কিছুমিছু: পাগলা হওয়ার সুবিধা অনেক

মোকাম্মেল হোসেন
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০১৯, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ভেবে দেখলাম, পাগলা হওয়ার সুবিধা অনেক। পরধন লুণ্ঠন, পরনারী হরণ ছাড়াও চুরি-ডাকাতি, খুন-খারাবি ইত্যাদি যাই কিছু করি না কেন, পাগলা নামের ভেলায় চড়ে সবকিছু থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। এ ভাবনা থেকেই একদিন সকাল বেলা নিজেকে পাগলা ঘোষণা করে দিলাম। আগের দিনে যুদ্ধজয়ী সেনাপতি অথবা রাজপরিবারের সদস্যরা সিংহাসনে আরোহণকালে নতুন নাম ধারণ করতেন। সেই রীতি ও ঐতিহ্য বজায় রেখে আমিও মোকা মিয়ার পরিবর্তে আমার নাম রাখলাম মোকা পাগলা। পাশের গ্রামে আমার বন্ধু কদমুল লস্করের বাড়ি। কদমুল রাজনীতির মানুষ। এখন তাকেই প্রয়োজন আমার; কদমুলের ছায়া না পেলে মোকা পাগলার ভেলা ঘাটে ডুববে, এটা নিশ্চিত। বাড়ি থেকে বের হচ্ছি, রান্নাঘর থেকে গোলগুটি বেগমের কণ্ঠস্বর ভেসে এলো-
: কই যাইতেছেন!
: বাইরে।
: নাশতা হইয়া গেছে; খাইয়া বাজারে যান। চাউলের বস্তা বাড়িতে পৌঁছাইয়া তারপরে যে মুল্লুকে তালুকদারি করতে যাওয়া দরকার, যাবেন; আমি নাকের একটা নিঃশ্বাসও ফেলব না।
গোলগুটি বেগমের কথা শুনে মুচকি হাসলাম। আমার রূপান্তর সম্পর্কে সে এখনও কিছু জানে না বলেই তুচ্ছ চালের বস্তা, ডালের ঠোঙা আমার কাঁধে চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। জানলে শুধু গোলগুটি বেগম নয়; তার পুরা গোষ্ঠী আমার পায়ের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়বে। উঠান পেরিয়ে রান্নাঘরের দরজায় গিয়ে দাঁড়ালাম। আগুনের আঁচে গোলগুটি বেগমের নাকে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমেছে; সকালের রোদে সেগুলো হীরার মতো ঝলমল করছে। আহা রে! আজ এখানে এই মুহূর্তে আমার জায়গায় জীবনানন্দ দাশের মতো কোনো প্রতিভা উপস্থিত থাকলে গোলগুটি বেগমের নাকের এই ঘামগুলো হিরণ্ময়ী হিসেবে অমরত্ব পেত। আফসোস! আমার ভাব আছে, প্রকাশ নাই। ভাব প্রকাশের ক্ষমতা সৃষ্টিকর্তা আমাকে দেননি। গোলগুটি বেগম পিঁড়ি এগিয়ে দিতেই মাথা নেড়ে বললাম-
: এখন খামু না।
: না খাইয়া বাজারে যাবেন?
: বাজারেও যামু না।
: ক্যান!
: পাগলা বাজারে যায় না; বাজার তার কাছে আসে।
: কে পাগলা; আপনে!
: হ।
কুলকুল করে হেসে গোলগুটি বেগম বলল-
: আপনের চেহারা-সুরত আর লেবাসে পাগলার তো কোনো নিশানা দেখতেছি না।
: চুল-দাড়ির জটা বানাইয়া, সারা শরীরে ছালা প্যাঁচাইয়া হুহু কইরা জিকিরের ঢেউ তোলার মাধ্যমে পাগলা হওয়ার সিস্টেম এখন আর নাই। এখন হইলো স্যুট-টাইমারা মডার্ন পাগলাদের যুগ। আমেরিকা থেইকা শুরু কইরা আজকের এই বাংলাদেশে মডার্ন পাগলাদের কড়কড়া রাজত্ব চলতেছে।
: আপনে মডার্ন পাগলা?
: হ।
: আপনের এই বুজরকির কথা আর কেউ জানে?
: না। তুমিই ফার্স্ট জানলা।
: এলাকাবাসীরে জানানো দরকার না?
: অবশ্যই জানানো দরকার। না জানলে তারা আমার খেদমত করবে কেমনে! খেদমতের বিষয়টা ফাইনাল করতেই কদমুল লস্করের বাড়িতে যাইতেছি।
: লস্কর-ফস্কর পরে। আগে আমার চাউলের বস্তা।
: ধুরাউ! কিসের মধ্যে কী; পান্তাভাতে ঘি!
: ধুরাউ বইলা সবকিছু উড়াইয়া দেইন না যে! ঘরে একমুঠ চাউলও নাই। চাউল আনলে তারপরে দুপুরের রান্না হবে।
কী আশ্চর্য! খাওয়া-পরা বিষয়ে চিন্তাই যদি করতে হয়, তাহলে মোকা পাগলা হয়ে লাভ কী হল? চিন্তা নয়, মোকা পাগলার পাসওয়ার্ড হচ্ছে ইশারা। চিন্তার ভার জনগণের ওপর ন্যস্ত করে মোকা পাগলা শুধু ইশারা করবে; অমনি সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু তার সামনে হাজির হয়ে যাবে। কদমুল লস্করের বাড়ি যাওয়ার পথে এক গৃহস্থবাড়ির আঙিনায় শসাগাছে কয়েকটা শসা ঝুলতে দেখে দাঁড়িয়ে পড়লাম। অন্য সময় হলে দাঁড়ানো দূরস্থান; শসাগুলোর দিকে একবারের বেশি দু’বার চোখ তুলে তাকাতাম না। এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে যে জিনিসটা আমার মনে ধরবে, সেটা পরের গাছের ফল হোক, বাড়ি হোক, নারী হোক কিংবা জমি হোক- তা পেতেই হবে। এটা নিয়ে হেলাফেলা করা যাবে না; হেলাফেলা করলে মোকা পাগলার মান-সম্মান ফুস। মান-সম্মান ফুস হতে দেয়া যাবে না। অতএব কিছুক্ষণ আগে যে শসাগুলো গাছে শোভা পাচ্ছিল; সেগুলো বৃন্তচ্যুত হয়ে আমার হাতের মুঠোয় চলে এলো। আমাকে চুরি করতে দেখে গৃহস্থবাড়ির এক বউ ছড়া কাটলেন-
: চাইয়া খাইলে খাওয়া হয় মায়ের বুকের দুধ
চুরি করলে সেইটা হয় কুত্তার মুত।
হায় সোবহানআল্লাহ। মহিলা এসব কী বলছেন! মহিলার কথা সত্য হলে কম্বল চোর থেকে শুরু করে এ যুগের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা চোর, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বর্ণচোর, সরকারি হাসপাতালের ওষুধ চোর, ভোট চোর, গ্যাস চোর, বিদ্যুৎ চোর, গম চোর, উঁচা চোর, বোঁচা চোরসহ দেশের লাখ-লাখ তরুণ-তরুণীর স্বপ্নচোরেরা তাহলে কী পান করছেন? বুঝতে পারছি না। তবে এটুকু বুঝতে পারলাম, চুরি আর করা যাবে না। চুরি-চামারি বাদ; এখন জবরদখল আর ডাকাতি শুরু করতে হবে। শসাগুলো মুখে তুললাম না; আবার ফেলেও দিলাম না। সযত্নে পাঞ্জাবির পকেটে রেখে দিলাম।
কদমুল লস্কর বাড়িতেই ছিল। ডাক শুনে বাড়ির বাইরে এসে আমাকে দেখে বলল-
: আরে মোকাইল্যা; কী খবর?
: মোকাইল্যা না; দোস্ত, মোকা পাগলা।
আমার কথা শুনে কদমুল লস্করের চেহারায় দুশ্চিন্তার ছায়া পড়ল। নরম সুরে সে বলল-
: তোমারে কি পাগলা শিয়ালে কামড়াইছে?
: আরে না! এইখানে কামড়াকামড়ির কোনো বিষয় নাই।
: তাইলে পাগলা হওয়ার কথা বললা যে!
: এত কথা তো দাঁড়াইয়া দাঁড়াইয়া বলা যাবে না দোস্ত। চল, আগে বসি।
বৈঠকখানায় বসার পর কদমুল লস্করের উদ্দেশে বললাম-
: শোন, কুকুর-শিয়ালের কামড় খাইয়া আমি পাগলা হই নাই। পাগলা হইছি স্বইচ্ছায়।
: আরে ধুর! ইচ্ছা কইরা কেউ পাগলা হয় নাকি?
: হয়। ঘটনা শুনলে তুমিও পাগলা হওয়ার জন্য সবার আগে লাইনে দাঁড়াবা।
: কী ঘটনা?
: পত্রিকায় দেখলাম- ঢাকা শহরে এক পাগলার খোঁজ পাওয়া গেছে, যার দেশে বেশুমার টাকা-পয়সা, গাড়ি-বাড়ি তো আছেই; উপরন্তু আমেরিকার মতো দেশেও সে বাড়ি কিইন্যা ফেলছে। কীভাবে এতকিছুর মালিক হইছে, জানবার চাও?
: কীভাবে?
: পাগলা হওয়ার গুণে।
: একই কারণে তুমিও পাগলা হইছো?
: হ।
: বেশ তো! এখন কোনো মাজারে গিয়া আস্তানা বানাও।
: মাজারের ব্যবসায়ে লাভ মন্দ না। তবে আমি মাজারে যাব না; জনগণের কাতারে অবস্থান কইরা, জনগণের সেবা করার মধ্য দিয়া পাগলা হওয়াটা সার্থক কইরা তুলতে চাই। এই জন্য একটা লাইসেন্স প্রয়োজন।
: লাইসেন্স!
: আইতকা উঠলা কেন! রাস্তায় গাড়ি চালাইতে গেলে লাইসেন্স লাগে। ব্যবসাপাতি করতে গেলে লাইসেন্স লাগে। আমি মোকা পাগলা হইয়া জনগণরে মলম লাগামু- তার জন্য লাইসেন্স লাগবে না? কও, লাগবে না?
: হুঁ, লাগবে।
: আমারে সেই লাইসেন্স দিবা তুমি।
আশ্চর্য হয়ে কদমুল লস্কর জানতে চাইল-
: কীভাবে!
: তুমি আমারে তোমার সংগঠনের সদস্য করবা।
প্রস্তাব শুনে কদমুল লস্কর নিঃশ্বাস বন্ধ করে বসে রইল। অধৈর্য হয়ে আমি বললাম-
: হ-না একটা কিছু কও।
: তোমার গোষ্ঠীর লোকেরা তো অন্য রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
: গোষ্ঠীর লোকেরা কী করে, সেইটা গুল্লি মার। আমি মোকা পাগলা কার নামে স্লোগান দিব, তুমি দেখবা সেইটা।
: উঁহুঁ।
: তুমি যদি কও, দুধ দিয়া গোসল কইরা পাক-পবিত্র হইয়া আসতে হবে; আসব। যদি কও, উপরের মহল ম্যানেজ করতে টাকা-পয়সা দিতে হবে; দিব। কিন্তু লাইসেন্স আমার চাই-ই চাই।
কদমুল লস্করের সম্মতি পাওয়ার পর শসাগুলো তার হাতে তুলে দিয়ে শহরে চলে এলাম। বড়সড়ো একটা ফুলের তোড়া নিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করতেই গোলগুটি বেগম চোখ দুটো গোল করে বলল-
: তোমার আনার কথা চাউলের বস্তা আর তুমি ঢ্যাং ঢ্যাং কইরা ফুলের তোড়া লইয়া উপস্থিত। আইজ কি ফুল খাইয়া থাকবা?
: না।
: তাও ভালা। কিন্তু একটা জিনিস আমি বুঝতেছি না।
: কী জিনিস?
: তোমার সঙ্গে বিবাহ হইছে আইজ বিশ বছর। এই বিশ বছরে একটা সজনাফুলও তোমার হাতে উঠতে দেখলাম না। আইজ হঠাৎ রজনীগন্ধা, গোলাপ লইয়া হাজির। বিষয় কী?
: বিষয় রাজনীতি।
রাজনীতির সুশীতল ছায়ালাভের পর প্রথমেই নজর দিলাম অষ্টধার বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ব্রহ্মপুত্র নদের দিকে। বালুর ব্যবসায়ে মারাত্মক লাভ। প্রকৃতির ভাণ্ডার থেকে বালু তোলার পর জায়গামতো ডেলিভারি দিলেই টাকা আর টাকা; পকেটভর্তি টাকা। নিউটনের সূত্র অনুযায়ী, প্রতিটি ক্রিয়ারই একটি বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়া আছে। আমার বালুক্রিয়ারও প্রতিক্রিয়া লক্ষ করলাম একদিন। এ সম্পর্কে স্থানীয় পত্রিকায় রিপোর্টও প্রকাশিত হল। এতে যখন কাজ হল না তখন প্রতিপক্ষ জেলা প্রশাসন বরাবর নালিশ করল। নালিশ পেয়ে কর্তৃপক্ষ তদন্তে নামলেন। তদন্ত দলের সঙ্গে থানার দারোগাও ছিলেন। থানা পুলিশের সঙ্গে এ ব্যাপারে আগে থেকেই মাসোহারার বন্দোবস্ত করা ছিল। দারোগার সঙ্গে চোখাচোখি হতেই তিনি চোখটিপে চিকন হাসি হাসলেন। তদন্ত দলের প্রধান নদীর পাড়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করে এসে খাবার টেবিলে বসার পর আমার উদ্দেশে বললেন-
