Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধানের বিবৃতি

ত্যাগে অর্জিত গণতন্ত্র যেন লোক দেখানো না হয়

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পদক্ষেপ নিতে সদ্য নির্বাচিত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র অর্জিত হয়েছে। সেটা যেনো লোক দেখানো না হয়ে পড়ে।

সোমবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার অফিসের (ওএইচসিএইচআর) ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘রোববারের নির্বাচনি পরিবেশ সহিংসতা এবং বিরোধী প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর দমন-পীড়নের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে’ বলে হাইকমিশনার দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

ফলকার টুর্ক বিবৃতিতে বলেছেন, এই নির্বাচন সামনে রেখে বিগত মাসগুলোতে বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে নির্বিচার আটক বা ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। এ ধরনের কৌশলগুলো সত্যিকার অর্থে প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য সহায়ক নয়।

জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, ‘আমি সরকারের প্রতি বাংলাদেশের সব নাগরিকের মানবাধিকার যেন সম্পূর্ণভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়, তা নিশ্চিত করা এবং দেশে একটি সত্যিকার অন্তর্ভুক্তিমূলক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য আবশ্যক শর্তগুলো জোরদারের পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ করছি।’ বিবৃতিতে বলা হয়, ভোট সামনে রেখে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা গণগ্রেফতার, হুমকি, গুম, ব্ল্যাকমেল ও নজরদারি-এসব পন্থা অবলম্বন করেছেন বলে খবর রয়েছে। আর এসবের কারণেই দেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নির্বাচন বর্জন করেছে। অগ্নিসন্ত্রাসের মতো রাজনৈতিক সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড ঘটেছে বলেও খবর রয়েছে। বিরোধীরা অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাসহ প্রায় ২৫ হাজার বিরোধী নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে ফলকার টুর্ক উল্লেখ করেছেন। এতে বলা হয়, গত দুই মাসে হেফাজতে থাকা অবস্থায় অন্তত ১০ জন বিরোধী নেতা-কর্মী মারা গেছেন বা তাদের হত্যা করা হয়েছে বলে খবর রয়েছে। এতে আটক অবস্থায় নির্যাতন বা গুরুতর পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, অনেক মানবাধিকারকর্মীকে আত্মগোপনে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। অনেকে দেশ ছেড়েছেন। কয়েক ডজন গুমের ঘটনার খবর পাওয়া গেছে, বিশেষত নভেম্বরেই যেগুলো ঘটেছে।

ফলকার টুর্ক বলেন, এসব ঘটনার স্বাধীন তদন্ত হতে হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের স্বচ্ছ ও ন্যায়বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। নির্বাচনের প্রচার ও ভোটের দিন বিধি লঙ্ঘন ও সব অনিয়মেরও পুঙ্খানুপুঙ্খ ও কার্যকর তদন্ত হতে হবে।

হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে গণতন্ত্র অর্জিত হয়েছে এবং সেটা যেন এখন লোক দেখানো হয়ে না পড়ে। বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে রোল মডেল হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে আশা করি, দেশের রাজনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়েও এর প্রতিফলন ঘটবে। বাংলাদেশের সব মানুষের ভবিষ্যৎ এখন ঝুঁকির মুখে রয়েছে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম