Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

এলডিসি উত্তরণ দয়া নয়, তবে কাল হতে পারে আত্মতুষ্টি

ড. খলীকুজ্জামান

Icon

যুগান্তর রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

চলতি বছরের মার্চেই বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের স্বীকৃতি পাচ্ছে। জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি (সিডিপি) ঘোষণা দেবে। উন্নয়নস্তরের এ পর্যায়ে বাংলাদেশের উত্তরণ কারও দয়াদাক্ষিণ্যে নয়। ধারাবাহিক উন্নতির মধ্যদিয়ে অর্থনৈতিক সক্ষমতা অর্জন করেছে বলেই এ স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এ নিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভুগলে চলবে না। আমরা নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি। পরবর্তী লক্ষ্য মধ্য আয়ে যাত্রা। কিন্তু আমাদের মধ্যআয়ে গেলেই হবে না, মধ্যম জীবনমানও নিশ্চিতের কথা ভাবতে হবে। আত্মতুষ্টি সেই টেকসই উন্নয়নে কাল হতে পারে।

শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এলডিসি উত্তরণ এবং বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে টেকসই উন্নয়ন শীর্ষক এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসফ) চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ এসব কথা বলেন। ইক্যুইটি অ্যান্ড জাস্টিস ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ (ইক্যুইটিবিডি) এ সেমিনারের আয়োজন করে। এতে আয়োজক সংঠনের নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের সঞ্চালনায় মুখ্য আলোচকের বক্তৃতা করেন- পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) সদস্য ও সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম। বক্তৃতা করেন- এলডিসি ওয়াচের সমন্বয়ক ও নেপালের মানবাধিকার কমিশনের সদস্য গৌরি প্রধান, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আনোয়ার হোসেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের যুগ্ম-পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

এলডিসি উত্তরণ বিষয়ে খলীকুজ্জমান আহমেদ আরও বলেন, এলডিসি উত্তরণের বড় লাভ হচ্ছে মর্যাদা। তলাবিহীন ঝুড়ি বলে যারা উপেক্ষা করছে বাংলাদেশকে, উন্নয়নের এ স্তরটি তাদের কাছে বাংলাদেশের একটি বড় বার্তা। তিনি বলেন, স্বপ্ন বড় না হলে এগোনো যায় না। কিন্তু তা দেখলেই হবে না। অর্জন করারও চেষ্টা থাকতে হয়। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচিতে প্রবেশ করে বাংলাদেশ তার সেই টেকসই উন্নয়নের অভিষ্ট লক্ষ্যেই হাঁটছে। এখন দরকার গতি নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার। এ পথে আত্মতুষ্টি লক্ষ্য অর্জনে বাধা হতে পারে। যেমনটি হয়েছে গত বছর খাদ্য পরিস্থিতি নিয়ে। ড. খলীকুজ্জমান আহমেদ দাবি করেন, এলডিসি উত্তরণে সময়ের কথা বলা হচ্ছে। কেউ ২০২৪ সাল কিংবা ২০ সালের কথা বলছে। কিন্তু আমি বলব- সঠিক পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ। প্রতিবন্ধকতা যা আছে সেগুলো এখনই মোকাবেলার উদ্যোগ নিয়ে এগোলে ২০২১ সালের পর স্বল্পোন্নত তালিকায় অপেক্ষা করার আর কোনো প্রয়োজন হবে না। এটি করা হলে আফগানিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো পার্থক্য থাকবে না।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম