ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন
খাগড়াছড়িতে ৬ বছরে ৫৫ হত্যা করেছে ‘ঠ্যাঙাড়ে গ্রুপ’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়িতে ৬ বছরে ৫৫ রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে ‘ঠ্যাঙাড়ে গ্রুপ’ নামের বাহিনী। তাদের সর্বশেষ শিকার পানছড়ির ইউপিডিএফ নেতা বিপুল, সুনীল, লিটন ও রুহিন। এসব হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছে পাঁচ সংগঠন। একই সঙ্গে ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী বন্ধের দাবি করেছে তারা। শনিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), গণতান্ত্রিক যুব ফোরাম (ডিওয়াইএফ), হিল উইমেন্স ফেডারেশন (এইচডব্লিউএফ), পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ ও ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইউনাইটেড ওয়ার্কার্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের সহসাধারণ সম্পাদক প্রমোদ জ্যোতি চাকমা, ডিওয়াইএফ সভাপতি জিকো ত্রিপুরা, পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ সভানেত্রী কণিকা দেওয়ান, পিসিপির সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা, এইচডব্লিউএফ-এর সভানেত্রী নীতি চাকমা প্রমুখ। লিখিত বক্তব্যে পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অঙ্কন চাকমা বলেন, ২০১৭ সালের ১৫ নভেম্বর খাগড়াছড়িতে এ ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী গঠন করে দেওয়া হয়। তারপর থেকে ওই বাহিনীর সদস্যরা সেনাবাহিনীর ক্যাম্পের পাশে অথবা উপজেলা সদরে আস্তানা গেড়ে খুন, গুম, ধর্ষণ, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আমাদের আশঙ্কা, যদি অবিলম্বে ঠ্যাঙাড়ে গ্রুপগুলো ভেঙে দেওয়া না হয় তাহলে ভবিষ্যতে আরও অনেক নিরীহ ব্যক্তি কিংবা রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে প্রাণ হারাতে হবে।
তাদের অব্যাহত দৌরাত্ম্যে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। এ সময় ৬ দাবি জানিয়ে ৫ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।