
প্রিন্ট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২২ পিএম
করোনাকালে শিক্ষাক্রমের স্বরূপ

ড. আবদুস সাত্তার মোল্লা
প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২১, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
করোনাভাইরাসের প্রভাবে সারা বিশ্বের মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। সবচেয়ে বড় আঘাতটি লেগেছে শিক্ষাক্ষেত্রে। একটি বছর হয়ে গেল শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সরাসরি সান্নিধ্যে থেকে বন্ধুদের সঙ্গে মতবিনিময় ও দলীয় কাজের মাধ্যমে প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত।
এ অতিমারিকালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নানা কৌশলে তরুণ শিক্ষার্থীদের শিক্ষার কিছু ব্যবস্থা করেছে। শিক্ষাক্রম প্রক্রিয়া, শিখন-শেখানো পদ্ধতি এবং পরীক্ষা গ্রহণ বিষয়ে বাংলাদেশ যা করছে, আর যা করা যেত তা নিয়ে এ সংক্ষিপ্ত নিবন্ধ।
শিক্ষাক্রম প্রক্রিয়া : ‘চক্ষু মুদিয়া দেখ রূপ রে’!
স্বাধীন বাংলাদেশে এ পর্যন্ত শিক্ষাক্রম উন্নয়নের তিনটি সম্পূর্ণ (প্রথমটি ১৯৭৬-৭৮, দ্বিতীয়টি ১৯৯১-৯৫ আর চতুর্থটি ২০১১-১২ সালে) এবং একটি (তৃতীয়) অসম্পূর্ণ (২০০২-০৫ সালে, শুধু প্রাথমিক স্তর ও মধ্য-মাধ্যমিক উপস্তরের শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়) আবর্তন শেষ হয়েছে। প্রথম থেকে চতুর্থ আবর্তনের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সময়ের ব্যবধান ছিল ১০-১৫ বছর।
কিন্তু ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২’-এর মাত্র ৭-৮ বছর পর ২০১৯-২০ সালে সব স্তরের শিক্ষাক্রম পুনরায় পরিমার্জন করা হচ্ছে। ২০২১ সালের শুরুতে প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু করার পরিকল্পনা থাকলেও দেশ করোনা অতিমারিতে আক্রান্ত হওয়ায় সরকার এ শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন এক বছর পিছিয়ে দিয়েছে।
এবার বেশ আগেভাগে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন শুরু করার দুটো প্রধান উদ্দেশ্য ছিল : ১. জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (বিশেষত এসডিজি-৪) ২০৩০ সালের মধ্যে অর্জন করা এবং ২. বিদ্যালয় শিক্ষায় যোগ্যতাভিত্তিক (Competency-based) শিক্ষাক্রমের বিশ্বব্যাপী ঢেউকে ধারণ করা।
সুতরাং এবারের শিক্ষাক্রমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রমের ধারণা বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যা করা জরুরি কর্তব্য। স্মর্তব্য যে, স্বাধীন দেশে সবক’টি আবর্তনেই বেশ যত্নের সঙ্গে শিক্ষাক্রম উন্নয়ন করা হয়েছে; কিন্তু বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া একবারও তেমন ফলপ্রসূ হয়নি। তাই এবার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া ফলপ্রসূ করাও একটি চ্যালেঞ্জ।
দেশে করোনা আঘাত হানার আগেই প্রচলিত রীতি অনুসারে বিভিন্ন বিষয়-কমিটির মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের কাজ শেষ করা হয়েছিল; তবে এতে কোনো ভূমিকা লেখা হয়নি। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাক্রম পরিমার্জন শুরু হয়েছে একটু পরে এবং প্রায় দেড় বছর ধরে কাজটি করা হয়েছে এক রহস্যাবৃত প্রক্রিয়ায় বিষয়-কমিটি গঠন না করে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (জাশিপাবো) মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম উইংয়ের নেতৃত্বে গত দেড় বছরে লেখা হয়েছে শুধু ‘শিক্ষাক্রম রূপরেখা’, যাকে বলা যায় পূর্ণ শিক্ষাক্রমের ভূমিকা। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ওই রূপরেখার তিনটি সংস্করণ বের হয়। প্রথম দুটিতে ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম ২০১২’কে কষে গালি দেওয়া এবং বর্তমান প্রচেষ্টার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপাদনের প্রয়াস লক্ষণীয়; তবে এগুলোর কোনোটিতে পৃষ্ঠা সংখ্যা ও রেফারেন্সের কোনো বালাই ছিল না।
কলেবর বৃদ্ধি করার পর তৃতীয় সংস্করণের পৃষ্ঠা সংখ্যা হয়েছে ১১৫ এবং এটি জাশিপাবোর ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো এতে পৃষ্ঠা সংখ্যা এবং রেফারেন্স যোগ করা হয়েছে; কিন্তু দলিলটিতে ধারণাগত, ভাষাগত ও ফরম্যাটিং (যেমন, লেখার ভেতর তথ্যের উৎস নির্দেশ ও রেফারেন্স লিখন) ত্রুটির প্রকার ও পরিমাণ দেখে প্রস্তুতকারীদের মান সম্পর্কে সন্দিহান না হয়ে পারা যায় না। চিন্তা করে এর যা কারণ বোঝা গেল তা দুঃখজনক। মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম উইং কর্তৃপক্ষ শিক্ষাক্রমে এখনো আনাড়ি (Inapt)। নিজের জ্ঞান কম থাকলে মানুষ সবচেয়ে কাছের জ্ঞানী লোকদের সহযোগিতা নেয় বলে জানি।
কিন্তু এক্ষেত্রে ঘটছে পুরো উল্টো; মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম উইংয়ের আনাড়ি প্রধানের হাতের কাছে সেসিপ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২০ জন ‘শিক্ষাক্রম বিশেষজ্ঞ’ রয়েছেন, যাদের অর্ধেকের বেশি বিদেশ থেকে শিক্ষাক্রমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এবং তাদের ২০০৩ সাল থেকে প্রায় ১৮ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে। এরাই ২০১১ সালে কয়েক মাসের মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের তিনটি উপস্তরের সব শ্রেণির শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের মূল দায়িত্ব পালন করেন।
কিন্তু এবার তাদের পাশ কাটিয়ে কাদের নিয়ে যেন শিক্ষাক্রম পরিমার্জনের চেষ্টা করা হচ্ছে। মাস দু-তিন আগে, অতি বিলম্বে শিক্ষাক্রমের বিষয়-কমিটি গঠিত হয়েছে; কিন্তু জানা যায়, অভিজ্ঞ সদস্যদের বাদ দিয়ে অন্যদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে! দেখে মনে হয়, এবার সত্যজিৎ রায়ের ছবি ‘হীরক রাজার দেশে’র সংলাপ ‘যত বেশি জানে তত কম মানে’ অনুসরণ করা হচ্ছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে ২০০৫ সালে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমের আওতায় রচিত পাঠ্যপুস্তক ১৫ বছর পর এখনো চালু রয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশে এবার সবচেয়ে কম সময়ের ব্যবধানে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হচ্ছে। এ অবস্থায় কার সিদ্ধান্তে এখনো পরিমার্জনাধীন শিক্ষাক্রমের ‘ফ্লেভার’ দেওয়ার নাম করে অন্তর্বর্তীকালীন প্যাকেজ তৈরির নামে ২০২০ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর প্রায় দু’মাস সময় বাজে খরচ করা হলো? ‘জাতীয় শিক্ষাক্রম-২০১২’ কোনো ঠুনকো বিষয় ছিল না যে, সেটির আওতায় ২০২১ সালে শিক্ষাকার্য পরিচালনা করলে শিক্ষার্থীরা কিছু থেকে বঞ্চিত হতো।
২০১১-১২ সালে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাক্রমের জন্য অধ্যাপক কফিলউদ্দিন আর মাধ্যমিকের জন্য অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান পরামর্শকের দায়িত্বে ছিলেন। এবার প্রাথমিক শিক্ষাক্রম পরিমার্জন প্রায় শেষ করার পর অধ্যাপক কফিলউদ্দিনকে ‘শিক্ষা ও দেশের শত্রু’ আখ্যা দিয়ে অসম্মান করা হয়েছে; অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমানকে এবার পরামর্শক নিয়োগ দেওয়াই হয়নি। অবস্থা বুঝে তিনি Curriculum Development and Review Core Committee (CDRCC)-i Lead Curriculum Specialist-এর পদ থেকেও নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। মনে হচ্ছে, দেশের শিক্ষাক্রম বোদ্ধারা ‘চক্ষু মুদিয়া’ শিক্ষাক্রম রূপরেখার ‘রূপ দেখছেন’।
শিখন-শেখানো পদ্ধতি
শিক্ষার্থীদেরসহ দেশের মানুষের জীবন বাঁচানোকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকার ২০২০ সালের মধ্য-মার্চ থেকে সব বিদ্যালয় বন্ধ রেখেছে। বছরের মাঝামাঝি থেকে কিছু অনলাইন ক্লাস চলছে। করোনা সংক্রমণ কমলে বিদ্যালয় খোলা হতে পারে-এ প্রত্যাশায় আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে জাশিপাবো ২০২০ শিক্ষাবর্ষের সিলেবাস সংক্ষিপ্ত করে প্রস্তুতি নিয়েছিল; কিন্তু পরিবেশ অনুকূল না হওয়ায় সেগুলো কোনো কাজে আসেনি।
অক্টোবর-নভেম্বর মাসে কোত্থেকে যেন এক অভিনব চিন্তা আসে-শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু প্রশ্ন, নির্ধারিত কাজ ইত্যাদির মতো বাড়ির কাজ দিয়ে লেখাপড়ায় ফিরিয়ে আনার; বাইরের কিছু বিষয়-শিক্ষকের সহযোগিতা নিয়ে জাশিপাবোর বিশেষজ্ঞরা বাড়ির কাজগুলো তৈরি করে বিদ্যালয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করে। এ ‘উদ্ভাবনটি’ আরও আগে করা গেলে করোনার সর্বোচ্চ সংক্রমণের সময়ও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার অভ্যাস ধরে রাখা যেত।
২০২০ সালের মাঝামাঝি থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস, কল-কারখানা, হাট-বাজার এবং এক সময় যানবাহন পুরো মাত্রায় চলা শুরু হয়েছে। কিন্তু দেশের বিদ্যালয়গুলোর ছুটি বারবার বাড়িয়ে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত নিয়ে আসা হলে দেশের মানুষ বিরক্ত হয়ে বলতে শুরু করেছিল : সব করোনা বুঝি বিদ্যালয়ে এসে ভর করেছে! তাই এ বছর মার্চ মাস থেকে সব বিদ্যালয় খুলে দেওয়া জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছিল।
কিন্তু ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করোনার হ্রাসকৃত সংক্রমণ মার্চ মাসে সম্প্রতি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তবে শিক্ষার্থীদের এবং জাতির ভবিষ্যৎ চিন্তা করে করোনা সংক্রমণের গতিবিধি লক্ষ করে প্রয়োজনে টিকা গ্রহণকারীদের জন্য নির্ধারিত বয়সের বাধা উঠিয়ে দিয়ে জরুরি ভিত্তিতে শিক্ষার্থীসহ শিক্ষাসংশ্লিষ্ট সবাইকে টিকা দিয়ে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি বিদ্যালয়ে পাঠানো জরুরি।
পাবলিক পরীক্ষা
সবার মনে রাখা দরকার-রাজনীতি, প্রশাসন, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদিতে সহজ উপায়ের বালাই থাকলেও শিক্ষার মতো জাতি গঠনের মূল ভিত্তিতে কোনো সহজ উপায় চলে না। আমি ১৯৭১ সালে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলাম। মধ্য-জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়ে মার্চের প্রথম সপ্তাহেই অনির্দিষ্টকালের জন্য সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়। মুক্তিযুদ্ধের সফল সমাপ্তির পর ১৯৭২ সালে লেখাপড়াকে ‘সহজ করে দেওয়ার জন্য’ অটোপ্রমোশন দেওয়া হয়; ফলে আমার প্রাথমিক স্তরের শিক্ষাজীবনের জন্য অসমাপ্ত থেকে যায়। ১৯৭২-৭৩ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছিল যারা, তারা সারা জীবন ‘পাশের অশুদ্ধতার’ গালি খাচ্ছে।
করোনার কারণে ২০২০ সালের উচ্চমাধ্যমিক পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। জানা যায়, বিভিন্ন দেশ এই প্রাক-বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার্থীদের কোর্স ওয়ার্কের নম্বরের ভিত্তিতে গ্রেড দিয়ে ফলাফল প্রকাশ করেছে। আমাদের দেশে কোর্স ওয়ার্কের গঠনকালীন নম্বরের তেমন ব্যবস্থা না থাকলেও প্রাক-নির্বাচনি এবং নির্বাচনি পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর ছিল; উদ্দেশ্য না জানিয়ে নির্দিষ্ট পরীক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে এসব নম্বর পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া যেত; নম্বর বোর্ডে পৌঁছে গেলে প্রধানত এর ভিত্তিতে উচ্চমাধ্যমিক ফলাফল তৈরির ঘোষণা দিয়ে তা বাস্তবায়ন করা যেত।
কিন্তু আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাপকরা না বুঝে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাক্রমে পরীক্ষার্থীদের অর্জন হেলায় হারিয়ে শুধু তিন ও পাঁচ বছর আগের দুটো পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ‘বানোয়াট’ ফলাফল ঘোষণা করে দিলেন। যারা হয়তো এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণই করত না, করলেও নির্ঘাত ফেল করত, তাদেরও লটে পাশ করানো হলো।
পড়াটা হয়নি এ অজুহাতে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরাও অটোপাশের দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছিল। করোনার কারণে পুরো বছর লেখাপড়া হয়নি বলে কোনো ক্লাসের শিক্ষার্থীদেরই অটোপ্রমোশন প্রাপ্য নয়। শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতে সারা জীবন এক বছরের চেয়ে অনেক বেশি মূল্যবান! তবে একটা সমঝোতা করা যেত এভাবে যে, ২০২১ সালে বিদ্যালয় খুললে প্রথম ২-৩ মাস ২০২০-এর জন্য নির্ধারিত সিলেবাস সংক্ষেপে শেষ করে উপরের ক্লাসের উদ্দেশ্যে ২০২১ সালের জন্য নির্ধারিত সিলেবাসে পড়াশোনার ব্যবস্থা করা; কিন্তু জানুয়ারি মাসের শুরুতে নতুন বই দিয়ে দেওয়ায় উপর্যুক্ত উপায়ে লেখাপড়ার মান রাখার চেষ্টাকেও কঠিন করে ফেলা হয়েছে।
শিক্ষাক্রম পরিমার্জন প্রক্রিয়ার ঘাপলা দূর করে যথাশিগ্গির পরিমার্জন প্রক্রিয়া শেষ করে একদিকে নতুন পাঠ্যপুস্তক রচনা করানো, অন্যদিকে পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমে আনীত পরিবর্তন সম্পর্কে শিক্ষাক্রম বিস্তরণ (Dissemination) প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের ২০২১ সালেই ভালোভাবে অবহিত করে ২০২২ সাল থেকে শিক্ষাক্রমের বাস্তবায়ন ফলপ্রসূ করা যেতে পারে। শিক্ষক, পরীক্ষার্থী এবং সব শিক্ষার্থীকে ‘ফ্রন্টলাইনার’ মর্যাদায় টিকা দিয়ে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি বিদ্যালয়ে পাঠানো দরকার।
ড. আবদুস সাত্তার মোল্লা : শিক্ষাক্রম গবেষক এবং প্রাণিবিদ্যার অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক
asmolla@ymail.com