এবারও কি নিরানন্দের ঈদ ?

ড. আর এম দেবনাথ
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলা বৈশাখ মাসের প্রায় মাঝামাঝি, সেই সঙ্গে পবিত্র রমজান মাসেরও। আমরা পেছনে ফেলে এসেছি বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ, পাহাড়ি ভাইবোনদের ‘বৈসাবী’ উৎসব। এরও আগে চৈত্রসংক্রান্তি এবং এর সঙ্গে সম্পর্কিত নানা উৎসব-মেলা। এখন সারা দেশে কৃষক ভাইয়েরা আমাদের প্রধান ধানী ফসল ‘বোরো’ তুলতে ব্যস্ত। বলা হচ্ছে, বাম্পার ফলন হয়েছে এবার। সরকার প্রস্তুতি নিচ্ছে ১০-১৫ লাখ টন খাদ্য সংগ্রহের জন্য। আবার পবিত্র ঈদ, দেশের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব সামনে। ঘটনাক্রমে সরকারের রাজস্ব বছর শুরু হতে দেরি নেই। মাস দেড়েক বাদেই সরকার নতুন অর্থবছরের (২০২১-২২) বাজেট সংসদে পেশ করবে।
এবার হবে ‘গরিবের বাজেট, জীবন-জীবিকার বাজেট’- তা-ই বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এতসব উল্লেখযোগ্য দিবস, উৎসব, মেলা, নতুন ধান ওঠার মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড থাকার কথা ছিল তুঙ্গে। ‘ক্যাশ’ বা ‘নগদের’ ছড়াছড়ি থাকার কথা ছিল অর্থনীতিতে। সারা দেশের ছোট, মাঝারি শিল্প-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানদার, দোকান কর্মচারী, হাজার ধরনের পেশাজীবীর জীবন থাকার কথা ছিল কর্মচঞ্চল। সেই সঙ্গে শ্রমজীবী মানুষের জীবনেও থাকার কথা ছিল আনন্দ। অর্থনীতির অবস্থা থাকার কথা রমরমা। প্রশ্ন, তা কি আছে? এক কথায় এর উত্তর দেওয়া যায়। চোখ বুজে বলা যায়- চীনের উহান থেকে আগত করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের জীবন-জীবিকাকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা সামলিয়ে আমরা যখন ঘুরে দাঁড়াচ্ছিলাম তখন হঠাৎই বেড়ে যায় এ ভয়াবহ রোগের আক্রমণ, যা আগের চেয়ে মারাত্মক। এখন নতুন করে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। হাসপাতালে জায়গা নেই, অক্সিজেন নেই। চারদিকে অভাব-অনটন, উদ্বেগ-দুশ্চিন্তা। যখন লিখছি, তখন চলছে কড়া ‘লকডাউন’। শুরু হয়েছে নববর্ষের প্রথম দিনে। চলার কথা ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত। দোকানপাট, বাস-ট্রাক সব বন্ধ। এরই মধ্যে ঘোষণা এসেছে, ২৫ তারিখ থেকে দোকানপাট খুলবে। কী অবস্থা হবে ব্যবসা-বাণিজ্যের, কী অবস্থা হবে শ্রমজীবী মানুষসহ অগণিত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের?
