Logo
Logo
×

শেষ পাতা

বাড়ি থেকে ধরে ইটভাটায় নিয়ে নির্যাতনে হত্যা

Icon

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বাড়ি থেকে ধরে ইটভাটায় নিয়ে নির্যাতনে হত্যা

ধামরাইয়ে শনিবার চুরির অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে ধরে ইটভাটায় নিয়ে বৈদ্যুতিক শক, হাত-পা ভেঙে ও পুরুষাঙ্গ থেঁতলে যুবককে হত্যা করা হয়েছে। এ অভিযোগের তির আমতা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) মেম্বার মো. আলকেস উদ্দিন, মীর হোসেন ও আলতাব হোসেনের বিরুদ্ধে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে।

খুন হওয়া মোহাম্মদ ফইজুদ্দিন ওরফে ফজু মিয়া বাউখণ্ড গ্রামের চালার পাড়ার মুন্তাজ উদ্দিনের ছেলে। একই ঘটনায় একই গ্রামের আব্দুল মান্নান নামে অপর এক যুবকও নির্যাতনের শিকার হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। ওই যুবক মোহাম্মদ লালু মিয়ার ছেলে। শনিবার দিনগত রাত সাড়ে ১০টায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বড় নারায়ণপুরে আলমগীর হোসেনের ইটভাটায়।

আলমগীর হোসেনের ইটভাটার এক্সকেভেটরের ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে আমতা ইউপি মেম্বার মো. আলকেস উদ্দিন, নয়াচরের মীর হোসেন ও আলতাব হোসেন শনিবার বেলা ৩টার দিকে বাউখণ্ড চলারপাড় থেকে মোহাম্মদ ফইজুদ্দিন ওরফে ফজু ও আব্দুল মান্নানকে ধরে নিয়ে যায়। এরপর আলমগীর হোসেনের ইটভাটায় নিয়ে তাদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে হাত-পা ভেঙে ফেলা হয়। সেই সঙ্গে ইটের আঘাতে থেঁতলে দেওয়া হয় পুরুষাঙ্গ। এতে ফইজুদ্দিনের পুরুষাঙ্গ দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। আর ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। বেলা ৪টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে তাদের ওপর চলে নির্যাতন।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ আশরাফ আলীর জিম্মায় মৃত ব্যক্তিসহ দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আশরাফ আলী মেম্বার তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে গিয়ে বিপদে পড়ে যান। বাড়িতে যাওয়ার পর তিনি দেখেন ফইজুদ্দিন নিথর হয়ে আছেন। পরিবারের লোকজন অনেক ডাকাডাকির পরও ফইজুদ্দিন কোনো উত্তর দিচ্ছেন না।

বিষয়টি তাৎক্ষণিক কাওয়ালিপাড়া বাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্দ্রজিৎ মল্লিককে জানানো হয়। তিনি পুলিশ মদস্যদের নিয়ে সেখানে যান। এরপর তিনি লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। রোববার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রাজধানীর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নির্যাতনের শিকার মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান বলেন, আলকেস মেম্বার, মীর হোসেন ও আলতাফ হোসেনকে তিন ফসলি জমিতে মাটিকাটা নিষেধ করায় তারা আমাদের চোরের অপবাদ দেয়। এর পর আলমগীরের ভাটায় নিয়ে আমাদের ওপর চালানো হয় নির্যাতন। আমি কোনো মতে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারাল ফইজুদ্দিন। খুনিদের গ্রেফতার ও ফাঁসি চাই।

কাউলিপাড়া বাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক ইন্দ্রজিৎ মল্লিক বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম