Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

‘নববধূর ইজ্জতের মূল্য কমে ৩০ হাজার টাকা’

ব্যবস্থা নিতে মানবাধিকার কমিশনের সুয়োমোটো

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

যুগান্তরে ৩০ জুন প্রকাশিত ‘নববধূর ইজ্জতের মূল্য সোয়া লাখ থেকে কমে ৩০ হাজার টাকা’ শিরোনামের সংবাদটি নজরে এনেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এ বিষয়ে কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ (সুয়োমোটো) গ্রহণ করেছে। কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।

কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা স্বাক্ষরিত সুয়োমোটো আদেশে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনে বর্ণিত শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টাসংক্রান্ত অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এর ৯(৪) ধারার অপরাধ এবং অপরাধটি ধারা ১৯ অনুযায়ী আমলযোগ্য, জামিন অযোগ্য ও অ-আপসযোগ্য। ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী দুজনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশ কোনো আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি, যা মানবাধিকারের লঙ্ঘন। তাছাড়া অপরাধটি অ-আপসযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও কালিয়া উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে কর্মরত ইউনিয়ন সমাজকর্মী হারুন অর রশীদসহ স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তির দুই দফা গ্রাম্য সালিশে বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা দেশের প্রচলিত আইন ও বিচারব্যবস্থাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের শামিল। অভিযোগের বিষয়গুলো নিরপেক্ষ তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা সমীচীন বলে কমিশন মনে করে। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট অপরাধে ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও পুলিশের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী ১৩ আগস্টের মধ্যে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করতে নড়াইলের পুলিশ সুপারকে বলা হয়েছে। অবগতির জন্য আদেশের অনুলিপি পুলিশ মহাপরিদর্শক, পুলিশ সদর দপ্তর এবং সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার মতো গুরুতর অ-আপসযোগ্য অপরাধের বিষয়টি একজন সরকারি কর্মচারী হয়েও কালিয়া উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে কর্মরত ইউনিয়ন সমাজকর্মী হারুন অর রশীদের উপস্থিতিতে সালিশে মীমাংসার চেষ্টা করা সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে একই তারিখের মধ্যে কমিশনকে অবহিত করতে সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে বলা হয়েছে। আদেশের অনুলিপি জেলা প্রশাসক এবং নড়াইল জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটি বরাবর পাঠানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, যুগান্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্রাম্য সালিশে প্রথমে এক নববধূর ইজ্জতের মূল্য ধরা হয় এক লাখ ২৫ হাজার টাকা! এরপর তা কমে দাঁড়ায় মাত্র ৩০ হাজার টাকায়। তারপরও অভিযুক্তের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় দুই দফায় গ্রাম্য সালিশ বৈঠক হলেও জরিমানার একটি টাকাও দেওয়া হয়নি নববধূর পরিবারকে। নড়াইলের কালিয়া উপজেলার চাঁচুড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত বখাটে আহাদ মোল্যা চাঁচুড়ী গ্রামের মোশারফ হোসেন মোল্যার এবং রানা মুসাল্লী ওরফে ফেলা একই গ্রামের মহিদুল মুসাল্লীর ছেলে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম