আমরা কি প্রকৃতির কৃতঘ্ন বাসিন্দা!
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
আশাফা সেলিম
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
![আমরা কি প্রকৃতির কৃতঘ্ন বাসিন্দা!](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2019/12/21/image-257759-1576876216.jpg)
ছবি: সংগৃহীত
মিডিয়ার সাম্প্রতিক খবর অনুযায়ী ‘বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহর হিসেবে ঢাকা এক নম্বর’! এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশিষ্ট পরিবেশবিদ, বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্ট লয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান টেলিভিশনে বলেছেন, ‘ঢাকায় গাছগাছালি তথা সবুজের পরিমাণ বাড়াতে হবে।
নির্মল বায়ুর জন্য একটা আগ্রাসী আইন লাগবে; যেখানে জনগণের নির্মল বাতাস সেবনের অধিকারকে স্বীকার করতে হবে। একটা সময়ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা লাগবে। ঢাকা শহরে ১৫ দিনে বা সপ্তাহে একটা কারফিউ ডে ঘোষণা করতে হবে।
পোড়ানো ইট নিষিদ্ধ এবং পুরনো যানবাহন ঢাকা থেকে বিদায় করতে হবে। ধূলিদূষণ কমাতে নির্মাণ কাজকে কঠোরভাবে মনিটর, নিয়ন্ত্রণ ও বায়ুদূষণের পণ্য উৎসগুলো নিষিদ্ধ করতে হবে। জ্বালানি হতে হবে মানসম্মত, পরীক্ষিত ও পরিবেশবান্ধব। পরিবেশ অধিদফতর জনগণকে সচেতনতামূলক ব্যবস্থা সম্পর্কে জানাবে’ (‘মুখোমুখি’, চ্যানেল টোয়েন্টিফোর, ১৬.১১.২০১৯)।
‘প্রতি বছর বিশ্বে ৫৫ লাখের বেশি মানুষ মারা যায় বায়ুদূষণের কারণে। ২০১৩ সালে শুধু চীনে ১৬ লাখ এবং ভারতে ১৩ লাখ মানুষ মারা গেছে বায়ুদূষণের কারণে...বাংলাদেশে বায়ুদূষণের কারণে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে অ্যাজমা, সিওপিডি (ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমুনারি ডিজিজ) এবং এআরআই (অ্যাকিউট রেসপারেটরি ইনফেকশন) রোগ।...কয়েক বছর ধরে মানুষ উচ্চহারে অ্যাজমায় এবং সিওপিডিতে আক্রান্ত হচ্ছে।
এসব রোগে মৃত্যুহারও বেড়েই চলেছে।...বায়ুদূষণের কারণে শ্বাসযন্ত্রের মারাত্মক সংক্রমণ এবং হৃদযন্ত্রের রোগসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এর মধ্যে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত সমস্যা ও লাং ক্যান্সার বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য (যুগান্তর, ২৩.১০.২০১৮)’; এ নিয়ে যুগান্তর সম্পাদকীয়ও করেছে ‘জনস্বাস্থ্যে বায়ুদূষণের প্রভাব; দূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলা জরুরি’ শিরোনামে (১১.১২.২০১৯)।
শুধু কি বায়ুদূষণ? প্রকৃতির সব শাখাকেই আমরা দূষিত করছি! প্রকৃতি চলবে তার নিজ নিয়ম মেনে, ভেঙে অথবা নতুন নিয়ম সৃষ্টি করে। কিংবা আরও নানা রূপে নানাভাবে যা ইচ্ছে করবে, যেভাবে ইচ্ছে সে চলবে। কখনও মোলায়েম, মায়াবী আবার কখনও রুদ্ররূপে। কারণ, সে তো কারও শাসনাধীন নয়। সে স্বাধীন। প্রকৃতির মতো স্বাধীন। তার সে চলার পথ রুদ্ধ করার অধিকার কারও নেই। শক্তিও নেই। সে চেষ্টা মানেই প্রকৃতির বিপরীতে বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর দুঃসাহস!
প্রকৃতিকে তো বদলানো যাবে না, তাই আমাদের নিজেদেরই প্রকৃতির বদলে যাওয়া আচরণের সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলতে হবে। প্রকৃতির বুকে বসবাসকারী মানবকুল-প্রাণিকুল-জীবকুল তো প্রকৃতিরই সন্তানতুল্য। সন্তান যেমন বাবা-মায়ের সঙ্গে, আমরা তেমনি প্রকৃতির সঙ্গে ব্যবহার-আচরণ করব। এটাই স্বাভাবিক। সন্তান বাবা-মায়ের অবাধ্য হলে বাবা-মা সন্তানের ওপর অভিমান করবে। ক্ষিপ্ত হবে। তাকে শাসন করবে। এটাই রীতি। অথচ, আমরা করছি উল্টোটা।
প্রকৃতির যত সেবা, দান, রং, রস, রূপের মাধুরী সবই ঠিকঠাক গ্রহণ করে চলেছি; কিন্তু তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকছি না। বরং নিয়তই তার ক্ষতি করে চলেছি। প্রকৃতির দয়ায়, তার বুকের ওপর বসে তারই বিরুদ্ধে দাঁড়ানো মানে তো কৃতঘ্ন আচরণ! জলে বাস করে কুমিরের সঙ্গে লড়াইও! ফলে, প্রকৃতিও আমাদের প্রতি অভিমান করে, ক্ষিপ্ত হয়ে, প্রায়ই রুদ্ররূপে দেখা দিচ্ছে। তার সে রুদ্ররূপ মাঝেমধ্যে এতটাই ভয়ংকর হয় যে মানবজাতি, প্রাণিকুলের অস্তিত্বই সংকটে পড়ে। আর সেই সংকটকে আমরা বলছি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বা এর ফলে সৃষ্ট সংকট।
প্রকৃতি তো আমাদের কোনো ক্ষতি করে না; তাহলে আমরা কেন তার ক্ষতি করি? কেন সামান্য প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে শখের বসে গাছ কেটে, বন উজাড় করি? আন্দোলনে রাস্তায় ব্যারিকেড দিতেও কেন গাছ কাটার প্রয়োজন হয়! সামান্য স্বার্থে যেখানে-সেখানে ইটভাটা বসিয়ে দূষিত করি বায়ু!
কেন মায়ের মতো নিজেকে বিলিয়ে যাওয়া খরস্রোতা নদীগুলো নির্দয়ভাবে ভরাট-দূষিত করি? নদীর বুকে ময়লা-আবর্জনা-দূষিত বর্জ্য ফেলে ওকে শ্বাসরুদ্ধ করে মেরে ফেলি? ওর বুকে ভবন বানাই? খাল-বিল-পুকুরকে তার নিজ বৈশিষ্ট্যে থাকতে দিই না; কেন এত পাষাণ হৃদয় আমাদের? অকৃতজ্ঞ-কৃতঘ্ন রূপ! কেন বাতাসে দূষিত ধোঁয়া আর সিসা ছড়াই? কেন মাছ-মাংস, ফলমূল-শাকসবজিসহ প্রায় সব খাদ্যে বিষ মেশাই? এসব প্রশ্নের উত্তর এবং সমাধান নিশ্চয়ই রাষ্ট্রকেই দিতে হবে; কিন্তু এর দায় প্রকৃতির বুকে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের ওপরই বর্তায়।
দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে! বিশ্বব্যাংকের জলবায়ুবিষয়ক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, পরিবেশ দূষণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। আমাদের দেশে ৪ ধরনের পরিবেশ দূষণ জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে: বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, মাটিদূষণ ও শব্দদূষণ। এসবের অন্যতম কারণ প্রাকৃতিক সম্পদের অপব্যবহার, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন তথা তেল, গ্যাস ও কয়লা ইত্যাদির যথেচ্ছ ব্যবহার। কল-কারখানা ও ইটভাটা থেকে বিষাক্ত গ্যাস নির্গমন, যেখানে-সেখানে ময়লা-আবর্জনা-হাসপাতালের বর্জ্য ফেলা এবং মলমূত্র ত্যাগও পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ।
একটি দেশের আয়তনের ৩০ শতাংশ বনাঞ্চল থাকা প্রয়োজন; অথচ আমাদের রয়েছে মাত্র ৭ শতাংশ, যা ধীরে ধীরে আরও কমছে। এ অল্পসংখ্যক গাছপালা ও বনাঞ্চল ধ্বংস করে কোথাও কোথাও বাসস্থান, রাস্তাঘাট ও শিল্প-কল-কারখানা নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে পরিবেশ আরও বেশি হুমকির মুখে পড়ছে। তার মানে বাসস্থান, রাস্তাঘাট ও শিল্প-কল-কারখানা নির্মাণের বিরুদ্ধে বলছি না। বলছি সবই করতে হবে; তবে তা যেন হয় পরিবেশবান্ধব ও সুপরিকল্পিত।
পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে। কিন্তু তা তো সব ক্ষেত্রে হচ্ছে না। হয়তো রাষ্ট্রেরই প্রয়োজনে, উন্নয়নের প্রয়োজনে যা হচ্ছে, তা তো সব ক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব নয়। সন্দেহ নেই বুড়িগঙ্গা নদীকে অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে উদ্ধার, হাতিরঝিল থেকে বিজিএমইএ ভবন সরানো, পুরান ঢাকার লোকালয় থেকে ট্যানারি স্থানান্তরের সরকারি উদ্যোগগুলো প্রশংসার দাবিদার।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম এক অনুষ্ঠানে (১১ মার্চ ২০১৯) বলেছেন, ‘ঢাকার অবৈধ দখল হয়ে যাওয়া খালগুলো যে কোনো মূল্যে উদ্ধার করব। প্রথমে ভালোবেসে বলব, না শুনলে কঠোর ব্যবস্থা নেব।’ এটি খুবই আশাব্যঞ্জক। কিন্তু শুধু ঢাকা কেন? কেন দেশের অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনের মেয়ররাও এমন উদ্যোগ নেন না! শুধু ঢাকাকে নিয়ে ভাবলে তো চলবে না, ভাবতে হবে সারা দেশের পরিবেশ নিয়ে।
রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী এক সময়ের বিশাল চলনবিল অবৈধ দখলদারদের দ্বারা বেদখল হয়ে মৃতপ্রায় হয়ে আছে। রংপুর শহরের পরিবেশ রক্ষা ও পরিচ্ছন্ন রাখার অন্যতম সহায়ক ১৬.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ শ্যামাসুন্দরী খাল। একসময়ের মনোরম স্রোতস্বিনী এ খালের পুরোটাজুড়েই বুকের ওপর গড়ে উঠেছে অসংখ্য বাড়িঘর। অবৈধ দখলদাররা এ খাল শুধু দখল করে, দুই পাড়ে বাড়িঘর নির্মাণ করেই ক্ষান্ত হয়নি, একে পরিণত করেছে দুর্গন্ধযুক্ত চরম অস্বাস্থ্যকর ভাগাড়ে।
সাভারের বংশী নদের বিরাট এলাকা বেদখলে। ‘চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় সাতটি খাল (চরপাথালিয়া, নলুয়া, দিঘলদী, দূরগাঁও, ধনারপাড়, বাইশপুর ও রাঢ়ীর খাল) দখল করে দোকানপাট, ঘরবাড়ি ও পাকা সেতু নির্মাণ করেছেন স্থানীয় লোকজন। এতে এসব খালের অস্তিত্ব ও জলজ জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়েছে। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পানির প্রবাহ। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য’ (প্রথম আলো, ২৮ মার্চ ২০১৯)। সারা দেশে এমন অসংখ্য খাল-বিল অর্থলোভীরা অবৈধভাবে দখল করে আছে। এসব পুনরুদ্ধার করে বিপর্যস্ত, মৃতপ্রায় পরিবেশের প্রাণ ফিরিয়ে আনতে হবে।
