Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি বিচারিক কার্যক্রমও চলতে পারে

Icon

একেএম শামসুদ্দিন

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি বিচারিক কার্যক্রমও চলতে পারে

রোহিঙ্গা। ফাইল ছবি

শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যা চালানোর অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত বা ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) মামলা হল। আফ্রিকার সবচেয়ে ক্ষুদ্র দেশ গাম্বিয়া মামলাটি করায় রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক বিচার আদালত পর্যন্ত পৌঁছল। এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা।

অনেকের প্রশ্ন, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশ মামলা না করে মিয়ানমার থেকে প্রায় সাত হাজার মাইল দূরের দেশ গাম্বিয়া মামলা করতে গেল কেন? মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর যে হারে নৃশংস অত্যাচার এবং গণহত্যা চালিয়েছে তা বিশ্বের অধিকাংশ মুসলিম অধ্যুষিত দেশ সহজভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। এ নিয়ে মুসলিম দেশগুলোর জনগণের ভেতর ব্যাপক প্রক্রিয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ব সম্প্রদায় এগিয়ে এলেও রোহিঙ্গাদের পূর্ণ মর্যাদায় তাদের বাস্তুভিটায় ফিরে যাওয়ার পথ উন্মুক্ত করার কার্যকরী পদক্ষেপে এখনও পিছিয়ে আছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর যেসব সদস্য রোহিঙ্গা গণহত্যায় জড়িত তাদের চিহ্নিত করা হলেও বিচারের সম্মুখীন করা যায়নি।

আইনগত কিছু জটিলতা থাকা সত্ত্বেও এ ব্যাপারে যে কিছুটা অগ্রগতি হয়নি তা বলা যাবে না। জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংয়ের সদস্যরা তদন্ত করে অনেক আগেই তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। মন্থর হলেও মিয়ানমারের চিহ্নিত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার প্রক্রিয়াটি কিন্তু থেমে নেই।

মাত্র ২০ লাখ জনসংখ্যার মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের দেশ গাম্বিয়ার করা মামলাটি সেই প্রক্রিয়ারই অংশ। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক কূটনৈতিক সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে। কারণ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণে মিয়ানমারের বন্ধু রাষ্ট্র চীন এবং ভারতের বিষয়টি বাংলাদেশে মাথায় রাখতে হয়।

তাছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে আটকে গেছে। এ চুক্তি স্বাক্ষরের পর মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সরাসরি মামলা করলে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। তাছাড়া এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণে চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষতিসাধনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। মনে রাখতে হবে, চীন ও ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্কে বাংলাদেশের ভারসাম্য নীতিরও ক্ষতি হতে পারে।

বিশ্বের মুসলিমপ্রধান ৫৭টি দেশের জোট ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে গাম্বিয়া ১১ নভেম্বর গণহত্যা প্রতিরোধবিষয়ক কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলা করে। এ মামলায় মিয়ানমার কর্তৃক গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের প্রতিকার চাওয়ার পাশাপাশি মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের পক্ষে যায় এমন কিছু অন্তর্বর্তী ব্যবস্থা নেয়ার আবেদনও করা হয়েছে।

এ আবেদনে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গারা এখনও প্রতিদিন হত্যার হুমকি, নির্যাতন, ধর্ষণ ইত্যাদি নানা ধরনের অত্যাচারের মুখোমুখি হচ্ছে। অর্থাৎ মিয়ানমারে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা গণহত্যার শিকার হওয়ার বড় ধরনের ঝুঁকিতে আছে। এ কারণে এই জরুরি পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গাদের জন্য আদালতের সুরক্ষা প্রয়োজন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গত বছর রোহিঙ্গাদের গণহত্যার তদন্ত করে। কিন্তু মিয়ানমার আইসিসির সদস্যভুক্ত রাষ্ট্র নয় বিধায় ওই তদন্ত অস্বীকার করে। এ কারণে আইসিসি মিয়ানমারের অপরাধের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বেশিদূর অগ্রসর হতে পারেনি। কিন্তু আইসিজের জন্য সে ধরনের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।

কারণ গান্বিয়া ও মিয়ানমার ১৯৪৮ সালের ‘জেনোসাইড কনভেনশন’-এ স্বাক্ষরকারী দেশ যা শুধু গণহত্যা থেকে বিরত থাকা নয় বরং এ ধরনের অপরাধ প্রতিরোধ করা এবং সংঘটিত অপরাধের জন্য বিচার করতে দেশগুলোকে বাধ্য করে। তাছাড়া আইসিজের বিধি অনুসারে জাতিসঙ্ঘের সদস্যভুক্ত এক রাষ্ট্র আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করার জন্য অন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারে।

গণহত্যা বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিধি অনুসারে যে কোনো বিবাদের ক্ষেত্রে আইসিজে রায় প্রদান করার ক্ষমতা রাখে। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৪৬ সালে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। নেদারল্যান্ডসের হেগে এই আদালতের সদর দফতর। তাদের মূল কাজ হল, জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত স্বাধীন দেশগুলোর মধ্যে আইনি বিরোধ নিষ্পত্তি করা এবং বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আইন বিষয়ে পরামর্শ ও মতামত দেয়া।

স্মরণ করা যেতে পারে, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ১৯৯৩ সালে প্রথম জেনোসাইড কনভেনশনে মামলা হয়েছিল সার্বিয়ার বিরুদ্ধে। ওই মামলায় প্রমাণিত হয়েছিল যে সার্বিয়া বসনিয়া-হার্জেগোভিনিয়ায় গণহত্যা প্রতিরোধে ব্যর্থ হয়েছিল। দুঃখের বিষয়, সেই গণহত্যার শিকারও ছিল বসনিয়ান মুসলিম জনগোষ্ঠী। উল্লেখ্য, গত মার্চে ওআইসি মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সর্বসম্মত প্রস্তাব গ্রহণ করে। আইসিজেতে মামলা পরিচালনার সম্পূর্ণ খরচও ওআইসি বহন করবে।

আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী কর্তৃক রোহিঙ্গাদের প্রতি সংঘটিত অপরাধের বিষয়ে আইসিসির এখতিয়ারের আওতায় তদন্ত শুরুর জন্য কৌঁসুলিকে অনুমতি দেয়া হয়েছে। মিয়ানমার আইসিসির সদস্যভুক্ত দেশ না হলেও বাংলাদেশ আইসিসির রোম সনদে স্বাক্ষর করা দেশ। এ কারণে এ তদন্তকাজ পরিচালনায় আইনগত সমস্যা নেই বলে আইসিসি মনে করে।

এটা বাস্তব সত্য, মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রাখাইনে ব্যাপক সহিংসতা করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জোরপূর্বক দেশত্যাগে বাধ্য করেছে এবং এসব রোহিঙ্গা বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে। সুতরাং এ মানবতাবিরোধী অপরাধ মিয়ানমারে শুরু হলেও শেষ হয়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে।

অতএব, মিয়ানমারের গণহত্যার তদন্ত ও বিচার করার এখতিয়ার রাখে আইসিসি। আইসিসির এ পদক্ষেপে প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিপীড়নের ঘটনায় কোনো আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে তদন্ত হতে যাচ্ছে। তদন্তে যদি কোনো ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা যথেষ্ট প্রমাণিত হয়, তবে তদন্ত কৌশলী প্রি-ট্রায়াল চেম্বার-৩-এর বিচারকের কাছে ওই ব্যক্তির নামে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা বা গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করবে।

চেম্বার বিচারকের ইস্যুকৃত গ্রেফতারি পরোয়ানা যাবে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের কাছে। আইসিসির নিজস্ব কোনো বাহিনী না থাকায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে, বা দণ্ড কার্যকর করতে পারে না। এ জন্য তাদের সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্র ও অন্য কোনো রাষ্ট্রকে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের আহ্বান জানায়।

মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য মিয়ানমার নেত্রী অং সান সু চির বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে। প্রবাসী রোহিঙ্গা ও লাতিন অ্যামেরিকান মানবাধিকার সংগঠনগুলো অং সান সু চিসহ গণহত্যার সঙ্গে জড়িত সামরিক অধিনায়কদের বিরুদ্ধে আর্জেন্টিনায় এ মামলা করে। ‘ইউনিভার্সাল জুরিসডিকশন’ বা বৈশ্বিক বিচার-দায়বদ্ধতার আওতায় এ মামলা হয়।

মামলার অভিযোগে অপরাধী, সহযোগী, ও তথ্য গোপনকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। সুচির বিরুদ্ধে মামলা, আইসিসি ও আইসিজেতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে সম্মিলিত এ পদক্ষেপের ফলে দেশটির ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে সন্দেহ নেই। বাংলাদেশ ওআইসির উদ্যোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার করা মামলা সমর্থন দিয়েছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছে।

একই সঙ্গে আইসিসির তদন্তকাজে বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় সহযোগিতাও করবে বলে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশের এই বহুমুখী কূটনৈতিক পদক্ষেপ প্রশংসার দাবি রাখে। এ প্রসঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য।

গত ১১ জানুয়ারি ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে ‘ঢাকা গ্লোবাল ডায়লগ-২০১৯’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- এ পররাষ্ট্র নীতিতে আমরা বিশ্বাসী এবং বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে এটাই মেনে চলে। এমনকি মিয়ানমার থেকে ১১ লাখ রোহিঙ্গা আমাদের দেশে আসার পরও তাদের সঙ্গে আমরা ঝগড়ায় লিপ্ত হইনি। সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্যও হুমকিস্বরূপ। এ অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে এ সমস্যার আশু সমাধান প্রয়োজন।’ তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ বাস্তুভিটায় টেকসই প্রত্যাবাসনে আমাদের সবাইকে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।’

এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, এগারো লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ যে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, ইউরোপ ও আমেরিকার অনেক দেশই সিরিয়ার উদ্বাস্তুদের ক্ষেত্রে তেমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেনি। সম্পদের সীমাবদ্ধতা ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের মানুষ যে উদারতার পরিচয় দিয়েছে তা সত্যিই বিরল। কিন্তু এ সমস্যা আর বেশিদিন চলতে দেয়া যায় না। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও পরিবেশগত ভারসাম্যের ঘাটতি পরিলক্ষিত হতে শুরু করেছে। কিন্তু তার চেয়েও যে বিষয়টি গুরুতর তা হল, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বৃদ্ধি।

আশ্রয় শিবিরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার তথ্যানুসারে গত দু’বছরে নতুন জন্ম নেয়া রোহিঙ্গা শিশুর সংখ্যা প্রায় ৬১ হাজার। আনুমানিক আরও ৩০ হাজার সন্তানসম্ভবা রোহিঙ্গা নারীর তথ্য পাওয়া গেছে। প্রথম দিকে আসা রোহিঙ্গা নারীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছিল মিয়ানমারে ধর্ষণের শিকার।

রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নিয়ে বাংলাদেশ যে বহুবিধ জটিল পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে তা থেকে বেরিয়ে আসার সবচেয়ে কাক্সিক্ষত পথ হল রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন। তাদের নিরাপদ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসনই এ জটিলতার একমাত্র গ্রহণযোগ্য সমাধান। সে লক্ষ্যে মিয়ানমারকে প্রত্যাবাসনে বাধ্য করতে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কিন্তু বাংলাদেশের জন্য প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের কাক্সিক্ষত পথ হলেও আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের দৃষ্টিকোণ থেকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার পাশাপাশি মিয়ানমার মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ করেছে তার বিচার হওয়া প্রয়োজন। মিয়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে দেশত্যাগে শুধু বাধ্যই করেনি, যে প্রক্রিয়ায় দেশটি এ কাজ করেছে তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের চূড়ান্ত।

হত্যা, ধর্ষণ, বাস্তুভিটায় অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের এক মহাযজ্ঞ চালিয়ে তারা রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়ন করেছে। এ কারণে ফৌজদারি পদক্ষেপও জরুরি। আন্তর্জাতিক বিচার আদালত ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সে লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছে। রোহিঙ্গা সমস্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এ বিষয়ে আদালতের ইতিবাচক ও সঠিক সিদ্ধান্তই প্রত্যাশা করে।

একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম