Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

স্বদেশ ভাবনা

বাহ্যিক উৎসব নেই, আছে অফুরন্ত প্রাণশক্তি

Icon

আবদুল লতিফ মন্ডল

প্রকাশ: ১৫ এপ্রিল ২০২১, ০২:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বাহ্যিক উৎসব নেই, আছে অফুরন্ত প্রাণশক্তি

করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছরের মতো এ বছরও আমরা আমাদের প্রাণপ্রিয় বর্ষবরণ উৎসবটি আনন্দমুখর পরিবেশে উদযাপন করতে পারিনি।

ঘরে বসেই আমাদের নববর্ষকে বরণ করতে হয়েছে। অনলাইনে অনুষ্ঠিত বর্ষবরণ অনুষ্ঠানাদি মিডিয়ায় উপভোগ করেই আমাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাহ্যিক উৎসব ছিল না, কিন্তু ছিল প্রাণশক্তি। সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা, তিনি আমাদের করোনা মহামারি থেকে রক্ষা করুন।

একইসঙ্গে সবার প্রতি অনুরোধ, এ মহামারির ছোবল থেকে বাঁচতে আমরা সবাই যেন স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে চলি। করোনা মহামারি সৃষ্ট এ আঁধার কেটে সুদিন আসবেই। আগামীতে নিশ্চয়ই আমরা যথারীতি আনন্দ-উৎসবের মধ্য দিয়ে নববর্ষ উদযাপন করতে পারব।

মোগল সম্রাট জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবরের আমলে (১৫৫৬-১৬০৫ খ্রিষ্টাব্দ) মূলত অর্থনৈতিক বিবেচনায় প্রবর্তিত বাংলা সনের উদযাপন পরবর্তীকালে আমাদের জাতীয় জীবনে, বিশেষ করে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই দিবসটির আগমনের জন্য বাঙালি জাতি অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে।

কৃষিকাজের সুবিধার্থে এবং শস্য উৎপাদন মৌসুমের সঙ্গে ভূমি-রাজস্ব আদায়ের সমন্বয় সাধনের জন্য মোগল সম্রাট আকবর ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১০/১১ মার্চ বাংলা সন প্রবর্তন করেন এবং তা কার্যকর হয় তার সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ নভেম্বর ১৫৫৬ খ্রি.) থেকে।

‘হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনকে ভিত্তি করে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়। নতুন সনটি প্রথমে ফসলি সন নামে পরিচিত ছিল, পরে তা বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত হয়’ (বাংলাপিডিয়া)।

অর্থনৈতিক বিবেচনা থেকেই মূলত মোগল আমলে বাংলা সনের সূত্রপাত। আগেই উল্লেখ করেছি, ফসল উৎপাদন মৌসুমের সঙ্গে ভূমি-রাজস্ব আদায়ের সমন্বয় সাধনের জন্য মোগল সম্রাট আকবর বাংলা সন প্রবর্তন করেন। উল্লেখ্য, মধ্যযুগে ভারতবর্ষে মোগল শাসনামলের আগে দিল্লির সুলতানি আমলে (দাস বংশ, খলজি বংশ, তুঘলক বংশ) রাজ্যের আয়ের প্রধান উৎস ছিল ভূমি-রাজস্ব।

মোগল শাসনামলও এর ব্যতিক্রম ছিল না। দূরদর্শী সম্রাট আকবর ভূমি-রাজস্ব ব্যবস্থা যুগোপযোগী করার মাধ্যমে সাম্রাজ্যের আয় বৃদ্ধির উদ্যোগ নেন। বাংলা সন প্রবর্তনের দুবছর আগে অর্থাৎ ১৫৮২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি অভিজ্ঞ টোডরমলকে দেওয়ান-ই-আশরাফ পদে নিয়োগ দেন।

তার ভূমি-রাজস্ব নীতির মূল লক্ষ্য ছিল- ক. আবাদি জমির নির্ভুল জরিপ করা, খ. আবাদি জমির শ্রেণিবিন্যাস করা, এবং গ. রাজস্বের হার নির্ণয় করা। উৎপাদিত ফসলের এক-তৃতীয়াংশ রাষ্ট্রের পাওনা হিসাবে নির্ধারণ করা হয়। কৃষকরা তা নগদ অর্থে বা ফসলের মাধ্যমে পরিশোধ করতে পারতেন। সম্রাটের কড়া নির্দেশ ছিল ফসল মৌসুমের বাইরে ভূমি-রাজস্ব আদায় না করার (An Advanced History of India, R C Majundar)।

সম্রাট আকবরের মৃত্যুর পর মোগলরা অনেকটা সীমিত আকারে পহেলা বৈশাখ পালন অব্যাহত রাখে। সে সময় কৃষকরা চৈত্র মাসের শেষদিন পর্যন্ত খাজনা আদায়কারী জমিদারদের কাছে খাজনার টাকা প্রদান করত। পরদিন তারা কৃষকদের মিষ্টিমুখ করাতেন। এ উপলক্ষে তখন মেলা ও অন্যান্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হতো।

