Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

শতফুল ফুটতে দাও: বাংলাদেশকে ভাবতে হবে

Icon

ড. মাহবুব উল্লাহ্

প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০১৯, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

শতফুল ফুটতে দাও: বাংলাদেশকে ভাবতে হবে

আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে চিরস্থায়ী বন্ধুত্ব বলে কিছু নেই; দেশের স্বার্থটাই চিরন্তন। বাংলাদেশে যারা চিন্তার জগতের মানুষ বলে পরিচিত তারা অনেকেই মনে করেন আমাদের একটি চিরস্থায়ী বন্ধু আছে।

সেই বন্ধু আমাদের সঙ্গে যতই বিরূপ আচরণ করুক না কেন আমরা বারবার বলতে থাকব, ওই দেশটি তো আমাদের বিপদের সময়ের বন্ধু। সুতরাং কোনো অবস্থাতেই সেই দেশের মনোভাব আমাদের প্রতি বিরূপ হয়ে পড়ুক, সেটা আমরা কোনোক্রমেই হতে দেব না। এমনকি বিষয়টি যদি আমাদের জীবন-মরণের প্রশ্ন হয়, আমাদের আত্মমর্যাদার প্রশ্ন হয় তখনও আমরা বুকের মধ্যে সব ক্ষোভ চেপে রেখে মুখে হাসির রেখা টেনে বলতে থাকব, ওই মিত্র দেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো পদক্ষেপ আমরা নেব না।

এদেশের কেউ কি কখনও বলেছে, অন্য দেশের ক্ষতি করা হলে বাংলাদেশের কিছু আসে যায় না। আসল কথা হল বাংলাদেশকে যেসব আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শক্তির মোকাবেলা করতে হচ্ছে, তাদের কারোর জন্যই বাংলাদেশ বিন্দুমাত্র হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে না। কারণ সামরিক শক্তির দিক থেকে বাংলাদেশ কোনো আঞ্চলিক শক্তির সমকক্ষ তো নয়ই বরং খুবই দুর্বল।

বাংলাদেশের শক্তি কী? বাংলাদেশের কি কোনোই শক্তি নেই? বাংলাদেশের কি কোনোই সম্পদ নেই? বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে এগোচ্ছে, এটা বাংলাদেশের শক্তি। হতে পারে এই শক্তি এখনও টেকসই হয়ে উঠতে পারেনি। বড় দুর্বল ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। যত কথাই বলা হোক না কেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক শক্তির উৎস দুটি প্রধান খাত। এর একটি হল পোশাক শিল্পখাত এবং অপরটি হল বিদেশ থেকে পাওয়া রেমিটেন্স। বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে দুটি প্রধান গন্তব্যস্থল হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অতি সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশের অবনতিশীল মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে না পারলে ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশকে যে অগ্রাধিকার মূলক সুবিধা দেয়া হচ্ছে তা আর অব্যাহত থাকবে না।

একইসঙ্গে শ্রমমান উন্নয়নের শর্তও জুড়ে দেয়া হয়েছে। শ্রমমান উন্নয়নের জন্য পোশাক শিল্প মালিকরা বেশকিছু কাজ করছে। এ ব্যাপারে তারা গত কয়েক বছর একর্ড ও এলায়েন্সের নজরদারিতে ছিল। সংবাদপত্রের খবর পড়ে জেনেছি, একর্ড ও এলায়েন্স পোশাক শিল্প মালিকদের সংস্কার কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। তাহলে নতুন করে শ্রমমানের শর্ত উল্লেখ করা হচ্ছে কেন। আমি মেহনতি মানুষের পক্ষের লোক। পোশাক খাতে শ্রমিকরা ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে এমন কথা বলার সময় এখনও আসেনি। কূটনীতির ব্যঞ্জনা বড়ই অদ্ভুত।

একজন কূটনীতিবিদ যখন বলেন, তিনি দক্ষিণ দিকে যাচ্ছেন, আসলে তার গতিপথ দক্ষিণমুখী নাও হতে পারে। বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশের কূটনীতিবিদরা যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের গূঢ় ইঙ্গিত বুঝে থাকে, তাহলে ভালো কথা। নচেৎ কী হবে বলা মুশকিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বাংলাদেশের জন্য জিএসপি সুবিধা বা সাধারণ অগ্রাধিকারমূলক সুবিধা স্থগিত করে রেখেছে। এসব বিবেচনা করলে বলতে হবে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প আন্তর্জাতিক বাজারে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রেমিটেন্স প্রবাহের প্রবৃদ্ধি কম-বেশি ঊর্ধ্বমুখী ছিল।

তারপরেও বলতে হয় বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের শ্রমবাজার খুব সুখকর অবস্থার মধ্যে নেই। যেসব নারী গৃহকর্মী সৌদি আরবে গিয়েছিল তাদের অভিজ্ঞতা খুবই করুণ! এছাড়া বৈশ্বিক শ্রমবাজারে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ প্রধানত অদক্ষ শ্রমশক্তিনির্ভর। আন্তর্জাতিক শ্রম বাজারের ৪০ বছরেরও বেশি অবস্থান করার পর আমাদের রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারল না, কীভাবে এ শ্রমবাজারকে আপগ্রেড করা যায়। সর্বোপরি শ্রমবাজার ব্যবস্থাপনার জন্য যে ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন সেই ধরনের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো আজ পর্যন্ত গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। অর্থনীতিবিদরা ইন্সটিটিউশন বা প্রতিষ্ঠানের ওপর এত গুরুত্ব দেন কেন? তারা এর ওপর গুরুত্ব দেন এ কারণে যে, সঠিক প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলতে পারলে লেনদেনের ব্যয় অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব। একটি দৃষ্টান্ত দিয়ে বিষয়টি খোলাসা করা সম্ভব।

ধরুন দেশে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নামক প্রতিষ্ঠান নেই। কিন্তু প্রচুর শিক্ষার্থী আছে যারা উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে চায়। আবার প্রচুর শিক্ষকও রয়েছে যারা উচ্চতর পর্যায়ের শিক্ষাদানে সক্ষম। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের খুঁজে খুঁজে বের করতে হবে কোন পণ্ডিতের বাড়িতে গেলে কোন বিষয়ে পাঠ নেয়া যায়। এ রকম পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের শহরময় শিক্ষকদের বাড়িতে যেতে অনেক সময় ও অর্থের অপচয় করতে হবে। আর শহরটি যদি ঢাকার মতো হয়, তাহলে যানজটে নাকাল হয়ে উচ্চতর জ্ঞানের পিপাসা নিবৃত্ত করার চেষ্টা ছেড়ে দিতে হবে।

এত সব সমস্যার পাহাড় ডিঙ্গিয়ে জ্ঞানার্জন করার পর প্রশ্ন উঠবে সনদ বা সার্টিফিকেট কে দেবে? এসব সমস্যা অতিক্রম করার জন্যই বিশ্ববিদ্যালয় নামক প্রতিষ্ঠানের উদ্ভব হয়েছিল। পাশ্চাত্যে বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে ওঠার আগেই মুসলিম দুনিয়ায় এ রকম প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল। যে গাউন পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কনভোকেশন উৎসব করে সেই গাউনও মুসলিম সভ্যতার সৃষ্টি। আজ বিশ্ব দরবারে মুসলিম দেশগুলোর অবস্থান কোথায়? বলছিলাম, প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার কথা। দেশের বাইরে শ্রমশক্তি রফতানির জন্যও গভীর চিন্তা-ভাবনা করে অভিজ্ঞতার আলোকে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে, যেন গরিব শ্রমিকরা প্রতারণার শিকার না হয়, অভিবাসন ব্যয় যাতে ন্যায্য হয় এবং বিদেশে কর্ম পরিবেশ এবং কাজের শর্ত যাতে মানবিক হয়। এ আলোচনা থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে উঠতে পেরেছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়। এছাড়া উন্নয়নের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল অর্থনীতির বহুমুখীকরণ। বাংলাদেশে ছোট-বড়-মাঝারি বহু ধরনের শিল্প কারখানা গড়ে তোলা সম্ভব।

সরকার দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে চাচ্ছে। এগুলোকে সব ধরনের অবকাঠামোগত সুবিধা দিয়ে গড়ে তোলা সম্ভব হলে হয়তো দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে। কিন্তু আমাদের ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের যে অবস্থা এবং পুঁজিবাজারের যে অবস্থা, সে অবস্থা কাটিয়ে উঠতে না পারলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগও খুব একটা উৎসাহিত হবে বলে আশা করা যায় না। অর্থাৎ অর্থনীতির যে শক্তির জোরে আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মাথা তুলে দাঁড়াতে চাই সে শক্তিটাও সঞ্চয় করা সম্ভব হবে না।

এবার আসা যাক আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির বিশ্লেষণে। ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান সম্পর্কের শেকড় লুকিয়ে আছে ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে। এ প্রশ্নে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুবই ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেছে। পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে ভারতে নরসিমা রাওরের প্রধানমন্ত্রিত্বের সময় থেকে। সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনরি কিসিঞ্জার এখন মনে করেন অতীতকে পেছনে ফেলে রেখে দুটি দেশই নিরাপত্তা ও অর্থনীতি বিষয়ে সমান্তরাল উদ্যোগ নিয়ে আজকের সম্পর্কের জন্ম দিয়েছে। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের সময় হেনরি কিসিঞ্জারের ভূমিকা এদেশের অনেকেরই অজানা নয়। সেই সময় প্রেসিডেন্ট নিক্সনের পলিসি ছিল Tilt Pakistan policy. প্রেসিডেন্ট নিক্সন ইন্দিরা গান্ধীকেও খুবই অপছন্দ করতেন। জনান্তিকে নিক্সন ইন্দিরা সম্পর্কে খুবই অশালীন শব্দ ব্যবহার করতেন।

হেনরি কিসিঞ্জারের বর্তমান বয়স ৯৬। নবতিপর হওয়া সত্ত্বেও তিনি এখনও মানসিকভাবে খুবই সজাগ এবং বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় অত্যন্ত তৎপর। হার্ভার্ডের সাবেক এ প্রফেসর একের পর এক বই লিখে চলেছেন। এসব দেখে মনে হয়, বার্ধক্য তাকে কাবু করতে পারেনি। ভারত-যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত অংশীদারিত্ব ফোরামে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ সংকট দুই দেশকে (ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) সংঘাতের কিনারায় নিয়ে গিয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধের একদম শেষ পর্যায়ে সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত ও পাকিস্তান। যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র পাকিস্তানের পক্ষে বঙ্গোপসাগরে সপ্তম নৌ-বহর পাঠানোর ঘোষণা দেয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অজুহাত ছিল বাংলাদেশে থাকা মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তায় তারা এটি করেছে, তবে ভারত এ ঘটনাকে নিজেদের নিরাপত্তার প্রতি হুমকি হিসেবেই দেখেছিল। কারোর কারোর ভাষ্য হচ্ছে, ভারত যাতে পশ্চিম পাকিস্তানও দখল করে ফেলতে না পারে, সেজন্যই যুক্তরাষ্ট্রের এই পদক্ষেপ। কিসিঞ্জার বলেছেন, এটি ছিল কোল্ড ওয়ারের সময়। তাই ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থও ছিল ভিন্ন।

বার্লিন সংকটের উদাহরণ দিয়ে হেনরি কিসিঞ্জার বলেছেন, ওই সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নেহেরু ও ভারত সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন না করায় মার্কিন সরকারের অনেকেই ছিলেন হতাশ। কিসিঞ্জারের ভাষায়, ভারত ছিল তখন ঐতিহাসিক বিবর্তনের সূচনালগ্নে। বিশ্বে যেসব সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল সেগুলোর সবটা ভারতের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিল না।

ভারত তখন তার নিজস্ব বিবর্তন ও নিরপেক্ষতার নীতিতে নিবিষ্ট ছিল। আমি অবশ্য কিসিঞ্জার কথিত ভারতের নিরপেক্ষ দেহভঙ্গির ব্যাপারে সন্দিহান। কারণ ১৯৬২-র চীন-ভারত যুদ্ধের পর ভারত জোট নিরপেক্ষতার পরিবর্তে দ্বৈতপক্ষতার নীতি অবলম্বন করে। অর্থাৎ ভারত ছিল Doubly Aligned. ভারত তখন আমেরিকার অস্ত্র সাহায্য নিচ্ছিল এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছ থেকেও অস্ত্র সাহায্য পাচ্ছিল।

কিসিঞ্জার উপর্যুক্ত ফোরামে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যখন চীনের জন্য নিজেকে উম্মুক্ত করে দিয়েছিল, সেই সময় হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ। তার ভাষায়, আমরা এ সংকটকে দেখেছি বিপরীত দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু দৃঢ়তার সঙ্গে বলা যায় যে, শুধু মৌলিক বিবর্তনই ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সমান্তরাল উন্নয়ন করতে পারে। অনেক বছর ধরে আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে এসে পৌঁছেছি যেখানে অনেক ইস্যুতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অভিন্ন লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য রয়েছে। হেনরি কিসিঞ্জার বলেছেন, এ দুটি দেশের মধ্যে বিশ্বের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোতে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। পূর্ববর্তী কোনো আয়োজন ছাড়াই এ সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছে এ দুই দেশের মধ্যে।

কিসিঞ্জারের ভাষায়, যদি আপনি বিশ্বের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন পৃথিবীর প্রতিটি স্থান উত্তাল। আপনি তাদের প্রত্যেকের জন্য একটি সাধারণ ধারণার বিকাশ ঘটাতে পারবেন না। প্রশ্ন উঠছে, ইন্দো-মার্কিন সমান্তরাল পথ চলায় বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়? বাংলাদেশ কি দুটি বড় শক্তির মধ্যে অভিসারের মতো অবস্থা দেখে সেই দ্বৈত শক্তিকে নৈবদ্য প্রদান করে যাবে? সেটা কি বাংলাদেশের স্বার্থানুকূল? বাংলাদেশের উপকূলজুড়ে ভারতের শক্তিশালী রাডার ব্যুহ নির্মাণের প্রশ্নে বাংলাদেশের সমঝোতায় পৌঁছানোর ব্যাপারটি বাংলাদেশকে বিশেষ বলয়ভুক্ত করে ফেলছে কিনা সেটাও তো ভাবার বিষয়। এ ব্যাপারে আমাদের সংবিধান কী বলে? সেটাও তো বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন। আমাদের ভাবতে হবে, বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থের অনুকূলে আমরা কী পদক্ষেপ নিতে পারি? আমি পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞ নই। পররাষ্ট্রনীতি বিশেষজ্ঞদের মুখেই শুনেছি, বাংলাদেশের ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা রয়েছে। তাই যদি হয়, এ সুবিধা দেশের স্বার্থে কেমন করে কাজে লাগান হবে- সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

ড. মাহবুব উল্লাহ : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম