|
ফলো করুন |
|
|---|---|
উত্তপ্ত রেসকোর্স-তেজগাঁও-পল্টন
যেখানে তোমার অগ্নিস্পর্শ ছুঁয়ে গেছে
খুঁজে ফিরে অবিরত তোমার আবেশী বজ্রকণ্ঠ
তর্জনী স্ফুলিঙ্গে আবার জ্বলে পুড়ে হতে ছারখার
আজন্ম তৃষিত হৃদয় করে তোমার জন্ম প্রার্থনা।
আমি বারেবার, অগণিতবার, অবাক বিস্ময়ে ভাবি-
হে পিতা, তুমি কী করে আগেই জানতে
উত্তাল সাগরে আন্দোলিত ঢেউয়ের মতো জনতার জোয়ার
তোমার অসীম ছায়াতলে লীন হয়ে যাবে এসে!
নাকি, তোমার বিশ্বাসে মিশে গিয়েছিল বলেই
মহাকাল ধরে রচিত হয়েছিল বীর বাঙালির মহাকাব্য!
আজ একুশ শতকে বসে তোমার ছবি আঁকছি
ভাবনার অতলে তলিয়ে গিয়েও ভাবছি-
সাত কোটি মানুষের সকল দুঃখ ব্যথা, শোষিতের বঞ্চনা
কী করে ধরেছিলে বুকে, কণ্ঠে অমন আগুন জ্বেলেছিলে!
বিনম্র শ্রদ্ধায় অবনত হয় চোখ, আত্মস্বরে বলি-
“আমি অমন দেখিনিতো আর কেউ! দেখব না আমি জানি-
অমন বজ্রকণ্ঠ আর শুনিনিতো কভু আমি! শুনবো না ফের জানি-
অমন গণজোয়ার, তরঙ্গ-বিদ্যুৎ আসেনিতো কভু আর! আসবে না আমি জানি-
তোমার জন্ম-ঋণে চিরঋণী বাংলায় জন্ম স্বাধীনতার
গর্বিত এ জাতির ব্যর্থতা আজীবন ঋণ শোধবার!”
