সিলেট, কিশোরগঞ্জসহ পাঁচ জেলায় আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা বৃষ্টির পানির কারণে সুরমা-কুশিয়ারাসহ ৮টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে চলে গেছে। কোথাও পানি এক মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।
বুয়েটের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ড. একেএম সাইফুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল তথা আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরার বেশ বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে শিলচর, কৈলাশহর বা মনু, চেরাপুঞ্জি, আইজওয়ল এবং শিলংয়ে বৃষ্টির মাত্রা বেশি। বৃষ্টির সেই পানি সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন নদী দিয়ে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে যায়। তিনি আরও বলেন, তাই ক্ষয়ক্ষতি তেমন একটা হবে না।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি) জানিয়েছে, সিলেটের সুরমা, কুশিয়ারা, মনু, খোয়াই, সুতং, কংস, কালনী, বাউলাই নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে কালনী নদীর পানি আজমিরিগঞ্জে বিপদসীমার ১২৩ সেন্টিমিটার ওপরে বইছে। কুশিয়ারার পানি শেওলা পয়েন্টে বিপদসীমার ১০৭ সেন্টিমিটার ওপরে বইছে। কুশিয়ারার পানি সবচেয়ে বেশি স্থানে বিপদসীমার ওপরে চলে গেছে।
এফএফডব্লিউসি জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জে বিদ্যমান আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে। তবে নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জে এ পরিস্থিতির উন্নতি ঘটতে পারে।