আইডিয়ালের ঘটনা নিয়ে হাইকোর্ট
ছাত্রীকে বিয়ে করা বিকৃত রুচির লক্ষণ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিকে সরকারি খাতে নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্য একজন ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন, এটা তো বিকৃত রুচির লক্ষণ। সোমবার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের আগাম জামিনের আবেদনের শুনানিকালে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
শুনানি শেষে হাইকোর্ট অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগের মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে হাইকোর্ট এ আদেশ দেন।
১ আগস্ট ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক মাফরোজা পারভীনের আদালতে কলেজছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদকে প্রধান আসামি করা হয়। যিনি ওই ছাত্রীকে বিয়ে করেছেন। এই মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী। শুনানির শুরুতে একটি হুইলচেয়ারে করে আদালতে হাজির হন অধ্যক্ষ। এ পর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, উনি কে? হুইলচেয়ারে কেন? জবাবে অধ্যক্ষের আইনজীবী রেদোয়ানুল করিম বলেন, তিনি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ। পা ভেঙে যাওয়ায় তিনি হুইলচেয়ারে এসেছেন।
আদালত বলেন, আমরা তো গণমাধ্যমে দেখেছি তিনি ছাত্রীকে নিয়ে আসামির বাগান বাড়িতে প্লেজার ট্রিপে গিয়েছেন? এটা কীভাবে সম্ভব? রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন বলেন, তিনি পিকনিকে গিয়েছেন। এ পর্যায়ে আইনজীবী রেদোয়ানুল করিম বলেন, আসামির সঙ্গে ওই ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে। আদালত বলেন, এ তো বিকৃত রুচির লক্ষণ।
আদালত আরও বলেন, ওই ছাত্রী কোন ক্লাসে পড়ে? আইনজীবী বলেন, ইন্টারমিডিয়েটে। বয়স কত হয়েছে? আইনজীবী বলেন, ১৮ বছর ৬ মাস পূর্ণ হয়েছে। আদালত বলেন, ভিকটিম কোথায়? আইনজীবী বলেন, স্বামীর (খন্দকার মুশতাক) সঙ্গে আছে।