
প্রিন্ট: ২৭ মার্চ ২০২৫, ০৭:১৪ এএম

ক্রীড়া প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৪ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমসে ঝুঁকিপূর্ণ কোর্টে খেলতে এসে পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা পেয়েছিলেন খুলনার শাটলার গাজী নুর আলম তুষার। বাড়িতে শুয়ে ব্যথায় কাতরাচ্ছেন তিনি। এক সপ্তাহের বেশি পেরিয়ে গেলেও এখনো ব্যথা অনুভব করায় শঙ্কিত তিনি। তুষারের কথায়, ‘ঢাকার ডাক্তার বলেছেন, ব্যথা হলে আবার এমআরআই করতে হবে। এমআরআইতে যদি খারাপ কিছু ধরা পড়ে, তখন অপারেশন করতে হতে পারে। এত টাকা আমি পাব কোথায়?’
এই তরুণ শাটলার নিজের চিকিৎসা খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ২৫ হাজারের বেশি টাকা খরচ হয়েছে। এর মধ্যে ফেডারেশন দিয়েছে হাজারদশেক। তুষার বলেন, ‘ফেডারেশন ঢাকায় কিছুদিন থাকতে বলেছিল। তারা বিষয়টি দেখবে। ঢাকায় আমার বাসা কিংবা আত্মীয় নেই। হোটেলে থাকার খরচ আবার খাওয়া-দাওয়ার কষ্ট। অনেক বেশি ভাড়া দিয়ে গাড়ি করে বাসায় এসেছি। সাধারণ সম্পাদক কবির শিকদার দুবার পাঁচ হাজার টাকা করে দিয়েছেন। এখন আমি ঢাকার বাইরে আসায় হয়তো বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) দেখবে না।’
তুষারের মতো ব্যথা পেয়ে টার্ফ ছেড়েছিলেন নড়াইলের নারী হকি খেলোয়াড় সিমি কর্মকারও। তার কনুইয়ে ব্যথা। এখনো তা সারেনি। এসব বিষয়ে বিওএর মেডিকেল কমিটির সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ শফিকুর রহমান বলেন, ‘গেমসের সময় আমরা প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দুজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম। সেখানে তারা ডা. তুষারের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। দুই ক্রীড়াবিদ এখন অনেকটাই সুস্থ বলে আমরা জানি। তারপরও কোনো শারীরিক সমস্যা কিংবা আর্থিক সমস্যা থাকলে সে বিষয়টিও আমরা দেখব।’