শিক্ষকের কক্ষে তালা
পবিপ্রবিতে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন ও মানববন্ধন
পবিপ্রবি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহানকে অফিসকক্ষে কর্তব্যরত অবস্থায় তালাবদ্ধ করে রাখার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছে শিক্ষক সমিতি। বুধবার দুপুর পৌনে ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা। এ সময় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জেহাদ পারভেজ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান মিয়া বক্তৃতা করেন। বক্তারা শিক্ষকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় পবিপ্রবি প্রশাসনের সমালোচনা করে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে পাঁচ দিনের সময় বেঁধে দেন। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন। বিকাল ৩টায় উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর কাছে ওই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে স্মারকলিপি তুলে দেয় শিক্ষক সমিতি। অপরদিকে একই দিনে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকলি ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষকরা। অবরুদ্ধ হওয়া শিক্ষক অধ্যাপক ড. হেমায়েত জাহানের অভিযোগের তীর পবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগরের দিকে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক যুগান্তরকে বলেন, ‘এক ছাত্রীকে ক্ষমতা প্রদর্শন করে পরীক্ষায় পাশ করাতে চেয়েছিল ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের সভাপতি সাগর। এতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তার অফিসে তালা দিতে পারে। এ ছাড়া ইউট্যাব নামক শিক্ষকদের একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার কারণেও এমন ঘটনা ঘটাতে পারে বলেও দাবি ভুক্তভোগী শিক্ষকের।
তবে উল্টো অভিযোগ করে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাত ইসলাম খান সাগর বলেন, অধ্যাপক হেমায়েত জাহান বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে ছাত্রলীগকে বিতর্কিত ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ষড়যন্ত্র করেছেন।
সোমবার বিকালে অধ্যাপক ড. এসএম হেমায়েত জাহানকে অফিস কক্ষে কর্তব্যরত অবস্থায় বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকদের উপস্থিতিতে কর্মচারীরা তালা ভেঙে তাকে মুক্ত করেন।