দেশে উদ্যাপিত হবে ‘ওয়ার্ল্ড রিফ্লেক্সোলজি উইক’

যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

দেশে প্রথমবারের মতো উদ্যাপিত হবে ‘ওয়ার্ল্ড রিফ্লেক্সোলজি উইক’। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আগামী ২১-২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে সপ্তাহটি উদ্যাপন করবে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘হারমনি ট্রাস্ট’। গত ২০ বছর ধরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ‘ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব রিফ্লেক্সোলজিস্টিক্স (আইসিআর) এই সপ্তাহ পালন করে আসছে। এই বছরের প্রতিপাদ্য-‘স্ট্রেস ও টেনশন’। কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এবার সংক্ষিপ্ত পরিসরে সপ্তাহটি পালিত হবে। পাশাপাশি রিফ্লেক্সোলজি বিষয়ে প্রকাশিত একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হবে।
এ প্রসঙ্গে ‘হারমনি ট্রাস্টের’ ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অমিতাভ ভট্টাচার্য যুগান্তরকে বলেন, রিফ্লেক্সোলজি রোগ প্রতিরোধ ও নিরাময়ে ব্যবহৃত একটি সুপ্রাচীন থেরাপি। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক স্বীকৃত চিরায়ত বা বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতিগুলোর অন্যতম। মূলত হাত ও পায়ের তালুর নির্দিষ্ট কিছু অংশে ভোঁতা কাঠি বা আঙুল দিয়ে চাপ দিয়ে এ থেরাপি করা হয়। রিফ্লেক্সোলজি কাজ করে শরীরের স্নায়ুতন্ত্রের মাধ্যমে। এ থেরাপিতে কোনো ওষুধ, অস্ত্রোপচার বা যন্ত্রের ব্যবহার ছাড়াই শুধু শরীরের নিজস্ব আরোগ্য প্রক্রিয়াকে ব্যবহার করে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যা দূর করা হয়। অনেকে এটাকে আকুপ্রেশার বলে ভুল করতে পারেন। কিন্তু এই দুটি পদ্ধতিতে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে রোগীকে সারিয়ে তোলা হয়। তবে এই দুই পদ্ধতির অনেক পার্থক্য রয়েছে।
দেশে রিফ্লেক্সোলজি চর্চার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে অমিতাভ বলেন, বেশ কয়েকটি কারণে প্রচলিত মূলধারার চিকিৎসা ব্যবস্থার পাশাপাশি সহায়ক চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে রিফ্লেক্সোলজি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। প্রথমত, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক হওয়ায় এ পদ্ধতির কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। অন্য যে কোনো চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি এ থেরাপি নেয়া যায়। যে কোনো বয়সের এবং যে কোনো শারীরিক অবস্থায় মানুষ এ থেরাপি নিতে পারে। দ্বিতীয়ত, এ থেরাপি আদৌ ব্যয়বহুল নয়। খুব সহজেই শিখে নিয়ে যে কেউ এটি নিজের ওপর নিজে প্রয়োগ করতে পারেন। তৃতীয়ত, রিফ্লেক্সোলজি ব্যবহার করে খুব সহজেই রোগ লক্ষণ দেখা দেয়ারও আগে নিজেই তার সম্ভাবনা শনাক্ত করে প্রতিরোধ করা সম্ভব। হৃদরোগ ও কিডনির সমস্যার মতো অসংখ্য অসংক্রামক রোগ মোকাবেলায় এ বিষয়টির গুরুত্ব সীমাহীন। এটাও স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর চাপ এবং সার্বিক চিকিৎসা ব্যয় কমাতে গুরুত্বপূর্ণ।