: আপনে নদী থেইকা বেআইনিভাবে বালু তুলতেছেন, এইটা সত্য। কিন্তু একই সঙ্গে এই সত্যও তো অস্বীকার করা যাবে না- উত্তোলন করা বালু আপনে অথবা আপনের পরিবারের লোকজন খাইতেছেন না; বরং তা দেশের উন্নয়নেই ব্যবহার হইতেছে। বিষয়টা এইরকম সূক্ষ্মভাবে না দেইখা যারা নালিশ করার তালে থাকে, তারা নিঃসন্দেহে দেশের শত্রু, জনগণের শত্রু।
তদন্ত দলের লোকজন গলা পর্যন্ত ভোজন সেরে, পকেট ভারি করে, ঢেঁকুর তুলতে তুলতে বিদায় হলেন। এ ঘটনার পর আমি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠলাম। বালু তোলার যন্ত্রপাতি ও জনবল প্রথমে দ্বিগুণ, পরে দ্বিগুণ থেকে তিন গুণে উন্নীত করলাম। মধুর ঘ্রাণ পেয়ে যেমন পিঁপড়া জড়ো হয়; তেমনি কাঁচা টাকা-পয়সার ঝনঝনানি শুনে আমার চারপাশেও লোকজনের ভিড় লেগে গেল। তাই দেখে একদিন গোলগুটি বেগম আমাকে শুনিয়ে শুনিয়ে ছড়া কাটল-
: মোকা পাগলা বালু খাইয়া নষ্ট করল গাঙ
মোকা পাগলার ল্যাংগুট ধইরা নাচে কোলাব্যাঙ।
একেই বলে ঘরের শত্রু বিভীষণ। নাহ্, পুরানাকালের মন-মানসিকতাসম্পন্ন গোলগুটি বেগমরে লইয়া মনে হয় আর বেশিদিন চলা যাবে না। মডার্ন পাগলার জন্য দরকার মডার্ন পাগলি। সবচেয়ে ভালো হয়, সিঙ্গাপুর কিংবা চীন থেকে একটা বান্ধবী আমদানি করলে। তারা যেমন বুদ্ধিমতী, তেমনি করিৎকর্মা। দেখি, অচিরেই আরও কয়েকটা প্রজেক্ট চালু হওয়ার কথা। প্রজেক্টগুলা চালু হওয়ার পর সিঙ্গাপুর আর চীনে একটা ঘুরনা দিয়া অন্যান্য ব্যবসা-বাণিজ্যের পাশাপাশি বান্ধবী জোগাড়ের কাজটাও সমাধা করে ফেলব।
পার্টি অফিসে একদিন কথায় কথায় স্থানীয় সরকারের নির্বাচন প্রসঙ্গ উঠল। এ ব্যাপারে কদমুল লস্করের আগ্রহ দেখে বললাম-
: তোমার কি মাথা খারাপ হইছে? যেখানে আমি আছি, সেইখানে তুমি এইরকম আবোল-তাবোল চিন্তা কর কেমনে?
: আমি সিনিয়র।
: দল কি তোমার সিনিয়রিটি ধুইয়া পানি খাইবো? হারু পার্টি না, দলের দরকার জিতইন্যা পার্টি। দল এরই মধ্যে জাইন্যা গেছে, নির্বাচনের জন্য কে ফিট; তুমি, না আমি?
কদমুল লস্করের জন্য মনটা একটু খারাপ হল। আহা বেচারা! কদমুলই একদিন আমাকে ফ্লোর দিয়েছিল; অথচ আজ তাকেই চিপার মধ্যে ফেলতে হচ্ছে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে আমি নিতান্তই অসহায়। রাজনীতিতে স্থায়ী বন্ধুত্ব বলে কিছু নেই। এখানে সবাই বন্ধু, সবাই শত্রু। এই বন্ধু-শত্রু খেলা খেলতে খেলতে যদি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে গলায় বেলিফুলে মালাটা একবার পরতে পারি; তাহলে আমাকে আর পায় কে? তখন শুধু আমেরিকা নয়, ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ মালয়েশিয়া, দুবাই, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়ার বাড়িঘরের দরজায় মোকা পাগলার নাম শোভা পাবে। কল্পনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিজের ঘরবাড়ির সৌন্দর্য দেখতে দেখতে মনের মধ্যে রোমাঞ্চকর এক অনুভূতির জন্ম হল আর নিজের অজান্তেই আমার মুখ দিয়ে বের হয়ে গেল- জয়, মোকা পাগলার জয়।
মোকাম্মেল হোসেন : সাংবাদিক
mokamia@hotmail.com