
প্রিন্ট: ০১ মে ২০২৫, ০৭:৫৯ এএম
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাল্যবিয়ে একটি অশনিসংকেত

ড. মো. মোরশেদুল আলম
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২১, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
রোহিঙ্গা সমস্যা বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক বিষয়। মিয়ানমারে গণহত্যা ও জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে বর্তমান পর্যন্ত ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। তার সঙ্গে প্রতি বছর যুক্ত হচ্ছে নতুন জন্ম নেওয়া প্রায় ৫০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু।
এর আগে রোহিঙ্গারা বেশ কয়েক দশক ধরেই মিয়ানমারে পদ্ধতিগতভাবে বৈষম্য, ভোটাধিকার হরণ, নিয়মিত সহিংসতার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হওয়াসহ নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছিল।
মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর চরম অমানবিক নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ বাঁচানোর জন্য রোহিঙ্গারা এদেশে এসেছে; কিন্তু তারা বাংলাদেশি পরিচয়ে বিদেশ গমন, মাদক ব্যবসা, শিশু পাচার, চোরাচালান ও নানা অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় এদেশে তাদের অবস্থানের বিষয়টি দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার রোহিঙ্গাদের কারও কারও বিরুদ্ধে জঙ্গি সম্পৃক্ততা ও রামু হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রমতে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রায় চার লাখ ও দেশের বাইরে বিশেষত মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের নাগরিক পরিচয়ে প্রায় এক লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। তাছাড়া কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত কম বয়সি নারী ও শিশুরা বিয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে বলে তথ্য রয়েছে; যা সমাজ তথা রাষ্ট্রব্যবস্থায় ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। বাল্যবিয়ে মায়ের স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শিশুর স্বাস্থ্যের জন্যও হুমকিস্বরূপ। এটি নারীদের ওপর দীর্ঘমেয়াদি ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। কিশোরী বয়সে গর্ভধারণের ফলে বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা, সন্তান জন্মদানে জটিলতাসহ নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। ক্ষেত্রবিশেষে তারা পারিবারিক সহিংসতা, যৌন নির্যাতন এবং বৈবাহিক ধর্ষণের শিকারও হয়ে থাকে। তদুপরি জনসংখ্যার ঘনত্ব বৃদ্ধি পাওয়ায় পরিবেশের ওপরও ব্যাপক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।
রোহিঙ্গাদের মধ্যে বাল্যবিয়ের প্রচলনের কারণে বাংলাদেশে অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ব্যাপকহারে তার পরিধি বাড়ছে। এর কারণ হিসাবে অভাব আর নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছেন রোহিঙ্গা কমিউনিটির প্রতিনিধিরা। ২০১৮ সালের ২৬ আগস্ট ‘রোহিঙ্গা সংকটের এক বছর : শরণার্থী শিবিরে অবাধে চলছে বাল্যবিবাহ’ শিরোনামে বিবিসি বাংলায় প্রদত্ত এক প্রতিবেদনে শাহনাজ পারভীন বাল্যবিয়ের মূল কারণ হিসাবে নিরাপত্তাহীনতাকে চিহ্নিত করেছেন। এ ছাড়া অভাব, অনিশ্চয়তা আর রোহিঙ্গা শিবিরগুলোর ভয়াবহ ঘনবসতিকে বাল্যবিয়ের অন্যতম কারণ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। রোহিঙ্গাদের মধ্যে বাল্যবিয়ের হার অনেক বেশি বলে মনে করেন উন্নয়নকর্মীরা। কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া সুন্নত, এমন যুক্তিও দিচ্ছেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা। বিবিসি বাংলার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মর্জিনা বেগম বাংলাদেশের কক্সবাজারে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবির কুতুপালং ক্যাম্পে থাকেন। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ১৪ বছর বয়সি মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মাইয়ারা সহলে সহলে বিয়া দিলে হিয়ান হইলো সুন্নত।’ অর্থাৎ তার ভাষ্য অনুযায়ী, মেয়েদের তাড়াতাড়ি বিয়ে দেওয়া হচ্ছে সুন্নত। তিনি আরও বলেন, ‘বার্মার দেশের লোকেরা ছেলে মাইয়ারে সকালে সকালে বিয়া দিয়া দেয়।
বাংলাদেশের এলাকাতে হইলো ছোট মাইয়াগো বিয়া দেয় না। তাগো পড়ালেখা করায়। বার্মার দেশের লোকেরা এডি চায় না।’ ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর ‘শিশু বাল্যবিবাহ বাড়ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে’ শিরোনামে রোহিঙ্গা কিশোরী মুবিনা আকতার ও নূর কায়দার উদ্ধৃতি দিয়ে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, চোখের সামনেই নৃশংসভাবে তাদের বাবা-মাকে হত্যা করা হয়। এর কিছুদিন পর তারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। কিন্তু বাবা-মা ছাড়া তাদের দেখাশোনার তেমন কেউ ছিল না।
তাই অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেন তাদের দায়িত্বে থাকা খতিজা বেগম। মুবিনা আকতার ও নূর কায়দার মতো অনেক রোহিঙ্গা কিশোরীর অল্প বয়সে বিয়ে হচ্ছে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া ক্যাম্পগুলোতে। মানবিক বিপর্যয়, খাদ্যাভাব ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে অল্প বয়সে বিয়ে হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। অথচ ২০১২ সালে সর্বপ্রথম আন্তর্জাতিক কন্যাশিশু দিবস পালন করা হয়, যার মূল প্রতিপাদ্য ছিল বাল্যবিয়ে নির্মূল করা। ২০১৩ সালে প্রথম জাতিসংঘ মানবাধিকার সভায় বাল্যবিয়ে ও জোরপূর্বক বিয়ের বিরুদ্ধে নীতিমালা নির্ধারণ করা হয়। এতে বলা হয়েছে, বাল্যবিয়ে হলো মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এ প্রথা বন্ধ করার ব্যাপারে সংকল্প গ্রহণ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী, বাল্যবিয়ে রোধের প্রধান উপায় নারীদের শিক্ষা অর্জন, বিয়ের ন্যূনতম বয়স সংক্রান্ত আইন কার্যকরণ এবং অভিভাবকদের বাল্যবিয়ের ঝুঁকি সম্পর্কে অবগত করা।
বাংলাদেশে সরকারি কার্যক্রমের পাশাপাশি বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সংস্থা রোহিঙ্গাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘের উদ্বাস্তুবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর ছাড়াও জাতিসংঘের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন ও বিভিন্ন এনজিও কাজ করে যাচ্ছে। অল্প বয়সে গর্ভধারণের কারণে রোহিঙ্গা কিশোরীদের স্বাস্থ্যঝুঁকির পাশাপাশি জনসংখ্যার ঘনত্বও বাড়ছে। ফলে পরিবেশের ওপর এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অল্পবয়সি মেয়েদের গর্ভধারণ নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন বলে মতপ্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রুমানা ইসলাম জানান, যখন তারা গর্ভবতী হয়, তখন তাদের বাচ্চা অপুষ্টিতে ভোগে এবং অনেক সময় আগেই বাচ্চা জন্ম হয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বাল্যবিয়ে রোধে প্রয়োজনীয় সচেতনতা সৃষ্টিতে দেশি-বিদেশি এনজিও ও সরকারকে গুরুত্ব দিতে হবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বাংলাদেশের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭-এর ২(১) ধারা অনুযায়ী, ‘অপ্রাপ্তবয়স্ক’ বলতে ২১ বছর পূর্ণ করেননি এমন কোনো পুরুষ এবং ১৮ বছর পূর্ণ করেননি এমন কোনো নারীকে বোঝায়। উক্ত আইনের ২(৩) ধারা অনুযায়ী, ‘প্রাপ্তবয়স্ক’ অর্থ বিবাহের ক্ষেত্রে ২১ বছর পূর্ণ করেছেন এমন কোনো পুরুষ এবং ১৮ বছর পূর্ণ করেছেন এমন কোনো নারী এবং ২(৪) ধারা অনুযায়ী, ‘বাল্যবিবাহ’ অর্থ এরূপ বিবাহ, যার কোনো এক পক্ষ বা উভয় পক্ষ অপ্রাপ্তবয়স্ক। এ আইনে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটি, কতিপয় সরকারি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধির সাধারণ ক্ষমতা, বাল্যবিয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ ও নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গের শাস্তি, বাল্যবিয়ে করার শাস্তি, বাল্যবিয়েসংশ্লিষ্ট পিতা-মাতাসহ অন্যান্য ব্যক্তির শাস্তি, বাল্যবিয়ে সম্পাদন বা পরিচালনা করার শাস্তি ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করা হয়েছে।
কক্সবাজারে ইউনিসেফের কর্মকর্তা অ্যালেস্টেয়ার লসন ট্যানক্রেড এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, যেহেতু বাল্যবিয়ের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের আইনের আওতায় পড়েন কিনা, তা নিয়ে দ্বিধা রয়েছে, তাই এমন বিয়ে প্রতিরোধ করা কর্তৃপক্ষের জন্য কঠিন। সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যেসব শিশুর জন্ম হবে, তাদের নাগরিকত্ব নির্ণয়, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে বিয়ের ফলে যেসব শিশুর জন্ম হবে, তাদের নাগরিকত্ব নির্ণয়, এমন বিবাহের আইনগত ভিত্তি ও বৈধতা কতটুকু এবং এসব বিষয়ে বাংলাদেশের আইন কিংবা বাংলাদেশ সরকারের কোনো সুনির্দিষ্ট নীতি আছে কিনা তা অধিকতর গবেষণার দাবি রাখে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। মারাত্মক স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন তারা। মা ও শিশুদের জন্য বিশেষায়িত খাবারের ব্যবস্থা না থাকায় অপুষ্টিতে ভুগছেন অনেকেই। তার ওপর বাল্যবিয়ে ও বহু সন্তান নেওয়ার প্রবণতা রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়েছে। যে কোনো জাতির জন্যই বিবাহব্যবস্থার সংস্কৃতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নাগরিকত্ব লাভের আশায় স্থানীয় লোকজনকে বিয়ে করছে। রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের ধারণা, একবার নাগরিকত্ব পেলেই তারা শরণার্থী শিবির থেকে বেরিয়ে যেতে পারবেন, মৌলিক অধিকারগুলো ভোগ করতে পারবেন, সর্বোপরি বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন। টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, রোহিঙ্গাদের বিয়ে করা আইগতভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু কেউ নিয়ম মানছেন না। রোহিঙ্গারা মনে করেন, এ দেশে একটি সন্তানের বিয়ে দেওয়া মানে নাগরিকত্ব পাওয়ার পথ সহজ হওয়া। সে কারণেই তারা বাচ্চা মেয়েকে বয়স্ক বাংলাদেশি পাত্রের সঙ্গে বিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করে না। এ সুযোগ স্থানীয় লোকজনও কাজে লাগাচ্ছে। তবে বিয়ে করলেই নাগরিকত্ব পাওয়া সহজ নয় বলে মনে করেন টেকনাফ রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মোজাম্মেল হক। তাই বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের বাল্যবিয়ে সংস্কৃতি ও এর প্রভাব নিয়ে গবেষণাধর্মী কাজ করা প্রয়োজন। বাল্যবিয়ে এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কিত এক গবেষণায় পরিলক্ষিত হয়, ১৫-১৯ বছর বয়সি গর্ভবতী নারীদের মাতৃমৃত্যুর আশঙ্কা ২০ বছর বয়সি গর্ভবতীদের তুলনায় দ্বিগুণ এবং ১৫ বছরের কম বয়সি নারীদের ক্ষেত্রে মাতৃমৃত্যুর ঝুঁকি ৫-৭ গুণ বেশি। ১৫ বছরের আগে সন্তান জন্মদানকারী প্রায় ৮৮ শতাংশ নারীর ফিস্টুলা বিকশিত হয়। তাছাড়া ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের অপরিণত তথা কম ওজনের শিশু জন্মদানের হার ৩৫-৫৫ শতাংশ এবং তাদের শিশু মৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ। কম বয়সি নারীদের জন্ম দেওয়া শিশুদের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই কম ও বেশিরভাগ শিশুই অপুষ্টিতে ভোগে।
তাছাড়া বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী রোহিঙ্গারা তাদের জন্মস্থান সম্পর্কিত আইনি জটিলতার সম্মুখীন হতে পারে। এতে নাগরিকত্বজনিত সমস্যার কারণে ভবিষ্যতে মিয়ানমারে তাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হতে পারে। পাশাপাশি সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থায় বাল্যবিয়ের বিবিধ ক্ষতিকর প্রভাব পরিলক্ষিত হবে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রচলিত বাল্যবিয়ে দ্রুততর সময়ের মধ্যে প্রতিরোধ করার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ, পারিবারিক মূল্যবোধ সমৃদ্ধকরণ, রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে সবার জন্য পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা, পরামর্শ সেল স্থাপন, স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি করা, জনস্বাস্থ্যবিষয়ক প্রয়োজনীয় শিক্ষার ব্যবস্থা, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ও এর শাস্তি, বাল্যবিয়ের ক্ষতিকর দিক, জন্মনিয়ন্ত্রণের সুফল সম্পর্কে অবহিতকরণ ইত্যাদি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এ ব্যাপারে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।
ড. মো. মোরশেদুল আলম : শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়