বিএনপি নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতির পদ থেকে এএম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসাবে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডের কথা বলা হয়েছে।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের দপ্তর সম্পাদক জিয়াউর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতির কথা জানিয়ে শনিবার থেকে তা কার্যকরের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলতে মাহবুব উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) প্রার্থী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, মারধর, মামলা ও গ্রেফতারের ঘটনা ঘটে। এমন পরিস্থিতিতে বিজয়ী সভাপতি পদ ছাড়া আরও তিন সদস্যকে এ মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ না করার জন্য জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আহ্বান জানায়। কিন্তু মাহবুব উদ্দিন দায়িত্ব নেন। এছাড়া ফোরামের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সম্পর্কে তিনি অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে ফোরাম। এর প্রেক্ষাপটে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

চিঠিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বলছে, যে নির্বাচনে তাদের পুরো প্যানেলেরই বিজয় সুনিশ্চিত ছিল, সেখানে আওয়ামীপন্থিদের ভোট ডাকাতি জায়েজ করতে মাহবুব উদ্দিনকে সভাপতি পদে এবং ফাতিমা আকতার, শফিকুল ইসলাম ও সৈয়দ ফজলে এলাহী অভিকে নামমাত্র সদস্যপদে বিজয়ী দেখানো হয়। ২৪ মার্চ ফোরামের জ্যেষ্ঠ নেতা, উপদেষ্টামণ্ডলী ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি-সম্পাদকদের যৌথ সভা খোকনসহ ফোরামের বিজয়ী বাকি তিন সদস্যকে ২০২৪-২৫ মেয়াদের দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত হয়।

সংগঠনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সদস্যপদে বিজয়ী তিন সদস্য দায়িত্ব গ্রহণ থেকে বিরত থাকলেও খোকন ৪ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এছাড়া একই দিন এক মতবিনিময় সভায় আইনজীবী ফোরামের শীর্ষ নেতাদের সম্পর্কে তিনি অবমাননাকর ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেন। সংগঠনের সিদ্ধান্ত মানবেন না বলেও তিনি ঘোষণা করেন। ৬ এপ্রিল বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জরুরি সভায় খোকনের এসব কার্যক্রমকে দলীয় চরম শৃঙ্খলা পরিপন্থি হিসাবে গণ্য করা হয়। সর্বসম্মতভাবে তাকে ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।