
প্রিন্ট: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২০ এএম
কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে করণীয়

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বর্তমান সময়ে কিশোর গ্যাং সমাজের জন্য এক মারাত্মক ব্যাধিতে রূপ নিয়েছে। কিশোর গ্যাংয়ের কারণে সমাজে শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে, ততই সমাজে এই গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য বাড়ছে। এদের কোনোভাবেই যেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। কিশোর গ্যাং আসলে কারা? কিশোর গ্যাং হচ্ছে ১৮ বছরের নিচে যেসব কিশোর দলবদ্ধভাবে দাঙ্গা, হাঙ্গামা, অন্যায়, বিশৃঙ্খলা চালায়। দেখা যায়, ১৫ থেকে ১৬ বছরের কিশোররাই কিশোর গ্যাংয়ে পরিণত হচ্ছে।
কিশোর গ্যাংদের কাজ হচ্ছে মানুষকে উত্ত্যক্ত করা, মেয়েদের টিজ করা, বকাবকি করা, হুমকি দেওয়া, স্কুল-কলেজপড়ুয়া ছাত্রীদের উদ্দেশে বাজে কমেন্ট করা, ভয়ভীতি দেখানো, সমাজে উত্তেজনা সৃষ্টি করা ইত্যাদি। এই বখাটে কিশোররা পড়ালেখা না করে নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। তারা সাধারণত রাতে দলবদ্ধভাবে নেশাদ্রব্য পান করে। এতে তারা উগ্র হয়ে ওঠে। আমাদের করণীয় হলো, সামাজিক সচেতনতা তৈরি করে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধ করা। কিশোররা যেন কিশোর গ্যাংয়ে পরিণত না হয় তার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। আমাদের সমাজে, পাড়া-মহল্লায় যেসব প্রভাবশালী রয়েছেন, তাদের উচিত কিশোর গ্যাংয়ের উগ্র সদস্যদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া। যেখানেই কিশোর গ্যাং দেখা যাবে, দ্রুত তাদের আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অর্পণ করতে হবে। তাদেরকে বিচারের মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করতে হবে। কিশোর গ্যাং যে পরিবার থেকে গড়ে উঠবে, সেই পরিবারকে সচেতন করতে হবে। কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে সচেতনামূলক কর্মকাণ্ড চালাতে হবে। বিচার, সালিশি ব্যবস্থা বাড়াতে হবে। কিশোররা যেন ‘ঘরের রোগ’ না হয়ে ঘরের আলো হয়ে ওঠে। কিশোররা যেন আগামীর কলঙ্ক নয়, আগামীর ভবিষ্যৎ হয়ে উঠতে পারে। তাদের প্রতি স্নেহ, ভালোবাসা, যত্ন বাড়াতে হবে।
তামিম হোসেন
শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