প্রতারণার মামলা
আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর কারাগারে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
চেক প্রতারণার অভিযোগের মামলায় অনলাইনভিত্তিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম শিকদারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মঞ্জুর আলম শিকদারকে শনিবার রাতে রাজধানীর বনানী থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর রোববার তাকে গুলশানের ৯টি মামলায় আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। মঞ্জুরের বিরুদ্ধে শতাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এসব মামলার ওয়ারেন্টের (গ্রেফতারি পরোয়ানা) ভিত্তিতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনেও মামলা আছে। এই মামলার বাদী পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি যাত্রা শুরুর পর কম মূল্যে মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য সরবরাহের জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নেয় আলেশা মার্ট। তবে বহু গ্রাহককে পণ্য না দিয়ে বা টাকা ফেরত না দিয়ে ই-কমার্সের আড়ালে প্রতারণার মাধ্যমে তারা টাকা পাচার (মানি লন্ডারিং) করে বলে দাবি সিআইডির।
সিআইডির তথ্য অনুযায়ী, চারটি বেসরকারি ব্যাংকে আলেশা মার্টের চারটি ব্যাংক হিসাব থেকে ৪২১ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আলেশা মার্টের চেয়ারম্যান মঞ্জুর ও তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে ৩১ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদ কেনা হয়েছে। মঞ্জুরের ২০২০-২১ অর্থবছরের আয়কর বিবরণীর তথ্য তুলে ধরে সংস্থাটি বলছে, বেতন ও আনুষঙ্গিক মিলে তার আয় ছিল মাত্র ১৩ লাখ ৯০ হাজার। অথচ সাত মাসের ব্যবধানে তিনি ৩১ কোটি টাকার সম্পদ কিনেছেন।