Logo
Logo
×

খবর

পার্বতীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল দাদি নাতনির

কাউনিয়ায় ট্রেন আটকে বিক্ষোভ

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ট্রেন দেখতে গিয়ে কাটা পড়ে প্রাণ গেছে দাদি ও নাতনির। শনিবার সকালে উপজেলার পুরাতন বাজার এলাকার তিলাই নদীর রেলসেতুর ওপর এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দর মহিলা কলেজ পাড়ার আব্দুল মজিদ বাবুর স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৬০) ও তার নাতনি সাথী খাতুন (৭)। এদিকে রংপুরের কাউনিয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যায় অরক্ষিত রেলগেটে ট্রেনের ধাক্কায় একটি অটোরিকশা দুমড়ে-মুচড়ে গিয়ে এর চালক নিহত হয়েছেন। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে লোকজন রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন আধ ঘণ্টা আটকে রাখে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

দিনাজপুর ও পার্বতীপুর : পার্বতীপুর পৌর এলাকার পুরাতন বাজার এলাকায় এক বিয়ের অনুষ্ঠানে নাতনিকে নিয়ে যোগ দেন মর্জিনা বেগম। শনিবার বেলা ১১টার দিকে মর্জিনা বিয়েবাড়ি থেকে নাতনিকে ট্রেন দেখাতে নিয়ে গিয়ে রেললাইনের ওপর হাঁটছিলেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন আরও দুজন। একসময় তারা তিলাই নদীর রেলসেতুর ওপর উঠলে দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী একটি আন্তঃনগর ট্রেন তাদের ধাক্কা দেয়। সঙ্গে থাকা দুজন তিলাই নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যান দাদি-নাতনি।

কাউনিয়া (রংপুর) : শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের তকিপল হাটের কাছে অরক্ষিত রেলগেট দিয়ে অসাবধানতাবশত অটোরিকশা নিয়ে যাওয়ার সময় বুড়িমারীগামী একটি লোকাল ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় ট্রেনের নিচে পড়ে অটোরিকশাচালক মাহবুবুর রহমানের বাম পা বিছিন্ন হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। নিহত মাহবুবুর উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের বেটুবাড়ী এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ লোকজন রংপুর থেকে ঢাকাগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি আধ ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রেখে সার্বক্ষণিক গেটমেন রাখার দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে সার্বক্ষণিক গেটমেন রাখার আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে বিক্ষুব্ধ লোকজন অবরোধ তুলে নেয়। এছাড়া দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে সহকারী পরিবহণ কর্মকর্তা মো. ফারুকুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম