সেমিনারে বক্তারা
সবুজায়নে প্রয়োজন মিশ্র অর্থায়ন
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর ২০২২, ০১:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পরিবেশ উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণে মিশ্র অর্থায়নের (সবার অংশগ্রহণে অর্থায়ন) পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পূরণে পরিবেশ উন্নয়ন গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য প্রয়োজন অর্থ। আর এই অর্থ সংস্থানের জন্য সরকারি-বেসরকারি অর্থায়ন বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে আগের মতোই অনুদান পেতে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘বাংলাদেশে সবুজ বৃদ্ধির জন্য ক্লেন্ডেড ফাইন্যান্স’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ (জিইডি) সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনার অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং ব্রিটিশ হাইকমিশন।
জিইডি সদস্য ড. কাওসার আহমেদের সভাপতিত্বে সেমিনারে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম. ইউএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি স্টিফেন লিলার এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনের উন্নয়ন সহকারী পরিচালক ডানক্যান ওভারফিল্ড বক্তব্য দেন। গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
বক্তারা বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশ বিভিন্ন দাতা সংস্থার অনুদান হারাবে। তাই দেশের পরিবেশ উন্নয়ন করতে সরকারি-বেসরকারি এবং উন্নয়ন সহযোগীদের অর্থায়ন বাড়াতে হবে।
গবেষণা প্রতিবেদনে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, গত দশকে বাংলাদেশে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। তবে এই সময়ে পরিবেশের তেমন উন্নতি হয়নি। জলবায়ু দুর্বলতা এবং পরিবেশগত অবক্ষয় এখনো শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। বৈশ্বিক পরিবেশ সূচকে বাংলাদেশ এখনো নিচের দিকে রয়েছে। জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এবং সবুজায়নের জন্য অনেক বেশি অর্থায়ন প্রয়োজন। তিনি বলেন, মিশ্র অর্থায়ন ব্যবস্থা গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডসহ (জিসিএফ) বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থায়ন সচল করে সবুজায়ন বৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সহায়তা করতে পারে। অর্থ সংগ্রহের জন্য বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন সহযোগী এবং প্রাইভেট সেক্টরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। ফাহমিদা খাতুন বলেন, প্রণোদনা প্রক্রিয়া এবং সম্পদ সংগ্রহের মাধ্যমে বেসরকারি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সক্ষমতা উন্নয়ন করতে হবে। পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, সরকার ইতোমধ্যে পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারপ্রধান পরিবেশ প্রকৃতির ক্ষতি না করার নির্দেশনা দিচ্ছেন। আমরা পরিবেশ নিয়ে যথেষ্ট সচেতন। সবুজায়নের আগে আমাদের দেশের মানুষের খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং দরিদ্রতা দূরীকরণে জোর দিতে হবে। ড. শামসুল আলম বলেন, এলডিসি উত্তরণের ফলে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে অনুদানের সুবিধা কমে যাবে। দেশের পরিবেশ উন্নয়ন এবং এসডিজি বাস্তবায়নে আমাদের অনেক বেশি অর্থ প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। একইসঙ্গে অনুদান পেতে উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। স্টিফেন লিলার বলেন, পরিবেশ উন্নয়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ বাড়াতে হবে।