আশার কথা, ফেব্রুয়ারিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত রাজধানীর চারপাশের নদ-নদীসহ ঢাকার খালগুলো দখলমুক্ত করতে একটি যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন- কারও বিরুদ্ধে নদী দখল এবং ভরাট করার অভিযোগ উঠলে, তিনি দেশের কোনো ধরনের (জাতীয় সংসদ, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না; এবং তারা কোনো ব্যাংক থেকে ঋণও নিতে পারবেন না। হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ ৩ ফেব্রুয়ারি এ রায় দেন। হাইকোর্ট সম্প্রতি ঢাকাসহ আশপাশের অবৈধ ইটভাটা বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছেন (দৈনিক ইত্তেফাক, ২৭.১১.২০১৯)।
আদালতের এসব রায়-নির্দেশনা দেশের মানুষকে স্বস্তি দিয়েছেন। এ আশাপূরণ যেন এখানেই শেষ না হয়। দেশের অন্যান্য নদী-নালা-খাল-বিল অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে মুক্ত করতেও যেন একই ধরনের নির্দেশনা দেয়াসহ দ্রুতই কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়। কারণ এসব উদ্যোগের বিপরীতে সব সময়ই একটি অপশক্তি থাকে; যাদের কাছে দেশ-জাতির চেয়ে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীস্বার্থই বড়। পরিবেশ রক্ষায় গৃহীত নানা পদক্ষেপের পথে এরা বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
এদের কালো হাতের কবল থেকে দেশ-জাতিকে রক্ষা করতে হবে। এ দায়িত্ব শুধু রাষ্ট্র বা পরিবেশবিদদেরই নয়; পুরো জাতির। সেজন্য ক্রমান্বয়ে পুরো জাতিকেই পরিবেশ বিপর্যয়-সংকটের উদ্বেগের অংশীদার বানাতে হবে। পরিবেশসচেতন তথা পরিবেশপ্রেমী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
দেশপ্রেমিক না হলে যেমন দেশকে বাঁচানো যায় না, তেমনি পরিবেশপ্রেমী না হলে পরিবেশ রক্ষা করা যায় না। আর পরিবেশ রক্ষা না হলে আমি, আপনিসহ একে একে দেশ-জাতি সবই ধ্বংস হয়ে যাবে। এ ধারণাটি ছোট-বড় সবার মনে গেঁথে দিতে হবে। রাষ্ট্রযন্ত্র এবং মিডিয়ার মাধ্যমে ব্যাপক জনসচেতনতামূলক অ্যাডভোকেসি ক্যাম্পেইন পরিচালনা করতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় রাষ্ট্রীয় আইনের যথাযথ কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
নির্বিচারে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। বনায়ন বাড়াতে হবে। পরিকল্পিতভাবে বনজ, ফলদ ও ভেষজ গাছ লাগাতে হবে। কলকারখানা ও গৃহস্থালির বর্জ্য যেখানে-সেখানে ফেলা বন্ধ করতে হবে। সব অঞ্চলেই রি-সাইক্লিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। চাষাবাদে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সারের ব্যবহার বাড়াতে হবে। কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে হবে। শব্দদূষণ কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। খাদ্যদ্রব্যে বিষাক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। সরকারি উদ্যোগে সারা দেশে ফরমালিনমুক্ত হাট-বাজার বানাতে হবে।
শেষ কথা, আমরা প্রত্যেকেই যদি পরিবেশের নিজ নিজ অংশটুকু রক্ষা করি, তাহলেই পুরো পরিবেশও রক্ষা হবে। তাই ভয়াবহ পরিবেশ বিপর্যয় থেকে দেশ-জাতি তথা নিজেকে বাঁচাতে আসুন, এখনই সর্বপ্রথম নিজের ঘর থেকেই পরিবেশ রক্ষার কাজটি শুরু করি।
আশাফা সেলিম : ছড়াকার ও সংস্কৃতিকর্মী
ashafa.salim@gmail.com