মোহনগঞ্জে ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রী মিলে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা
লাশ পুঁতে রাখা হয় মাটিতে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে আবুল হোসেন (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে তার ছেলে-মেয়ে ও স্ত্রী মিলে গলা কেটে হত্যার পর বাড়ির পাশে খালে লাশ পুঁতে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মেয়ে চিন্তা মনি, স্ত্রী রূপবাহার ও সহযোগী আশিকুর রহমান আবিরকে আটক করা হয়েছে। তবে, ছেলে আরমান মিয়া পালিয়ে গেছে।
মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের বড় বেথাম এলাকার সাপমরা খাল থেকে আবুল হোসেনের পুঁতে রাখা লাশ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কানাই লাল চক্রবর্তী বলেন, শনিবার বিকালে নিখোঁজ হন আবুল হোসেন। ঘটনার সূত্র খুঁজতে গিয়ে সন্দেহজনকভাবে আবুল হোসেনের ছেলে আরমানের সহযোগী আশিকুর রহমান আবিরকে প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে আবির স্বীকার করে শনিবার রাতে আবুল হোসেনকে নিজ বাসায় গলা কেটে হত্যা করে তার ছেলে আরমান। এ কাজে মেয়ে চিন্তা মনি ও স্ত্রী রূপবাহার সহযোগিতা করেন। পরে লাশ গুম করার জন্য তাকে ডেকে নেয় আরমান। লাশ পুড়িয়ে ফেলা বা দূরে কোথাও নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়ার কথা ভাবা হয়। পরে বাড়ির পাশের সাপমরা খালে মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়। এসআই কানাই লাল আরও জানান, আবিরের দেওয়া তথ্যে রাতভর অভিযান চালিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে মেয়ে চিন্তা মনি ও স্ত্রী রূপবাহারকে আটক করা হয়। তবে ছেলে আরমান পালিয়ে গেছেন।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, লাশ উদ্ধার করে সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এখনো কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন আছে। এদিকে পালিয়ে যাওয়া আরমানকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।