গফরগাঁওয়ে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা

ময়মনসিংহ ব্যুরো
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২২, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী মুসলিমা খাতুন নামে এক সন্তানের জননীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আল আমিনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পাগলা থানার টাংগাবর ইউনিয়নের ছাপিলা গ্রামে। পুলিশ শনিবার স্বামীর বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ গৃহবধূর শাশুড়ি আনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, টাংগাবর ইউনিয়নের ছাপিলা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে আল আমিনের সঙ্গে তিন বছর আগে মুসলিমা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর তাদের ঘরে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এরপরই শুরু হয় যৌতুকের জন্য দাম্পত্য কলহ। এ নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে কলহ-বিবাদ লেগেই থাকত। শুক্রবার রাতে কলহ-বিবাদের একপর্যায়ে আল আমিন লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে মুসলিমাকে গুরুতর আহত করে নিজ ঘরেই ফেলে রাখেন। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নিজ ঘরেই মারা যান মুসলিমা।
খোঁজ পেয়ে প্রতিবেশীরা পাগলা থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মুসলিমার রক্তমাখা লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার রাতেই মুসলিমার মা রোকেয়া খাতুন বাদী হয়ে মেয়ের জামাই আলামিন, শশুর মফিজ উদ্দিন ও শাশুড়ি আনোয়ারা বেগমকে আসামি করে পাগলা থানায় মামলা করেন।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান জানান, আনোয়ারা বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে ময়মনসিংহ জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর পলাতক রয়েছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।