Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

নীতি দুর্নীতি অর্থনীতি

চালের মূল্যবৃদ্ধির প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা জরুরি

Icon

ড. আর এম দেবনাথ

প্রকাশ: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

চালের মূল্যবৃদ্ধির প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা জরুরি

সয়াবিন তেল, চিনি, পেঁয়াজ, রসুন, ডাল ইত্যাদি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একচেটিয়া কারবারের কথা আমরা জানি। কোন কোন ব্যবসায়ী ‘গ্রুপ’ এ ব্যবসাগুলো নিয়ন্ত্রণ করে, তারা কেমন ধন-সম্পদের মালিক-এসব কথা প্রায়ই খবরের কাগজে ছাপা হয়।

কিছু তথ্যপ্রমাণ দিয়ে, কিছু আকারে-ইঙ্গিতে। আমদানি থেকে সরবরাহ ও বণ্টন সবটাতেই আধিপত্য কয়েকটি ব্যবসায়ী গ্রুপের। ভোগ্যপণ্যের ব্যবসা করে অনেকে নানা ধরনের ব্যবসা-শিল্প, বাণিজ্য, হাসপাতাল, তৈরি পোশাক ইত্যাদি ব্যবসায় ঢুকেছেন। এদের কথা মোটামুটি জানা। এসব খাতে কত হাজার কোটি টাকা বিনিয়োজিত, সেই তথ্যও আমরা খবরের কাগজে পাই। অতএব এসব পুরোনো কথা।

কিন্তু যে খবরটি খুব বেশি চাউর হয়নি এখনো, তা হচ্ছে চালের বাজারে একচেটিয়া ব্যবসা। চালের আমদানি, ধান-চাল কেনা, চাল তৈরি করা, অভ্যন্তরীণ বাজারে তা বিক্রি-বণ্টন করার পুরো ব্যবসাটা যে আজ কয়েকজন বড় ব্যবসায়ীর হাতে বন্দি, এ খবরটি এখন আস্তে আস্তে জানাজানি হচ্ছে। জানাজানি হচ্ছে সব সম্ভবের দেশ বাংলাদেশে। কেন বলা হচ্ছে ‘সব সম্ভবের দেশ’? বলা হচ্ছে, কারণ এখানে কোনো পরিস্থিতির দরকার হয় না, প্রেক্ষাপট লাগে না, চাহিদা-সরবরাহের বিচার-বিশ্লেষণের দরকার হয় না, মর্জি হলেই একশ্রেণির একচেটিয়া ব্যবসায়ী গ্রুপ পণ্যের দাম বাড়াতে পারে।

তবে সয়াবিন তেল, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদির মূল্যবৃদ্ধি এক কথা, আর চালের মূল্যবৃদ্ধি সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা। অন্য খাদ্যপণ্যের ভোগ কমানো-বাড়ানো যায়। দুই কেজি চিনির স্থলে একটি পরিবার এক কেজি, দেড় কেজিতে চালাতে পারে। অসুবিধা হলেও বাড়ির গৃহিণী তা ‘ম্যানেজ’ করে নিতে পারেন। কিন্তু চালের ক্ষেত্রে কি তা পারা যায়? পারা যায়, কিন্তু তাতে দিনে দিনে কৃশকায় হয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হতে হবে। চাল ছাড়া আমাদের চলার কোনো পথ নেই। গমে যাওয়া যায়।

কিন্তু এটাও খাদ্যশস্য। বস্তুত চাল, আটা-ময়দার দাম বৃদ্ধির ফলাফল সব পরিবারের জন্যই দুঃসংবাদ বয়ে আনে। অথচ এ মুহূর্তে তা-ই হচ্ছে। আমরা ফাল্গ–ন মাসে পড়েছি। খ্রিষ্টীয় ফেব্রুয়ারি মাস। সবে আমন ধান কৃষকের ঘরে তোলা শেষ হয়েছে। বাজারে ধান-চাল আছে। এদিকে কৃষকরা ক্ষেতে বোরো ধান লাগাচ্ছে, যার ফলন হবে জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় মাসে, এমনকি বৈশাখ মাসেও।

দেখা যাচ্ছে, এই ভরা আমনের মৌসুমেও চালের দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। মন্ত্রী মহোদয়রা বলছেন, চালের দাম বাড়ার কোনো যুক্তি নেই, আমদানিকৃত চাল আছে, আমন উঠেছে, সরকারের গুদামে প্রচুর চালের স্টক আছে; এমতাবস্থায় চালের মূল্য বাড়ার কোনো যুক্তি নেই। এসব আশ্বাসের কথা বলছেন কে? বলছেন কৃষি ও খাদ্যমন্ত্রী উভয়েই।

মাননীয় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার রংপুরে এক মতবিনিময় সভায় রীতিমতো সতর্ক করে দিয়েছেন চালের ব্যবসায়ীদের। তিনি বলেছেন, ‘বাজারে পর্যাপ্ত চাল থাকা ও সরকারের কাছে মজুত থাকা সত্ত্বেও চালের দাম বাড়ানো যৌক্তিক নয়।’

মিলারদের সতর্ক করে তিনি বলেন, ‘গত বছর আম্পানে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, তখন চালের দাম বাড়েনি। অথচ ভালো ফসল ও আমনের ভরা মৌসুমে দাম বাড়ছে। চালের দাম যেন না বাড়ে তা নিশ্চিত করতে আপনাদের (মিলারদের) ভূমিকা দেখতে চাই। শুধু মুনাফার উদ্দেশ্যে ব্যবসা না করে ভোক্তাদের স্বস্তি দিন। যারা ভাবছেন, চাল ধরে রেখে বেশি মুনাফা করবেন, তা হতে দেওয়া হবে না। প্রয়োজন হলে চাল আমদানি করা হবে। আমাদের ফাইল রেডি আছে। মিল মালিকরা কী পরিমাণ ধান কিনেছেন, স্টক করছেন ও ক্রাশিং করছেন, তার হিসাব করছি আমরা। সে অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ (১১.০২.২০২২)। খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য পড়ে মনে হয় তিনি আসলেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত। তবে তিনি কথা বলেছেন নরমে-গরমে। হুঁশিয়ারি আছে, আবার স্বস্তি দেওয়ার জন্য অনুরোধও আছে।

এদিকে কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুল রাজ্জাক বলেছেন, ‘চালের চাহিদার সঠিক পরিসংখ্যান প্রয়োজন। সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য দেশে চালের চাহিদা, উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা নিয়ে পরিসংখ্যানগত অসংগতি দূর করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশে আমনের মৌসুমে নবান্নের সময়ও চালের দাম বাড়ছে। এ বছর আউশ, বোরো ও আমনের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। সরকারি মজুতও সর্বকালের সর্বোচ্চ, তারপরও চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।’ এ প্রেক্ষাপটে তিনি চালের উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দেন।

একদিকে খাদ্যমন্ত্রী, অন্যদিকে কৃষিমন্ত্রী উভয়েই বলছেন, বর্তমান বাজারে চালের মূল্যবৃদ্ধির কোনো গ্রহণযোগ্য ও যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। তাদের বক্তব্যের পক্ষে যুক্তি হচ্ছে : আমনের ফলন ভালো হয়েছে, বাজারে চাল আছে, সরকারি গুদামে প্রচুর চাল আছে। এই তিন যুক্তির পর আর কোনো কথা থাকে না। উৎপাদনে ঘাটতির কারণে ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিতে পারেন। আমদানি সংকটে তারা সুযোগ নিতে পারেন। সরকারের গুদামে চালের স্টক না থাকলে চালের দাম বাড়ানো হয়। অথচ এর কোনো কারণই বর্তমানে প্রযোজ্য নয়। তাহলেই বড় প্রশ্ন : চালের দাম বাড়ছে কেন?

চাহিদা ও সরবরাহের তত্ত্বের সঙ্গে বর্তমান অবস্থার মিল নেই। মিল না থাক, ব্যবসায়ীরা মনে হয় কোনো একটা কারণ খুঁজে পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা মানে বড় বড় মিলাররা। তারাই বাজারে প্রভাব খাটায়। আমাদের ধানের বাজারে বিক্রেতা লাখ লাখ কৃষক। ক্রেতা গুটিকয়েক মিলার, যারা নিজেরা এবং সরকারের পক্ষে কৃষকের কাছ থেকে ধান/চাল কেনে। এদিকে চালের বাজারে ভিন্ন চিত্র। এখানে চালের বড় বড় বিক্রেতা সামান্য কয়েকজন, যারা বড় বড় মিলার। কিন্তু চালের ক্রেতা উদ্বৃত্ত কৃষক ছাড়া সবাই। উভয় ক্ষেত্রেই মিলাররা খুবই বড় একটা শক্তি। তারা ছোট থেকে ধীরে ধীরে স্বাধীনতার পর ৫০ বছরে বড়, খুবই বড় হয়েছে এবং তাদের অবস্থান উত্তরবঙ্গ, কুষ্টিয়া, নওগাঁসহ আরও কয়েকটি অঞ্চলে। এই দরিদ্রতম অঞ্চলের কৃষকরা সারা দেশের চালের চাহিদা মেটায়। তারা যখন ধান/চাল বিক্রি করে, তখন এসবের দাম নেই। আবার যখন দাম বাড়ে, তখন তাদের হাতে ধান/চাল নেই। এ অবস্থা অনেকদিন থেকে।

ইতোমধ্যে ধীরে ধীরে চালের পুরো ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে বড় বড় মিলারদের কাছে। তাদের নিজস্ব সম্পদ প্রচুর। বাকিতেও তারা ধান/চাল কিনতে পারে। অধিকন্তু রয়েছে ব্যাংকের অর্থায়ন। সংগ্রহ ও বিক্রির জন্য তাদের রয়েছে বিশাল ‘নেটওয়ার্ক’ ও কর্মী বাহিনী। তবে কি তারাই এই আমনের ভরা মৌসুমে কারসাজি করে চালের দাম বাড়াচ্ছে? খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বিশ্বাস করলে মনে হয় কোথায়ও একটা গন্ডগোল আছে। তিনি মিলারদের শাসিয়েছেন, আবার তাদের কাছে অনুরোধও রেখেছেন। বলেছেন মানুষকে স্বস্তি দিতে। কিন্তু ব্যবসায় এসব চলে না। ব্যবসা মুনাফার জন্য। তাহলে কোথায় গণ্ডগোল? গণ্ডগোল হতে পারে উৎপাদনের তথ্যে।

এ সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী ইঙ্গিত করেছেন। তিনি ধান/চালের উৎপাদনের সঠিক তথ্যের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। এ তো ভবিষ্যতের ব্যাপার। কবে সঠিক তথ্য আসবে এবং সেই মোতাবেক সিদ্ধান্ত হবে-এর জন্য তো সরকার বসে থাকতে পারে না, মানুষও কষ্ট করতে পারে না। তাহলে? তাহলে একটা সূত্র খুঁজে বের করা যায়। সরকার বলছে, গুদামে রেকর্ড পরিমাণ চাল রয়েছে। একেক কাগজে একেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে তা ১৮ লাখ টন থেকে ২২ লাখ টনের মধ্যে মনে হয়। এটা সত্য হলে অনেক চালই বটে। কিন্তু সরকারি গুদাম বলে কথা। যে পরিমাণ চালের কথা বলা হচ্ছে, সেই পরিমাণ চাল গুদামে আছে তো? নাকি ‘কাজির গরু কেতাবে আছে?’ প্রথমত, দেখা যাবে, যে পরিমাণ চালের কথা বলা হচ্ছে, তা আসলে নেই। দ্বিতীয়ত, হতে পারে যে চাল আছে, তার সবটার গুণগত মান ভালো নয়। ফলে তা বাজারে দেওয়া যাবে না।

এই গুণগত মানের ক্ষেত্রে একটি খবরের কথা বলা যায়, যার শিরোনাম : ‘বোরোর মজুতকৃত আট লাখ টন চাল মানহীন হয়ে পড়ার শঙ্কা’ (১৯.০১.২২)। খবরটিতে বলা হয়েছে : ‘খাদ্য অধিদপ্তর গত বছর বোরো মৌসুমে উৎপাদিত চাল সংগ্রহ করেছিল ১৪ লাখ টনের কিছু কম। এর মধ্যে আট লাখ টনের কাছাকাছি এখনো মজুত অবস্থাতেই রয়ে গেছে। খোদ খাদ্য অধিদপ্তর নিজেই এখন দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা এসব চাল মানহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে। এ জন্য গত বছর সংগৃহীত বোরো চাল দ্রুত ছাড়ানোর নির্দেশনা দিয়েছে অধিদপ্তর। তবে কি এই গুণগত মানহীন চালের খবরের সুযোগই নিচ্ছে মিলাররা?

মিলাররা বাজারের সব খবর রাখে। চাল আমদানি হবে কিনা, সংগৃহীত চাল বণ্টন হবে কিনা ইত্যাদি সিদ্ধান্তও তারা প্রভাবিত করে। সংকট সৃষ্টি করে চাল আমদানির ওপর থেকে শুল্ক-কর হ্রাস করানোও হয়। আবার চালের দাম বেশি পড়ে গেলে পরোক্ষভাবে কৃষকরা লোকসানের শিকার হয়। এসব ক্ষেত্রে মিলাররা বড় ভূমিকা রাখে বলেই সবার ধারণা। এখানে প্রশ্ন, সরকারের হাতে এত চাল যদি সত্যি সত্যি থেকে থাকে, তাহলে সেই চাল দিয়ে বাজার সয়লাব করা হয় না কেন? শত হোক খোলাবাজার অর্থনীতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে বড় উপায় হচ্ছে সরকারিভাবে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করা, যাতে ক্রেতাদের বাজারে যেতে না হয়। এ উদ্যোগে কি কোনো ঘাটতি আছে?

এসব কারণের ওপরে যে কারণটার কথা কৃষিমন্ত্রী বলছেন, তার প্রতি আমাদের নজর দেওয়া দরকার। তিনি উৎপাদনের পরিসংখ্যানকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। শুধু তিনি নন, বর্তমান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমও কিছুদিন আগে একই কথা বলেছিলেন। তার প্রশ্ন ছিল-চালে যদি আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণই হই, তাহলে চাল আমদানি করতে হচ্ছে কেন? এ প্রশ্ন আমাদেরও। আমরা সমানে কলাম লিখলাম যে আমরা চালে স্বয়ংসম্পূর্ণ। স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় শুধু, আমরা চাল রপ্তানিও করতে পারি। কারণ চাহিদার চেয়ে চালের উৎপাদন অনেক বেশি। ২০১৭ সালে বিবিএসের খানা জরিপ প্রকাশের পর একটি দৈনিকে (২৩.১০.১৭) একটি খবর প্রকাশিত হয়।

তাতে বলা হয়, সাড়ে ১৬ কোটি লোকের জন্য আমাদের চালের দরকার ২ কোটি ২১ লাখ টন, অথচ উৎপাদনের পরিমাণ ৩ কোটি ৬৭ লাখ টন। তার মানে কী? মানে হলো, আমরা প্রচুর চাল রপ্তানি করতে পারি। মানুষের খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তিত হচ্ছে। চাল গ্রহণের পরিমাণ কমছে। গমের ব্যবহার বাড়ছে। শাক-সবজি, মাছ-মাংস, ডিম-দুধের ভোগ বাড়ছে। এর অর্থ, চালের ওপর চাপ হ্রাস পাচ্ছে। এসব বহুল কথিত কথা ঠিক হলে চালে তো আমাদের ঘাটতি থাকার কথা নয়। অথচ নিয়মিত চাল আমদানি হচ্ছে। এই মুহূর্তে চালের দাম বাড়তে বাড়তে একটা অসহনীয় পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। এ ক্ষেত্রে সঠিক তথ্যের প্রয়োজনীয়তা একান্ত জরুরি। এ নিয়ে কথা হচ্ছে অনেকদিন থেকে। অথচ চালের সঠিক উৎপাদন তথ্য সংগ্রহের কোনো ব্যবস্থার কথা আমরা শুনিনি। এটা উদ্বেগজনক বিষয়।

আগেই বলেছি-চাল সয়াবিন তেল নয়, নয় পেঁয়াজ-রসুন। চাল নিয়ে ‘খেলাধুলা’ করা মানে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনা। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও চাল উৎপাদনের সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা যাচ্ছে না-এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক খবর। আমার এসব দেখেশুনে মনে হয়-একমাত্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই এ ব্যাপারটির ফয়সালা ত্বরান্বিত করতে পারেন। আমি নিশ্চিত তিনি এ নিয়ে ভাবছেন।

ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

rmdebnath@yahoo.com

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম