Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

অসাম্যের ব্যবচ্ছেদ

Icon

ড. মাহবুব উল্লাহ্

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

অসাম্যের ব্যবচ্ছেদ

আমাদের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম লক্ষ্য ছিল অর্থনৈতিক বৈষম্যহীন একটি সমাজ সৃষ্টি করা। রাষ্ট্রীয়ভাবে আমরা এখন বাজার অর্থনীতি গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। কারণ ও ফলাফলের ভিত্তিতে বলা যায় না, বাজার অর্থনীতি সমাজের আকাক্সক্ষা অনুযায়ী রাষ্ট্রের আয় ও সম্পদের একটি কাঠামো গড়ে তুলবে, যা সমাজের আকাক্সক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হবে। এ কারণেই দুনিয়ার সব দেশে পুনর্বণ্টনমুখী করা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

গত ৩০ বছরে বাজারকে অর্থনৈতিক বৈষম্য বৃদ্ধির কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাজারের ওপর এ অনাস্থার জন্য কিছু দেশের অভিজ্ঞতাকে দায়ী করা হয়। এ সত্ত্বেও এ রকম বিশ্বাস সম্পর্কে প্রশ্ন তোলা যায়। দৃষ্টান্তস্বরূপ ২০০৭ সালে ফ্রান্সের জনগণের ১ শতাংশ যারা সর্বোচ্চ বেতন পেত, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সমপর্যায়ের ব্যক্তিদের তুলনায় মোট জাতীয় আয়ের হিস্যার অর্ধাংশ লাভ করত।

অর্থাৎ একটি দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ধনীরা অন্য একটি দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ধনীদের সমপরিমাণ আয় নাও করতে পারে। একইভাবে আয়কর পরিশোধের পর যে অর্থ হাতে থাকে, সেই অর্থের পরিমাণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেতনপ্রাপ্ত ১ শতাংশের তুলনায় ফ্রান্সে ১ শতাংশের উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম। এ বাস্তবতা সত্ত্বেও ফরাসিদের তুলনায় মার্কিনিরা বাজার ব্যবস্থার গুণকীর্তনে বিভোর।

এ ছাড়া বাজারের প্রতি মানুষের ধারণা কেমন হবে সেটা অসাম্যের স্তরের ওপর নির্ভর করে না। স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশগুলো পুরোপুরিভাবে বাজার অর্থনীতির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এ দেশগুলো কর ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক বৈষম্য অনেকটুকুই হ্রাস করতে সক্ষম হয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা কীভাবে অর্থনৈতিক বৈষম্য পরিমাপ করেন সে সম্পর্কে কিছু আলোচনা করা প্রয়োজন। গত দুই দশকে বেশকিছু পরিসংখ্যানগত গবেষণা আমাদের বৈষম্য আরও স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করেছে। সুনির্দিষ্টভাবে বলা যায়, সর্বোচ্চ ১ শতাংশ মানুষের সম্পদ বৃদ্ধি সম্পর্কে টমাস পিকেটি এবং তার সহযোগীরা বিশ্লেষণ করে দেখিয়েছেন।

এ সর্বোচ্চ ১ শতাংশ মানুষের আয়ের হিস্যায় বৃদ্ধি ব্যাপক মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দৃষ্টান্তস্বরূপ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৯৯৩ থেকে ২০১২ পর্যন্ত গড় আয় ১৭.৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সর্বোচ্চ ১ শতাংশের আয় বেড়েছে ৮৬.১ শতাংশ। বাকি ৯৯ শতাংশের আয় বেড়েছে মাত্র ৬.৬ শতাংশ। সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ব্যক্তির আয়ের হিস্যা ১৯৮২-তে ছিল ১০ শতাংশ এবং ২০১২-তে তার পরিমাণ দাঁড়াল ২২.৫ শতাংশ।

অর্থনীতিবিদরা একদিকে যেমন সাধারণভাবে অসাম্যের পরিমাপ করেছেন, অন্যদিকে তেমনি আয়ের প্রতিটি ধাপের অবস্থাও নির্ণয় করার চেষ্টা করেছেন। তারা শুধু সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্নদের নিয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করে থাকেননি।

অর্থনীতিবিদরা আয় বণ্টনে মেরুকরণের বিষয়টিও পর্যালোচনা করেছেন। গত ৪০ বছর আগে থেকে এ মেরুকরণ বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশই এ মেরুকরণের বাইরে নয়। এ মেরুকরণের একটি বৈশিষ্ট্য হলো, অতি দক্ষতাসম্পন্ন কর্মীদের আয়ে উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি। অন্যদিকে যাদের দক্ষতা স্থির ছিল অথবা খুব কম বিষয়ে দক্ষতা ছিল, তাদের আয় স্থির হয়ে ছিল। যাদের দক্ষতা বেশি কিংবা কম নয়, তাদের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।

অর্থনীতিবিদরা জাতিতে জাতিতে বৈষম্য হ্রাস এবং বৈশ্বিক দারিদ্র্য হ্রাস সম্পর্কেও আলোকপাত করেছেন। এটা সম্ভব হয়েছে চীন ও ভারতের মতো জনবহুল দেশে বাজারমুখী নীতি গ্রহণ করার ফলে। বৈশ্বিক দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাস পেয়েছে।

অসাম্য বৃদ্ধির পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। কারণ কী হবে সেটা নির্ভর করে কোন ধরনের অসাম্যের কথা আমরা বলছি। সেটা কি আয়ের বৈষম্য? অথবা সম্পদের বৈষম্য? এ ছাড়া আমরা কাদের মধ্যে বৈষম্যের কথা বলছি, যেমন সর্বোচ্চ ১ শতাংশ বনাম বাকি সবাই। যারা বেশি আয় করে তাদের আয় বৃদ্ধি সম্পর্কে নানারকম ব্যাখ্যা আছে।

এসব ব্যাখ্যার মধ্যে প্রথমেই আসে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের বিষয়টি। প্রযুক্তিগত পরিবর্তন খুবই দক্ষ কর্মী যারা তথ্যপ্রযুক্তি, জৈবপ্রযুক্তি, ওষুধ এবং ব্যাংকিং ও অন্যান্য শিল্পে নিয়োজিত আছেন, তাদের আয় বৃদ্ধি করে। দ্বিতীয়ত, একদল অর্থনীতিবিদ সাম্প্রতিককালে দেখিয়েছেন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড উচ্চ মুনাফাভিত্তিক সুপারস্টার ফার্মগুলোতে বিস্তৃতি লাভ করেছে।

উচ্চ মুনাফার ফলে পুঁজি সুবিধা বৃদ্ধি পায় এবং যান্ত্রিকভাবে তা শ্রমিকের অংশ হ্রাস করে। ডিজিটাল অর্থনীতির Winner takes all বৈশিষ্ট্যের ফলে প্রতিষ্ঠাতা, বিনিয়োগকারী এবং কর্মীদের প্রাপ্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা দেখতে পাই আমাজন, অ্যাপল্, ফেসবুক, গুগল, মাইক্রোসফট এবং অন্য সফল ফার্মগুলো ধনী হয়েছে। তদুপরি এসব ফার্ম চাইলে দাম বাড়াতে পারে। এ ধরনের ফার্মগুলোতে শ্রমিকের হিস্যা অধিকতর হারে হ্রাস পেয়েছে।

বিশ্বায়ন সফল উদ্যোক্তাদের বিশ্বব্যাপী তাদের মডেল রপ্তানি করার ক্ষমতা দিয়েছে। অন্যদিকে যেসব সেক্টর কোনোরূপ প্রতিরক্ষা সুবিধা ভোগ করে না এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হয়, সেসব সেক্টরের কর্মচারীরা কম বেতনে উন্নত দেশের কর্মচারীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হয়। এর ফলে তাদের দারিদ্র্যবিমোচনের সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং একইসঙ্গে উন্নত দেশের শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।

১৯৯০-এর দশকে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই সময় উন্নয়নশীল ও উদীয়মান দেশগুলো আমদানি বিকল্প শিল্পায়নের নীতি পরিহার করে এবং বাজার অর্থনীতি আলিঙ্গন করে নেয়। ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে কনটেইনার পরিবহণের খরচ নাটকীয়ভাবে হ্রাস পায়।

এসব কারণে লক্ষ কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হয়। বাণিজ্য উদারীকরণের ফলে একই দেশের সমভাবে দক্ষ শ্রমিকদের মধ্যে বৈষম্য বৃদ্ধি করে, এমনটি ব্যাপকভাবে মনে করা হয় না। এর কারণ হলো বাণিজ্য উদারীকরণ দক্ষ উদ্যোক্তাদের সহায়ক। তারা বিদেশে রপ্তানি করতে পারে। অপরদিকে কম দক্ষ ফার্মগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে, কারণ তাদের বিদেশি প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়।

বিশ্বায়নের ফলে প্রতিভাবানদের জন্য প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। উদ্যোক্তারা বেছে নিতে পারেন কোথায় তাদের স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠিত করা হবে। শ্রেষ্ঠ গবেষক, চিকিৎসক, শিল্পী ও ম্যানেজাররা উত্তরোত্তর বেশি করে তাদের স্থান পরিবর্তন করেছেন। যা নির্ভর করে কোথায় সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে আমাদের মনোকষ্ট হতে পারে। কিন্তু এটাই আমাদের আন্তর্জাতীয়কৃত বিশ্বের বাস্তবতা। প্রতিভাবানদের জন্য প্রতিযোগিতা নিঃসন্দেহে তাদের মুক্ত করছে।

কিন্তু এ রকম সুযোগ-সুবিধা অনেক দূর পর্যন্ত গড়াতে পারে। বোনাসের কালচার বলে একটা কথা আছে। ফার্মগুলো উচ্চ বেতন দিয়ে নতুন কোনো প্রতিভাকে টানতে পারে অথবা সুনির্দিষ্ট প্রতিভাবানকে ধরে রাখতে পারে এবং কম প্রতিভাবানকে ছেড়ে যেতে বাধ্য করতে পারে। প্রতিভাবানদের এভাবে পুরস্কৃত করলে সেটা মূলত নির্ভর করে স্বল্পমেয়াদি কাজকর্মের ওপর।

এর ফলে সুবিধাবাদীরা ফার্মের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের প্রতি নজর দেয় না কিংবা অনৈতিক আচরণে লিপ্ত হয়। যখন একজন উদ্যোক্তা, একজন গবেষক, একটি কোম্পানি অথবা একটি সম্পদ এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যায় তখন এগুলোর মাতৃদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এ ক্ষতি হতে পারে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে, রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে এবং দক্ষতা ও জ্ঞানের বিচ্ছুরণের ক্ষেত্রে। প্রশ্ন হলো এ বিষয়গুলো আমরা কীভাবে পরিমাপ করব? সমস্যা হলো নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান। এর ফলে যে গবেষণা হয় তা যার যার মনমতো উপসংহারে পৌঁছে।

দেখা যাচ্ছে, এ সমস্যা নিয়ে গবেষণা করতে হলে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। মানুষ কোনো একটি অসুবিধা সৃষ্টিকারী রাষ্ট্রীয় পলিসি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে সময় নেয়। ফলে এসব ব্যাপার অর্থমিতির ব্যবহার সমস্যাপূর্ণ হয়ে ওঠে। বাস্তবে দেখা যায়, তরুণরা বয়স্কদের তুলনায় অধিকতর আন্তর্জাতিক মনোভাবাপন্ন।

প্রশ্ন হলো, কতজন দেশ ছেড়ে যাচ্ছে, তার চাইতেও কারা দেশ ছেড়ে যাচ্ছে সেটা কি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়? উদ্যোক্তা, গবেষক, উদারনৈতিক পেশার সদস্যের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিভাবানরাই বিদেশে চলে যেতে চায়। দৃষ্টান্তস্বরূপ, গবেষণা সেক্টরে ইউরোপীয় গবেষকদের মধ্যে যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায় তাদের সংখ্যা কম।

কিন্তু যাদের হারাতে হয় তারা হলো সবচেয়ে সৃজনশীল গোষ্ঠী। এদের চাহিদা বিশাল। একইভাবে নতুন স্টিভ জব্সকে হারানো অথবা নতুন বিল গেটসকে হারানো কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে, রাজস্ব আয়ের ক্ষেত্রে এবং উদ্ভাবনার পরিবেশ সৃষ্টির ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

সর্বোচ্চ ১ শতাংশের সম্পদ বৃদ্ধির জন্য বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তি একমাত্র কারণ নয়, যদিও এ দুটি সবচেয়ে দক্ষ ব্যক্তিদের পক্ষে কাজ করে। বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ফাইন্যান্স ইন্ডাস্ট্রিতে বেশি আয়ের প্রতি অনেকে ইঙ্গিত করেছেন।

একটি ব্যাপারে সব ধরনের অর্থনীতিবিদ একমত পোষণ করেন। পুনর্বণ্টনের ব্যাপারে তাদের মনোভাব যাই হোক না কেন, তারা সবাই মনে করেন সব ধরনের অসাম্য এক রকম নয়। সমাজের জন্য মূল্য সৃষ্টির মাধ্যমে যে সম্পদের সৃষ্টি হয় তা কোনোক্রমেই অর্থনৈতিক খাজনার মাধ্যমে যে সম্পদ সৃষ্টি হয় তার সঙ্গে তুলনীয় নয়।

অনেক দেশে রিয়েল স্টেটের মূল্যবৃদ্ধির ফলে সম্পদের অসাম্য বৃদ্ধি পেয়েছে। একজন অট্টালিকার মালিকের সঙ্গে ক্যানসার চিকিৎসার আবিষ্কারকের তুলনা হয় না। কারণ অট্টালিকার মালিক সমাজের জন্য নতুন কোনো মূল্য সৃষ্টি করেন না। তিনি বিনা চেষ্টায় এবং বিনা কষ্টে বসে বসে ভাড়ার টাকা ভোগ করেন। মেক্সিকোর বিলিয়নিয়ার ধনী কার্লোস স্লিম নিজ ব্যবসাকে প্রতিযোগিতা থেকে মুক্ত রেখে বিশাল ধনসম্পদের মালিক হয়েছেন। তার সঙ্গে স্টিভ জবস্ ও বিল গেটসের তুলনা হয় না।

কার্লোস স্লিম সরকারের লোকদের হাত করে তার সম্পদ গড়েছেন। এ সম্পদের নৈতিক কোনো ভিত্তি নেই। নিজের ব্যবসাকে প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে না দিয়ে একচেটিয়া ব্যবসা করেছেন। এটাকেই বলে জবহঃ ঝববশরহ. অবশ্য সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সামাজিক মাধ্যমে চাউর হয়েছে বিল গেটস করোনাভাইরাস সৃষ্টির জন্য কলকাঠি নেড়েছেন, উদ্দেশ্য এ ভাইরাসের টিকার বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করা।

এ ব্যাখ্যা অবশ্য ষড়যন্ত্র তত্ত্বের পর্যায়ে পড়ে। এ আলোচনা থেকে বোঝা যায় প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে মুনাফা করা Rent Seekin-এর চেয়ে নৈতিকভাবে শ্রেয়। প্রতিযোগিতামূলক মুনাফার তুলনায় Rent Seekin অনৈতিক, কারণ এতে প্রতিযোগিতার স্থান নেই।

ড. মাহবুব উল্লাহ : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম