ব্যাংকগুলো কি আমানতকারীদের স্বার্থ দেখছে?
ড. আর এম দেবনাথ
প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সকালবেলা এক পুরোনো বন্ধুর টেলিফোন। সে পরামর্শ চায়। পরামর্শটা ব্যাংক সম্পর্কিত। দুই দিন আগে সে তার ব্যাংক থেকে ফোন পেয়েছে। বলা হয়েছে, টাকা জমা না দিলে অর্থাৎ অতিসত্বর লেনদেন না করলে তার অ্যাকাউন্ট ‘ডরম্যান্ট’ হয়ে যাবে। আমি বুঝলাম ঘটনাটা ঘটেছে করোনা মহামারির কারণে। দেড় বছর ধরে সে বাড়ি থেকে বের হয়নি। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে লেনদেনের প্রশ্ন ওঠে না। সব ব্যাংকেরই নিজেদের নিয়ম আছে, নির্দিষ্ট দিনের মধ্যে টাকা জমা বা তোলা না হলে অর্থাৎ লেনদেন না হলে অ্যাকাউন্টটি প্রথমে ‘ডরম্যান্ট’ হয়, পরে হয় ‘ইন-অপারেটিভ’।
এভাবে দশ বছর থাকলে ওই টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। বুঝলাম সে পড়েছে এই গ্যাঁড়াকলে। ‘ওষুধ’ একটাই-হয় টাকা তুলতে হবে, না হয় জমা দিতে হবে। কিন্তু বন্ধুটি দেড় বছরে একমাত্র টিকা দেওয়ার সময় ছাড়া কোনোদিন ভিড়ের মধ্যে যায়নি। বেরিয়েছে, তবে গাড়ির ভেতরে থেকে নির্জন জায়গায় গিয়েছে।
এ অবস্থায় সে ব্যাংকে যেতে চায় না। ব্যাংক মানেই লোকারণ্য। ছেলেমেয়ে বিদেশে, কাকে দিয়ে টাকা জমা বা তোলার কাজটি করবে? কাকে টাকা দিয়ে বিশ্বাস করবে? এ সমস্যায় পড়ে সে আমার পরামর্শ চাইছে।
বন্ধুর এ সমস্যা আমার কাছে বড় নয়। বড় হচ্ছে-কী করে একটি ব্যাংক এ করোনার মধ্যে তার নিজস্ব নিয়ম পালন করে অ্যাকাউন্ট ‘ডরম্যান্ট’ করে দেয়! আতঙ্কিত করে সাধারণ আমানতকারীদের। এখন একটি অস্বাভাবিক অবস্থা। অনেক মানুষ এখনো ঘরবন্দি। ব্যাংকের কত নিয়ম-কানুন কেন্দ্রীয় ব্যাংক অদল-বদল করেছে। প্রতিদিন করছে।
ব্যাংক কি এই সাধারণ নিয়মটির পরিবর্তন করতে পারত না? এতে কি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো নিয়মের ব্যত্যয় ঘটত? ঘটলে কি একটা চিঠি দিয়ে তার প্রতিকার চাওয়া যেত না? এসব নানা প্রশ্ন বন্ধুর মনে। আরও একবার নাকি এমনটা হয়েছে। এর চেয়েও মারাÍক একটি অভিযোগ তার-কোনো একটি ব্যাংক ১৩ মাসে বছর হিসাব করে। সুদ বেশি দেয়। আমানতকারীরা সেটি বুঝতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের চোখের সামনে তা করে।
চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের মালিকানাধীন এ ব্যাংকটি সুদখোর মহাজনদের মতো ব্যবহার করে। ভাটি অঞ্চলে, দেশের উত্তরাঞ্চলে ৪-৬ মাসে বছর হয়। টাকা ধার দেওয়া হয় ৪-৬ মাসের জন্য, কিন্তু সুদ আদায় করা হয় এক বছরের জন্য। ব্যাংক যেহেতু আমানত নিচ্ছে, তাই তারা উলটো ব্যবস্থা করেছে। তারা টাকা ধার নেবে আমানতকারীদের কাছ থেকে ১৩ মাসের জন্য, সুদ দেবে ১২ মাসের। বড়ই মজার ঘটনা, তাই নয় কি? এসবের ফলে ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় বৈকি!
আমরা ব্যাংকের ঋণের ওপর আলোচনা নিয়েই সারাদিন ব্যস্ত। কিন্তু বোঝা দরকার, লাখ লাখ আমানতকারীর সমস্যা ওখানে নয়। তারা প্রতিনিয়ত ভুগছে ছোট ছোট সমস্যায়। ছোট ছোট সমস্যা, কিন্তু ভোগান্তি অনেক বড়। কয়েকটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি বোঝা যাবে। যেমন নতুন চেকবই প্রাপ্তির সমস্যা। আগে শাখাতেই চেকবই ইস্যু করা হতো। ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে হিসাবধারী তার হিসাবের চেকবুক পেয়ে যেতেন।
এখন প্রায় সব ব্যাংক কম্পিউটার ব্যবস্থা চালু করেছে। চেকবুক এখন আর শাখা দেয় না। এটা দেয় প্রধান কার্যালয়। ‘রিক্যুইজিশন’ দিলে ১৫-২০ দিনেও অনেক ক্ষেত্রে চেকবই পাওয়া যায় না। শাখা এর দায়িত্ব নেয় না। তারা বলে, তাদের কিছু করার নেই। হেড অফিস থেকে না এলে তারা অসহায়। তারা তাগিদ দিতে পারে। কিন্তু শাখার ছোট ছোট অফিসাররা প্রধান কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের বেশি তাগিদ দিতে ভয় পায়। ফলে আমানতকারীরা ভোগে।
এ মুহূর্তে ব্যাংকে ব্যাংকে ভুগছে আয়করদাতারা। দুই দিন বাদেই আয়কর রিটার্ন দেওয়ার শেষ তারিখ। ৩০ নভেম্বর হচ্ছে রিটার্ন জমা দেওয়ার ‘কাটডেট’। এ রিটার্ন জমা দিতে হলে আয়ের উৎস দেখাতে হবে, তার ‘সার্টিফিকেট’ লাগবে। শুধু ঘোষণা করলে হবে না, প্রতিটি আয়ের হিসাব দিতে হবে। যাদের সঞ্চয়পত্রের আয় আছে, তাদের সার্টিফিকেট জোগাড় করে তা রিটার্নের সঙ্গে জমা দিতে হবে।
আগে যারা ব্যাংক থেকে সঞ্চয়পত্র কিনত, তাদের দুশ্চিন্তা ছিল না। কারণ সঞ্চয়পত্রের সুদ ছিল করমুক্ত। কিন্তু ইদানীং তার ওপর করারোপ করা হয়েছে। অতএব সুদপ্রাপ্তি কত তা জানাতে হবে। এখন আবার উৎসেই কর কর্তন করা হয়। অতএব কত সুদ পাওয়া গেল, কত কর কাটা হলো-তার সার্টিফিকেট ব্যাংক দেবে। আগে শাখাগুলো তা দিত। শাখাতে বসে থেকেই তা মুহূর্তের মধ্যে পাওয়া যেত। এখন তাও কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত। শাখাকে বললে শাখার অফিসার প্রধান কার্যালয়ে সেই অনুরোধ পৌঁছায়।
বলা বাহুল্য, সময়মতো তা আসে না। তাগিদের পর তাগিদ, তাও আসে না। এ অবস্থায় এই সার্টিফিকেট বছরশেষে ‘অটো-জেনারেট’ করে ই-মেইলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা যায় না কি? কম্পিউটারে কাজ করলে তা তো সম্ভব হওয়ার কথা। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে বললে তারা সঙ্গে সঙ্গে তাদের কাস্টমারদের অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট পাঠায়। তারা পারলে ব্যাংকগুলো পারবে না কেন? কম্পিউটারায়নের সুবিধা গ্রাহকরা পাবে না কেন, এর উত্তর পাওয়া যায় না। কম্পিউটারায়ন করা হয়েছে সুবিধার জন্য, সময় বাঁচানোর জন্য। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে বিলম্ব হচ্ছে সবকিছুতেই। সার্ভার নষ্ট হওয়া নিয়মিত ঘটনা।
আসা যাক আমানতের ওপর সুদের প্রশ্নে। বছর দু-এক আগে, করোনা মহামারির আগে, সারা দেশে আলোচনা-বিতর্ক ছিল সুদের হার নিয়ে। সরকার বলছে, ঋণের ওপর সুদ হবে ৯ শতাংশ আর আমানতের ওপর সুদ হবে ৬ শতাংশ। ব্যাংক মালিকরা এ প্রস্তাব মানতে রাজি নয়। তাদের যুক্তি-এতে ব্যাংকগুলো লোকসানে যাবে ইত্যাদি ইত্যাদি। সরকার তখন মালিকদের নানা সুবিধা দেয়। বস্তুত ব্যাংক মালিকরা যা চায়, তা-ই দেয়। অনেক অযৌক্তিক দাবিও সরকার মেনে নেয়।
কারণ দেখা যাচ্ছিল, সরকার নয়-ছয় সুদনীতি বাস্তবায়ন করবেই। ব্যবসায়ী প্রভাবিত সরকার তা শেষ পর্যন্ত করলই। আমানতকারীদের স্বার্থের আলোচনা কেউ করলই না। নয়-ছয় সুদনীতি কার্যকর হলো। হঠাৎ করে দেখা গেল অনেক ব্যাংক আমানতের ওপর সুদের হার ২-৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। সঞ্চয়ী আমানতে নয়, মেয়াদি আমানতে। মিডিয়ায় তার রিপোর্ট ছাপা হলো। আমানতকারীদের মাথায় হাত। ব্যাংক এসব কী করছে! শেষ পর্যন্ত কি তারা আমানত তাদের কাছে রাখার জন্য টাকা কেটে নেবে? সরকারের চেতনা হলো। কড়াকড়ি নির্দেশ দেওয়া হলো, মূল্যস্ফীতির নিচে আমানতের ওপর সুদের হার হবে না। তার মানে ছয় শতাংশই হবে সুদের হার। কারণ মূল্যস্ফীতির হার ছয় শতাংশের কাছাকাছি।
কিন্তু বাজারের কী খবর? কী সরকারি, কী বেসরকারি ব্যাংক-কয়টি সরকারের এ নির্দেশ মানছে? অনেকটা সয়াবিন, পেঁয়াজ, ডাল, চালের দামের মতো; কুরবানির চামড়ার দামের মতো। প্রতিবছর সরকার এসবের দাম বেঁধে দেয়; কিন্তু এ দাম কেউ মানে না। যে যার মতো করে খোলা বাজার দামে তা বিক্রি করে। দেখা যাচ্ছে, ভোগ্যপণ্যের ব্যবসায়ীদের মতো ব্যাংক মালিকরাও আমানতকারীদের স্বার্থ দেখতে প্রস্তুত নয়। তারা যার যার মতো করে আমানতের ওপর সুদের হার ঠিক করে তা কার্যকর করেছে। এমনকি সরকারি ব্যাংকও তাই।
অনেকে করছে কী, ৬ শতাংশ সুদ দিচ্ছে তিন-বছরি আমানতে। তিন মাস মেয়াদি আমানতে তারা সুদ দিচ্ছে ৫ শতাংশ। প্রশ্ন, সরকারের নির্দেশ অমান্য করে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ অমান্য করে তারা কী করে ব্যবসা করে? তারা কি লোকসান দিচ্ছে? ব্যাংকগুলো কি লোকসানে গেছে? এসব তথ্য প্রকাশিত হওয়া দরকার। নয়-ছয় শতাংশ সুদনীতি কার্যকর করতে গিয়ে কারা কারা লোকসানে গেছে তার হিসাব দরকার। নয়-ছয় সুদনীতি নয়, খেলাপি ঋণই সবকিছু নষ্ট করছে।
বেশ কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, অনেক ব্যাংক মেয়াদি আমানত রাখলে তারা আগের মতো কোনো ‘এফডিআর’ রিসিট দেয় না। আগে সব ব্যাংক মেয়াদি আমানত রাখলে সুন্দর একটা ‘রিসিট’ দিত। একে তারা ‘ইনস্ট্র–মেন্ট’ বলত। এতে আমানতকারীর নাম, টাকার পরিমাণ, সুদের হার, মেয়াদ, শাখার নাম, তারিখ, এফডিআর নম্বর ইত্যাদি থাকত। এটাই হচ্ছে এফডিআরের প্রমাণ। ইচ্ছা করলে কেউ এফডিআর ‘লিয়েন’ রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারত। বেশ কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, অনেক ব্যাংক এই রিসিট আর দিচ্ছে না। দিচ্ছে কী? দিচ্ছে ‘কম্পিউটার জেনারেটেড শিট’। এতে এফডিআরের সব তথ্যই আছে; তবে এটি একটি কাগজের শিট।
যেহেতু ‘কম্পিউটার জেনারেটেড শিট’; তাই কোনো সইও করতে চায় না অফিসাররা। ঠিক আছে, তারপরও প্রশ্ন- এটা কি ব্যাংকার্স বুক ইভিডেন্স অ্যাক্টে সন্নিবেশিত হয়েছে? আদালতে কোনো মামলা হলে, কোনো গ্রাহকের সঙ্গে ব্যাংকের মামলা হলে, দায়-দাবির প্রশ্ন উঠলে আগে আদালতে এফডিআর রিসিট ছিল সাক্ষ্য বা ইভিডেন্স। এখন কি ‘কম্পিউটারাইজড শিট’ ইভিডেন্স হিসাবে গৃহীত হবে? আমার জানা নেই। সবচেয়ে বড় কথা, মানুষ এ সম্পর্কে জ্ঞাত নয়। ফলে প্রতিনিয়ত প্রশ্ন জাগছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত এ বিষয়টি বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে জানানো। এতে সংশয় সৃষ্টির অবকাশ দূর হবে।
ছোট ছোট সমস্যার অন্ত নেই ব্যাংকে। বছরে দুইবার হিসাবের বিবরণী পাওয়ার কথা। জুন শেষে এবং ডিসেম্বরে শেষে। এটা বিনামূল্যে পাওয়ার কথা। ব্যাংকগুলো এখন মেসেজ পাঠায়। টাকা তুললে, টাকা জমা দিলে ব্যাংকগুলো গ্রাহকের কাছে মেসেজ পাঠায়। এতে জানানো হয় জমা বা তোলার তথ্য। কত ব্যালেন্স তাও জানানো হয়। এর জন্য ব্যাংকগুলো বিভিন্ন হারে গ্রাহকদের চার্জ করে। আবার ‘প্রিন্টেড স্টেটমেন্ট’ চাইলেও তার জন্য চার্জ করা হয়।
তাহলে কী দাঁড়াল? এসএমএস এবং প্রিন্টেড স্টেটমেন্ট-এ দুই ক্ষেত্রেই গ্রাহকদের চার্জ করা হয়। বিনা ব্যয়ে বছরে দুইবার হিসাবের বিবরণী পাওয়ার ব্যবস্থা কি উঠে গেছে? আমি অনেককে জিজ্ঞেস করে জানতে পেরেছি, তারা বছরে দুইবার হিসাবের বিবরণী পান না। বিষয়টি পরিষ্কার করা দরকার। হিসাবের বিবরণী আর এসএমএস এক কথা নয়। রেকর্ড হিসাবে বিবরণী অনেক কার্যকর ও নির্ভরযোগ্য। এসএমএস আজ আছে, কাল নেই।
গোল বাধে এখন চেক দিলে, এমনকি ক্লিয়ারিং চেকের ক্ষেত্রেও। এক লাখ, দুই লাখ টাকার চেক কাটলেও ব্যাংক থেকে মোবাইলে জিজ্ঞেস করা হয় চেক কাটা হয়েছে কিনা। এটা ব্যাংকের অতিরিক্ত নিরাপত্তা। আবার ক্লিয়ারিং চেকের ক্ষেত্রেও অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ক্লিয়ারিং চেক গেলেও ব্যাংককে তা জানাতে হবে, নতুবা চেক ডিজঅনার করে দেওয়া হয়।
একথা জানা, বাংলাদেশে এক লাখ, দুই-তিন-চার লাখ টাকার চেক কিছুই না। অধিকন্তু ‘এপারেন্ট টেলর’ ঠিক থাকলে, ব্যাংক পেমেন্ট করলে ব্যাংকের দায় নেই। এরপরও অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে বলে মনে হয়। তবে এ কারণে গ্রাহকদের স্বার্থ যাতে ক্ষুণ্ন না হয় তাও দেখা দরকার।
বলা দরকার, ব্যাংকের সেবা মানেই ঋণসেবা নয়। ব্যাংকের মূল ভিত্তি হচ্ছে আমানতকারী (ডিপোজিটর)। তাদের ৯০-৯৫ শতাংশেরই ঋণের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। তারা সাধারণ সেবা চায়। টাকা তোলা, টাকা জমা দেওয়া, মেয়াদি আমানত করা, সঞ্চয়পত্র কেনা ইত্যাদি ক্ষেত্রে তারা সেবা চায়। এসব ক্ষেত্রেও এখন ধীরে ধীরে এমন সব ফরম ইত্যাদি ব্যবহার শুরু হয়েছে, যা বিপুলসংখ্যক আমানতকারী বোঝেই না।
হিসাব খোলা, মেয়াদি আমানতের ফরম পূরণ করা এক কঠিন কাজ। এছাড়া রয়েছে নানা ব্যাংক চার্জ। আমার মতে, জেনারেল ব্যাংকিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর সেবার মান উন্নত করার যথেষ্ট সুযোগ আছে। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়-ব্যাংকগুলো ঋণগ্রহীতার পেছনে যে সময় দেয়, আমানতকারীদের জন্য তার অর্ধেক সময়ও দেয় না। এই যে নতুন ইংরেজি বছর আসছে, ক্যালেন্ডার হবে ব্যাংকে ব্যাংকে, লাখ লাখ আমানতকারীর মধ্যে কয়জন সেই ক্যালেন্ডার পাবে?
ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
rmdebnath@yahoo.com