ভারতবর্ষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন প্রতিষ্ঠার ফলে মোগল সম্রাটরা সম্পূর্ণভাবে ক্ষমতাহীন হয়ে পড়েন। কোম্পানির শাসনামলে লর্ড কর্নওয়ালিস (১৭৮৬-৯৩ খ্রি.) বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যায় ভূমি ব্যবস্থাপনায় চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত (১৭৯৩ খ্রি.) প্রবর্তন করেন।

এর ফলে জমিদাররা রাজস্ব আদায়কারী থেকে জমির মালিক বনে যান। নির্দিষ্ট পরিমাণ রাজস্ব পরিশোধের শর্তে তারা ভূমি বিক্রির, মর্টগেজ রাখার এবং বংশানুক্রমে তা উপভোগ করার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হন। ফলে মোগল আমলে ভূমি-রাজস্ব নির্ধারণ ও আদায়ের মাধ্যমে রাজা ও প্রজার মধ্যে যে সরাসরি সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল, চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে তার পরিসমাপ্তি ঘটে।

তবে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলে এবং কোম্পানির শাসন অবসানে ব্রিটিশ সরকারের শাসনামলে বাংলা নববর্ষ পালনের বিলুপ্তি ঘটে, বিষয়টি এমন নয়। সে সময় পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নববর্ষ পালনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল হালখাতা উৎসব।

গ্রামে-গঞ্জে-শহরে বাংলার ছোট-বড় সব শ্রেণির ব্যবসায়ী বাংলা নববর্ষের শুরুতে তাদের পুরোনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টিমুখ করাতেন পুরোনো খদ্দেরদের এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগাযোগ স্থাপন করতেন। আগের মতো জাঁকজমক না থাকলেও হালখাতা অনুষ্ঠানটি এখনো পালিত হয়। এগুলো পুরোপুরি অর্থনৈতিক ও ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড।

বাঙালির জাতিসত্তার উন্মেষ ও বিকাশে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনের অবদান সবচেয়ে বেশি। এর পরের অবস্থানে রয়েছে বাংলা নববর্ষ পালনের উদ্যোগ। সম্রাট আকবরের মৃত্যুর পর পরবর্তী মোগলদের সময়ে এবং ব্রিটিশ শাসনামলে বাংলা নববর্ষ পালিত হলেও পাকিস্তান আমলে বাংলা নববর্ষ উদযাপনে সরকারিভাবে বিরোধিতা করা হয়।

বলা হয়, বাংলা নববর্ষ পালন মুসলমান সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বাংলাপিডিয়ার ভাষ্যমতে, তৎকালীন আইয়ুব সরকারের রবীন্দ্রসংগীত তথা বাঙালি সংস্কৃতিচর্চার বিরোধিতার প্রতিবাদস্বরূপ ১৩৭২ বঙ্গাব্দে (১৯৬৫ খ্রি.) পহেলা বৈশাখে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট ঢাকার রমনার বটমূলে প্রথম বাংলা নববর্ষ বরণ উৎসবের আয়োজন করে।

তাছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের বকুলতলায় প্রভাতী অনুষ্ঠানে বাংলা নববর্ষকে সম্ভাষণ জানানো হয়। তারপর থেকে ক্রমে এসব অনুষ্ঠান বিপুল জনসমর্থন লাভ করে এবং স্বাধিকার আন্দোলনের চেতনায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নীতির বিরুদ্ধে এবং বাঙালি আদর্শের লালনে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় বাংলা নববর্ষ পালন হতে থাকে। স্বাধিকার আন্দোলন শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে রূপ নেয় এবং ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ের মধ্য দিয়ে তা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে।

স্বাধীনতার পর পহেলা বৈশাখ বা বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনটি সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। যতই দিন যাচ্ছে, ততই সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রসার ঘটছে। রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য মহানগরী ও শহরগুলোয় বাংলা নববর্ষ বরণের প্রস্তুতি শুরু হয় অনেক আগেই।

শহুরে জীবনে পহেলা বৈশাখের প্রভাতে উদীয়মান সূর্যকে স্বাগত জানানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় বাংলা নববর্ষের উৎসব। এদিন সাধারণত শহরের সব শ্রেণি ও সব বয়সের মানুষ ঐতিহ্যবাহী বাঙালি পোশাক পরে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে তরুণীরা লালপেড়ে শাড়ি, হাতে চুড়ি, খোঁপায় ফুল, গলায় ফুলের মালা ও কপালে টিপ পরে। ছেলেরা পরে পায়জামা ও পাঞ্জাবি।

ইলিশ, পান্তাভাত খাওয়া এ উৎসবের একটি প্রায় অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে নববর্ষ বরণে রাজধানী ঢাকার প্রস্তুতি বিশেষ বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত। রাজধানী ঢাকায় বাংলা নববর্ষের প্রধান আকর্ষণগুলো হলো- ক. ঢাকার রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ : ঢাকায় পহেলা বৈশাখের মূল অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দু হলো ছায়ানটের সংগীতানুষ্ঠান। সূর্যোদয়ের পর পর ছায়ানটের শিল্পীদের সম্মিলিত কণ্ঠে রবীন্দ্রনাথের আগমনী গান ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’-এর মাধ্যমে নতুন বাংলা বছরকে বরণ করা হয়।

এ অনুষ্ঠানটি ঢাকার রমনার বটমূলে অনুষ্ঠিত হয়। খ. মঙ্গল শোভাযাত্রা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক পরিদর্শন করে আবার চারুকলা ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়। গ. বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের বর্ষবরণ কর্মসূচি গ্রহণ : বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলা একাডেমি, শিল্পকলা একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, বুলবুল ললিতকলা একাডেমিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক সংগঠন কর্মসূচি গ্রহণ করে।

সবকিছুকে ছাপিয়ে এদিন রাজধানীর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, চারুকলা, শাহবাগসহ পুরো এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। তাছাড়া রাজধানীর উপশহরগুলোসহ পাড়া-মহল্লায় অনুষ্ঠিত হয় বৈশাখী মেলা, নানারকম প্রতিযোগিতামূলক উৎসব।

নববর্ষবরণ উপলক্ষে রাজধানীর শপিং মল ও দোকানপাট বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী নিয়ে নতুন সাজে সেজে ওঠে। সব মিলে রাজধানী এক মোহনীয় মহানগরীর রূপ ধারণ করে।

বাংলা নববর্ষ ও চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষ্যে তিন পার্বত্য জেলা, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির উপজাতীয়দের ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয়-সামাজিক উৎসব ‘বৈসাবি’ পালিত হয়। এ উৎসব উপলক্ষ্যে উপজাতীয়দের বিভিন্ন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বৈসাবি উৎসব তাদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

গ্রামাঞ্চলে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের প্রধান আকর্ষণ বৈশাখী মেলা। স্থানীয় কৃষিজাত দ্রব্য, কারুপণ্য, কুটির শিল্পজাতসামগ্রী, সব ধরনের হস্তশিল্পজাত ও মৃৎশিল্পজাত সামগ্রী এসব মেলায় পাওয়া যায়। এ ছাড়া এসব মেলায় পাওয়া যায় শিশু-কিশোরদের বিভিন্ন রকমের খেলনা, মহিলাদের সাজসজ্জার সামগ্রী এবং বিভিন্ন লোকজ খাবার যেমন-চিড়া, মুড়ি, খৈ, বাতাসা ইত্যাদি। এসব মেলায় বিনোদনেরও ব্যবস্থা থাকে। বিনোদনব্যবস্থায় যাত্রা, পালাগান, জারিগান ও গম্ভীরা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া হাডুডু, দাঁড়িয়াবান্ধাসহ গ্রামীণ জীবনের নানা রকম খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলা নববর্ষ উদযাপন বাংলাদেশের একমাত্র ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয় উৎসব। এটি মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবার উৎসব। এক কথায় এটি সার্বজনীন উৎসব। অতীতের ভুলত্রুটি, ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে কল্যাণ ও নতুন জীবনের আশায় বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে।

সারা দেশের শহর ও গ্রামাঞ্চলে বাংলা নববর্ষবরণ উৎসব এক বিরাট অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়েছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে কত টাকার বাণিজ্য হয় তার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদদের ধারণা, সারা দেশে নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে কয়েক হাজার কোটি টাকার ব্যবসা হয়। এ উৎসবে দেশীয় পণ্য ক্রয়ে ক্রেতাদের ঝোঁক থাকায় বেচাবিক্রিতে গ্রামীণ অর্থনীতি উপকৃত হয়। দুঃখের বিষয়, করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মতো এবারও এসব কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়ায় এ খাতটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সবশেষে বলতে চাই, পৃথিবী থেকে অচিরেই করোনা মহামারি বিদায় নিক। আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত বাংলা নববর্ষকে আমরা যেন উৎসাহ-আনন্দের সঙ্গে বরণ করতে পারি আগামী বছর। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে বাঙালির মহামিলনের এ দিবসটিকে যেন কোনো ধরনের পঙ্কিলতা স্পর্শ করতে না পারে। কোনো রাজনৈতিক দল, গোষ্ঠী বা অন্য কেউ তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যেন বাংলা নববর্ষ বরণের উৎসবকে ব্যবহার করতে না পারে, সেদিকে সরকার ও জনগণকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

আবদুল লতিফ মন্ডল : সাবেক সচিব, কলাম লেখক

latifm43@gmail.com

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম