সিপিডির সংলাপে বক্তারা
করোনায় ছোট পোশাক কারখানা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২১, ০১:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
করোনায় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের ছোট পোশাক কারখানাগুলো। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন একেবারে বন্ধ ছিল। সরকারিভাবে প্রণোদনা দেয়া হলেও ব্যাংকের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকায় ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান প্রণোদনার আবেদনই করেনি। ফলে করোনা পরবর্তী সময়ে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকিয়ে রাখা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত ভার্চুয়াল সংলাপে শনিবার বক্তারা এসব কথা বলেন। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. রেহমান সোবহান, সংসদ সদস্য শিরীন আখতার এবং বিজিএমইএ’র পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল মোমেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। বক্তারা বলেন, করোনায় পোশাক শিল্প খাতটি বহুমুখী বাধার মুখে পড়েছে। তবে ছোট কোম্পানির প্রতিবন্ধকতা বেশি। যে সব প্রতিষ্ঠান পোশাক সংগঠনের সদস্য নয়, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের এ ধরনের অধিক কারখানা রয়েছে। ঋণ পেতে জটিলতার জন্য বেশিরভাগ ছোট কারখানা ঋণে আবেদন করেনি। ৯০ শতাংশ বড় কারখানার বিপরীতে মাত্র ৪০ শতাংশ ছোট কারখানা এই আবেদন করে। শিরীন আখতার বলেন, করোনার সময়ে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করলেও পোশাকশিল্প আস্তে আস্তে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে আপদকালের জন্য আমাদের সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। সরকার ঘোষিত বিভিন্ন প্রণোদনা সবার কাছে সঠিকভাবে পৌঁছাচ্ছে কী না তা পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে সুশাসনের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। যারা কাজ হারিয়েছেন বা যে সব কারখানা বন্ধ হয়েছে, তাদের দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। শ্রমিকদের প্রশিক্ষণ এবং স্বাস্থ্যগত বিষয় নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এছাড়াও শ্রমিকরা যেন ন্যূনতম মজুরি পায়, সেটাও দেখা দরকার।