Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Icon

তোফায়েল আহমেদ

প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২১, ০২:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের সূতিকাগার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালির জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের সূতিকাগার। এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮-এর ১১ মার্চ মহান ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয়।

’৫২-এর ২১ ফেব্রুয়ারি অন্যতম রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ও প্রিয় মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার সমুন্নত রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাই ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে শহীদী মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে অগ্রবর্তী ভূমিকা পালন করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল বলেই আজ ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে বিশ্বব্যাপী সগৌরবে পালিত হয়।

গর্ব করেই বলতে চাই, সেকালের ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের প্রায় সবাই ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র। জাতির পিতার নেতৃত্বে সূচিত মহান ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ৬ দফা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণআন্দোলন ও ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারী সবারই ভূমিকা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় ও স্বাধীন বাংলাদেশে যত প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম সংগঠিত হয়েছে, তার পুরোভাগে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাগ্রত ছাত্রসমাজ।

আমি ১৯৬৪-৬৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি, ’৬৬-৬৭-তে ইকবাল হল (বর্তমান শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি, ’৬৭-৬৮-তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হই। এরপর ’৬৯-এর জুনে অনুষ্ঠিত ছাত্রলীগের যে সম্মেলনে আমি সভাপতি নির্বাচিত হই, সে সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু প্রধান অতিথি ছিলেন।

আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করে বলেছিলেন, ‘বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে যেও। এই ছাত্রলীগ ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে অনেক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তোমাদের নেতৃত্ব দিতে হবে।’ বঙ্গবন্ধুর সেই নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সৌভাগ্যের অধিকারী হয়ে মুজিব বাহিনীর ৪টি সেক্টরের একটির ৮টি জেলার অধিনায়কের দায়িত্ব পালনের দুর্লভ সুযোগ অর্জন করেছিলাম।

বঙ্গবন্ধু যখন ৬ দফা দেন, আমি তখন ইকবাল হলের সহ-সভাপতি। ইকবাল হলে বসেই ৬ দফার পক্ষে আমরা আন্দোলনের পরিকল্পনা গ্রহণ করি। আমার কক্ষ নম্বর ছিল ৩১৩। এ কক্ষে প্রায়ই থাকতেন শ্রদ্ধেয় নেতা সর্বজনাব শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান ও আবদুর রাজ্জাক।

৬ দফা দিয়ে বঙ্গবন্ধু আমাদের বলেছিলেন, ‘সাঁকো দিলাম স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতায় উন্নীত হওয়ার জন্য।’ অর্থাৎ এ ৬ দফার সিঁড়ি বেয়ে তিনি স্বাধীনতায় পৌঁছবেন। ’৬৮-এর ১৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্তি দিয়ে জেলগেটেই আবার গ্রেফতার করা হয়। ওইদিনই আমি ডাকসুর ভিপি হয়েছিলাম। কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বসে বঙ্গবন্ধু চিঠি লিখে বিশ্বস্ত এক কারারক্ষীর মাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন।

চিঠিতে লিখেছিলেন, ‘স্নেহের তোফায়েল, আমার দোয়া ও আদর নিস। আজ তুই ডাকসুর ভিপি হয়েছিস আমি ভীষণ খুশি। আমি মনে করি, এবারের এ ডাকসু বাংলার গণমানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবে এবং সেই নেতৃত্বের পুরোভাগে থাকবি তুই। ইতি, -মুজিব ভাই।’

স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে ’৬৯-এর অগ্নিঝরা দিনগুলোর কথা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ডাকসুসহ ৪টি ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে ঐতিহাসিক ১১ দফার ভিত্তিতে ’৬৯-এর ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয় সর্বদলীয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। ১১ দফা রচনার পর দল-মতের ভিন্নতা সত্ত্বেও আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। আমার কক্ষে বসেই আমরা ১১ দফার ভিত্তিতে গণআন্দোলনের পরিকল্পনা গ্রহণ করি।

আজ যখন স্মৃতিকথা লিখছি, বারবার মনে পড়ছে ’৬৯-এর ১১ দফা আন্দোলনের প্রণেতা ছাত্রলীগ সভাপতি প্রয়াত আব্দুর রউফ ও সাধারণ সম্পাদক খালেদ মোহাম্মদ আলী; ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া গ্রুপ) সভাপতি প্রয়াত সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক ও সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দোহা; ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন গ্রুপ) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল্লাহ; এবং এনএসএফ-এর একাংশের সভাপতি প্রয়াত ইব্রাহিম খলিল ও সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম মুন্সীর কথা।

এ ছাত্রনেতাদের প্রত্যেকেই ছিলেন খ্যাতিমান।

আমি ডাকসুর ভিপি হিসাবে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক ও মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করি। আমার সঙ্গে ছিলেন ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক নাজিম কামরান চৌধুরী। ১১ দফা প্রণয়নের আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে বৈঠকের পর বৈঠক করে আমরা ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছি। আন্দোলনের কৌশলগত দিক নিয়ে আলোচনা, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করেছি।

যে ৪টি ছাত্র সংগঠন একত্রিত হয়ে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে জাতির সামনে ১১ দফা দাবি পেশ করেছিলাম তাদের মধ্যে মত ও পথের পার্থক্য সত্ত্বেও একই টেবিলে বসে আমরা ১১ দফা দাবি প্রণয়ন করেছি। নিজেদের মধ্যে ঐক্যের দিকগুলো প্রাধান্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছি। ছাত্র সমাজের সাধারণ সমস্যাগুলো সামনে নিয়ে এসেছি। সবার চিন্তাধারাকে সমন্বিত করেছি।

আমাদের সময়ে ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক বিভেদ থাকলেও নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল মধুর। ৬ দফা সবাই সমর্থন করত না। ছাত্র ইউনিয়ন মেনন গ্রুপ ৬ দফা সমর্থন করত না।

অপরদিকে ছাত্র ইউনিয়ন মতিয়া গ্রুপ ৬ দফা সমর্থন করত। আবার উভয় গ্রুপই বঙ্গবন্ধুর মুক্তির প্রশ্নে এককভাবে তার নাম দিতে রাজি হয়নি। পরে বঙ্গবন্ধুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতেই আন্দোলন কেন্দ্রীভূত হয়েছে, গতিশীলতা লাভ করেছে। দেশব্যাপী এমন একটি জনসমর্থিত তুমুল গণআন্দোলন সংগঠিত করতে পেরেছিলাম কেবল মানুষের সুবিপুল আস্থা আর বিশ্বাস আমাদের ওপর ছিল বলেই। আমরা মানুষের বিশ্বাসের মর্যাদা দিয়েছি। যেমন শহিদ মতিউরের মা ক্রন্দনরত অবস্থায় বলেছিলেন, ‘আমার সন্তানের রক্ত যেন বৃথা না যায়।’ আমরা মতিউরের রক্ত বৃথা যেতে দেইনি।

আমি শিক্ষকদের অপার স্নেহ-ভালোবাসা পেয়েছি। সবাই আমাকে ভালোবাসতেন। আমাদের ১১ দফা আন্দোলন চলাকালে শিক্ষকদের নৈতিক সমর্থন ও আর্থিক সহায়তা পেয়েছি।

’৬৯-এর গণআন্দোলনে শিক্ষকরা সামনের সারিতে ছিলেন। সেকালে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক ছিল পবিত্র। আসলে সে দিনগুলোই ছিল বড় পবিত্র। সবার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সুমধুর। হলে মিটিং করতাম একত্রে। কারও সঙ্গে কোনো বিবাদ বা কোন্দল ছিল না।

একমাত্র সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠন ‘ন্যাশনাল স্টুডেন্ট ফেডারেশন’ তথা ‘এনএসএফ’ ছাড়া অন্য কোনো প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক ছাত্র সংগঠন ঝগড়া-মারামারি কাকে বলে, তা আমরা জানতাম না। ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট কী, কোথায় আমরা চিনতাম না। শিক্ষকরা আমাদের পুত্রতুল্য মনে করতেন। আমরাও শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকদের পিতৃতুল্য জ্ঞান করতাম।

শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক ড. বজলুল করিম ছিলেন আমার বিভাগের প্রধান। দেশ স্বাধীনের পর তিনি পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন। আমার হলের আবাসিক শিক্ষক ছিলেন ইয়াজউদ্দীন সাহেব (পরে যিনি বিএনপি দলীয় রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন)।

’৬৯-এর গণআন্দোলনের জন্য মানুষের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে আমরা যে তহবিল গঠন করি, তা ইয়াজউদ্দীন স্যারের কাছে জমা রাখতাম এবং সেখান থেকে খরচ করতাম। আমার শিক্ষক ছিলেন শ্রদ্ধেয় ড. আমিনুল ইসলাম স্যার, পরে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হন। ইকবাল হলের প্রভোস্ট ছিলেন শ্রদ্ধাভাজন ড. আজিজুল হক ও বোস প্রফেসর আব্দুল মতিন চৌধুরী।

মনে পড়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক শ্রদ্ধেয় আবুল খায়ের স্যারের কথা। ’৬৯-এর গণআন্দোলন চলাকালে তিনি আমাদের ২০০ টাকা দিয়েছিলেন। ’৭১-এ মহান মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের অংশ হিসাবে ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে তাকে অপহরণ ও নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

১৯৭১-এর ২৫ মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী ঢাকার চারটি স্থানকে টার্গেট করে- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর বাসভবন, তৎকালীন ইপিআর ক্যাম্প (বর্তমান বিজিবি সদর দপ্তর) ও রাজারবাগ পুলিশ লাইন গণহত্যা শুরু করে। গণহত্যার সেই বিভীষিকাময় রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ছাত্রাবাসগুলো ও মধুর ক্যান্টিন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর রোষানলে পড়ে।

গণহত্যা শুরুর প্রথম প্রহরেই ইকবাল হলে শহিদ হন ছাত্রলীগ নেতা সহযোদ্ধা জাফর আহমদ ও হেলালুর রহমান চিশতী। পাকিস্তান বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহিদ হন মধু’দা, তার স্ত্রী, বড় ছেলে ও তার নববিবাহিত স্ত্রী। আমরা যারা ষাটের দশকে ছাত্ররাজনীতি করেছি, তাদের কাছে শহিদ মধুসূদন দে তথা মধুদা সুপরিচিত ও শ্রদ্ধাভাজন এক নাম।

আমি যখন ইকবাল হলের ভিপি, ডাকসুর ভিপি ও পরে ছাত্রলীগের সভাপতি; তখন মধুর ক্যান্টিন ছিল আমাদের রাজনৈতিক আলাপ-আলোচনা ও সভা-সমাবেশের কেন্দ্রবিন্দু। এ মধুর ক্যান্টিনে বসেই আমরা বহু রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি-যা আজ ইতিহাসের বিষয়বস্তু। উনসত্তরের গণআন্দোলন-গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্রলীগের সভাপতি হিসাবে এই মধুর ক্যান্টিনে আমরা অগণিত সভা ও নিজেদের মধ্যে বিস্তর আলাপ-আলোচনা করেছি। আলোচনা সভায় সমবেত ছাত্রদের আপ্যায়ন করার দায়িত্ব নেতাদের থাকলেও কাজটি পরম মমতায় যিনি করতেন, তিনি আমাদের সবার শ্রদ্ধেয় মধুদা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমার অনেক স্মৃতি, স্বল্প পরিসরে যা ব্যক্ত করা সম্ভব নয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকদের প্রদত্ত শিক্ষাই আমার চলার পথের পাথেয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আমার যে ঋণ, তা কখনোই পরিশোধ যোগ্য নয়। বলার অপেক্ষা রাখে না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলেই আমাদের জাতীয় মুক্তিসংগ্রাম পরিপূর্ণতা পেয়েছিল।

আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম বলেই এ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবন দিয়ে আরও অনেকের মতো আমিও জাতীয় মুক্তি আন্দোলনে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিলাম। প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় শতবর্ষপূর্তিতে প্রাণঢালা অভিনন্দন ও আন্তরিক কামনা- প্রিয় এ বিদ্যাপীঠ যেন শতাব্দী প্রাচীন গৌরবময় ঐতিহ্য ধারণ ও লালন করে সামনে এগিয়ে যেতে পারে।

তোফায়েল আহমেদ : আওয়ামী লীগ নেতা; সংসদ সদস্য; সভাপতি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি

tofailahmed69@gmail.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম