Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে

Icon

এ কে এম শামসুদ্দিন

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০১:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ভুলের পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে

২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর আওয়ামী লীগ সরকার বেশকিছু ভালো কাজ সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে প্রশংসনীয় কাজটি ছিল স্বাধীনতাবিরোধীদের বিচার করা। সরকার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার কাজটিও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবে অনেকদিন ধরেই স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা তৈরির দাবি ছিল সাধারণ মানুষের।

এ উদ্দেশ্যে সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় বিজয় দিবস সামনে রেখে ১৫ ডিসেম্বর ১০ হাজার ৭৮৯ জনের নামের একটি তালিকা প্রকাশ করে। তালিকা প্রকাশের পর দেশব্যাপী যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু বলার নেই। এমন একটি অনভিপ্রেত কাজ হবে তা আমরা কল্পনাও করিনি। স্বভাবতই মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এমন কর্মকাণ্ডে আমরা সবাই বিস্মিত। আরও বেশি বিস্মিত হয়েছি তালিকা প্রকাশের পর দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য শুনে।

আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করেছি, রাজাকারের তালিকার অসঙ্গতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক ১৯৭১ সালে দখলদার বাহিনীর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রস্তুতকৃত রাজাকারদের তালিকা বর্তমান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন। তারপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সে তালিকা হুবহু প্রকাশ করেছে। ‘ওই তালিকায় কোনো ভুলক্রটি ছিল কিনা সেটা আমরা জানি না’- মন্ত্রীর কথা শুনে মনে হয়েছে এ যেন ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপিয়ে দেয়ার দশা! ভাবখানা এমন যে তাদের কোনো দায়িত্বই ছিল না রাজাকারের নামের তালিকার সঠিকতা নিশ্চিত করার। নিজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব এড়িয়ে ভুলত্র“টির দায়িত্বটি পরোক্ষভাবে তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছেন বলেই মনে হয়েছে! দু’দিন পর অবশ্য তিনি এমন কাজের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং রাজাকারের নামীয় তালিকা সংশোধন করবেন বলে মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে বর্তমান তালিকাটি সরিয়ে নিয়েছেন। তবে তার বক্তব্যে একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে গেছে, খুব তাড়াহুড়া করে যেনতেনভাবে তালিকাটি প্রকাশ করা হয়েছে। প্রকাশের আগে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ব্যক্তিদের নাম যথেষ্ট যাচাই-বাছাই করা হয়নি, যে কারণে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সবাই আঘাত পেয়েছেন। সে বিচারে বলা যায়, মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বিতর্কিত এ তালিকাটি প্রকাশে যথেষ্ট অবহেলার পরিচয় দিয়েছেন। রাজাকারের তালিকায় ন্যূনতম একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার নামও যদি থাকে, তাহলেও তা হবে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য এবং ক্ষমার অযোগ্য। তালিকা প্রকাশের পর আমি এমন একজন মুক্তিযোদ্ধার মুখোমুখি হয়েছিলাম যার এ তালিকায় নাম ছিল। তিনি এমন অমার্জনীয় কর্মকাণ্ডে এতটাই কষ্ট পেয়েছেন, আমার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। আমি নিজে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হিসেবে তার এ কষ্ট সহ্য করতে পারিনি। আমরা জানি বিজয় দিবস ঘনিয়ে এলে মুক্তিযোদ্ধাদের মনে যেন আনন্দোচ্ছ্বাস এসে ভর করে। এ দিনটি প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার জীবনে একটি তাৎপর্যময় দিন। আনন্দঘন পরিবেশে বিজয় দিবস উদযাপন করার জন্য আগের দিন রাতে প্রস্তুতি নিয়ে যদি পরের দিন সকালে নিজের নাম রাজাকারের তালিকায় দেখেন, তাহলে সে মুক্তিযোদ্ধার মনের অবস্থার কী পরিণতি হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।

মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এমন গর্হিত কাজ নতুন নয়। ইতিপূর্বে দেশি-বিদেশি মুক্তিযোদ্ধা অতিথিদের সম্মানার্থে নকল স্বর্ণের উপহার দিয়ে এই মন্ত্রণালয় যে কলঙ্কজনক ঘটনা ঘটিয়েছিল, তা আজও মানুষ মনে রেখেছে। লজ্জাজনক ওই অধ্যায় শেষ হতে না হতে মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ পায় যেখানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন কর্মরত সচিব ও যুগ্ম সচিব জড়িত ছিলেন। তারা নিজেদের নামেই সনদ ও গেজেট প্রকাশ করতে জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছিলেন। কথায় বলে- ‘শর্ষের ভেতর ভূত যদি থাকে তাহলে সে ভূত তাড়াবে কে?’ রাজাকারের তালিকা প্রকাশের পর এখন তো মনে হচ্ছে, ‘যে যায় লঙ্কায় সে হয় রাবণ!’

অর্থাৎ এ মন্ত্রণালয়ে বদলি হয়ে যারাই আসুক না কেন তারা মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এমন সব কাণ্ড করেন, যা জাতিকে বিক্ষুব্ধ করে তোলে। এর আগে আমলারা নিজেদের নামে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ তুলে সব মন্ত্রণালয়কে লজ্জায় ফেলেছিলেন, আর এবার প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের রাজাকারের সারিতে দাঁড় করিয়ে দিলেন! পূর্বের ঘটনাটি যদি স্মরণ করি তাহলে আমরা দেখতে পাই, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকীসহ পাঁচজন সাবেক সচিব ও যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট উত্তোলনের মাধ্যমে জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। বাকি সচিবরা হলেন নিজামউদ্দিন মিয়া, একেএম আমির হোসেন, মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান ও যুগ্ম সচিব আবুল কাসেম তালুকদার। তারা সবাই বর্তমানে সাবেক। দুদকের তদন্তে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছিল। অনুসন্ধানে যাদের বিরুদ্ধে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদ নেয়ার তথ্য ধরা পড়েছে তারা কেউই সঠিক নিয়মে সনদ নেননি। এ নিয়ে জালিয়াতির প্রমাণ দুদকের কাছে ছিল। কিন্তু দুদকের প্রতিবেদনে তাদের বিরুদ্ধে মামলার কোনো সুপারিশ ছিল না। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, সঠিক নিয়মে সনদ না নেয়ার প্রমাণ মিললেও তারা যে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সে বিষয়ে প্রমাণাদি দুদক পায়নি।

তবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় চাইলে অনিয়মের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নিতে পারবে। পাঠক একটু লক্ষ করলে বুঝতে পারবেন, এসব আমলা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন কিনা তা কিন্তু দুদকের প্রতিবেদনের ভাষার চাতুরিতে বোঝা গেল না। তারা বলেছেন, এসব আমলা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা কিনা তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অথচ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের পক্ষে তারা কোনো দালিলিক প্রমাণও দেখাতে পারেননি সংশ্লিষ্ট অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছে। যে চারটি পূর্বশর্ত পূরণ করতে পারলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা শনাক্ত করা হয় সেগুলোর মধ্যেও তারা পড়েননি। অতঃপর উল্লেখিত পাঁচ আমলার মুক্তিযোদ্ধার গেজেট ও মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাতিল করা হয়েছে। দুদক তাদের প্রতিবেদনে অসদাচরণের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা ও মিথ্যা তথ্য দেয়ার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য যথাক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পিএসসি কর্তৃপক্ষের ওপর ছেড়ে দেয়ার কথা উল্লেখ করেছিল। এ যাবৎ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় কিংবা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও পিএসসি কর্তৃপক্ষ এ পাঁচ সাবেক আমলার বিরুদ্ধে কোনোরূপ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল কিনা আমাদের জানা নেই।

এবারের রাজাকারের তালিকায় বরিশালের ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত মিহির দত্তের নাম দেখে আশ্চর্য হয়েছি। প্রয়াত মিহির দত্তের ধর্মীয় পরিচয় জানার পরও তাকে কীভাবে অনায়াসে রাজাকারের দলে ভিড়িয়ে দেয়া হল তা বোধগম্য নয়। এ প্রসঙ্গে আমার একটি অভিজ্ঞতার কথা মনে পড়ে গেল। আমি তখন সেনাবাহিনীতে কর্মরত। একদিন আমার পূর্ব পরিচিত এক ভদ্রলোক ফোন করে জানালেন তার ছোট ভাইকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে শিবিরের সদস্য সন্দেহে পুলিশ স্থানীয় থানায় ধরে নিয়ে গেছে।

আমি আমার বন্ধুটিকে বললাম, কেন তোমার ভাই পুলিশের কাছে নিজের পরিচয় দেয়নি, বলেনি যে সে হিন্দু? উত্তরে তিনি বললেন, পরিচয় দিয়েছে; কিন্তু পুলিশ বিশ্বাস করছে না। ওর মুখে দাড়ি আছে, এখন সে যতই নিজের ধর্মীয় পরিচয় দেয় ততই পুলিশ সে শিবির সদস্যের পরিচয় লুকিয়ে মিথ্যা কথা বলছে বলে তাকে পেটাচ্ছে। আমি বিষয়টি বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে ওখানকার সহকারী পুলিশ কমিশনারকে ফোন করি। তাকে বিনয়ের সঙ্গে প্রকৃত পরিচয় জানানোর পরও দেখি তিনি থানার পুলিশের সুরেই কথা বলছেন। শেষ পর্যন্ত বিরক্ত হয়ে তাকে বললাম, দেখেন ছাত্রটি হিন্দু না মুসলিম তা নিশ্চিত হওয়া তো কোনো কঠিন কম্ম নয়। আপনাদেরও মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানিদের পথ অনুসরণ করে পরীক্ষা করে দেখুন না সে কোন ধর্মাবলম্বী! আমার কথা শুনে ভদ্রলোক মনে হল একটু লজ্জিত হলেন এবং বললেন, আমি থানায় কথা বলে দেখি কী করা যায়। পরে শুনেছি আমার বন্ধুটির ভাই শিবির সদস্য হিসেবে শনাক্ত হওয়ার কলঙ্ক থেকে মুক্তি পেয়েছিল।

ক্যাডার সার্ভিসের চাকরিতে পদোন্নতি, ভালো জায়গায় বদলি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী কর্তৃপক্ষের শুভদৃষ্টিতে থাকার জন্য আমলাদের ভেতর সবসময়েই একটি অলিখিত প্রতিযোগিতা থাকে। কোনো কোনো সময় এ প্রতিযোগিতা এমন পর্যায়ে চলে যায়, পেশাগত যোগ্যতাকে পেছনে ফেলে ব্যক্তিগত যোগাযোগই মুখ্য হয়ে ওঠে। এ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষকে সন্তুষ্ট করাই যেন একমাত্র লক্ষ্য থাকে। তাতে কেউ কেউ হয়তো ভালো ফল পেয়ে যান। আবার কারও কপালে পুড়ে। ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজাকারদের তালিকা যে করেই হোক প্রকাশ করতে হবে এবং প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষের অতিরিক্ত বাহবা পাওয়া যাবে, এমন কোনো মানসিকতা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ভেতর কাজ করেছিল কিনা জানা নেই।

তবে খুব তাড়াহুড়া করে আগে-পিছে না ভেবেই যে তালিকাটি ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে সে ব্যাপারে কারও সন্দেহ নেই। মন্ত্রী মহোদয় তার বক্তব্যের মাধ্যমেও প্রকারান্তে তা স্বীকার করে নিয়েছেন। এখানে যে দায়িত্বের অবহেলা হয়েছে তা নিশ্চয়ই তারা উপলব্ধি করতে পারছেন। পূর্ব থেকে তারিখ যদি নির্ধারিত হয়েই থাকে তাহলে তাদের উচিত ছিল অনেক আগে থেকেই এ বিষয় কাজ শুরু করা। পাকিস্তানিদের তৈরি তালিকা হুবহু কীভাবে চালিয়ে দেয়া হল সেটাই বোধগম্য হচ্ছে না! তাদের কি একবারও মনে হয়নি মুক্তিযুদ্ধের গবেষক বা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে এ বিষয়ে পরামর্শ বা উপদেশ গ্রহণ করি? আমার বিশ্বাস, তারা সবাই জানেন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করতে গিয়ে কেমন হিমশিম খেতে হচ্ছে। তালিকা করা সত্ত্বেও দিন দিন কী হারে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য অভিজ্ঞ ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বর্তমান সরকার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) গঠন করে দিয়েছে এবং এ কাজটি সম্পন্ন করতে জামুকা তাড়াহুড়া পরিত্যাগ করে খুব সতর্কতার সঙ্গে সময় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। রাজাকারের তালিকা তৈরি করতে গিয়ে তারা এ অভিজ্ঞতাও তো কাজে লাগাতে পারতেন। এবার আমরা আশা করি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ভুলের পুনরাবৃত্তি না ঘটিয়ে সঠিক পথটাই বেছে নেবেন।

১৯ ডিসেম্বরে প্রকাশিত যুগান্তরের প্রথম পৃষ্ঠায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এতদসংক্রান্ত বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রকাশ হয়েছে। তার এ বিবৃতি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলেন, ‘তালিকা অজ্ঞতাপ্রসূত, ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।’ রাজাকারের তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ঢুকে যাওয়ায় বিষয়টিকে তিনি ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এটি অজ্ঞতাপ্রসূত, এটি রাজাকারের তালিকা হতে পারে না।’ তিনি যোগ করেন, ‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীকে আগেই বলেছিলাম, তালিকা তৈরি করতে গিয়ে তাড়াহুড়া করবেন না। তালিকা নিয়ে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করতে হবে। এরপরও এটি হয়ে গেছে।’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশ ছিল স্পষ্ট ও পরিষ্কার। তার এ নির্দেশের মাধ্যমে তিনি রাজাকারের তালিকা তৈরির কর্মপদ্ধতিও বলে দিয়েছিলেন মন্ত্রণালয়কে। তারপরও কেন এমন হল তা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কেই স্পষ্ট করতে হবে। এ ব্যাপারে দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম