বিআইডিএসের সেমিনারে ড. বিনায়ক সেন
অপ্রদর্শিত সম্পদে ১৫ শতাংশ করারোপ ন্যায্যতাবিরোধী
অপ্রদর্শিত সম্পদ প্রদর্শিত করার সুযোগ দেওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর আরোপ করা কর ন্যায্যতার বিরোধী বলে মনে করছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইডিএসের সেমিনার কক্ষে প্রথমবারের মতো আয়োজিত বাজেট পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলা হয়। এতে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন বলেন, অপ্রদর্শিত সম্পদের কর ১৫, ২০, ৩০ বা ৩৫ শতাংশ হতে পরে। সম্পদের ওপর ভিত্তি করে তা নির্ধারিত হওয়া উচিত। এটা নির্দিষ্ট করে বেঁধে ফেলা উচিত নয়।
ঋণখেলাপি নিয়ে তিনি বলেন, ঋণ পুনঃতফশিলের সুযোগ ৪ বার দেওয়া উচিত নয়। এটা আগে ২ বার ছিল। ৪ বারে এটা ১২ বছর হয়ে যায়। এ সময়ে অর্থনীতির অবস্থা বদলে যায়। তাই এই দীর্ঘ সময়ে ঝুঁকি তৈরি হয়। কেন আমরা অযথা এ ঝুঁকি নেব?
বিনায়ন সেন বলেন, বাজেটে একটি বিষয়ে এবার গুরুত্ব দেওয়া দরকার ছিল। এলডিসির পর আর আমাদের শুল্ক সুবিধা থাকবে না। তাই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের দ্রুত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করা দরকার। সেটা এখন প্রসেসিং করলেও ৮-১০ বছর লেগে যাবে। এখন না করলে পরে সমস্যায় পড়তে হবে।
বর্তমান ডলার সংকট মোকাবিলায় শুধু আইএমএফের দ্বারস্থ না হয়ে অন্যান্য সংস্থা বা দেশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সংকট কাটাতে দীর্ঘস্থায়ী পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক করা দরকার বলেও তিনি মনে করেন।
সভায় সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে কথা বলেন বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক মনজুর হোসেন। তিনি বলেন, সরকার এবার মুদ্রানীতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বাজেট প্রস্তাব করেছে। এতে যেমন কৃচ্ছ্রসাধন করা হয়েছে, আবার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও রাখা হয়েছে।
অপ্রদর্শিত সম্পদে ১৫ শতাংশ করারোপ ন্যায্যতাবিরোধী
বিআইডিএসের সেমিনারে ড. বিনায়ক সেন
যুগান্তর প্রতিবেদন
০৯ জুন ২০২৪, ০০:০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
অপ্রদর্শিত সম্পদ প্রদর্শিত করার সুযোগ দেওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ কর আরোপ করা কর ন্যায্যতার বিরোধী বলে মনে করছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস)।
শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইডিএসের সেমিনার কক্ষে প্রথমবারের মতো আয়োজিত বাজেট পর্যালোচনা সভায় এ কথা বলা হয়। এতে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বিআইডিএসের মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন বলেন, অপ্রদর্শিত সম্পদের কর ১৫, ২০, ৩০ বা ৩৫ শতাংশ হতে পরে। সম্পদের ওপর ভিত্তি করে তা নির্ধারিত হওয়া উচিত। এটা নির্দিষ্ট করে বেঁধে ফেলা উচিত নয়।
ঋণখেলাপি নিয়ে তিনি বলেন, ঋণ পুনঃতফশিলের সুযোগ ৪ বার দেওয়া উচিত নয়। এটা আগে ২ বার ছিল। ৪ বারে এটা ১২ বছর হয়ে যায়। এ সময়ে অর্থনীতির অবস্থা বদলে যায়। তাই এই দীর্ঘ সময়ে ঝুঁকি তৈরি হয়। কেন আমরা অযথা এ ঝুঁকি নেব?
বিনায়ন সেন বলেন, বাজেটে একটি বিষয়ে এবার গুরুত্ব দেওয়া দরকার ছিল। এলডিসির পর আর আমাদের শুল্ক সুবিধা থাকবে না। তাই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আমাদের দ্রুত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করা দরকার। সেটা এখন প্রসেসিং করলেও ৮-১০ বছর লেগে যাবে। এখন না করলে পরে সমস্যায় পড়তে হবে।
বর্তমান ডলার সংকট মোকাবিলায় শুধু আইএমএফের দ্বারস্থ না হয়ে অন্যান্য সংস্থা বা দেশের সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সংকট কাটাতে দীর্ঘস্থায়ী পলিসি ফ্রেমওয়ার্ক করা দরকার বলেও তিনি মনে করেন।
সভায় সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে কথা বলেন বিআইডিএসের গবেষণা পরিচালক মনজুর হোসেন। তিনি বলেন, সরকার এবার মুদ্রানীতির সঙ্গে সমন্বয় রেখে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বাজেট প্রস্তাব করেছে। এতে যেমন কৃচ্ছ্রসাধন করা হয়েছে, আবার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাও রাখা হয়েছে।
সম্পাদক : সাইফুল আলম, প্রকাশক : সালমা ইসলাম
প্রকাশক কর্তৃক ক-২৪৪ প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড), বারিধারা, ঢাকা-১২২৯ থেকে প্রকাশিত এবং যমুনা প্রিন্টিং এন্ড পাবলিশিং লিঃ থেকে মুদ্রিত।
পিএবিএক্স : ৯৮২৪০৫৪-৬১, রিপোর্টিং : ৯৮২৩০৭৩, বিজ্ঞাপন : ৯৮২৪০৬২, ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৩, সার্কুলেশন : ৯৮২৪০৭২। ফ্যাক্স : ৯৮২৪০৬৬
E-mail: jugantor.mail@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by The Daily Jugantor © 2024