্দোলনের দলিলপত্র সংরক্ষণ, সংকলন বা ইতিহাস ধরে রাখার জন্য কিছুই হয়নি’ অভিযোগ করে এ ধরনের কাজে মূলত তথ্যলভ্যতার সুযোগের অভাবের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন। অনেক দেরি হয়ে গেছে-কাজটা যদি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই শুরু করা যেত তবে ভাষা আন্দোলন এবং ভাষাশহিদ/ ভাষাসৈনিকদের আজ এক বিশাল তথ্যভান্ডার গড়ে উঠত। বর্ষীয়ান এই ভাষাসৈনিক মনে করেন, ‘১৬ খণ্ডে মুক্তিযুদ্ধের যেমন দলিলপত্র প্রকাশিত হয়েছে, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন নিয়েও তেমনই দলিলপত্র প্রকাশ হওয়া উচিত ছিল।’
তাই আরেকটা অস্বস্তি ঠেকানোর জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় কমিটির ভাষা আন্দোলন এবং ভাষাসৈনিক সম্পর্কিত তথ্য অনুসন্ধান, আহরণ, গবেষণা ও যাচাই-বাছাইয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা নিশ্চিত করে রাখতে হবে, যাতে বিস্মৃত বা হারিয়ে যাওয়া সত্যিকার ভাষাসৈনিকদের (প্রয়াত/জীবিত) যথা সম্ভব খুঁজে বের করে তালিকাভুক্ত করা যায়। যে ভাষাসৈনিকরা এখনো জীবিত, যারা এ বিষয়ে গবেষণা করছেন এবং সম্ভাব্য অন্যন্য সূত্র থেকে তথ্য আহরণ করে বাকিদের তালিকা, তাদের কর্মকাণ্ড/অবদান জানতে হবে। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই আমাদের স্বাধীনতা-ভাষাসৈনিকরা মুক্তিযোদ্ধাদের পূর্বসূরি আমাদের ইতিহাসের এক এক সূর্যসন্তান। ভাষাসৈনিক তালিকা এবং মুক্তিযোদ্ধা তালিকা আমাদের ভাবী প্রজন্মের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
২. ভাষাশহিদ এবং ভাষাসৈনিকদের স্মরণ ও সম্মাননা : ভাষাশহিদ এবং ভাষাসৈনিকদের স্মরণীয় করে রাখার জন্য তাদের জীবনী পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্তি এবং জাতীয়/স্থানীয়ভাবে তাদের নামে রাস্তা, স্থান, ঘাট ও প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করে আমরা তাদের স্মরণ করতে পারি। যে জাতি তার বীরদের সম্মান জানাতে পারে না, সে জাতি ভবিষ্যৎ প্রজন্মে বীরসন্তান আশা করতে পারে না। ভাষাশহিদ ও ভাষাসৈনিকদের পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রীয় সম্মান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের অনুরূপ সম্মানির ব্যবস্থা করা আমাদের জাতীয় কর্তব্য ও দায়িত্ব।
৩. ভাষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ভাষা আন্দোলন তথ্যভান্ডার সৃষ্টি : ভাষা আন্দোলন এবং এর মূল চেতনা এখন বাংলাদেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বিস্তৃত। মুক্তিযুদ্ধ একান্তভাবে আমাদের; কিন্তু ভাষা আন্দোলন ও এর চেতনা এখন আর শুধু আমাদের নয়, সমগ্র বিশ্ববাসীর। ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব এখন ভাষা আন্দোলন এবং ভাষাশহিদ/ভাষাসৈনিকদের শ্রদ্ধায় স্মরণ করে। বিশ্বে বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্বের ঐতিহাসিক দায়িত্ব এখন আমাদের ও আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাঁধে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বের প্রায় ২৭ কোটি লোকের মাতৃভাষা বাংলা এবং মাতৃভাষীর সংখ্যার ভিত্তিতে বিশ্বে বাংলার অবস্থান ষষ্ঠ। বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখে, স্বপ্ন দেখে ‘বাংলা’ হবে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষা। সময়ের পরিক্রমায় বাংলাদেশ থেকে বিশ্ববাসীর প্রত্যাশাও বেড়ে যাবে অনেক।
ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব ও ব্যাপকতার পরিধি বিবেচনায় এ বিশাল সম্ভাব্য কর্মকাণ্ডের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমন্বয়ের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি এখনই শুরু করতে হবে। ভাষা এবং ভাষা আন্দোলন ও এতৎসম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুষ্ঠু সমন্বয়ের স্বার্থে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় গঠন করার কথা বিবেচনা করা যেতে পারে, তা আপাতত সম্ভব না হলে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এ কর্মকাণ্ড যুক্ত করে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নাম ‘ভাষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়’ বিবেচনা করা যেতে পারে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন যেমন এক দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ছিল; কালে ‘ভাষা ও ভাষা আন্দোলনবিষয়ক মন্ত্রণালয়’ কিংবা ‘ভাষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠনও তেমনই দূরদর্শী পদক্ষেপ হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। এতে ভাষা এবং ভাষা আন্দোলন ও এতৎসম্পর্কিত যাবতীয় বিষয়ে নতুন নতুন দিক উন্মোচনের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হতে পারে। কেন্দ্রীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে ‘ভাষা আন্দোলন তথ্যভান্ডার’ গড়ে তোলা সহজতর হবে, যে তথ্যভান্ডার এতদবিষয়ে নতুন নতুন গবেষণার দুয়ার খুলে দেবে যাতে শুধু দেশ নয়, বিশ্বও উপকৃত হবে।
ডা. এম ফারুক ইউ চৌধুরী : ক্যালগেরি, কানাডা প্রবাসী
faruqchy@mail.com