নববর্ষ, চৈত্রসংক্রান্তিকে কেন্দ্র করে যে ব্যবসা হয়, তা এবার হতে পারেনি। চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষ্যে সারা দেশে মেলা হয়। এসবে গ্রামীণ কুটিরশিল্পের নানা সামগ্রী বেচাকেনা হয়। মাটির তৈরি পুতুল, কলসি, টব ইত্যাদি মেলায় ওঠে। চড়ক মেলা হয় জায়গায় জায়গায়। বলা বাহুল্য, এসব উপলক্ষ্যে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা হয়। এতে গ্রামাঞ্চলে ‘ক্যাশের’ আমদানি হয়। উপকৃত হয় গ্রামীণ শিল্পী শ্রেণি। কিন্তু মার্চ থেকে শুরু হওয়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এ ব্যবসায় নেমে আসে ধস। হাজার হাজার, লাখ লাখ মানুষের জীবিকা নির্বাহ করা হয়ে ওঠে কঠিন। তারপর পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে বেশ কিছু বছর ধরে সারা বাংলাদেশ নতুন সাজে উজ্জীবিত হয়। বৈশাখী মেলা হয়। ‘ছায়ানটের’ বর্ষবরণ হয়। বাড়িতে বাড়িতে নতুন জামাকাপড় কেনার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। শাড়ির চাহিদা, পাঞ্জাবির চাহিদা, সালোয়ার-কামিজের চাহিদা বিশাল আকারে বাড়ে। ফুলের ব্যবসা প্রচুর। মাছ, মাংস, মিষ্টি, দইয়ের ব্যবসা তুঙ্গে ওঠে। এবার সবই তছনছ। টাঙ্গাইল, পাবনার তাঁতিরা পথে বসেছেন। লাখ লাখ, কোটি কোটি টাকার ব্যবসা তাদের লাটে উঠেছে। টাঙ্গাইল, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ইত্যাদি স্থানে হাজার হাজার পরিবার তাঁতের ওপর নির্ভরশীল। আগের বারের পহেলা বৈশাখে, পবিত্র ঈদে তারা মার খেয়েছে। উৎপাদিত শাড়ির অর্ধেকও বিক্রি হয়নি। পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হওয়ায় বেচাকেনা একটু বাড়ছিল। নতুনভাবে তারা আবার আশায় বুক বেঁধেছিলেন। নতুন স্টক গড়ে তুলেছিলেন। সবই ২০২০ সালের মতো এবারও ভেস্তে গেছে। তাঁতিরা পহেলা বৈশাখে শুধু নয়, রমজান মাসে বিক্রির জন্যও নতুন নতুন স্টক গড়ে তুলেছিলেন। এতে ব্যাংক ঋণ আছে, মহাজনী ঋণ, সুতা, রঙের ঋণের টাকা আছে। তারা এখন দুশ্চিন্তায়। ‘লকডাউনে’ তাদের বেচাকেনা বন্ধ। পাইকারি, খুচরা দোকান বন্ধ। শাড়ি নয় শুধু, পহেলা বৈশাখ ও পবিত্র রমজান মাসের শেষে ঈদ উৎসব উপলক্ষ্যে চাহিদা বাড়ে পাঞ্জাবির। রেডিমেড জামাকাপড়ের পাশাপাশি বানানো পোশাকের চাহিদা বাড়ে। এতে কাটপিসের বাজার জমে ওঠে। টেইলার ও তাদের সহযোগীদের তখন ‘নাওয়া-খাওয়ার’ সময় থাকে না। ফ্যাশন হাউজগুলো থাকে ব্যস্ত নতুন নতুন ডিজাইন নির্মাণে। ২০২০ সালে তারা মার খেয়েছেন। এবারও তাদের একই অবস্থা। ফ্যাশন হাউজগুলো ক্ষতির সম্মুখীন। দর্জিদের কাজে পড়েছে ভাটা। কাটপিসের বাজারে নেই ক্রেতাদের আনাগোনা। পহেলা বৈশাখ ও ঈদ উপলক্ষ্যে শাড়ি ও পাঞ্জাবি-পায়জামার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা বাড়ে জুতা ও প্রসাধন সামগ্রীর। বাড়ে গহনার চাহিদা। এখন এসবের চাহিদা একদম গ্রাম পর্যন্ত।
মানুষ এখন ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ নতুন নতুন ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র কেনে। এসবও এখন দেশে তৈরি হয়। মানুষ আসবাবপত্র কেনে। ‘ব্র্যান্ডেড’ আসবাবপত্র তো আছেই, মধ্যবিত্তের জন্য গড়ে উঠেছে পান্থপথ ও মিরপুরে বিশাল আসবাবপত্রের বাজার। ‘লকডাউনের’ কারণে এসবের বাজারে নেমে এসেছে মন্দা। অনিশ্চয়তার বাজার। এসব ব্যবসায় প্রচুর ব্যাংক ঋণ নিয়োজিত, মহাজনী ঋণ জড়িত। এ ঋণ আদায় অনিশ্চিত।
রোজার মাসে সারা দেশে ইফতারের বাজার গড়ে ওঠে। হাজার হাজার, লাখ লাখ কর্মহীন, বেকার মানুষ ফুটপাতে দোকান দিয়ে নানা স্বাদের ইফতার সামগ্রী বিক্রি করে। এতে তাদের ঈদের খরচটা ওঠে। অনেকের কিছু লাভ ও উদ্বৃত্ত থাকে। ঈদের বাজারের মধ্যে পুরান ঢাকার মৌলভীবাজার, রায় সাহেবের বাজার প্রসিদ্ধ, প্রসিদ্ধ নতুন ঢাকার বেইলি রোডের বাজার। হাজার হাজার ইফতারের দোকানের ব্যবসা এখন অনিশ্চিত। মানুষ এখন ফলের দিকে ঝুঁকেছে। এতে ফলের বাজারটা একটু ভালো। আঙুর, বেদানা, নাশপাতি, আপেল, বাঙ্গি, তরমুজ, পেয়ারার বাজার ভালো যাচ্ছে।
দেখা যাচ্ছে, সারা দেশের হাজার হাজার, লাখ লাখ ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান, মাঝারি প্রতিষ্ঠান, ছোট ছোট উৎপাদক, বিক্রেতা, গ্রামীণ শিল্পীর জীবন ও জীবিকা বড় হুমকির মধ্যে এবং এ অবস্থা ২০২০ সালের মার্চে থেকে। মাঝখানে একটু বিরতি দিয়ে আবার এর তাণ্ডব নতুন করে শুরু হয়েছে। কামার, কুমার, তাঁতি ইত্যাদি পেশার লোকরা এমনিতেই বিদেশি প্রতিযোগিতার সম্মুখীন, এখন তারা করোনার তাণ্ডবে বিপর্যস্ত। এরই মধ্যে যদি দোকানপাট খোলে এবং দোকানিরা যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভাঙা হাটে ঈদের আগ পর্যন্ত অন্তত ১৫ দিনও বেচাকেনা করতে পারে, তাহলেও হয়তো কিছুটা রক্ষা পাবে তারা।
কিন্তু প্রশ্ন, লকডাউন কি অব্যাহত থাকবে? বাস, লঞ্চ, ট্রেন ইত্যাদি কি স্বাভাবিকভাবে চলবে? বলা বড়ই মুশকিল। করোনা পরিস্থিতি জটিল। প্রতিবেশী দেশ ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। অক্সিজেনের অভাবে হাসপাতালে রোগী মারা যাচ্ছে। আমাদের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। এরই মধ্যে যদি ছোট ছোট দোকানি, তাঁতি, ফ্যাশন হাউজ, শাড়ি-লুঙ্গি বিক্রেতা, দর্জি, হেয়ার ড্রেসাররা কিছুদিন বেচাকেনা করতে পারে, তাহলেও হয়তো কিছুটা আশার আলো দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাধা অনেক। মানুষের হাতে টাকা নেই। আমার পরিচিত এক শাড়ির দোকানদার, যার ব্যবসা মফস্বল-উপজেলা শহরে, সে বলল, ব্যবসার অবস্থা গেল বছরের চেয়েও খারাপ। যে স্টক সে গড়ে তুলেছিল তা বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা কম। লকডাউনে দোকানিরা চোরাগোপ্তাভাবে কিছু কিছু পণ্য বিক্রি করে। কিন্তু এবার বেচাকেনা কম। তার মতে, লোকের হাতে টাকা নেই। কিছু পয়সা আছে প্রবাসী পরিবারের কাছে। বলতে গেলে ভালো পয়সাই। পহেলা বৈশাখ, রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে এবার প্রবাসীরা এপ্রিলের ১৫ তারিখের মধ্যেই প্রচুর ডলার দেশে পাঠিয়েছে। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, রেমিটেন্সের টাকা বা প্রবাসী আয় দেশের সব অঞ্চলে আসে না। দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল এ থেকে বলা যায় প্রায় বঞ্চিতই। এ ছাড়া এখন লাখ লাখ মানুষ কর্মচ্যুত, চাকরিচ্যুত, বেকার এবং তা গেল বছর থেকেই। অনেকেই অর্ধেক বেতনে কাজ করে। এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, দেশে নতুন করে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা হয়েছে ২ কোটি ৪৫ লাখ। পুরোনো দরিদ্র মোট জনসংখ্যার প্রায় ২০ শতাংশ। নতুন দরিদ্রদের মধ্যে শহুরে লোকজন অনেক। এতে মধ্যবিত্ত, নিুবিত্তরাও যোগ হচ্ছে। বহু লোক শহর ছাড়ছে। বহু লোকের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ। খরচ কমাতে কমাতে তারা দারিদ্র্যের দ্বারপ্রান্তে। মধ্যবিত্ত হয়েছে নিুমধ্যবিত্ত, নিুমধ্যবিত্ত হয়েছে নিুবিত্ত, নিুবিত্ত হয়েছে দরিদ্র। নতুন ও পুরোনো মিলে এখন দরিদ্র জনসংখ্যার আকার হবে বিশাল। লক্ষ করার মতো বিষয় হচ্ছে, ধনাঢ্য ব্যক্তি ও উচ্চবিত্তদের খরচ কমেছে, আয় বেড়েছে। বিপরীতে মধ্যবিত্ত, নিুবিত্ত ও গরিব মানুষের আয় কমেছে, কিন্তু খরচ বেড়েছে। ধনাঢ্য ব্যক্তিদের এখন খরচ করার জায়গা নেই। বিদেশ ভ্রমণ সীমিত, হোটেল-রেস্তোরাঁ খরচ কম। বিনোদন খরচ কম। তাই তাদের খরচ কমেছে, সঞ্চয় বেড়েছে; কিন্তু গরিবদের খরচ বেড়েছে। আরেক শ্রেণির ছোট ছোট ব্যবসায়ী, দোকানদার আছে, যাদের আয়ে কোনো ঘাটতি হয়নি। কাঁচামালের দোকানদারদের আয়ে ঘাটতি হয়নি। মসলাপাতি, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দোকানদারদের ব্যবসায় ঘাটতি নেই।
মানুষের আয় যত কমই হোক তাকে চাল, ডাল, নুন, তেল ইত্যাদি নিত্যভোগ্যপণ্য কিনে খেতেই হবে। শাকসবজি, সামান্য হলেও মাছ-মাংস খেতেই হবে। এ কারণে কিছু দোকানদারের অনেক রমরমা ব্যবসা। রমরমা ব্যবসা নিত্যভোগ্যপণ্য আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীদের। তাদের আয়-সম্পদ নিশ্চিতভাবেই বেড়ে যাচ্ছে। এরা ঈদের বাজারে থাকতে পারবেন। কৃষকরা যারা নতুন ধান তুলছেন, তাদের কপালে কী আছে বলা মুশকিল। তারা কি কিছু ধান এখন বিক্রির জন্য বাজার পাবেন? আমি নিশ্চিত নই। যারা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাদের বেতন-ভাতা ঠিকই আছে। তারা বাজারে যাবেন, যদি লকডাউন না থাকে অথবা তা শিথিল করা হয়। বেসরকারি খাতের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ বেতন-ভাতা পাবেন। এবং উভয় ধরনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরই পাওয়ার কথা ঈদের বোনাস। এসব টাকা বাজারে গেলে বাজার কিছুটা চাঙ্গা হতে পারে।
আরেক শ্রেণির ব্যবসায়ী চুটিয়ে ব্যবসা করছেন, যারা চিকিৎসা সামগ্রী বিক্রি করেন। বলা যায়, এ খাতে প্রচুর টাকা আছে। সরকার প্রচুর ব্যয় করছে, উচ্চবিত্তরাও এ খাতে খরচ করছে। এরা বাজারে গেলে নিশ্চিতভাবেই বাজার কিছুটা প্রাণ পাবে। কিন্তু এতে কি সাধারণ মানুষ, ছোট ছোট ব্যবসায়ী, মাঝারি ব্যবসায়ী, কর্মচ্যুত, চাকরিচ্যুত, শ্রমজীবী এবং হাজার ধরনের স্বনিয়োজিত লোকের ঈদের বাজার করা হবে? আমি নিশ্চিত নই। সরকার বলছে, ‘জীবন ও জীবিকার’ বাজেটের কথা। কিন্তু জীবিকা তো দুই ধরনের। ধনীদের জীবিকা, গরিবের জীবিকা। গরিবের জীবিকা, ঈদ, দৈনন্দিন খরচের দায়িত্ব কে নেবে? ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
rmdebnath@yahoo.com