করোনার চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ আবিষ্কারের চ্যালেঞ্জ
ড. মো. একরামূল ইসলাম
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২১, ০২:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আদিকালে রোগ সৃষ্টিকারী যে কোনো বিষাক্ত পদার্থকে ভাইরাস বলা হতো। বর্তমানে ভাইরাস বলতে একধরনের অতি ক্ষুদ্র আণুবীক্ষণিক অকোষীয় রোগ সৃষ্টিকারী বস্তুকে বোঝায়। ভাইরাস জৈব রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে গঠিত এবং উপযুক্ত পোষক দেহের (Host Cell) অভ্যন্তরে সংখ্যা বৃদ্ধি করতে সক্ষম বলেই ভাইরাসকে একধরনের জীব হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
উদ্ভিদ, প্রাণী, ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক ইত্যাদি জীবদেহের সজীব কোষে ভাইরাস সক্রিয় অবস্থায় থাকতে পারে। আবার বাতাস, মাটি, পানি ইত্যাদি প্রায় সব জড় মাধ্যমে ভাইরাস নিষ্ক্রিয় অবস্থায় থাকে। উদ্ভিদ ও প্রাণীর বহু রোগের কারণ হলো ভাইরাস।
এ কথা আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি, করোনাভাইরাসের আবির্ভাবের পর থেকেই বিশ্বের বিখ্যাত বিজ্ঞানী এবং শীর্ষস্থানীয় ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলো তাদের মেধা, অভিজ্ঞতা ও শ্রম দিয়ে কার্যকর ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে সফল হয়েছেন। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, আমরা এখনো কেন করোনার চিকিৎসার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো ওষুধ পাচ্ছি না। এ
কটি সফল টিকাদান কর্মসূচি সত্ত্বেও যাদের ক্ষেত্রে টিকা কার্যকর এবং যাদের ক্ষেত্রে টিকা অকার্যকর, টিকাদান নিষিদ্ধ বা যারা টিকা নিতে আগ্রহী নন, তাদের মধ্যে ব্যবধান দূর করার জন্য এবং ভ্যারিয়েন্ট/মিউট্যান্ট ভ্যাকসিন প্রতিরোধী হওয়ার কারণেও অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে।
যদিও বিজ্ঞানীরা ভাইরাসজনিত বিভিন্ন রোগের জন্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের বেশকিছু সমাধান খুঁজে পেয়েছেন; তবে ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকর অনেক অ্যান্টিবায়োটিক থাকলেও অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ তুলনামূলক কম। আমরা জানি, ১৯২৮ সালে স্কটিশ বিজ্ঞানী আলেকজান্ডার ফ্লেমিং পেনিসিলিন আবিষ্কার করেছিলেন এবং ১৯৪০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্বের প্রথম অ্যান্টিবায়োটিক উৎপাদনের মধ্য দিয়ে বেশির ভাগ ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ নিরাময়যোগ্য হওয়ায় চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক ঐতিহাসিক যুগের সূচনা হয়।
বিপরীতে, ১৯৬৩ সালে প্রথম অ্যান্টিভাইরাল, আইডোক্সুরিডিন অনুমোদিত হয়েছিল হার্পিস ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর হওয়ায়। যদিও ১৯৫৯ সালে অ্যান্টিক্যান্সার এজেন্ট হিসাবে এটি উদ্ভাবিত হয়েছিল, তবে মানবকোষের জন্য বিষাক্ত হওয়ায় এর ব্যবহার সীমাবদ্ধ করা হয় শুধু চোখের হার্পিস সংক্রমণে।
একটি ব্রড-স্পেকট্রাম অ্যান্টিবায়োটিক বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু যে ওষুধগুলো একধরনের ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে, সেগুলো অন্যান্য ভাইরাসের চিকিৎসায় খুব কমই কার্যকর। ভাইরাসগুলো ব্যাকটেরিয়ার চেয়ে অনেক বেশি জটিল।
তাই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ আবিষ্কার এত সহজ নয়, এটি জটিল কাজ। ব্যাকটেরিয়া হলো জীবন্ত কোষ, তাদের বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সব বিপাকীয় প্রক্রিয়া বিদ্যমান এবং তাদের কোষপ্রাচীরের মতো বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা মানবকোষে নেই। তাই অ্যান্টিবায়োটিকগুলো মানবদেহের কোষগুলোর ক্ষতি না করে ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীর বা অন্য কোনো নির্দিষ্ট অংশ এবং বিপাকীয় প্রক্রিয়াগুলোয় হস্তক্ষেপ করে তাদের মেরে ফেলতে পারে বা বংশবিস্তার রোধ করতে পারে।
তাছাড়া প্রকৃতিতে অ্যান্টিবায়োটিকের অনেক উৎস রয়েছে। অন্যদিকে ভাইরাস একা বংশবিস্তার করতে পারে না। একটা ভাইরাস থেকে আরেকটা ভাইরাস তৈরির জন্য একটা আশ্রিত কোষ লাগে। ভাইরাস যখন মানবদেহের কোষে ঢুকে পড়ে, তখন আশ্রিত কোষের ক্রিয়াকৌশল (মেকানিজম) ব্যবহার করে নিজের অনুলিপি তৈরি করে। তাই অ্যান্টিভাইরাল এজেন্ট ডিজাইনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- ওষুধগুলো যেন মানবকোষকে আঘাত না করে, তা নিশ্চিত করা।
সাধারণত অ্যান্টিভাইরাল এজেন্টগুলো মানবকোষের ভেতর ভাইরাসের অনুলিপি গঠনে বিভিন্ন ধাপকে বাধাগ্রস্ত করে। আর এ অনুলিপি গঠনের জন্য একটি ভাইরাসকে অবশ্যই প্রথমে আশ্রিত কোষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কোষের ভেতরে প্রবেশ করতে হয়। তারপর ভাইরাসের বহিরাবরণ বা খোলস ভেঙে জেনেটিক উপাদান (ডিএনএ/আরএনএ) মুক্ত করে, আশ্রিত কোষের রাইবোসোম ও নিউক্লিওটাইড (ডিএনএ/আরএনএ’র বিল্ডিং ব্লক) ব্যবহার করে যথাক্রমে ভাইরাল MRNAকে ভাইরাল প্রোটিনে অনুবাদ এবং ভাইরাসের ডিএনএ/আরএনএ’র অসংখ্য অনুলিপি তৈরি করে।
আরএনএ টাইপ ভাইরাসের ক্ষেত্রে (করোনাভাইরাস) প্রতিটি আরএনএ অনুলিপি আলাদাভাবে প্রোটিন দ্বারা মোড়কের মতো আবৃত হয় এবং অগণিত নতুন ভাইরাস সৃষ্টি করে। ভাইরাসের চাপে আশ্রিত কোষ বিদীর্ণ হয়ে নতুন ভাইরাসগুলো অসংখ্য কোষে প্রবেশ করে। সুতরাং ভাইরাসের বংশবিস্তারের প্রায় প্রতিটি ধাপ আশ্রিত কোষের উপাদানগুলোর ওপর নির্ভরশীল। তাদের বংশবিস্তার রোধ করার জন্য অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ যখন সংক্রমিত কোষগুলোর ভেতরে প্রবেশ করে, তখন মানবকোষের স্বাভাবিক ক্রিয়াকলাপের জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াগুলো বাধাগ্রস্ত হয়।
অ্যান্টিভাইরাল অ্যাকশনের একটি সাধারণ পদ্ধতি হলো নতুন ভাইরাল জিনোম গঠনের জন্য এর অনুলিপি করার ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা। ভাইরাসগুলো এ কাজের জন্য তাদের নিজস্ব প্রোটিন পলিমারেজ এনজাইমকে ব্যবহার করে। উদাহরণস্বরূপ, হার্পিসের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত ড্রাগ ‘অ্যাসাইক্লোভির’ যা নিউক্লিওসাইড এনালগ। তাই এটি ডিএনএ বা আরএনএ’র অনুলিপি তৈরির বিল্ডিং ব্লক হিসাবে ব্যবহৃত নিউক্লিওটাইডের মতো দেখায়। ফলে পলিমারেজ এনজাইম ওষুধটিকে নিউক্লিওটাইড ভেবে ক্রমবর্ধমান ডিএনএ বা আরএনএ স্ট্র্যান্ডে যুক্ত করে।
অ্যাসাইক্লোভির একবার ক্রমবর্ধমান ডিএনএ স্ট্র্যান্ডে যুক্ত হলে পলিমারেজ এনজাইম আর কোনো নিউক্লিওটাইড যুক্ত করতে পারে না। ফলে ডিএনএ স্ট্র্যান্ড তৈরি অসম্পূর্ণ থেকে যায়। ফলে ভাইরাসটির খেলা এখানেই শেষ! কিন্তু ‘অ্যাসাইক্লোভির’ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর নয়। চতুর এ ভাইরাসের এক্সোরাইবোনিউক্লিয়েজ এনজাইম (এডিটর) তৈরি হয়, যা অনুলিপিকরণের সময় পলিমারেজের কাজ পর্যবেক্ষণ করে ক্রমবর্ধমান আরএনএ স্ট্র্যান্ডে যুক্ত হওয়া অ্যাসাইক্লোভিরকে শনাক্ত করে এবং স্ট্র্যান্ড থেকে সরিয়ে ফেলে। নিউক্লিওসাইড এনালগ টাইপের ওষুধগুলো প্রায়ই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে মানবকোষগুলোরও ক্ষতি করে। কারণ মানবকোষের ডিএনএ’র অনুলিপির সময়ও ওষুধগুলো যুক্ত হতে পারে!
