বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস
প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে হবে
এস এম নাজের হোসাইন
প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২১, ০২:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রতি বছরের মতো এবারও ১৫ মার্চ বিশ্ব ক্রেতা-ভোক্তা অধিকার দিবস-২০২১ বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে। ১৯৬২ সালের ১৫ মার্চ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জনএফ কেনেডি কর্তৃক মার্কিন কংগ্রেসে ক্রেতা-ভোক্তা আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার ঐতিহাসিক দিনটির স্মরণে প্রতি বছর ১৫ মার্চ বিশ্বজুড়ে দিবসটি বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে।
ক্রেতা-ভোক্তা আন্দোলনে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন ভোক্তা সংগঠন নানামুখী কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বে ভোক্তা আন্দোলনের মূল প্রবক্তা মার্কিন সিনেটর ও মাল্টিন্যাশনাল মনিটর পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা রাল্ফ নাদের।
সারা বিশ্বের ভোক্তা সংগঠনগুলোর ফেডারেশন Consumer International (CI) ভোক্তা অধিকার প্রচারণার একমাত্র সম্মিলিত কণ্ঠস্বর বা দাবি আদায়ের বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক।
সারা বিশ্বে ১১৫ দেশে ২২০টিরও বেশি এ সংগঠনের সদস্য রয়েছে। কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কনজুমারস ইন্টারন্যাশনালের পূর্ণাঙ্গ সদস্য।
বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য-‘মুজিববর্ষে শপথ করি, প্লাস্টিক দূষণ রোধ করি’। Tackling Plastic Pollution প্রতিপাদ্য বিষয়টি পুরো বিশ্বের জন্য হলেও দেশীয় সংস্করণটি এমন করা হয়েছে।
প্লাস্টিক দূষণের কারণে পরিবেশ ও জলবায়ুতে কী বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে এবং তা ভোক্তাদের জীবন ও জীবিকায় কী ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে-সে বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টিতে দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
জাতিসংঘ ভোক্তাদের জন্য কিছু সার্বজনীন অধিকার ও কর্তব্যকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
জাতিসংঘ স্বীকৃত ভোক্তা অধিকারগুলো হলো-অন্ন, বস্ত্র, শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের মৌলিক চাহিদা পূরণের অধিকার, নিরাপদ পণ্য ও সেবা পাওয়ার অধিকার, পণ্যের উপাদান, ব্যবহারবিধি, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য জানার অধিকার, ন্যায্যমূল্যে সঠিক পণ্য ও সেবা পাওয়ার অধিকার, অভিযোগ করার ও প্রতিনিধিত্বের অধিকার, কোনো পণ্য বা সেবা ব্যবহারে ক্ষতিগ্রস্ত হলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার অধিকার, স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ ও বসবাস করার অধিকার।
ঠিক একইসঙ্গে আমাদের রয়েছে পাঁচটি দায়িত্ব, এগুলো হলো-পণ্য বা সেবার মান ও গুণাগুণ সম্পর্কে সচেতন ও জিজ্ঞাসু হওয়া; দরদাম করে সঠিক পণ্যটি বাছাই করা; আপনার আচরণে অন্য ক্রেতা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন সে ব্যাপারে সচেতন থাকা; পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সচেতন ও সক্রিয় হওয়া; ক্রেতা-ভোক্তা হিসাবে অধিকার সংরক্ষণে সোচ্চার ও সংগঠিত হওয়া।
আর এ অধিকারের মধ্যে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে কাজ ও বসবাস করার অধিকার এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সচেতন হওয়ার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। সে আলোকে এবারের প্রতিপাদ্যটি ভোক্তাদের জীবন-জীবিকা এবং বেঁচে থাকার অধিকারের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দাঁত ব্রাশ থেকে শুরু করে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আপনার জীবনে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার কতটা ব্যাপক। সকালে উঠে যে ব্রাশ দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করছেন এবং যে টিউব থেকে টুথপেস্ট আসছে, তার সবকিছুই প্লাস্টিকের তৈরি। এ ছাড়া দিনে প্রতিটি খাবার এবং জীবনযাত্রায় প্লাস্টিক পণ্য এখন অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্লাস্টিক যেহেতু পচনশীল নয়, তাই ব্যবহারের পর যেসব প্লাস্টিক পণ্য ফেলে দেওয়া হয়, তার অধিকাংশই যুগের পর যুগ একইভাবে পরিবেশে টিকে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এক গবেষণায় বলেছে, মুদিদোকান থেকে কেনা পণ্য বহন করার জন্য যেসব ব্যাগ ব্যবহার করা হয়, সেগুলো প্রকৃতিতে মিশে যেতে ২০ বছর সময় লাগে।
চা, কফি, জুস কিংবা কোমল পানীয়ের জন্য যেসব প্লাস্টিকের কাপ ব্যবহার করা হয়, সেগুলো ৫০ বছর পর্যন্ত টিকে থাকে। আর ডায়াপার এবং প্লাস্টিক বোতল ৪৫০ বছর পর্যন্ত পচে না।
যখন প্লাস্টিক বর্জ্য কোনো স্থান দখল করে পরিবেশের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে তখন প্লাস্টিক দূষণ সৃষ্টি হয়। আমরা অনেকেই প্লাস্টিক দূষণ-এর ক্ষতিকর প্রভাবের কথা জেনেও প্রতিনিয়ত প্লাস্টিক দ্রব্য ব্যবহার করছি। ফলে প্লাস্টিক বর্জ্য নানাভাবে মিশে যাচ্ছে পরিবেশের সঙ্গে। যার ফলস্বরূপ উর্বর মাটি হচ্ছে অনুর্বর, জলাশয় জলজপ্রাণীর জন্য হয়ে উঠছে বিপজ্জনক।
প্লাস্টিক দূষণ বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান একটি সমস্যা। বাংলাদেশ এক বছরে ৮ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য সৃষ্টি করে। প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য সৃষ্টি করে; যা বছরে মোট সৃষ্ট বর্জ্যরে ৮ শতাংশ।
প্রায় ৭৩ হাজার টন প্লাস্টিক বর্জ্য প্রতিদিন সমুদ্রে মিশে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা নদীর মাধ্যমে (দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৯)। এ থেকে বোঝা যায়, প্লাস্টিক দূষণ রোধ করা কতখানি জরুরি।
প্লাস্টিক দূষণের পরিবেশগত বিপর্যয় উত্তরণের জন্য একটি টেকসই উপায় হচ্ছে, ব্যবহার কমানো এবং পুনর্ব্যবহার ও পুনঃচক্রায়ন বাড়ানো। প্লাস্টিকের বোতল ও বিভিন্ন সামগ্রী এবং পলিথিন ব্যাগের অধিকাংশই পুনর্ব্যবহার, পুনঃচক্রায়ন না করে প্রাকৃতিক পরিবেশে যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে; যা পরবর্তী সময়ে খাল, নদী, সমুদ্রে জমা হচ্ছে। সেখান থেকে জলজপ্রাণী তা গ্রহণ করছে।
এসব প্রাণীর মাধ্যমে তা খাদ্যচক্রে প্রবেশ করছে। জনজীবন, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর পলিথিনের ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে সরকার আইন করে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। তবে আইন প্রয়োগে শিথিলতার কারণে বর্তমানে সারা দেশে পলিথিনের ব্যবহার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশে ১৯৯০ সালে ১৫ হাজার টন প্লাস্টিক ব্যবহৃত হলেও ২০১০ সালে তা ছিল ৭ লাখ ৫০ হাজার টন। ২০ বছরে এর ব্যবহার ৫০ গুণ বেড়েছে। বর্তমানে ছোট, মাঝারি, বড় ৫ হাজার শিল্পকারখানায় ১২ লাখ টনের বেশি প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন হচ্ছে। জনপ্রতি প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার বছরে অন্তত ৭.৫ কেজি।
বাংলাদেশে প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার নিয়ে গবেষণাটি করেছে বেসরকারি সংস্থা এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন। ২০১৮ ও ২০১৯ সালের মধ্যে ওই গবেষণাটি করা হয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, তরুণ এবং যুবকরাই পরিবেশে প্লাস্টিক দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী।
যেসব খাবারের সঙ্গে প্লাস্টিকের প্যাকেট রয়েছে, সেগুলোই সবচেয়ে বেশি ভোগ করছে তরুণ এবং যুবকরা; বিশেষ করে যাদের বয়স ১৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, এ তরুণ ও যুব জনগোষ্ঠী একবার ব্যবহার করা হয় এমন সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক পণ্য বেশি ব্যবহার করে।
২০০২ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন সংশোধন করে পলিথিনের উৎপাদন ও বাজারজাত নিষিদ্ধ করা হয়। আইনে বলা হয়, সরকার নির্ধারিত পলিথিন সামগ্রী উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাতকরণে প্রথম অপরাধের দায়ে অনধিক ২ বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড (জরিমানা) বা উভয় দণ্ড এবং পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের ক্ষেত্রে অন্যূন ২ বছর, অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন ২ লাখ টাকা, অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড (জরিমানা) বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন অপরাধীরা।
আইনে বিক্রি, বিক্রির জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পরিবহণ বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের দায়ে অনধিক ১ (এক) বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড (জরিমানা) বা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। এ ক্ষেত্রে পরবর্তী প্রতিটি অপরাধের দায়ে অন্যূন ২ বছর, অনধিক ১০ বছরের কারাদণ্ড বা অন্যূন ২ লাখ টাকা, অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড (জরিমানা) বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন অপরাধীরা।
একই সালের ৪ মে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশের এস আই/সমপর্যায় থেকে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব পুলিশ পর্যন্ত; মেট্রোপলিটনবহির্ভূত এলাকায় এসআই/সমপর্যায় থেকে সহকারী পুলিশ সুপার পর্যন্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের ‘পরিদর্শকের’ ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
এ আইন তৈরির ১৬ বছর পরও আইন মানার ক্ষেত্রে ও তা বাস্তবায়নে কোনো সদিচ্ছা দেখা যায়নি। যে কোনো কাঁচাবাজারে গেলেই দেখা যাবে প্লাস্টিকের ব্যাগের দোকান। প্লাস্টিকের একবার ব্যবহারযোগ্য পণ্যের বাজার বাড়ছে প্রতিদিনই। প্রতি বছর দুই হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক কাঁচামাল আমদানি করে বাংলাদেশ। আর প্রতি বছর ১৭শ টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়।
ফলে রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম ও নারায়ণগঞ্জসহ সারা দেশে প্রায় এক হাজার দুইশ কারখানায় নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরি হচ্ছে। এগুলোর বেশিরভাগই পুরান ঢাকাকেন্দ্রিক। শুধু ঢাকা শহরে প্রতিদিন দুই কোটির বেশি পলিথিন ব্যাগ একবার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়া হয়। বর্তমানে দেশে প্রতিদিন ৩৫ লাখের বেশি টিস্যু ব্যাগ উৎপাদন ও বাজারজাত হচ্ছে। এসব ব্যাগ পলিথিনের হলেও কাপড়ের ব্যাগ হিসাবে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
পরিবেশের ওপর ইতিবাচক প্রভাব নিশ্চিতে পলিথিন শপিং ব্যাগের উৎপাদন, ব্যবহার, বিপণন ও বাজারজাতকরণের ওপর জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা পালনে দেশের জনগণকে সম্পৃক্ত করা দরকার।
সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর, পুলিশ প্রশাসন ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদিচ্ছা, আন্তরিকতা, সততা, দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ এবং জবাবদিহিতার অভাব ও রাজনৈতিক অঙ্গীকারের অভাবে বর্তমানে পলিথিনের উৎপাদন ও ব্যবহার আগের চেয়ে অনেকগুণ বেড়ে গেছে। একইসঙ্গে রয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অবহেলা।
ভোক্তা অধিকার অবশ্যই মানবাধিকার। কারণ ভোক্তা অধিকারের সঙ্গে মানুষের জীবন-জীবিকা ও বেঁচে থাকার সম্পর্ক নিবিড়। বলার অপেক্ষা রাখে না, মুনাফাখোর, মজুদদারি, সিন্ডিকেট ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি, নকল ভেজাল ও মানহীন পণ্যের দৌরাত্ম্যরে কারণে আজ নাগরিক জীবন অতিষ্ঠ; সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত। সরকার গুটিকয়েক অসৎ ব্যবসায়ীর স্বার্থ সংরক্ষণে যাবতীয় রীতিনীতি প্রণয়ন করার কারণে সাধারণ মানুষের স্বার্থ উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে।
ফলে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম ইচ্ছামতো বাড়ায়, কমায়, সরবরাহসহ বাজার নিয়ন্ত্রণ করে জনগণকে জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা নিজেদের পকেটস্থ করে। আবার পরিবেশ ধ্বংস ও মানুষের জীবন বিপন্ন করে পণ্য উৎপাদন ও বাজারজাত করা হচ্ছে, যেখানে মুনাফাই মুখ্য। ভোক্তারা অসচেতন, অসংগঠিত।
স্বার্থ সংরক্ষণে শক্তিশালী ভোক্তা সংগঠনের দুর্বলতা ও আইনে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার না থাকার কারণে প্রবঞ্চনার হার প্রতিনিয়তই বাড়ছে। সেজন্যই বাংলাদেশের ভোক্তাদের বলা হয়ে থাকে অসহায় ক্রেতা-ভোক্তা। বিভিন্ন দেশে ভোক্তারাই পণ্যের নিয়ামক। কারণ ভোক্তারা পণ্যটি ব্যবহার করলে তবেই উৎপাদক ও বিক্রেতারা লাভবান হবেন।
সে কারণে উন্নত দেশগুলোয় ভোক্তাদের সম্রাট উপাধি প্রদান করা হলেও আমাদের দেশে পরিস্থিতি তার উল্টো। এখানে ব্যবসায়ীরাই নির্ধারণ করেন-ভোক্তারা কোন পণ্যটি হজম করবেন!
এসএম নাজের হোসাইন : ভাইস প্রেসিডেন্ট, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)