
প্রিন্ট: ০২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:২০ এএম

যুগান্তর রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২০, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে এক হাজার মানুষের জন্য মাথাপিছু হাসপাতালের বেড (শয্যা) সংখ্যা শূন্য দশমিক ৮টি। অপরদিকে, শ্রীলংকায় ৩ দশমিক ৬, মালয়েশিয়ায় ১ দশমিক ৯ এবং থাইল্যান্ডে ২ দশমিক ১টি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে সরকার জিডিপির মাত্র শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ ব্যয় করে। অপরদিকে, শ্রীলংকায় ১ দশমিক ৬ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ২ শতাংশ এবং থাইল্যান্ডে ৩ শতাংশ ব্যয় হয়। বাংলাদেশে একজন ব্যক্তিকে স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়ের ৭৪ শতাংশ নিজেকেই বহন করতে হয়। অপরদিকে, শ্রীলংকায় ৫০ শতাংশ, মালয়েশিয়ায় ৩৮ এবং থাইল্যান্ডে ১১ শতাংশ ব্যক্তিকে বহন করতে হয়। শনিবার সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকনোমিক মডেলিংয়ের (সানেম) সংযোগ আলোচনায় বিষয়গুলো উঠে এসেছে। ‘কোভিড-১৯ এবং বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা’ শীর্ষক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। এটি সানেম সংযোগের পঞ্চম পর্ব। সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হানের পরিচালনায় আলোচনায় যুক্ত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহ মনির হোসেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জনস্বাস্থ্যবিদদের নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের বিশেষজ্ঞ গঠিত কমিটির প্রধান ডা. মোহাম্মদ আবদুস সবুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের জনস্বাস্থ্য এডজাঙ্কট প্রফেসর ড. রুমানা হক প্রমুখ।
ড. সেলিম রায়হান বলেন, সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। করোনা মহামারীর ফলে তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কিন্তু সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে সবচেয়ে বেশি অবহেলা করা হয়েছে। বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতার অভাব রয়েছে। স্বাস্থ্য খাতের জন্য বাজেটে শুধু বরাদ্দ বাড়ালেই হবে না, প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও জনবল তৈরি করতে হবে। ড. রুমানা হক বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সময় পাওয়া সত্ত্বেও ঠিকমতো প্রস্তুতি নেয়া যায়নি। মহামারী মোকাবেলা পরিকল্পনায় দেরি হয়েছে এবং এটির ফলে আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতার অভাব স্পষ্ট। ড. মোহাম্মদ আবদুস সবুর বলেন, উন্নয়ন সহযোগী সংগঠনগুলো থেকে মহামারী মোকাবেলায় সহায়তা দ্রুত এলেও সেটি ব্যবহারে দেরি হচ্ছে। ব্যবস্থাপনা অদক্ষতা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, অসৎ কন্ট্রাকটরদের দমন না করা গেলে স্বাস্থ্য খাতে ক্রয় প্রক্রিয়ার সমস্যা মিটবে না। বেসরকারি স্বাস্থ্য খাতে জবাবদিহির অভাবের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন বেসরকারি স্বাস্থ্য খাত সরকারি স্বাস্থ্য খাতের প্রায় দ্বিগুণ। নীতিনির্ধারকরা অবকাঠামো নির্মাণে উৎসাহী হলেও এ মেডিকেল অবকাঠামো পরিচালনায় দক্ষ জনবল তৈরির জন্য তেমন কিছু করছেন না। স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের জন্য বিকেন্দ্রীকরণ অত্যন্ত জরুরি।