৬ সিদ্ধান্তে শেষ বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন
যশোর ব্যুরো
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সীমান্ত হত্যা নিরসন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও মানব পাচার রোধ, স্বর্ণ ও অস্ত্র চোরাচালান রোধসহ বিভিন্ন ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনসহ ৬ বিষয়ে সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শেষ হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) চার দিনের সীমান্ত সম্মেলন।
মঙ্গলবার যশোরের একটি হোটেলে বিজিবির রিজিয়ন কমান্ডার (রংপুর ও যশোর রিজিয়ন) এবং বিএসএফের ফ্রন্টিয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেলদের (সাউথ বেঙ্গল, নর্থ বেঙ্গল ও গৌহাটি ফ্রন্টিয়ার) মধ্যে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরে সম্মেলন শেষে দুই বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়া বিএসএফের সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি আয়্যুষ মানি তিওয়ারি ও বিজিবির রংপুর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলম সম্মেলনের সার্বিক বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সীমান্ত হত্যা নিরসন, স্বর্ণ ও অস্ত্র চোরাচালান রোধসহ বিভিন্ন ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ দমনসহ ৬টি বিষয়ে সম্মেলনে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হলো-বিজিবি সীমান্তে বিএসএফের নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা বা আহতের ঘটনা জোরালোভাবে তুলে ধরে। সীমান্ত হত্যা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিএসএফের পক্ষ থেকে নন-লেথাল নীতি অনুসরণের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
আন্তঃসীমার অপরাধ রোধে সমন্বিত সীমার ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের ওপর উভয় পক্ষ থেকে জোর দেওয়া হয়। সীমান্ত অপরাধে জড়িতদের সম্পর্কে তথ্য আদান-প্রদান এবং তাদের তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে মাঠ পর্যায়ে শেয়ার করতেও উভয়পক্ষ সম্মত হয়।
আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন করে উভয় দেশের নাগরিকদের অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম রোধে সীমান্তবর্তী এলাকায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ব্যাপারে দুই পক্ষ গুরুত্বারোপ করে। দুপক্ষ পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ও আস্থা বৃদ্ধির জন্য নানামুখী উদ্যোগ বাস্তবায়নে পারস্পরিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে একমত হন। দুপক্ষ আগামী দিনে যৌথ খেলাধুলা, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বিনিময়সহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সম্মত হয়েছেন। দুপক্ষ পূর্বানুমতি ছাড়া সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো উন্নয়নমূলক কাজ না করার ব্যাপারে সম্মতি জ্ঞাপন করেন। এছাড়া সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বন্ধ থাকা উন্নয়নমূলক কাজগুলো ডায়েন্ট ভ্যারিফিকেশনের মাধ্যমে দ্রুত সমাধানের ব্যাপারে সম্মত হন।
দুপক্ষ পরবর্তী সীমান্ত সম্মেলন সুবিধাজনক সময়ে ভারতে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে একমত পোষণ করেন। এ সম্মেলনে বিজিবি রিজিয়নের অধীনস্থ সংশ্লিষ্ট সেক্টর কমান্ডার, বিজিবির স্টাফ অফিসার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এবং যৌথ নদী কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন। অন্যদিকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলে সংশ্লিষ্ট সেক্টরের ডিআইজি, বিএসএফের স্টাফ অফিসার, ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করেন।