বগুড়া জেলার সাহিত্য নিয়ে বিশেষ আয়োজন
বগুড়ার সাহিত্য
ইসলাম রফিক
প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০২:০০ পিএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বগুড়ায় সাহিত্য আন্দোলন এবং কবি লেখকদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে লিটল ম্যাগাজিনচর্চা, সাহিত্য সংগঠন, রেস্টুরেন্টকেন্দ্রি আড্ডা এবং স্থানীয় দৈনিকের সাহিত্য পাতাগুলোর বড় অবদান রয়েছে। ষাটের দশকের প্রথমার্ধে অধ্যাপক মোহসীন আলী দেওয়ান সম্পাদিত মাসিক ‘অতএব’ পত্রিকাকে ঘিরে একটি সাহিত্য পরিমণ্ডল গড়ে ওঠে বগুড়ায়। এ পত্রিকায় লিখতেন-আতাউর রহমান, লুৎফর রহমান সরকার, কমলেশ সেন, খাজা জহুরুল ইসলাম, শাহ আনিসুর রহমান, ফারুক সিদ্দিকী, আন্ওয়ার আহমদ, বজলুল করিম বাহারসহ অনেকেই ‘অতএব’ পত্রিকায় লিখেছেন।
একই সময়ে প্রকাশিত হয় ‘বিপ্রতীক’। এর প্রথম সংখ্যার সম্পাদক ছিলেন কাজী রব এবং মহাদেব সাহা। ফারুক সিদ্দিকী ছিলেন প্রকাশক। পরে ফারুক সিদ্দিকীর সম্পাদনায় এটি প্রকাশিত হতে থাকে। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ও মনোজ দাশগুপ্ত সম্পাদিত ‘পদধ্বনি’, নূর মোহাম্মদ তালুকদার সম্পাদিত ‘স্বরক্ষেপ’, রেজাউল করিম এবং সাইফুল ইসলাম সম্পাদিত ‘অপরাহ্ন’ এবং শাহনূর খান ও আরেফুল ইসলাম সম্পাদিত ‘অবেলা’র একটি করে সংখ্যা প্রকাশিত হয়। লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনে নিজেদের সম্পৃক্ত করে ষাট দশকে আÍপ্রকাশ করেন- ফারুক সিদ্দিকী, কাজী রব, সাহেদুর রহমান, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, মনোজ দাশগুপ্ত, বজলুল করিম বাহার, সাইফুল ইসলাম, সা ম হেদায়েতুল ইসলাম, রেজাউল করিম চৌধুরী, খন্দকার আব্দুর রহিম হিরু, মহাদেব সাহা এবং শাহনূর খান।
সত্তর দশকে সাহিত্য আন্দোলনে যেসব লিটল ম্যাগাজিন ভূমিকা রাখে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-রায়হান রহমান এবং মনজু রহমান সম্পাদিত ‘অ্যালবাম’, আমানুল্লাহ খান সম্পাদিত ‘নতুন দিন’, আব্দুর রাজ্জাক সম্পাদিত ‘শতবর্ষী’, রেজাউল করিম চৌধুরী এবং মুহম্মদ শহীদুল্লাহ সম্পাদিত ‘অর্কেষ্ট্রা’। ‘অর্কেষ্ট্রা’ পরে রেজাউল করিম চৌধুরীর একক সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়। রায়হান রহমান সম্পাদিত ‘সারাক্ষণ‘, মোস্তফা নূরউল ইসলাম সম্পাদিত ‘শাদা শার্ট’, কাজী রব সম্পাদিত ‘প্রেম’, মাহমুদ হাসান সম্পাদিত ‘যন্ত্রণা’, আনোয়ারুল করিম সম্পাদিত ‘সুমেরু’। খন্দকার আব্দুর রহীম হিরু সম্পাদিত সাপ্তাহিক ‘বর্তমান’কে ঘিরে একটি সাহিত্য আড্ডা সত্তরের দশকে বগুড়ায় গড়ে উঠেছিল। ১৯৭৪ সালে ‘বর্তমান’ প্রথম প্রকাশিত হয়। বর্তমানের সাহিত্য আড্ডায় আসতেন-ফারুক সিদ্দিকী, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, বজলুল করিম বাহার, কাজী রব, মাহমুদ হাসান, সুজন হাজারী, মনোজ দাশগুপ্ত, মনজু রহমান, রেজাউল করিম চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, রায়হান রহমান, মৃণাল কান্দি সাহা, মোস্তফা নূরউল ইসলাম, মোস্তফা আলী, আবদুল্লাহ ইকবাল, জাকারিয়া ডন, হুমায়রা নাজনীন সোমা, মনিরা কায়েস, আয়েশা আশরাফ, শেফালী রহমান, হাসনা আকরাম, আবু বকর সিদ্দিক, আজিজুল হক, শেখ ফিরোজ আহমদ প্রমুখ।
আশি, নব্বই এবং পরে বগুড়ায় সাহিত্য আন্দোলনের ক্ষেত্রে যেসব ছোটকাগজ ভূমিকা রাখে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-সরকার আশরাফ সম্পাদিত ‘নিসর্গ’, কামরুল হুদা পথিক সম্পাদিত ‘দ্রষ্ঠব্য’, শেখ ফিরোজ আহমদ সম্পাদিত ‘প্রেক্ষিত’, মাহমুদুল আলম নয়ন সম্পাদিত ‘মর্মর’ জয়ন্ত দেব সম্পাদিত ‘দ্যুতি’, আজিজার রহমান তাজ সম্পাদিত ‘মল্লিকা’, বগুড়া লেখক চক্রের মুখপত্র ‘ঈক্ষণ’, ইসলাম রফিক সম্পাদিত ‘দোআঁশ’ ও ‘নিওর’, মাহমুদ শাওন সম্পাদিত ‘সুতরাং’, এমরান কবির সম্পাদিত ‘থার্ডম্যাগ’ ও ‘সেন্ট্রাল জেল’, মামুন রশীদ সম্পাদিত ‘দ্বিবাচ্য’, তৌফিক জহুর সম্পাদিত ‘উদ্যান’, খৈয়াম কাদের সম্পাদিত ‘নেমেসিস’, আব্দুল্লাহ ইকবাল সম্পাদিত ‘নোয়ার্জাক’, মাহমুদ হোসেন পিন্টু সম্পাদিত ‘প্রতিকাগজ’, মাইনুল ফারুক সম্পাদিত ‘ডামি এডিশন’, ঈশান সামী সম্পাদিত ‘অভিজন’, অচিন্ত্য চয়ন সম্পাদিত ‘অদ্রি’, অনন্ত সুজন সম্পাদিত ‘সুবিল’, শোয়েব শাহরিয়ার সম্পাদিত ‘পুন্ড্র’, প্রান্তিক অরণ্য সম্পাদিত ‘বিবর’, নাহিদ হাসান ররিন সম্পাদিত ‘অপরাজিত’, রবিউল আলম অশ্র“ সম্পাদিত ‘অআ’, কবীর রানা সম্পাদিত ‘নিজকল্পা’, মতিয়ার রহমান সম্পাদিত ‘একতারা’, মিতা নূর সম্পাদিত ‘চার অপরাজিতা’ প্রমুখ।
১৯৭৪ সালে বগুড়ায় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘অনুকাল সাহিত্য গোষ্ঠী’। অনুকাল সাহিত্য গোষ্ঠীর মুখপত্র ছিল ‘অনুকাল’। ১৯৭৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বগুড়া লেখক গোষ্ঠী। বগুড়া লেখক গোষ্ঠীর মুখপত্র ছিল ‘আÍপ্রকাশ’। আÍপ্রকাশ এর তিনটি সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছিল। বগুড়া লেখক চক্র প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৮ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর। কবি শেখ ফিরোজ আহমদ বগুড়া লেখক চক্রের প্রতিষ্ঠাতা। বগুড়া লেখক চক্রের মুখপত্র ‘ঈক্ষণ’ দীর্ঘ ৩৩ বছর ধরে প্রকাশিত হচ্ছে। ‘ঈক্ষণ’-এর বর্তমান সম্পাদক ইসলাম রফিক। শেরপুর সাহিত্যচক্র নামে একটি সাহিত্য সংগঠন ৮০ দশকে শেরপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৪ সালে কবি শোয়েব শাহরিয়ার নেতৃত্বে ‘পঠন-পাঠন’ নামে একটি সাহিত্য সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়। নব্বই দশকে মানিক মাহমুদের নেতৃত্বে ‘প্রিয় পাঠক’ একটি সাহিত্য সংগঠন বগুড়ায় হইচই ফেলে দেয়। একই সময়ে ‘কবিতা ক্লাব’ নামে একটি সাহিত্য সংগঠন বগুড়ায় কাজ করে। বগুড়া জীবনানন্দ পরিষদ নামে একটি সাহিত্য সংগঠন কাজ করছে। যার মুখপত্র ‘ধূসর পাণ্ডুলিপি’। মুহম্মদ শহীদুল্লাহ-এর নেতৃত্বে সাহিত্য জিজ্ঞাসা নামে একটি সাহিত্য সংগঠন বগুড়ায় কাজ করছে।
সাহিত্য সংগঠনগুলোর কার্যক্রমের ফলে বগুড়ায় তরুণরা সাহিত্যের প্রতি যেমন আগ্রহী হয়ে উঠছে, তেমনি তাদের বেড়ে ওঠার এবং ঋদ্ধ হওয়ার ক্ষেত্রে বড় সহযোগিতা পাচ্ছে।
দীর্ঘ সময় ধরে বগুড়ায় লাইব্রেরিকেন্দ্রিক একটি আড্ডার ধারাবাহিকতা চলে আসছে। বেনীপুর বুক হাউজ, বগুড়া সাহিত্য কুঠির, হান্নানের বইয়ের দোকান, পড়ুয়া লাইব্রেরির আড্ডা-এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
তৃপ্তি রেস্টুরেন্ট, শাহানা রেষ্টুরেন্ট, সুরুচি রেষ্টুরেন্ট, জুলিয়েট হোটেল, চম্পক গার্ডেন, শ্যামলী হোটেল, এম আর কম্পিউারের আড্ডায় তরুণ-প্রবীণরা অংশগ্রহণ করতেন। সাতমাথায় চা স্টলগুলোর আড্ডার মধ্যে আছে নিকুঞ্জ’র চায়ের দোকান, রায়হানের চায়ের দোকান, সিরাজুলের চায়ের দোকান, রফিকুলের চায়ের দোকান, মুন্সির চায়ের দোকান, বাচ্চুর চায়ের দোকান, আবেদ আলীর চায়ের দোকানের আড্ডা উল্লেখযোগ্য। বগুড়ায় সাহিত্য আন্দোলনে স্থানীয় দৈনিকগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে।
বগুড়ায় যারা লেখালেখি করেছেন তাদের দশকওয়ারী একটি তালিকা নিচে দেওয়া হলো। এ তালিকার বাইরেও অনেক কবি লেখকের নাম আছে, অনেকে সাহিত্যচর্চা করছেন। দৈনিক পাতার ছোট্ট পরিসরে সবার নাম দেয়া সম্ভব নয়। উল্লেখযোগ্য কবি-সাহিত্যিকদের নাম এখানে দেওয়া হলো। নামের সিরিয়ালের ক্ষেত্রে জ্যেষ্ঠতা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
পঞ্চাশের দশক
অধ্যক্ষ খোদেজা খাতুন, রোমেনা আফাজ, আতাউর রহমান, লুৎফর রহমান সরকার, তাজমিলুর রহমান, এম শামসুল হক, মীর্জা আমজাদ হোসেন, মুহম্মদ আব্দুল মতীন, সাইফুল বারী, ড. মুস্তাফা নুরউল ইসলাম, খোন্দকার আজিজুল হক, এম আর আখতার মুকুল, শামস রশীদ, আনোয়ার রহমান এ্যানা, টিপু সুলতান, মুহম্মদ নূরুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম মন্ডল, শেফালী রহমান, ডা. আব্দুল করিম, একে মজিবর রহমান, মতিয়র রহমান কবিরাজ, বিলোরা চৌধুরী, অধ্যাপক মোহসীন আলী দেওয়ান, আনিসুর রহমান, মাফরুহা চৌধুরী, সাজেদুর রহমান, আসাফ-উদ দৌলা রেজা, ডা. ননী গোপাল দেবদাস, হাসনা আকরাম, অ্যাডভোকেট গাজীউল হক, জগলুল হায়দার আরিফ, মমতাজুর রহমান, আতাউল হক, একেএম শামসউদ্দীন তরফদার, আব্দুল মজিদ ফকির, প্রসাদ বিশ্বাস, আমজাদ হোসেন, রহীম চৌধুরী, মুহম্মদ ফজলুল হক, শ্যামল ভট্টাচার্য্য, দুর্গাদাস মুখার্জি, আবেদ আলী আহমদ প্রমুখ।
ষাটের দশক : ফারুক সিদ্দিকী, বজলুল করিম বাহার, কাজী রব, মনোজ দাশগুপ্ত, মহাদেব সাহা, মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, খন্দকার আব্দুর রহীম হিরু, রেজাউল করিম চৌধুরী। ষাট দশকে বগুড়ায় আরও যুক্ত ছিলেন শাহনূর খান, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আনওয়ার আহমদ, নূর মোহাম্মদ তালুকদার, মুহম্মদ রহমতুল বারী, এম আর আখতার মুকুল, মোস্তফা নূরউল ইসলাম, মিনতি কুমার রায়, সালেহা চৌধুরী প্রমুখ।
সত্তরের দশক : শোয়েব শাহরিয়ার, মনজু রহমান, রায়হান রহমান, আব্দুর রাজ্জাক, জি এম হারুন, মাহমুদ হাসান, পুটু আখতা, মোস্তফা আলী, সুজন হাজারী, অমিয় সাহা, খালিকুজ্জামান ইলিয়াস, ফারুক ফয়সল প্রমুখ।
আশির দশক : মাসুদ খান, সাজাহান সাকিদার, শেখ ফিরোজ আহমেদ, আব্দুর রহিম বগ্রা, তৌফিক হাসান ময়না, খন্দকার বজলুর রহিম, হোমায়রা নাজনীন সোমা, বিদ্যুৎ সরকার, আব্দুল্লাহ ইকবাল, প্রদীপ মিত্র, আজিজার রহমান তাজ, সুকুমার দাস, পলাশ খন্দকার, ফখরুল আহসান, জয়ন্ত দেব, রাহমান ওয়াহিদ প্রমুখ।
নব্বইয়ের দশক : খৈয়াম কাদের, আশীষ উর রহমান শুভ, শিবলী মোকতাদির, মাহমুদ হোসেন পিন্টু, পিয়াল খন্দকার, বায়েজীদ মাহবুব, আরিফ রেহমান, তৌফিক জহুর, সুপান্থ মল্লিক, শামীম কবীর, মতলেবুর রহমান, সেলিম রেজা সেন্টু, আমির খসরু স্বপন, মান্নান আরজু, পান্না করিম, হাবীবুল্লাহ জুয়েল, খাদিজা এলমিস, কবীর রানা, সাকিব হাসান, মিতা নূর, মানিক মাহমুদ, জি এম সজল, জে এম রউফ, এস এ রহমান, ফেরদৌসুর রহমান রিটা, আব্দুর রাজ্জাক বকুল, অমিত রেজা চৌধুরী, সাহাব উদ্দিন হিজল প্রমুখ।
শূন্য দশক : ইসলাম রফিক, আব্দুর রশিদ, রাহাত রিটু, মামুন রশীদ, এমরান কবির, মাহমুদ শাওন, অনন্ত সুজন, আহমেদ জুয়েল, ইন্দ্রজিৎ সরকার, আমির খসরু সেলিম, ঈশান সামী, প্রান্তিক অরণ্য, টুটুল রহমান, অরণ্য প্রভা, তালাশ তালকুদার প্রমুখ।
দ্বিতীয় দশক : কামরুন নাহার কুহেলী, আফসানা জাকিয়া, বিধান সাহা, অচিন্ত্য চয়ন, রনি বর্মণ, নিখিল নওশাদ, তানভীর হোসেন, মাহবুব রতন, অনামিকা তাবাসসুম, সিকতা কাজল, শৈবাল নূর, চয়নিকা সাথী, আবু রায়হান, প্রতত সিদ্দিক, আমিনুল ইসলাম রনজু প্রমুখ। জেলার বাইরের হলেও রিপন আহসান ঋতু, হাদিউল হƒদয়, হিরণ্য হারুন, এবং সাফওয়ান আমিনদের বেড়ে ওঠা বগুড়ায়।
ঋণ স্বীকার : প্রফেসর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, কবি-প্রাবন্ধিক
বগুড়ার প্রবাদ প্রবচন
১. আছনু ধান, হনু খই
দিনে দিনে ব্যান আরকি হই!
২. অকাম করে বেহুদ্দা
ঝামেলা পোয়ায় গুষ্টি সুদ্ধা।
৩. বাপ ভালো তো বেটা ভালো,
মাও ভালো তো ঝি
গাই ভালো তো বাছুর ভালো,
দুধ ভালো তো ঘি।
৪. হামার ভিয়োত বিয়াইছে গাই
সেই সম্পর্কে মামাতো ভাই।
৫. আছে যকন দুইডে পাও
যেটি খুশি সেটি যাও।
৬. হাউ-কাউ করো না জীবন হবি ক্ষয়
আল্লাহ যদি দেয় তো অল্পতিই হয়।
৭. খুলির গোড়ত ইরি ধান, লম্বা লম্বা শীষ
তুমি বন্ধু চলে গেলে খামো হামি বিষ!
৮. চিড়ে কও মুড়ি কও ভাতের লাগান লয়
খালা কও ফুফু কও মায়ের লাগান লয়।
৯. হাউস আলার পাউস নাই
পাউস আলার কোদাল নাই।
১০. আর কী কমো, বারো বছরের ওল
খুন্তি দিয়ে জোরে করে টাইনে তোল!