দীর্ঘ ছুটির কবলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২২, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
করোনা মহামারিতে ৫৭১ দিন বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষকরা বেতনভাতা নিয়েছেন বসে বসে। এই সময়ে লেখাপড়ার অনেক ক্ষতি হয়েছে। কথা ছিল লেখাপড়ার সুবিধার্থে বিভিন্ন ধরনের ছুটি কমানো হবে। কিন্তু ঈদুল আজহায় ঘটেছে অন্য ঘটনা। দুই সপ্তাহের বেশি ছুটি দেওয়া হয়েছে। আর রাজধানীর কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে তা তিন সপ্তাহ থেকে প্রায় এক মাস। এ নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
১০ জুলাই পবিত্র ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে রোববার ছুটি শুরু হয়েছে। মাদ্রাসায় এই ছুটি শুরু হয়েছে শনিবার। আর সরকারি-বেসরকারি কলেজে ছুটি শুরু হচ্ছে আজ ক্লাসের পর। অন্য দিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি শুরু হয়েছে ২৮ জুন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ঈদুল আজহার সঙ্গে গ্রীষ্মকালীন ও বিনোদন ছুটিও যুক্ত করা হয়েছে। এ কারণে লম্বা মনে হচ্ছে ছুটি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ছুটি চলবে ১৯ জুলাই পর্যন্ত। সরকারি-বেসরকারি কলেজের ও মাদ্রাসার ছুটির তালিকা অনুসারে, এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ১৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে। পরদিন শুক্রবার হওয়ায় ১৬ জুলাই থেকে সরকারি-বেসরকারি কলেজে ক্লাস শুরু হবে। অন্য দিকে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঈদুল আজহা, গ্রীষ্মকালীন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের উৎসব আষাঢ়ী পূর্ণিমাসহ ছুটি ১৬ জুলাই পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে ২০২২ সালের ছুটি তালিকায় গ্রীষ্মকালীন ছুটি ১৬ থেকে ২৩ মে নির্ধারিত ছিল। শিক্ষকদের শ্রান্তি বিনোদন ছুটি প্রদানের সুবিধার্থে তা পরিবর্তন করে ২৮ জুন থেকে ৫ জুলাই সমন্বয় করা হয়েছে। দেশের ১৮টি জেলায় বন্যা চলছে। সেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার কারণে অনেক স্থানে আগেই প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এ অবস্থার মধ্যেও রাজধানীর কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক মাস বন্ধ দেওয়া হয়েছে। সব মিলে দীর্ঘমেয়াদি ছুটির কবলে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।