গণহত্যার বিচার দাবি শ্রমিক নেতাদের
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৬ বছরের আওয়ামী দুঃশসানের অবসান ঘটেছে। এ সময়কালে সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত ও বঞ্চিত হয়েছে শ্রমিক শ্রেণি ও মেহনতি জনগণ। সরকারের ভ্রান্তনীতির কারণে একের পর এক পাটকল, চিনিকলসহ বিভিন্ন কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওইসব কারখানা খুলে দিতে হবে এবং অবিলম্বে ছাত্র-জনতাকে হত্যার বিচার করতে হবে। শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জনসভায় এসব কথা বলেন শ্রমিক নেতারা। জনসভায় অংশ নেন গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়ন, বিপ্লবী সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ সুতা ও বস্ত্রকল শ্রমিক ফেডারেশন, চা-শ্রমিকের ১০ দফা বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটি, পাটকল শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ, মৎস্যজীবী ফেডারেশন, নির্মাণ-রং মিস্ত্রি শ্রমিক ফেডারেশন, গার্হস্থ্য শ্রমিক ইউনিয়নসহ বিভিন্ন বেসিক ট্রেড ইউনিয়নগুলো।
এ সময় শ্রমিক নেতারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ১০ দফা দাবি জানান। দাবিগুলো হলো- জুলাই গণহত্যায় ছাত্র-শ্রমিকসহ প্রতিটি হত্যাকাণ্ডের বিচার, পাটকল-চিনিকলসহ সব বন্ধ কল-কারখানা চালু, চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া, ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা, সব শ্রমিকের জন্য রেশনিং ও আবাসনের ব্যবস্থা, আউটসোর্সিং নয় শিল্প প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী নিয়োগ, হরিজনদের বংশ পরম্পরায় নিয়োগ, গণতান্ত্রিক শ্রম আইন ও অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, গার্মেন্ট শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা, ব্যাটারিচালিত রিকশার লাইসেন্স, চা শ্রমিকদের দৈনিক ন্যূনতম মজুরি ৫০০ টাকা, ভূমি মালিকানা নিশ্চিত করা ও পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ করা যাবে না।