Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

করোনা মোকাবিলায় সিপিডির সংলাপ

উৎপাদন চালু ও স্বাস্থ্যঝুঁকি কমিয়ে ভারসাম্য রাখা জরুরি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১২ এপ্রিল ২০২১, ০২:০০ পিএম

প্রিন্ট সংস্করণ

করোনা প্রতিরোধে লকডাউন চলাকালে স্বাস্থ্যবিধি মানা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি এবং সীমিত আকারে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখা উচিত। এক্ষেত্রে উৎপাদন চালু রেখে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। শিল্প-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সাধারণ মানুষের চলাচলে মাস্ক পরা নিশ্চিতে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ও আর্মড ফোর্সকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত ভার্চুয়াল সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। সংলাপের বিষয় ছিল ‘কোভিড অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ : কীভাবে সামলাব’। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংস্থাটির বিশেষ ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান, গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় আলোচনায় বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের সাবেক ভাইস চেয়ারপার্সন ড. আহমদ মোশতাক রাজা চৌধুরী, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এএসএম আলমগীর, ব্যবসায়ী নেতা ও সংসদ সদস্য সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের মহাসচিব ফারুক আহমেদ এবং ল্যাব এইডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. এএম শামীম প্রমুখ।

সফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, প্রথম ধাপের পর করোনার দ্বিতীয় ঢেউ বাংলাদেশে আঘাত করেছে। তাই করোনা ভাইরাস নিয়েই আমাদের বাঁচতে শিখতে হবে। বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, লকডাউনে গার্মেন্টস বন্ধ হলে শ্রমিকদের অনেকে গ্রামের বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য গণপরিবহণ ব্যবহার করবে। এতে সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে। ড. আহমদ মোশতাক রেজা চৌধুরী বলেন, করোনায় স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় প্রচেষ্টা ছিল। কিন্তু তা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে হয়নি। ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, লকডাউনে অর্থনৈতিক একটি প্রভাব রয়েছে। কিন্তু এটি সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া রোধে বাধা দেবে।

ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, সংলাপে বেশ কিছু সুপারিশ এসেছে। এগুলোকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যা হলো-স্বাস্থ্যবিধি, চিকিৎসা এবং অন্যান্য সহায়তা। স্বাস্থ্যবিধির বিষয়ে অনেকে বলেছেন জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য। মাস্ক পরা এবং মাস্ক আরও বেশি পরিমাণে বিতরণ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম না হাওয়ার বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ এসেছে। তিনি বলেন, ‘চিকিৎসার বিষয়ে ফিল্ড হাসপাতাল বাড়ানো, সেখানে কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার ব্যবহারের কথা এসেছে। তিনি আরও বলেন, টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। কিন্তু একটা অসামঞ্জস্যতা দেখা যাচ্ছে। টিকার সরবরাহ কম এবং জনসচেতনতাও কম। টিকার সরবরাহ কম হওয়ার জন্য অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকে টিকা আমদানির সুপারিশ এসেছে। সেই সঙ্গে করোনা চিকিৎসার ওষুধ কীভাবে সুলভ মূল্যে দেওয়া যায় সেটি বিবেচনা করা উচিত। ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘কারখানা কর্মীদের স্বাস্থ্যের কথা আলোচনায় উঠে এসেছে। তাদের সব ধরনের স্বাস্থ্যগত সুবিধা দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে, যাতে কারখানাগুলো খোলা থাকে এবং কর্মীদের কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সেটি নিশ্চিত করা জরুরি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম