দেশবরেণ্য ফুটবলার মঞ্জুরুল হাসান মিন্টু খেলেছেন এই ক্লাবে। ফুটবল ও ক্রিকেট খেলা এই ক্লাব টেন্টের পেছনেই রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ পুলিশ সদস্যদের কবর। মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের একটি অফিসও রয়েছে। সেই টিএন্ডটি ক্লাব ভেঙে দিয়েছেন টিএন্ডটি কর্তৃপক্ষের বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন। এই অভিযোগ করেন টিএন্ডটি ক্লাবের প্রধান উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বাবুল। তার অভিযোগ, ‘মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় হঠাৎ আবুল হোসেন সাহেব এসে স্বৈরাচারী কায়দায় ক্লাব টেন্ট ভেঙে দেন। তখন আমি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এমপির আমন্ত্রণে একটি সভায় ছিলাম। পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী আবদুল জব্বার মহোদয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে উনাকে পাইনি।’ তিনি যোগ করেন, ‘যা পেয়েছে তাই ভেঙেছে। খেলোয়াড়দের কাপ, খাট, টেবিল সব তছনছ করে দিয়েছে। স্বাধীনতাযুদ্ধে একবার ভাংচুর করেছিল রাজাকাররা। এবার ভাঙলেন ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন। অথচ বিষয়টি টিএন্ডটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জানে না। নোটিশ ছাড়াই ভেঙে দেয়া হয়েছে ক্লাবটি। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এ ব্যাপারে টিএন্ডটি মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
১৯৬২ সালে টিএন্ডটি বিভাগ (বর্তমান বিটিসিএল) প্রতিষ্ঠিত বাফুফে ও এএফসির এফিলিয়েটেড। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের অন্যতম দল মতিঝিলের টিএন্ডটি ক্লাব। ক্লাবটি অনেক জাতীয় ফুটবলার ও ক্রিকেটারের জন্ম দিয়েছে। বাবুল বলেন, ‘ক্লাবটিতে এহেন ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর প্রতিবাদ করার ভাষা আমাদের নেই। টিএন্ডটি নামে খ্যাত এই ক্লাবের অবর্তমানে খেলাধুলা ও ফুটবলের প্রতি একটি আঘাত বলে আমরা মনে করি। সেই সঙ্গে আমরা ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রীর এ ঘটনার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’