এবার রেমডেসিভিরের কথায় আসা যাক। ইবোলার চিকিৎসার জন্য তৈরি রেমডেসিভিরও অ্যাসাইক্লোভিরের মতো নিউক্লিওটাইড এনালগ হলেও একটু আলাদা প্রকৃতির। এ ওষুধটি ইবোলার বিরুদ্ধে ততটা কার্যকর না হলেও সার্স (SARS-CoV) ও মার্সের (MERS-CoV) বিরুদ্ধে কার্যকারিতা থাকায় করোনার চিকিৎসায় প্রয়োগ করা হয়। কোভিড-১৯ দ্বারা আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১ হাজার ৬২ জনের ওপর একটা ট্রায়ালে দেখা যায়, যাদের চিকিৎসায় রেমডেসিভির দেওয়া হয়নি তাদের তুলনায় রেমডেসিভির গ্রহণকারীরা দ্রুত আরোগ্য লাভ করেছে।
চিকিৎসকরা দাবি করেন, রেমডেসিভির করোনাভাইরাসের বৃদ্ধি ও বিস্তার রোধে সক্ষম। এমনকি ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা সংকটাপন্ন রোগীদের ওপরও কাজ করতে পারে এ ড্রাগ (নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন)। এটি এবং দুটি অনুরূপ গবেষণার ভিত্তিতে, ইউএস ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য রেমডেসিভিরের অনুমোদন দেয়। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির আরএনএ স্ট্র্যান্ডের বৃদ্ধি সরাসরি থামায় না।
ক্রমবর্ধমান আরএনএ স্ট্র্যান্ডে রেমডেসিভির যুক্ত হওয়ার পর এক্সোরাইবোনিউক্লিয়েজ এনজাইম (এডিটর) সেটাকে সরিয়ে দিতে পারে না এবং পলিমারেজ এনজাইম স্বাভাবিকভাবে নিউক্লিওটাইড যুক্ত করতে থাকে। তবে কয়েকটি যুক্ত হওয়ার পর রেমডেসিভির আরএনএ স্ট্র্যান্ডকে এতটাই বাঁকিয়ে দেয় যে, পলিমেরেজ এনজাইম আর নিউক্লিওটাইড যুক্ত করতে পারে না। ফলে আরএনএ স্ট্র্যান্ড তৈরি অসম্পূর্ণ থেকে যায়।
মানবদেহে রেমডেসিভির ওষুধের পরীক্ষা গোটা বিশ্বেই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তার নিজস্ব প্রাথমিক গবেষণার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, রেমডেসিভির করোনা রোগীদের শারীরিক অবস্থার বিশেষ কোনো উন্নতি করে না এবং অনেকের মধ্যে এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা গেছে। তাই সংস্থাটি আপাতত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের রেমডেসিভির না দেওয়ার সুপারিশ করেছে, যতক্ষণ না আরও গবেষণা হচ্ছে।
তারা এও জানিয়েছে, রেমডিসিভির রোগীদের বাঁচিয়ে রাখার এবং অন্যান্য ফলাফলের উন্নতি করার কোনো প্রমাণ নেই। আসলে অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ ভাইরাল ইনফেকশনের প্রথমদিকে নিলে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। যেহেতু রেমডেসিভিরের অনেক ডোজ ইনজেকশনের মাধ্যমে নিতে হয়, তাই সাধারণত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা এ চিকিৎসা পেয়ে থাকে।
হাসপাতালে রোগী যখন ভর্তি হয়, ততক্ষণে ভাইরাসটি তাদের দেহজুড়ে প্রচুর পরিমাণে ছড়িয়ে পড়ে, রেমডেসিভিরের প্রয়োগ অনেক দেরি হয়ে যায় এবং স্বাভাবিকভাবেই ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না। তাছাড়া ওষুধটি উৎপাদন করা কঠিন ও ব্যয়বহুল। ‘গেমচেঞ্জার’ তখনই হবে যখন মুখেই নেওয়ার একটা অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ পাওয়া যাবে, রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে যেটি বাড়িতেই নেওয়া যাবে।
রিমডেসিভির আবিষ্কারক প্রতিষ্ঠান ‘গিলিয়েড সায়েন্সেস’ অ্যান্টিভাইরাল ইনহেলার নিয়ে কাজ করছে এবং পাইপলাইনে রয়েছে অন্যান্য অ্যান্টিভাইরাল। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায় AT-527 (নিউক্লিওটাইড এনালগ)-এর কথা, যা এখন মানব ট্রায়ালের শেষ পর্যায়ে। এটা মুখে নেওয়ার ট্যাবলেট। তারা আশাবাদী যে, ওষুধটা হাসপাতালে বা বাড়িতে থাকা উভয় রোগীরা একইভাবে নিতে পারবে এবং কোভিড-১৯ আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা তাদের সংক্রমণ রোধে শুরুতেই সেবন করতে পারবে।
মোলনুপিরভির আরেকটি অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ, যা মূলত ইনফ্লুয়েঞ্জার চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। প্রাথমিক ক্লিনিকাল ট্রায়ালে যৌগটি করোনার বিরুদ্ধে অত্যন্ত কার্যকর হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। মার্কিন সরকার ইতোমধ্যে আশাবাদী এবং সম্প্রতি এক বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের প্রায় ১.৭ মিলিয়ন ডোজ মজুদ করেছে।
এটি নিউক্লিওটাইড এনালগ হলেও পলিমারেজ এনজাইমের কাজকে বাধাগ্রস্ত করে না এবং আরএনএ স্ট্র্যান্ডের অনুলিপিতে নিউক্লিওটাইডরূপি মোলনুপিরভির সাধারণ নিউক্লিওটাইডগুলোর সঙ্গে বিল্ডিং ব্লক হিসাবে যুক্ত হতে থাকে, ফলে আরএনএ স্ট্র্যান্ডের অনুলিপিতে মিউটেশন ঘটে। এ ভাইরাল আরএনএ যখন নতুন ভাইরাস তৈরির জন্য আরএনএ’র অনুলিপি তৈরি করতে যায়, তখন এতে অসংখ্য ত্রুটি (তথাকথিত মিউটেশন) থাকায় ভাইরাস আর বংশবিস্তার করতে পারে না। এটিও মুখে সেবনযোগ্য ওষুধ এবং এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম।
কোটি কোটি মানুষকে টিকা দেওয়ার পরও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় মুখে সেবনযোগ্য খুবই কার্যকর ওষুধ আবিষ্কারের জন্য ৩০০ কোটি ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করার ঘোষণা দিয়েছেন। এ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত ওষুধশিল্পের শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞানী এবং অন্যান্য গবেষকের সহযোগিতার মাধ্যমে উদ্ভাবিত অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত মানুষের গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু ঠেকাতে সক্ষম হবে বলে তারা আশাবাদী।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের বড় বড় আবিষ্কার আমাদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে সহায়তা করছে। অল্প সময়ের মধ্যে টিকা উদ্ভাবনে যে সফলতা এসেছে, সেই ধারাবাহিকতায় কার্যকর অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ আবিষ্কারের মাধ্যমে করোনা থেকে মুক্ত হোক পৃথিবী-এ প্রত্যাশা আমাদের সবার।
ড. মো. একরামূল ইসলাম : অধ্যাপক, ফার্মেসি বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
ekram@ru.ac.bd