
প্রিন্ট: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫১ পিএম
সংসদে তথ্যমন্ত্রী
দিগন্ত ও ইসলামিক টিভির লাইসেন্স বাতিলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি
‘২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মে. ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা’

সংসদ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১২ জানুয়ারি ২০১৮, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, সরকারের বিরুদ্ধে উসকানি দেয়ায় দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভির সম্প্রচার বন্ধ রয়েছে। তবে লাইসেন্স বাতিলের ব্যাপারে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম তথ্যমন্ত্রীর কাছে দিগন্ত ও ইসলামিক টিভির লাইসেন্স বাতিল না করে সম্প্রচার স্থগিত রাখার আইনগত ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সরকারের এমন আচরণ মত প্রকাশের স্বাধীনতার পরিপন্থী কিনা তা তিনি জানতে চান। জবাবে মন্ত্রী ইনু বলেন, ‘দিগন্ত টিভি ও ইসলামিক টিভির লাইসেন্স বাতিলের ব্যাপারে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন রয়েছে।’
মো. আবদুল মতিনের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ৯টি টিভি বেসরকারি চ্যানেলের লাইসেন্স দিয়েছে। একই সঙ্গে ঘোষণাপত্র পেয়েছে ২১৪টি পত্র-পত্রিকা। লাইসেন্স পাওয়া টিভি চ্যানেলগুলো হচ্ছে- বৈশাখী টিভি, আরটিভি, বাংলাভিশন, যমুনা টিভি, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, চ্যানেল ওয়ান, সিএসবি নিউজ ও দেশ টিভি। এর মধ্যে চ্যানেল ওয়ান ও সিএসবি নিউজের অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। আর দিগন্ত ও ইসলামিক টিভির সম্প্রচার স্থগিত রাখা হয়েছে।
নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে দেশে অনুমোদিত বেসরকারি টিভি চ্যানেলের সংখ্যা ৪৫টি এবং নিবন্ধিত পত্রিকার সংখ্যা ৩ হাজার ২৫টি। এর মধ্যে ১ হাজার ১৯১টি দৈনিক, ৩টি অর্ধ সাপ্তাহিক, ১ হাজার ১৭৫টি সাপ্তাহিক, ২১২টি পাক্ষিক, ৪০৪টি মাসিক, ৭টি দ্বিমাসিক, ২৮টি ত্রৈমাসিক, ১টি চতুর্মাসিক এবং ২টি করে ষান্মাসিক ও বার্ষিক পত্রিকা রয়েছে। ঢাকা থেকে ১ হাজার ২৪৬টি এবং মফস্বল থেকে ১ হাজার ৭৭৯টি পত্রিকা প্রকাশিত হচ্ছে।’ এ সময় মন্ত্রী জানান, সারা দেশের অনলাইন পত্রিকার হালনাগাদ কোনো তালিকা সরকারের কাছে নেই। তবে তথ্য অধিদফতরে নিবন্ধনের জন্য ২ হাজার ১৮টি অনলাইন পত্রিকার আবেদন পাওয়া গেছে।
৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা : নিরাপদ, নিরবচ্ছিন্ন ও নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হবে। এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
চলতি বছরেই গ্যাসের ঘাটতি দূর : চলতি ২০১৮ সালের মধ্যেই গ্যাসের ঘাটতি দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী। বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গ্যাসের ঘাটতি দূর হলে সার কারখানাসহ সব খাতে গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হবে। একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, শিল্প কারখানা, বিদ্যুৎ ও আবাসিক ইত্যাদি খাতে গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং তার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় বর্তমানে বেশ কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও ৫টি সার কারখানায় গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।